পুলিশ হবে কি জনতার
- জসিম উদ্দিন
- ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:৪৮
‘গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার’ কাকে বলে এই নিয়ে বহু দ্বিধা সৃষ্টি করা হলো। প্রতারণাপূর্ণ ক্ষমতা চর্চার কারণে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এ নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়ে চলেছে। পিপল্স রিপাবলিক বা গণপ্রজাতন্ত্রে ক্ষমতার মালিক জনগণ। এর মৌলনীতি অনুযায়ী, একমাত্র জনগণের শক্তি সার্বভৌম। তারাই রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার নির্বাচন করবেন। তাদের নিযুক্ত সরকার তাদেরই সেবক বা সার্ভেন্ট। সরকারের সেবা যদি পছন্দ না হয় সেই সরকারকে তারা পরিবর্তন করবেন। তারা যদি মনে করেন রাষ্ট্রব্যবস্থায় সংস্কার ও পুনর্গঠন প্রয়োজন সেটা তাদের এখতিয়ারে রয়েছে। নিজেদের মানসম্পন্ন সেবার প্রয়োজনে তারা সেবাদাতা গোষ্ঠীকে সমূলে বদলাতে পারেন; সংস্কার, পরিমার্জন ও পরিবর্ধনও করতে পারেন। বাস্তবে বহু গণতান্ত্রিক দেশে বড় ধরনের বিকার লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকে দেশে সেবাদাতা গোষ্ঠী উল্টো হয়ে উঠছে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। কোনো কোনো দেশে জনগণের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে উঠছেন তারা। বিশেষ করে পুলিশসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কোথাও কোথাও পিপল্স রিপাবলিকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বাংলাদেশের পুলিশ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সমালোচনা হচ্ছে ‘জনগণের জন্য পুলিশ’ না ‘পুলিশের জন্য জনগণ’? বিগত এক যুগে বাংলাদেশের বিরাজমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংঘটিত অপরাধ ও পুলিশের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের ব্যাপক ক্ষমতা চর্চা ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’ জগদ্বাসীর জন্য একটি অনন্য কেসস্টাডি হতে পারে। বাংলাদেশে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছে এ উপলক্ষে পুলিশ সরকারের কাছে নিজেদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর তালিকা দিয়েছে। পুলিশের ভাষায় ‘এগুলো বাহিনীটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ’। এর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর মতো পুলিশের আলাদা বিভাগ স্থাপন। পুলিশ প্রধান হবেন ‘চিফ অব পুলিশ’। তাদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল কোর স্থাপন। বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ। সশস্ত্রবাহিনী জনগণের পক্ষে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে। এজন্য প্রয়োজনে তারা যুদ্ধ করবে। চিকিৎসাসেবা যুদ্ধের একটা অংশ। পুলিশের জন্য দেশে আলাদা হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে তারা উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে। এভাবে সরকারের অন্যান্য বিভাগও মেডিক্যাল কোর চাইতে পারে। আনসার ভিডিপি বা সরকারের অন্যান্য যেকোনো বিভাগ এ সুবিধা চাইলে তাদের না দেয়ার ক্ষেত্রে কি যুক্তি থাকতে পারে।
পুলিশের এয়ার উইংকে আরো শক্তিশালী করা, প্রতিটি জেলায় পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিষ্ঠা এবং হাইওয়েতে আরো শক্তিশালী যানবাহন সংযুক্ত করার দাবিও এতে রয়েছে। পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, দূতাবাসে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন, নতুন ১৮টি অতিরিক্ত আইজিপি পদ ও আটটি গ্রেড-১ পদ সৃষ্টি করার দাবিও আছে। উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তার ওপর, বিশেষ কৃতিত্বের জন্য মেধাবী দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তারা সরকারের পক্ষ থেকে স্পেশাল সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। এক্ষেত্রে নাগরিকরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। বর্তমান সরকারের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, দেশের প্রশাসনে অকাতারে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা। দেশের উন্নয়নের চেয়ে তাদের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণে বেশি।
এই সরকার ক্ষমতায় আসার বছর পুলিশের বার্ষিক বাজেট ছিল আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো। ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগের বছর এ বরাদ্দ ১৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই হিসাবে মাত্র ১০ বছরে পুলিশের পেছনে সরকার সাড়ে সাত গুণের বেশি খরচ বাড়িয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের জাতীয় আয় দ্বিগুণও বাড়েনি। পুলিশ পরিদর্শকের পদটি প্রথম শ্রেণীর নন-ক্যাডার; উপপরিদর্শক ও সার্জেন্ট পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নয়ন করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা ও র্যাংক ব্যাজ থ্রি স্টার জেনারেল করা হয়েছে। ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের একজন পরিদর্শক টিএ ডিএ এবং মামলায় হাজিরার আলাদা বরাদ্দসহ গড়ে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করেন। এর সাথে তাদের পাওয়া রেশন পরিবারের খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের বড় একটা অংশ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়। একজন সিপাহি সাধারণ যেসব সুযোগ সুবিধা পান, অন্যান্য সরকারি চাকরির তুলনায় ভালো বলতে হবে। বর্তমান সরকারের সময় পুলিশের নতুন নতুন বিভাগ ও পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এগুলোতে সুযোগ সুবিধা তুলনামূলকভাবে আরো বেশি বেড়েছে।
এর প্রভাবে দেশে পুলিশের ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতি বন্ধ হয়ে গেলে বিষয়টা কিছুটা গ্রহণযোগ্য হতে পারত। বিগত এক যুগে দেশের মানুষ বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পুলিশের দ্বারা বেশি ‘শোষিত’ হয়েছেন। তাদের উপরি আয়ের ‘লোভে’ সেবাপ্রত্যাশী মানুষের দিশেহারা অবস্থা। এ ছাড়া পুলিশের ‘অতিরিক্ত’ বল প্রয়োগ, দমন ও সেবাপ্রার্থীদের বঞ্চিত করার খবর আগের চেয়ে আরো বহু বেড়েছে। পাবলিক পরিবহনে চড়তে গিয়ে দেখেছি সেখানে ‘পুলিশ পাস’ বলে একটা কথা আছে। কেউ যদি বলে আমি পুলিশের লোক তাহলে তিনি বিনা ভাড়ায় বাসে চড়তে পারেন। তবে ছাত্ররা হাফ ভাড়া দিতে গেলে ঝগড়াঝাঁটি হয়। সাধারণ যাত্রীদের সাথে বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে বচসা লেগেই থাকে। অন্য দিকে পুলিশের পরিচয় দিলে বাসের স্টাফরা বিনাবাক্যে মেনে নেয়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে তাদের শক্তিটি এই সামান্য সুযোগ নেয়ার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
দেশের সব সরকারি বিভাগকে পেছনে ফেলে পুলিশের যখন সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে তখন তাদের সেবার মান কতটা উন্নত হচ্ছে এ নিয়ে খুব আলোচনা নেই। বিশেষ দিনগুলোতে পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিজেদের দাবি দাওয়ার নতুন ফর্দ সরকারের উপরের পর্যায়ে পেশ করেন। এর বিপরীতে, নাগরিকরা যদি দেখতে পেত পুলিশের সাফল্যের কারণে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে, অপরাধ কমেছে, তাহলে সন্তুষ্ট হওয়ার কারণ থাকত।
জানা যায় চুরি, ছিনতাই, দস্যুতা, ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতন দেশে বেড়েছে। নিরপেক্ষ জরিপ কিংবা অপরাধ গবেষণাকারী কোনো কর্তৃপক্ষ এ পরিসংখ্যান দেয়নি। পুলিশ সদর দফতর থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রচারিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে গত বছরের মাঝামাঝিতে তার আগের বছরের অপরাধ বাড়ার এক খবর পাওয়া যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ধর্ষণের ঘটনা ছিল পাঁচ হাজার ৮৭২টি। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ছয় হাজার ৫৫৫টি। এ বছর প্রতিদিন অন্তত ১৭টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করে সিলেটে ছাত্রাবাসে আটক করে গণধর্ষণ; নোয়াখালীতে বন্দী করে রেখে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করে। টানা পাঁচ বছর ধরে শিশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। ২০২০ সালে সেটা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৯ সালে ৯ হাজার ৩১৯টি চুরির ঘটনা ঘটে। পরের বছর তা বেড়ে ৯ হাজার ৭৩৩টি হয়। ২০২০ সালে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ৯৭৮টি, ছিনতাই হয়েছে ৮৭১টি। এ তথ্যগুলো মামলার সূত্রে উল্লিখিত হয়েছে। এসব অপরাধের প্রকৃত সংখ্যা সাধারণত আরো বেশি হওয়ার কথা।
পুলিশের বিতর্কিত ও নিষ্ঠুর ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যার পর এমন এক ওসির কথা প্রকাশ্যে এলো। তিনি এতটা শক্তিশালী ছিলেন যে, হত্যা গুম খুন ও ধর্ষণ করে বীরদর্পে চলছিলেন। অথচ এই ওসিকে পুলিশ বাহিনীর সর্বোচ্চ পুরস্কার দেয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে তিনি ক্রেস্ট নিচ্ছেন এমন ছবি এখনো অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তার নাম প্রদীপ। তিনি টেকনাফের ওসি ছিলেন। সিনহা হত্যার পর কারাগারে বিনা অপরাধে আটক এক সাংবাদিক মুক্তি পেতে পারলেন। তাকে নৃশংস নির্যাতন করেছিলেন প্রদীপ। অঙ্গহানি ও চোখ অন্ধ হওয়ার পর্যায়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন। তিনি প্রদীপের ‘অপরাধ’ সাম্রাজ্য নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় লিখেছিলেন।
কেবল সিনহা হত্যার পর ওই সময় প্রদীপের বিচারবহিভূত হত্যা, ধর্ষণ করার কয়েক শ’ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। সেখানে খোঁজ পাওয়া যায় তার রংমহলের। সাধারণ নাগরিকদের বাড়ি দখল করে তিনি ‘বালাখানা’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একটি স্বাধীন দেশের ভেতরে একজন পুলিশ কর্তা কিভাবে জঘন্য অপরাধ করে যেতে পারেন বোঝা কঠিন। সেখানে পুলিশের অন্য বিভাগগুলো কি কোনো দায়িত্ব পালন করেনি? না, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার কর্ণকুহরে সাধারণ মানুষের ফরিয়াদ পৌঁছায় না? প্রদীপকে ২০১৯ সালের পুলিশ সপ্তাহে যখন বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) দেয়া হচ্ছিল তখন তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। মহেশখালীতে এক লবণ চাষিকে হত্যায় তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল। উচ্চ আদালত থেকে তার প্রতি রুলিংও দেয়া হয়েছিল। তিনি ‘সাহসিকতাপূর্ণ’ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুইবার বিপিএম পেয়েছেন। এবারও পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২৩০ জনকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে আরো বেশ কিছু বিতর্ক দেখা গেছে।
২০২০ সালে সিলেটে এক যুবককে নির্মম কায়দায় হত্যা করা হয়। পরে ওই ঘটনাকে ‘গণপিটুনি’ বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে পুলিশের দায়ী উপপরিদর্শক আকবর। সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সত্যতা পরে স্পষ্ট হয়ে যায়। দেখা যায়, ওই ফাঁড়িতে নিয়মিত মানুষজনকে নিয়ে নির্মম কায়দায় নির্যাতন করে চাঁদা আদায় করা হয়। ঘটনা বেগতিক দেখে আকবর প্রতিবেশী ভারতে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন। শুধু আকবর ও প্রদীপ নন, নির্যাতনকারী এমন পুলিশের সংখ্যা বহু। বাহিনীর একটা অংশ বেআইনি তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে। তাদের অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হলে পুলিশের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি পায়। দুর্ভাগ্য হলো, নিজেদের বিকারগ্রস্ত নির্যাতক সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে একেবারে অনীহা প্রকাশ করে পুলিশ। প্রদীপের ক্ষেত্রে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি, বহু মানুষকে ধর্ষণ, অসংখ্য মানুষের নির্যাতনের পরও সেটা হয়নি। তাকে বিচারের আওতায় আনার জন্য সামরিক বাহিনীর একজন চৌকস অফিসারকে বলিদানের প্রয়োজন হয়েছে।
ঢাকায় বনানী থানার সাবেক পরিদর্শক সোহেল রানা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’ খুলে গ্রাহকদের শতাধিক কোটি টাকার প্রতারণা করেছেন। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে কয়েক বছর ধরে অনেকটা প্রকাশ্যে এ প্রতারণা ‘বাণিজ্য’ করেছেন। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে সময়মতো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং তিনি পুলিশের ক্ষমতা ব্যবহার করে এ অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি অন্যায়ভাবে অন্যের বাড়ি দখল করে রেখেছিলেন। জানা গেল, তিনি আরো অঢেল অর্থ কামিয়েছেন নানা অবৈধ উপায়ে। পরে তিনি পালাতে গিয়ে ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক হয়েছেন। পুলিশের পদবি ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ কামানো ব্যক্তি সোহেল একাই নন। এমন বহু অভিযোগ এখন চার দিকে শোনা যায়। বিগত এক যুগে বাংলাদেশের পুলিশ সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যবহৃত হয়েছে। পুলিশের রাজনৈতিক ব্যবহারের বিষয়টি আমরা এখানে উল্লেখ করতে চাই না।
পুলিশ সপ্তাহে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটির আলোচনা সমালোচনা আমরা কোনো ধরনের বিদ্বেষ বা ঘৃণা ছড়ানোর জন্য করছি না। আমরা প্রকৃতপক্ষে জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বর্তমান সরকারের সময়ে পুলিশের সুযোগ সুবিধা বহুগুণে বাড়ানোর ফলে জনগণ বাড়তি হারে উপকৃত হয়েছে বলে কোনো খবর নেই। সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির মধ্যেই এই বাহিনীর একটা অংশ নাগরিকদের ওপর বেশি হারে চড়াও হয়েছে। নিজেরা অপরাধ দুর্নীতিতে বেশি হারে জড়িয়েছে। বিগত বছরগুলোতে আমরা পুলিশের আত্মোপলব্ধি তেমন দেখিনি। নিজেদের সংস্কার সংশোধনের জন্য তারা জাতির কাছে কোনো গঠনমূলক প্রস্তাব পেশ করেছেন এমন নজির দেখা যায়নি। এবারও বাহিনীটি যখন নিজেদের আরো সুযোগ সুবিধা দাবি করছে তখনো দেখা যাচ্ছে না তাদের আত্মশুদ্ধির জন্য আলাদা কোনো পরিকল্পনা পেশ করতে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা