রমনা পার্কে হাঁটার মজাই আলাদা
- সৈয়দ আবদাল আহমদ
- ১০ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৩৯
ঢাকার ফুসফুস হিসেবে পরিচিত রমনা পার্ক নতুনভাবে সেজেছে। এখন রমনা পার্কে গেলে মনটা ভরে যায়। মনে হয় নতুন কোনো প্রকৃতিপ্রেমীর ছোঁয়া লেগেছে সেখানে। সব কিছুর মধ্যেই নতুনত্ব। সিরামিক ইটে যেমন ওয়াকওয়ে তৈরি হয়েছে, তেমনি বসার জায়গায় আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। লেক খনন করে যেমন পরিষ্কার করা হয়েছে, তেমনি লেকের দু’পাড়ে ডেক তৈরি করে কাঠের পাটাতনে হাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শীতের বাহারি ফুলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেয়। তেমনি গাছগাছালির দিকে তাকালে মনে হয় যেন চিরসবুজের বান লেগেছে। পুরো পার্কটাই পরিষ্কার ঝকঝকে, তকতকে।
করোনা মহামারীর দুঃসময়ে লকডাউনের কারণে পার্কটি বন্ধ ছিল। এ সময় পার্কে সংস্কার কাজ হয়েছে। মহামারীর দাপট এখনো শেষ হয়নি। বিশ্বে ৩০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৫৫ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে। এই অলুক্ষণে ভাইরাসের ভয়ে ঘরে বসে থেকে থেকে মানুষ হাঁফিয়ে উঠেছিল। কিছু দিন আগেও বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ১ শতাংশের নিচে ছিল। সব কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। মানুষের হাঁটাহাঁটি, বিনোদন, শারীরিক ব্যায়ামের জন্য রমনা পার্কও খুলে দেয়া হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। কিন্তু করোনার সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। দেশে ফের সংক্রমণ ৭ শতাংশের কাছাকাছি হয়েছে। সরকার বিধিনিষেধের কথা ভাবছে। মানুষের ভয় আবার পার্কটি বন্ধ হয়ে যায় কি না। যারা স্বাস্থ্যসচেতন, নিয়মিত হাঁটেন, ব্যায়াম করেন তাদের জন্য রমনা পার্ক এক ভরসার স্থল। ভাইরাসের সংক্রমণ যতই বাড়ুক, পার্কটি যেন অন্তত নির্দিষ্ট একটি সময় পর্যন্ত খোলা রাখা হয় সেটাই চান স্বাস্থ্যসচেতন নগরবাসী।
রমনা পার্কে হাঁটতে গিয়ে এর নতুন রূপ চোখে পড়েছে। আসলে যেভাবে পার্কটির প্রতি এখন নজর দেয়া হয়েছে তা যে কারো চোখে পড়ার মতো।
রমনা পার্কের আধুনিকায়নে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যায়। বর্তমানে আধুনিকায়নের কাজ শেষের পথে। পার্কের লেকটি খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। লেকের পানি এখন স্বচ্ছ টলমলে, দুর্গন্ধ নেই। লেক খনন করে যে মাটি তোলা হয়েছে, সেই মাটি পার্কের উঁচু-নিচু জায়গা এবং গাছগাছালির গোড়ায় দেয়া হয়েছে।
রমনা পার্কের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানার জন্য সেখানকার ফিল্ড অফিসে যাই। প্রকল্প পরিচালক ছিলেন না। উপস্থিত প্রকল্পের কার্যসহকারী মো: শামসুল ইসলাম বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং পূর্ত সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের বিশেষ আগ্রহে পার্কটি নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। তারা নিয়মিত কাজের খোঁজখবর নেন। লেক খনন, লেকের দু’পাড়ে লোকজনের হাঁটার জন্য ডেক নির্মাণ, ডেকে কাঠের পাটাতন স্থাপন, সিমেন্টের বেঞ্চ তৈরি, চারটি আধুনিক টয়লেট নির্মাণ ও সংস্কার, ওয়াকওয়ে সংস্কার, ৯০০টি বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া থাকছে নানা রকম লাইটিং। যেমন লেকের পাশেও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। লেকের পানিতে যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থাকে সে জন্য অক্সিজেন মেসিন বসানো হচ্ছে। লেকের ময়লা পরিষ্কারে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। সিরামিক ইট দিয়ে প্রায় ৩২ হাজার আরএফপি ওয়াকওয়ে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পার্কজুড়ে ২২০টি ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দু’বার পার্কটি পরিষ্কার করেন। একবার ভোর ৪টায়, আরেকবার দুপুরের পর। আগে পার্কে একটি রেস্তোরাঁ ছিল। খাবার ফেলে নোংরা করা হয়। এ জন্য এখন আর রেস্তোরাঁ রাখা হবে না। একটি চমৎকার কফি কর্নার করা হবে। খাবার নিয়ে পার্কে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তেমনি পার্কের ভেতর এখন বখাটেদের উৎপাতও নেই, ভিক্ষুকদেরও প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। আধুনিকায়ন কাজের মধ্যে শুধু শিশু কর্নার সংস্কারের কাজ বাকি আছে। কিছু দিনের মধ্যেই চীন থেকে শিশু কর্নারে আনা হবে খেলাধুলা ও বিনোদনের নানা সামগ্রী। পার্কের শরীর চর্চার কর্নারগুলোও সংস্কার করা হচ্ছে। পার্কের নার্সারিও উন্নত করা হয়েছে। নার্সারি-কর্মীরা এবার সেখানে ৩৭ ধরনের ফুলের চারা উৎপাদন করেছেন। এ ফুলের চারা পার্কজুড়ে লাগানো হয়েছে। রমনা পার্কে দুই শতাধিক ‘সিজনাল ফ্লাওয়ার বেড’ রয়েছে। এগুলো এখন বাহারি ফুলের সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে।
সুস্থতার জন্য রমনায় হাঁটুন
সুস্থ শরীরের জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে করোনা মহামারীর অভিজ্ঞতায় শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখা খুব প্রয়োজন। ফুসফুস ও হার্ট ভালো রাখা প্রয়োজন। এ জন্য প্রয়োজন হাঁটা, দৌড়ানো এবং মুক্ত বাতাস সেবন। অক্সিজেন গ্রহণ। ডা: শুভাগত চৌধুরী লিখেছেন, হাঁটা হলো সব ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে উপকারী। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সবারই হাঁটা প্রয়োজন। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস রক্ত সঞ্চালন, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম বাড়ায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। একজন মানুষের ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটা উচিত। যাদের হাঁটতে কষ্ট হয়, তারা বিরতি দিয়ে হাঁটতে পারেন।
তাই করোনার ভয়ে ঘরে বসে থেকে হাঁফিয়ে উঠবেন কেন? এখনই আপনাদের রমনা পার্কে গিয়ে একটু হেঁটে আসা উচিত। গাছগাছালি আর ফুল-পাখির সান্নিধ্য চান, বুকভরে বিশুদ্ধ বাতাস নিতে চান, নির্মল হাওয়ায় বেড়াতে চান-রমনা পার্কই উপযুক্ত জায়গা। পার্কটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিরাপদ, অন্তত আমার মনে হয়েছে। ভোরের রমনায় সৃষ্টি হয় এক ভিন্নরূপ। শত শত নগরবাসীকে কাকডাকা ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায়।
ভোরে ঢাকায় কত লোক হাঁটেন? এ বিষয়ে এক জরিপ হয়েছে। তাতে দেখা যায়, নগরীর ১০ শতাংশ মানুষ এখন খুবই স্বাস্থ্যসচেতন। তাদের বেশির ভাগই প্রাতঃভ্রমণ কিংবা বৈকালিন ভ্রমণ করেন। ভোরে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ যখব ঘুমে আচ্ছন্ন থাকেন, তখন দেখা যায় স্বাস্থ্যপ্রত্যাশী, আয়ুপ্রত্যাশী একদল মানুষ বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। ভোরের নির্মল হাওয়ায় এসব মানুষ বিভিন্ন পার্কে হাঁটছেন, কেউ দৌড়াচ্ছেন, জগিং করছেন, নানা ধরনের ব্যায়াম করছেন।
রমনা পার্কটি বিশাল জায়গাজুড়ে এবং পরিকল্পিতভাবে তৈরির কারণে এখানে হাঁটাহাঁটি স্বাচ্ছন্দ্যের। কেউ একা একা হাঁটছেন, কেউবা স্বজনদের নিয়ে, আবার বিভিন্ন সঙ্ঘের হয়ে দলবদ্ধভাবেও হাঁটাহাঁটি ও ব্যায়াম করতে দেখা যাচ্ছে। রমনা পার্ক ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা সংগঠন। শতায়ু অঙ্গন, ক্ষণিকের মিলন, রমনা ঊষাসঙ্ঘ, মহিলা অঙ্গন, সুপ্রভাত, ব্যতিক্রম, বনলতা, ভোরের বিহঙ্গ, কিছুক্ষণ, অগ্নিবীণা, রমনা প্রভাতী, ক্ষণিকা ইত্যাদি বাহারি নাম। সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটতে আসা মানুষই এসব সংগঠন গড়ে তুলেছেন। হাঁটাহাঁটি শেষ করে এসব সংগঠনের সদস্যরা নিয়মিত শারীরিক কসরতও করছেন। ঊষা সঙ্ঘের এক সদস্য জানান, তারা সেখানে ৩৪ ধরনের ব্যায়াম করেন। ওঠা-বসা, উচ্চ লম্ফ, ঘাড়ের ব্যায়াম, বক্ষ প্রসারণ, জোরে শ্বাস নেয়া অর্থাৎ প্রাণায়ন ও নাসায়ন, হ্যান্ড লক, আপ ডাউন কত ধরনের ব্যায়াম ও কোনো কোনো সংগঠনে যোগব্যায়াম চলে, কোথাও চলে কুংফু অনুশীলন। কোথাও আবার দেখা যায় হা, হো, হি হি অট্টহাসি কিংবা ডাকাডাকি করতে। ডা: শুভাগত চৌধুরীর মতে, হাসাহাসি করলে ‘এন্ডোরফিনস’ নামের এক রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত হয়। এটি মেজাজ শান্ত রাখতে সহায়তা করে। অন্তত ১৫টি সংগঠন আছে রমনা পার্কে। এসব সংগঠনের হয়ে দলে দলে প্রাতঃভ্রমণ চলছে। এর ফলে একে অপরের সঙ্গে হৃদ্যতাও গড়ে উঠছে। গল্প করতে করতে তারা নিয়মিত একটি সময় হাঁটেন রমনায়।
এখন নারীরাও এগিয়ে আসছেন। রমান পার্কে অনেক স্বাস্থ্যসচেতন নারীকে হাঁটতে, দৌড়াতে এবং শরীরচর্চা করতে দেখা যায়। গাছগাছালি, ফুল-পাখি ও নানা সুযোগ-সুবিধায় ভরা রমনা পার্কে হাঁটার মজাই আলাদা।
ইতিহাসে রমনা পার্ক
বর্তমান রমনা পার্কের স্থপতি লর্ড প্রাউডলুক। তার সম্পর্কে কথা বলার আগে জেনে নেয়া যাক কিভাবে গড়ে উঠেছে ঢাকার এ মনোরম পার্ক। সেই মুঘল আমলেই এটি গড়ে উঠেছে। হাইকোর্ট এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং বর্তমানে রমনা পার্ক এলাকা নিয়ে মুঘল আমলে গড়ে উঠেছিল রমনার বাগান। বলা হতো রমনার ‘বাগিচা বাগান’। ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা মুঘল সুবাহদার ইসলাম খানই এর নাম দিয়েছিলেন ‘রমনা’। এর অর্থ ‘সবুজ ঘাসে ঢাকা চত্বর’।
ইস্ট ইন্ডিয়ার শাসনামলে অযত্ন-অবহেলায় একটি ঘন জঙ্গলে পরিণত হয়। এরপর ইংরেজ আমলেই রমনা পার্ক ও রমনাগ্রিন নাম হয়। তবে ঢাকাকে বৃক্ষশোভিত শহরে সাজানোর পরিকল্পনা প্রথম করেন প্রকৃতিপ্রেমী গভর্নর হেয়ার। সেটি ১৯০৮ সালের কথা। তার নামেই হয়েছে হেয়ার রোড। মন্ত্রীদের বাসভবন সেখানে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের এক সময়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আহমদ মোজাহারুল হকের লেখা থেকে জানা যায়, গভর্নর হেয়ার তার বন্ধু লন্ডনের বিখ্যাত ‘কিউই’ গার্ডেনের অন্যতম রূপকার রবার্ট লুইস প্রাউডলুককে অনুরোধ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন বৃক্ষশোভিত একটি পার্ক গড়ে তুলতে। জঙ্গলে পূর্ণ হলেও রমনা ছিল ঢাকার একটি সুন্দর এলাকা। প্রাউডলুকের এলাকাটি খুব পছন্দ হয়। তিনি রমনা পার্ক তৈরিতে কাজে লেগে যান। উষ্ণমণ্ডলীয় এলাকার চমৎকার, সুন্দর এবং বিশেষ বিশেষ বৃক্ষ ঢাকায় এনে রোপণের ব্যবস্থা করেন। ১০ বছর ধরে সবুজ রমনাকে গড়ে তুলেন বৈজ্ঞানিকভাবে। পথকুঞ্জ, উদ্যান ও তরুবীথি সন্নিবেশ করেন তিনি। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আদলে ঢাকাকে সাজানো ছিল তার পরিকল্পনার অংশ। উপমহাদেশীয় বৃক্ষরাজির সাথে মহাবন্ধন ঘটানো হয়েছে উষ্ণমণ্ডলীয় গাছপালার। উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদের মধ্যে ছিল-বনপারুল, কাউয়াতুতি, পাদাউক, আগর, জ্যাকারান্ডা, তমাল, বাওয়াব, কর্পূর, জহুরিচাঁপা, কাশিয়া, জাভানিকা, মাধবী, মালতি, আফ্রিকান, টিউলিপ, অশোক, কেয়া, টাবেবুইয়া, সহস্রবেলি, রেনট্রি, ফুরুস, পালাম, কাউফল, ঝুমকো, চন্দন। ছিল সেগুন, বট, কুসুম, কৃষ্ণচূড়ার সারি। গগন শিরিষ, কড়ই গাছের সারি। সুন্দর পার্কটির জন্য এখনো রমনার স্থপতি হিসেবে লর্ড প্রাউডলুকের নামটি সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করা হয়।
পত্রপল্লবে শোভিত রমনা ঢাকা শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান রমনা পার্কটির আয়তন সাড়ে ৬৮ একর। ১৯৪৯ সালে ৭১টি উদ্ভিদ প্রজাতি ছিল। বর্তমানে পার্কে ২১১টি প্রজাতির উদ্ভিদ আছে। বৈচিত্র্য থাকায় রমনা পার্কে সারা বছরই কিছু না কিছু ফুল থাকে। পার্কে একটি সুন্দর অশোকবীথি আছে। বর্ষায় ঢাকার আর কোথায় কেয়া না ফুটলেও রমনায় ঠিকই দেখা যায়। হেমন্তে ফোটে ধারমার বা পীতপাটলা। পাদাউকের ফুল আকর্ষণীয়। বসন্তে সোনালী হলুদ রফুর ফুলে ভরে যায় গাছে। পার্কের উত্তর পাশে আছে লাল কৃষ্ণচূড়া। ঢাকা শহরে তেমন পাখি দেখা না গেলেও রমনা পার্কে আছে নানা ধরনের দেশী পাখি। সন্ধ্যায় নাগেশ্বর লাইন পাখির কলরবে মুখরিত হয়। সেগুন চত্বরে দেখা যায় বাদুড়। আর কাঠবিড়ালি তো পার্কজুড়েই আছে। নতুন করে লেকের পাড়ের ডেক পার্কের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। হাঁটাহাঁটি, শারীরিক কসরতের পাশাপাশি বিনোদনের জন্যও রমনা পার্ক অতুলনীয়। পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয় এখানে। রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ হচ্ছে সেই ১৯৬৭ সাল থেকে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক,
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
ই-মেইল : abdal62@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা