সবচেয়ে সস্তা নাগরিকের প্রাণ
- জসিম উদ্দিন
- ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১৬, আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১৯
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি লঞ্চে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছে এবার। কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ জানা গেছে। নৌযানটিতে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ছিল না, বয়া ও বালুর বাক্স ছিল না। গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হয়েছিল বিপজ্জনক জায়গায়। সুতরাং সব দোষ মালিক, চালক ও সহযোগীর। মোট তাদের আটজনের বিরুদ্ধে প্রশাসন অত্যন্ত কঠিন অবস্থানে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নৌ দুর্ঘটনায় এটি প্রথম গণহারে বাংলাদেশের নাগরিক মৃত্যুর ঘটনা নয়। আগেও পরপর এমন বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওসব ঘটনায়ও দায় এসে পড়েছিল মালিক ও চালকদের ওপর। শেষ পর্যন্ত হয়তো তাদের বিরুদ্ধে আর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপস্থিত তোড়জোড় দেখানো হয় স্বজনহারানো ক্ষুব্ধ মানুষদের দুঃখ ও শোক প্রশমনের জন্য।
সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ পৃথিবীতে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিন এ দেশে ১৬ জন করে মানুষ রাস্তায় প্রাণ হারাচ্ছেন। আহত হচ্ছেন প্রতিদিন এর চেয়ে তিনগুণ মানুষ। যাত্রী কল্যাণ সমিতি গত ছয় বছরের হিসাব করে এ তথ্য দিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেশি ঘটলেও নৌ দুর্ঘটনার মতো হইচই ও রোষ দেখা যায় না। সাধারণত বিচ্ছিন্নভাবে এক-দু’জন করে মানুষ সড়কে মারা যায়। তার ওপর প্রতিদিন এ ধরনের ঘটনা দেখতে দেখতে মানুষ ‘অভ্যস্ত’ হয়ে গেছে। কেবল গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তখন সমাজের উপরের তলা থেকে সামান্য নড়াচড়া দেখা যায়। তার পর আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। অথচ প্রতিটি মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গু হওয়ায় জন্য কারো না কারো দায় রয়েছে।
একসময় আমরা জানতে পারতাম, প্রতিবেশী দেশ ভারতে সামান্য ঘটনার জন্যও সরকার দায় গ্রহণ করে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে পদত্যাগ করতেন। এখন সে দেশেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। উত্তর প্রদেশে এক মন্ত্রীর ছেলে কৃষকদের ওপর গাড়ি চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করেন। বলদর্পী সরকারের প্রভাবে মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে শেষে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মন্ত্রী বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে বিজেপির আদর্শপুষ্ট লোকেরা ভিন্নধর্মের লোকদের হত্যা করার প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির বড় অধঃপতনের কারণে সে দেশেও এখন মানুষের প্রাণের মূল্য নেই।
রাষ্ট্র্র যদি নাগরিকের জীবনের কোনো মূল্য স্বীকার না করে সে দেশে মানুষ বেঘোরে প্রাণ হারাতেই থাকবে। কত তুচ্ছ কারণে এদেশে মানুষ মারা যায় সেটা আমরা এখন খেয়াল করেও করি না। চট্টগ্রাম মহানগরীতে কেবল ড্রেনেজ সিস্টেমের প্রতি অবহেলার কারণে বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন। সময়মতো মেরামত করা হলে গর্তে পড়ে কেউ মারা যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। অথচ একটি ঘটনা নয়, গর্তে পড়ে পরপর মানুষের প্রাণহানি ঘটে চলেছে। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ঝগড়া করে। কিন্তু কাউকেই দায় স্বীকার করতে হয় না। কারো অপরাধ প্রমাণিত হয় না। এখন মানুষ মারা যাচ্ছে রেল ক্রসিংগুলোতেও।
অথচ আধুনিক সভ্যতা দেশের নাগরিকের প্রাণকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়। এর কারণ একটি প্রাণ সৃষ্টি করা যায় না। এমনকি পৃথিবীর সব বিজ্ঞানী এক জায়গায় এসে গেলেও যে সেটা সম্ভব নয়, তা সবাই জানে। মানুষের প্রাণ বাদ দিলাম; পশু-পাখি, কীটপতঙ্গ, গাছ-গাছালির প্রাণও সৃষ্টি করা যায় না। সভ্য মানুষরা তাই প্রকৃতি সুরক্ষায় আইন করে নিয়েছেন। অনেক দেশে তাই বন, নদীনালাকে অমূল্য সম্পদ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব রক্ষায় কঠোর আইন করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধারণ নাগরিকদের প্রাণ রক্ষায় উদাসীন। এ ব্যাপারে আমাদের মনোযোগ নেই। এই অবস্থায় আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে- নিজেরাই নিজেদের নাগরিকদের হত্যা করছি। আবার সেটি নিয়ে ওঠা অভিযোগকে কেবল অস্বীকার করেই যাচ্ছি। কোনো ধরনের তদন্ত করে এসবের সত্যতার ব্যাপারে কিছু করছি না।
২০১৫ সালের ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, লেখক ব্লগার অভিজিৎকে ঢাকার টিএসসিতে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি স্ত্রীসহ বাংলা একাডেমির বইমেলায় এসেছিলেন। ওই হামলায় তার স্ত্রী আঙুল হারান। নাগরিক হিসেবে একজন মানুষের মূল্য কেমন তা আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা দেখে বুঝতে পারব। দেশটি শুধু নিজেদের দেশে নাগরিকদের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় না। তারা তাদের নাগরিকদের সারা বিশ্বে নিরাপদ রাখতে চায়। সে জন্য তাদের আইন রয়েছে। ওই আইনের আওতায় তারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তাদের নাগরিক ও সম্পদের সুরক্ষায় সক্রিয় রয়েছে।
অভিজিৎ হত্যা মামলায় বাংলাদেশের আদালতে বিচারকাজও সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেয়া ওই রায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের শাস্তি হয়েছে। সামনে রায় কার্যকর হওয়ার প্রশ্ন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র অভিজিৎ হত্যার ব্যাপারে জড়িতদের তথ্য চেয়েছে। একজন ব্যক্তির জীবনের মূল্য তারা কতটুকু দেয়, পুরস্কারের আকার থেকে আমরা তা অনুমান করতে পারব। অথচ তিনি বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রথম প্রজন্মের একজন আমেরিকান নাগরিক। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেই নাগরিকদের খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাচ্ছিলেন না। পালাবদলে আমেরিকার মানবিক মূল্যবোধের জায়গাটিও আবার শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র্রের পররাষ্ট্র দফতরের আওতাধীন ‘রিওয়ার্ড ফর জাস্টিস’ অফিস এসব তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে। টাকায় এর পরিমাণ ৪২ কোটি ৫০ লাখ। এ পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশের বহু ধনীর কাছেও নেই।
দেশের নাগরিকদের সরাসরি গুম-খুন করছে- বহুদিন ধরে এ অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশে বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অধিকার’র একটি হিসাব উল্লেখ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা। তাতে তারা বলেছে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলায় নিযুক্ত বাহিনী-র্যাব ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অন্তত এক হাজার ২৫৫ ব্যক্তিকে বিচারবহির্ভুত হত্যা করে। একই সময়ে ৬০৫ জন গুমের শিকার হন। ওই ঘটনাগুলোর ১৯০টির সাথে র্যাব জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হারিয়ে যাওয়া এসব মানুষের অল্প কয়েক জনের লাশ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৫৪ জন এখনো নিরুদ্দেশ।
বিগত এক দশক ধরে সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত বিচারবহির্ভুত হত্যার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রায় প্রত্যেকটি বাহিনীর হাতে নাগরিক হত্যার বয়ান আমরা এ সময় দেখতে পেয়েছি। হত্যার পর সংশ্লিষ্ট বাহিনীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে- ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কিন্তু গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন বা একাধিক অপরাধী প্রাণ হারায়।’ এই বয়ান একেবারে একতরফা ও একঘেয়েমিতে ভরা। এসব অপারেশনে সাধারণত আহত কেউ থাকে না। অভিযানে নিশ্চিত মৃত্যু ও পালিয়ে যাওয়ার মাঝামাঝি কোনো ঘটনা থাকে না। গুলিবিনিময় হয় কিন্তু মারা যায় একপক্ষের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ একচেটিয়া বয়ানকে চ্যালেঞ্জ করার মতো কোনো ব্যবস্থা বাংলাদেশে বিগত একযুগে কোথাও দেখা যায়নি। পরিবারের সদস্যদের এভাবে হারিয়ে মুখ বুঁজে ডুকরে কাঁদা ছাড়া বিকল্প কোনো কিছু তাদের ছিল না। পৃথিবীতে তাদের কোনো অভিভাবকও দেখা যায়নি এই সময়। একটি দেশের নাগরিক হয়ে তারা এতটাই দুর্বল হয়ে যান।
অন্য দিকে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন ‘মায়ের ডাক’ নামে। হারিয়ে যাওয়া মানুষের পরিসংখ্যানটা বরাবরই বেড়ে চলেছে। মায়ের ডাকের অনুষ্ঠানে তাই প্রতি বছর নতুন মুখ যোগ হওয়ার মাধ্যমে দেশবাসী সেটি জানতে পারে। আন্তর্জাতিক গুম দিবসে গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা ভয়ে ভয়ে মিলিত হন। গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মায়েরা, তাদের ছোট ছোট শিশুসন্তান চোখের পানি ফেলেন। এবার আয়োজিত গুম দিবসে সাজেদুলের মেয়ে হাফসা বলেন, ‘আমি আট বছর ধরে এখানে দাঁড়িয়ে একই কথা বলছি, আমার বাবাকে ফেরত চাই। আমি গত বছর বলেছিলাম, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিতে না পারলে আমাকেও গুম করে দিন। আজো একই কথা বলছি। আমি এখানে আর আসতে চাই না। আমি শুধু আমার বাবাকে ফিরে পেতে চাই।’ দৈনিক সমকাল ভুক্তভোগী আরো অনেকের সাথে হাফসার বক্তব্যটি এভাবে তুলে ধরেছে। স্বজনদের অনেকে সরকারের কাছে দাবি করেন, আমাদের আপনজনরা যদি হত্যার শিকার হয়ে থাকেন অন্তত তাদের কবরটা আমাদের দেখিয়ে দিন। আমরা তাদের কবরে জিয়ারত করব। তাদের শেষ ঠিকানাটা দেখে সান্ত্বনা নেবো।
‘মায়ের ডাকের’ সদস্য কেন বাড়ছে সেই উত্তর কখনো সরকার দিতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারটি যে ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায় না তারই লক্ষণ চার দিক থেকে প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। অথচ বিচারবহির্ভুত হত্যা ও গুমের প্রথম ঘটনাটি স্বীকার করে সাথে সাথে তার প্রতিকার করা হলে সেটি হতো সবচেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতিতে পরিস্থিতি উতরানো। অথবা অরাজকতার কয়েক বছর যাওয়ার পরও যদি সেটি আমাদের উপলব্ধিতে আসত, তা হলেও ক্ষতি অনেক কম হতো। এখন এমনভাবে সেটি সামনে আসছে- পুরো রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা আমাদের নাগরিকদের প্রাণকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু মনে করিনি। সারা বিশ্বের সামনে সেটি পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমাদের জন্য এটি অত্যন্ত লজ্জারও। আমরা নিজেদের সভ্য ও খুব বেশি ‘গণতান্ত্রিক’ বলে দাবি করি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়- অন্তত আমাদের গণতন্ত্র ভারত পাকিস্তানের চেয়েও ভালো।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের গুম-বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী- গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আবার নাগরিকদের গুম করার অভিযোগ এনেছে। তাদের মতে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিশানা করতে গুমকে অব্যাহতভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা দেখেছি, চৌধুরী আলম ও ইলিয়াস আলীর মতো প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আর খোঁজ পাওয়া যায় না। অবসরপ্রাপ্ত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা আমান আল আজমির মতো লোকেরাও পরিবারে ফিরে আসেননি। ওই ব্যক্তিদের পরিবারের আহাজারিকে কোনো ধরনের গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি সরকার।
এসব ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘ ওয়ার্কিং গ্রুপ আমাদের পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। খবরে জানা যায়, গুমের অভিযোগ নিয়ে তারা সরকারের সাথে কাজ করতে চেয়েছে বহু আগে থেকে। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশ সফর করতে চেয়েছে। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা হয়নি। ২০১৩ সাল থেকে তারা সরকারের কাছে এসব ব্যাপারে জানতে চেয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোনো জবাব দেয়া হয়নি।
আমরা জাতিসঙ্ঘ সদস্যভুক্ত বর্তমান বিশ্বব্যবস্থার একটি অংশ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদসহ বহু অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতিতে আমরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের মূল্যবোধ গণতন্ত্র, সাম্য ও মানবিকতা। এসব ব্যাপারে আমরা আবার জোরালো বক্তব্য দেই। অর্থাৎ আমরা একে ভালোবাসি ও এর রক্ষক। আবার আমাদের প্রভাশালী ব্যক্তিরা, ধনীরা সবাই পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে তাদের শেষ জীবন কাটানো পছন্দ করেন। এ জন্য তাদের জীবনের সঞ্চয় দিয়ে সেখানেও বাড়িগাড়ি করে থাকেন। আবার যারা দুর্নীতি করেন, অবৈধভাবে অঢেল অর্থ কামান, তারাও কালো টাকা সেসব দেশেই নিয়ে যান। পশ্চিমারা মানুষের জীবনের মূল্য সর্বোচ্চ মাত্রায় পরিশোধ করে যে কারণে আমরা শেষ বয়সে কিংবা অঢেল অর্থ নিয়ে সেসব দেশে আবাস গড়ে তুলি। ভারত চীন সেই অর্থে বন্ধু হলে আমরা পশ্চিমমুখী হতাম না; চীন ও ভারতেই যেতাম। সুতরাং পশ্চিমকে মনপ্রাণ দিয়ে পছন্দ করা মানে তাদের জীবনের ব্যাপারে যে মূল্যবোধ সেটাকেও রক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসঙ্ঘ আমাদের গুম ও বিচারবহিভুর্ত হত্যা নিয়ে যে অবস্থান নিয়েছে সেটি তারই প্রতিফলন। তাদের সাথে থাকলে জীবনের মূল্য পরিশোধ করার দায় নিতে হবে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা