২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সম্পদ আর ক্ষমতার বোঝা

সম্পদ আর ক্ষমতার বোঝা - ছবি : নয়া দিগন্ত

সম্পদ পুঞ্জীভূত করা মানুষের একটি সহজাত প্রবণতা। নবী মূসা আ:-এর সময়ে কারুন ছিল বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। তার সম্পদের ভাণ্ডারের আকার বোঝাতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা চাবির কথা বলেছেন। শুধু চাবিগুলো বহন করত একদল পাহলোয়ান। তাতেও তারা ক্লান্ত হয়ে যেত। তার কী পরিমাণ আবাদি জমি ছিল, কতটি খাদ্যগুদাম ছিল কিংবা হীরা-জহরত স্বর্ণ-রৌপ্যের ভাণ্ডারের আকারের বদলে এভাবে চাবির কথা বলে বিপুল সম্পদ থাকার বিষয়টি আল্লøাহ সহজে বোঝালেন। এখন ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ করা হয় বিলিয়ন ডলারে। একজন কত বড় ধনী তার কত বিলিয়ন ডলার সম্পদ রয়েছে তা জানলে মানুষ মোটামুটি আন্দাজ করে নিতে পারে। জানা যাচ্ছে বিশ্ব ধনকুবেররা এতটাই সম্পদের মালিক হয়ে উঠছেন, অচিরেই তাদের কোনো কোনো সম্পদশালীর সম্পদ ট্রিলিয়ন ডলারে পরিমাপ করতে হবে। পৃথিবীর এমন বহু দেশ রয়েছে যার পুরোটা বিক্রি করে দিলেও এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ পাওয়া যাবে না।

সম্পদ কোনো একজন মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়ে গেলে করণীয় কী সেটিও আল্লøাহ বলেছেন। কারুনের জাতির বোধসম্পন্ন লোকরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল, তোমাকে যেভাবে সম্পদ দিয়ে আল্লাহ ধন্য করেছেন তুমিও সেটি থেকে সেই অনুপাতে দান করে দায়িত্ব পালন করো। ধনের বড়াই করো না। তবে নিজের অংশটুকু গ্রহণ করো। অর্থাৎ পরিমিতিজ্ঞান দিয়ে সেখান থেকে ভোগ করতে অসুবিধা নেই। দেখা গেল, কারুন একজন দায়িত্ববান মানুষের পরিচয় দিতে পারেনি। সম্পদ প্রদর্শন করেছে। জাঁকজমক দেখিয়েছে। এ নিয়ে বড়াই করেছে। তার উপস্থিত একটি পরিণাম হয়েছিল- সে তার সুরম্য প্রাসাদসহ দেবে গেছে। সেই সময় তাকে উদ্ধার করার মতো পৃথিবীতে কেউ ছিল না। অলৌকিকভাবে প্রাসাদসহ কারুনের দেবে যাওয়া তার পৃষ্ঠপোষক ফেরাউনের মতো শাসকদের জন্য ছিল একটি সতর্কবাণী। কিন্তু তারাও এতে কোনো ‘শিক্ষা’ দেখতে পেল না। পরে তাদের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

বনি ইসরাইলকে মিসরে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন নবী ইউসুফ আ:। সেই সূত্রে তার আরো ১০ ভাই মিসরের সবচেয়ে উর্বর এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন। ঐশী জ্ঞান থাকার কারণে তারা স্থানীয় কিবতিদের চেয়ে আলোকিত মানুষ ছিলেন। বুদ্ধি-বিবেচনাবোধ, সমসাময়িক জ্ঞানের ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিলেন। মিসরের শাসন ব্যবস্থায়ও তারা প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু তাদের সম্প্রদায়গত এ প্রভাব কয়েক শ’ বছরের ব্যবধানে স্থানীয় কিবতিদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। কিবতিরা ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে তাদের বিতাড়িত করে। তাদের ওপর আগের সুযোগ-সুবিধার যেসব উদার আনুকূল্য ছিল নতুন শাসকরা তাও প্রত্যাহার করে নেয়। শেষ পর্যন্ত তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হয় দাবিয়ে রাখা ও বঞ্চিত করার নীতি। মিসরের নতুন শাসকরা বনি ইসরাইলের ছেলে সন্তানদের হত্যা করার নীতি গ্রহণ করে। আর তাদের নারীদের অনেকটাই দাসীতে পরিণত করে।

মিসরের শাসকরা মূলত ডিভাইড অ্যান্ড রুলের রীতি প্রয়োগ করছিল তখন। বনি ইসরাইলকে পুরোপুরি বঞ্চিত করে তারা তাদের লৌহশাসনকে চড়াও করেছিল পুরো জাতির ওপর। শাসকদের একটি কৌশল হলোÑ দমানো জাতির কাউকে কাউকে তারা আবার আনুকূল্য প্রদর্শন করে। আনুকূল্য পাওয়া এ লোকেরা নিজ জাতির হীনতা লাঞ্ছনার বিনিময়ে নিজেদের আরাম আয়েশের জীবন গ্রহণ করতে কোনোরূপ কার্পণ্য করে না। কারুন ছিল বনি ইসরাইল বংশের লোক। ফেরাউন সেই সময় কারুনকে রাষ্ট্র্রের প্রধান ঠিকাদার বানিয়েছিলেন। ি সে রাষ্ট্র্রের সব টেন্ডারের কাজ পেত। আর অর্জিত সম্পদ পুঞ্জীভূত করত। জাতির দুর্বল গরিব মিসকিনদের জন্য কোনো অবদান রাখত না। ফলে আল্লাহ তাকে মাটি ধসিয়ে প্রাসাদসহ ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন।

মানুষের ইতিহাস হচ্ছে, মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। মূসা আ:-এর সময়কালটা প্রায় এক হাজার খ্রিষ্টপূর্বের। সে সময় এ ধরনের কারুন ছিল পুরো পৃথিবীতে হাতে গোনা কয়েকজন। আজ প্রায় তিন হাজার বছর সময় পর এখনকার বিশ্বে অসংখ্য ফেরাউন আর কারুন। এদের মধ্যে আগের মতোই সখ্য। উভয় গ্রুপ মিলে স্বজাতীয়দের মজা করে শোষণ করছে।

এখনকার মানুষ নিজেদের সর্বকালের সবচেয়ে বেশি সভ্য দাবি করে। তারা খুব আত্মতৃপ্তিতে ভোগে, তারা আধুনিক মানুষ। তারা এত কিছু জানে আর বৈষয়িক জীবনের এতটাই উন্নতি করেছে যে, পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো এমন সময় আর আসেনি। এই ধারণার ভিত্তি কতটা যৌক্তিক তার ফায়সালা করতে পারে বিজ্ঞ মানুষ। তবে এই মানুষই যে ইতিহাস রচনা করেছে তাতেই দেখা যায়, সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষরা এই সভ্য যুগের বহু আগে জন্ম নিয়েছেন। নৈতিকতার অত্যুঙ্গ সব বাণী তারাই দিয়ে গেছেন। আগের অজ্ঞানতা আর অন্ধকার যুগের ব্যক্তিদের বচনগুলো চর্চার মডেল হিসেবে চরম পূজনীয় রয়ে গেছে পৃথিবীতে; যদিও সেগুলোর বাস্তব ইতিবাচক চর্চা ক্ষমতাসীন ও ধনকুবেরদের মধ্যে নেই। আর এটাই বাস্তবতা যে, অগাধ ধন-সম্পত্তি ও সীমাহীন ক্ষমতার যারাই লাগামহীন চর্চা করেছে তাদের ওপর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়াই জগতের নিয়ম হয়ে রয়েছে। আগের চলে যাওয়া অত্যাচারী নিপীড়কদের মতো এরাও কারুন আর ফেরাউনের পরিণতি নিয়ে কখনো ভেবেও দেখেনি। এটা একেবারেই সত্য যে, দু’টি পরিণতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। সেটি হয় পায়ের নিচে থেকে আসবে। অথবা আসবে আসমান থেকে।

জাতিসঙ্ঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র প্রধান ডেভিড বিসলে ক্ষুধার্ত মানুষের সহায়তার জন্য বিশ্ব-ধনকুবেরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিশেষ করে এক নম্বর ধনকুবের ইলন মাস্ক ও দ্বিতীয় ধনী জেফ বেজোসের নাম উল্লেøখ করে সাহায্য চান। তিনি জানান, মাত্র ছয় বিলিয়ন ডলার দান করলে ২০২২ সালে ক্ষুধার জ্বালা থেকে বেঁচে যেতে পারে ৪৩টি দেশের সাড়ে চার কোটি মানুষ। এ ছাড়া তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একই ধরনের আহ্বান উপর্যুপরি রেখেছেন। ইলন মাস্ক তার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। তবে তিনি নিশ্চিত হতে চেয়েছেন, যে পরিমাণ অর্থ চাওয়া হয়েছে তা দিয়ে সত্যিকার অর্থে ক্ষুধা মিটবে কি না। এমনকি প্রকৃতপক্ষে স্বচ্ছ উপায়ে সেটি ক্ষুধাপীড়িত মানুষের জন্য ব্যয় হবে কি না, এসব ব্যাপারে। বিসলে মাস্কের চাহিদা পূর্ণ করার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এমনকি কিভাবে হলে মাস্ক খুশি হন সেটি জানতে চেয়েছেন। নভেম্বরের মাঝামাঝি বিসলে ও মাস্কের মধ্যে এ নিয়ে কথা হয়েছিল।

মাস্ক তার কোম্পানি টেসলার শেয়ার বিক্রি করে পুরো সহায়তা করতে চান। টেসলা একটি বৈদ্যুতিক যান ও ক্লিন এনার্জি-ভিত্তিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। মাস্ক যদি ছয় বিলিয়ন ডলার দান করেন তাহলে তিনি তার সম্পদের মাত্র ২ শতাংশ দান করলে তা হয়ে যায়। নভেম্বরের সর্বশেষ হিসাবে মাস্কের সম্পত্তি ২৯৬ বিলিয়ন ডলার। অন্য দিকে দ্বিতীয় ধনী জেফ বেজোস বিশ্ব খাদ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন বলে জানা যায়নি। তার সম্পত্তির পরিমাণ সর্বশেষ হিসাব মতে, ২০১ বিলিয়ন ডলার। তার সম্পত্তির মাত্র ৩ শতাংশ দান করলে সারা বিশ্বের এক বছরের দরিদ্র মানুষের ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়।

চলতি বছরের নভেম্বরে বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক হাজার ৫০২ বিলিয়ন ডলার। কেবল যদি এই ১০ জন সমানুপাতে দান করেন তাহলে তাদের সম্পদের মাত্র দশমিক ৩৯ শতাংশ দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মাস্ক অর্থ দান করতে চাচ্ছেন কি না সেটি স্পষ্ট করে জানা যায়নি। কত অর্থ দিতে চাচ্ছেন, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধনকুবেরদের মধ্যে অন্য কেউ এ ব্যাপারে সাড়া দিয়েছেন বলে খবর নেই।
সৌদি আরব ইয়েমেন আক্রমণ করে তছনছ করে দিয়েছে। দেশটিতে এখন ৫০ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি। ত্রাণ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেখানে জরুরি খাদ্যসহায়তার আহ্বান জানাচ্ছে প্রতিদিন। আক্রমণ করে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ হত্যা করা হয়েছে নিজেদের হীন স্বার্থে । এ হামলার দীর্ঘমেয়াদে ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা নেই। অথচ সৌদি আরব নিজে একটি ধনী দেশ। দেশটি প্রতি বছর যে পরিমাণ সমরাস্ত্র ক্রয় করে তার খুব সামান্য একটি অংশ যদি ইয়েমেনের দরিদ্রদের জন্য দান করে তাহলে সেখানে লাখ লাখ মানুষ খাদ্যাভাবে প্রাণ হারানোর আশঙ্কার মধ্যে পড়ে না। অর্থাৎ ধনী দেশগুলো যে দায়িত্ব পালন করছে না সেটি নিশ্চিত করে বলা যায়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রধান সম্ভবত ‘ফোর্বসে’র করা চলতি বছরের ধনী বাড়ার তালিকাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। সে জন্যই তিনি ধনীদের প্রতি হাত বাড়ানোর আহ্বান রেখেছিলেন।

ফোবর্সের ৩৫তম বাৎসরিক তালিকায় ‘ধনী মানুষের সংখ্যায় বিস্ফোরণ ঘটেছে’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। দুই দিক থেকে সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের জয়জয়কার দেখা যাচ্ছে। এক বছরে ৪৯৩ জন ধনী বেড়ে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ২০২১ সালে এসে দাঁড়ায় দুই হাজার ৭৫৫ জনে। অন্য দিকে বিলিয়নিয়ারদের দখলে ২০২০ সালে ছিল আট ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ যা ২০২১ সালে এসে হয়ে গেছে ১৩ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন। অথচ ২০২০ সাল ছিল সম্ভবত বিগত ৫০ বছরের মধ্যে মানুষের জন্য সবচেয়ে ভীতি আশঙ্কা আর বিপদের বছর। করোনার আকাশচুম্বী বিস্তার গ্লোবাল ভিলেজে গ্লোবাল ভীতি নিয়ে আসে। এর আগে কোনো মহামারী এভাবে বৈশ্বিক আকার ধারণ করেনি। কিন্তু এ ধরনের বিপদে মানুষ সব ঘরবন্দী হয়ে যায়। চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী থেকে মানুষ আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করেছে। আর সেটিকেই পুঁজি করেছে ধনীরা। তারা কামিয়ে নিয়েছে কাঁড়ি কাঁড়ি। সম্পদ বৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি প্রযুক্তি সংক্রান্ত। তথ্য ও কম্পিউটার প্রযুক্তির সুযোগ তারা পুরোপুরি ব্যবহার করেছে।

মানুষের বিপদে ধনীরা সম্পদ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারটিকে মানুষ নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করত না, যদি তারা এ উদ্বৃত্ত সম্পদের সদ্ব্যবহার করত। তাদের বাড়তি সম্পদ কেবলই তাদের ভোগবিলাসের জন্য ব্যয় হয়েছে। মানবতার শুরু থেকে এই সমস্যাটিই ছিল। মানুষ তার উদ্বৃত্ত সম্পদ দিয়ে নিজেদের বিলাসব্যসনে ভাসিয়ে দেয়। স্র্রষ্টা বলছেনÑ এমনটি সঙ্গত নয়। তিনি বলছেন, ‘তোমরা ভেবে দেখো তোমাদের উদ্বৃত্ত সম্পদে কার কার প্রাপ্তি রয়েছে’। দুই ধরনের মানুষ পাওয়া যায়। কেউ তাদের অভাব মোচনের জন্য হাত বাড়ায় অর্থাৎ মুখ ফুটে চায়। তাদেরকে দিতে বলেছেন। আবার তিনি বলেছেন, ‘কোথায় বঞ্চিত রয়েছে খুঁজে দেখো’। এই লোকেরা তাদের অভাবের কথা প্রকাশ্যে বলে না। এমন বহু লোক তাদের দারিদ্র্যের কারণে পড়া করুণ অবস্থার সময় স্রষ্টার দিকে চেয়ে থাকে। স্রষ্টার পক্ষ থেকে মানুষ তাদের কাছে সাহায্য নিয়ে যাওয়ার কথা।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে দারিদ্র্য মানুষের অন্যায়কাণ্ডের পরিণতি। অন্য দিকে আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকায় যে দারদ্র্যি রয়েছে সেগুলো পশ্চাৎপদতার কারণে। এই বিলিয়নিয়াররা একটি ক্ল¬াব বানিয়ে খুব সামান্য অংশও যদি ব্যয় করত তাহলে তাবৎ দুনিয়ার দারিদ্র্য সহনীয় করে ফেলতে পারত। যুক্তরাষ্ট্র্র, ইউরোপ আর পূর্ব এশিয়ায় এখন সম্পদ পুঞ্জীভূত করা হচ্ছে। তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটিয়ে এত সম্পদ রয়ে যাচ্ছে যে, সেগুলো আসলে ভালো কোনো কাজে ব্যয় হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ দিয়ে সমরাস্ত্র সমৃদ্ধকরণের কাজ করছে। সমরাস্ত্র দিয়ে মানবতার কোনোকালে কোনো কল্যাণ হয়নি। তা এনেছে ধ্বংস, তারপরও তারা সেটি করছে। এটি শেষ পর্যন্ত পৃথিবীবাসীর জন্য অশুভ পরিণতি বয়ে আনবে। কারুন আর ফেরাউনের পরিণতিই তারা কোনো না কোনোভাবে ডেকে আনছে। এই দানবদের শোধরাবে কে?

jjshim146@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement