ব্রিটিশ রানীকে ঝেড়ে ফেলল বারবাডোস
- মুজতাহিদ ফারুকী
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৪১, আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ২৩:৩৪
ব্রিটিশ রানীকে ছুড়ে ফেলে মাথা সোজা করে দাঁড়াল আরো একটি দেশ। দীর্ঘ ৪০০ বছরের ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের কবর রচনা করে তারা নতুন প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল গত ৩০ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার। খুব ছোট্ট দেশটি। নাম বারবাডোস। আটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র এই দ্বীপটির আয়তন মাত্র ৪৩০ বর্গকিলোমিটার; অর্থাৎ ঢাকা মহানগরীর চেয়ে কিছুটা বড়। জনসংখ্যা মোটে তিন লাখ। প্রায় সবাই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। বিশ্বের মানুষ এ দেশটিকে চেনে এ দেশের ক্রিকেট প্রতিভার জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নামের যে ক্রিকেট টিম একসময় বিশ্ব কাঁপাত এবং এখনো অন্যতম প্রধান দল, বারবাডোস সেই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
যারা ক্রিকেট সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না, তারাও গ্যারি সোবার্স (এধৎভরবষফ ঝঃ অঁনৎঁহ ঝড়নবৎং ড়ৎ এধৎৎু ঝড়নবৎং) নামে একজন ক্রিকেটারের নাম অন্তত জানেন। বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসমানের নাম যদি হয় ডন ব্রাডম্যান (উড়হধষফ এবড়ৎমব ইৎধফসধহ), তা হলে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডারের নাম হিসেবে আসে গ্যারি সোবার্সের। যে দেশটি বিশ্বকে এত বড় একজন খেলোয়াড় উপহার দিতে পারে সেটিকে ছোট করে দেখার কোনো কারণ আছে কি?
শুধু সোবার্স নন, দেশটিতে আরো একজন জাতীয় বীর আছেন যিনি এক নামে গোটা বিশ্বে সুপরিচিত। সে কথায় পরে আসছি। তার আগে জেনে নিই, বারবাডোস হলো পূর্ব ক্যারিবীয় দ্বীপদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধ, সবচেয়ে সচ্ছল মধ্য আয়ের একটি দেশ।
তাদের মাথাপিছু আয় ২০১৯ সালে ছিল ১৭ হাজার ৩৮০ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। কোভিড-১৯ মহামারীর পরও ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৪৬০ ডলারে। বিস্ময়কর হলেও সত্য, লাতিন আমেরিকার বড় বড় সব দেশ যেমন- মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, পানামা, চিলি প্রভৃতি দেশই এ ক্ষেত্রে বারবাডোসের চেয়ে শুধু যে পিছিয়ে; তাই নয়, তাদের মাথাপিছু আয় বারবাডোসের প্রায় অর্ধেক। রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা টেকসই। ঐতিহাসিকভাবে কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ছিল। সম্প্রতি পর্যটন ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের প্রসার ঘটেছে। প্রধান ভাষা বাজান (ইধলধহ), জনগণও বাজান জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত। বাজান সাহিত্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যথেষ্ট পরিচিত; কারণ অনেকেই ইংরেজিতেও লেখেন। প্রধান ধর্ম খ্রিষ্টান। আছেন কিছু মুসলমানও।
৩০ নভেম্বর রাজধানী ব্রিজটাউনে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বারবাডোস তার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করে। ব্রিটিশের চার শ’ বছরের ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব প্রত্যাখ্যান করার এ দিনটি ছিল এ দেশের স্বাধীনতার ৫৫তম বার্ষিকী। ১৯৬৬ সালে তারা ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু এত দিন সেখানে সাংবিধানিক রাজতন্ত্রই চালু ছিল; অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হলেও এর রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন ব্রিটেনের রানী। ঠিক মধ্যরাতে তারা ইউনিয়ন জ্যাক বা ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে নিয়েছে তাদের আকাশ থেকে। রানীর প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুবরাজ চার্লস গর্বোদ্ধত ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে ফেলার এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন করুণ চোখে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউনিয়ন জ্যাক নামানোর সময় চার্লসকে কিছুটা অস্থির দেখাচ্ছিল।
এখন বারবাডোস বাজানদের মধ্য থেকে একজন নারীকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে। এভাবেই দেশটি বিশ্বের নবীনতম প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। এটি হলো ইতিহাসের কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে নিজের শক্তি ও সামর্থ্যরে ওপর মর্যাদার সাথে দাঁড়ানো। আত্মনিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয়া। প্রথম প্রেসিডেন্ট মিজ স্যান্ড্রা ম্যাসন যেমনটি বললেন, ‘আমাদেরকে এই প্রজাতন্ত্রের আত্মার জাগরণ ও এর সারবত্তার উত্থান ঘটাতে হবে। এর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে হবে। আমরা প্রত্যেকে এই জাতির প্রহরী; আমরা, এই জনগণই বারবাডোস।’
দেশটির প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের অন্যতম রূপকার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মিজ মিয়া মোটলে (গরধ অসড়ৎ গড়ঃঃষবু)। দেশটিতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির প্রচুর ভক্ত আছে। সে জন্য রানীর শাসনেই থেকে যাওয়ার পক্ষে বলার মতো লোকের তেমন অভাব নেই। কিন্তু মিয়া মোটলে চেয়েছিলেন পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। দীর্ঘ চার শতাব্দী আগে ব্রিটিশরা যে নিষ্ঠুর, নৃশংস ও বর্বর কায়দায় তাদের পূর্বপুরুষদের ধরে এনে পৈশাচিক নির্যাতনের মাধ্যমে অবমাননাকর দাসত্বশৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছিল, সেই অন্ধকার অতীত মুছে ফেলে জাতিকে মর্যাদার আসনে বসানোর ব্যাপারে মোটলের সুদৃঢ় অবস্থানের কারণেই শেষ পর্যন্ত এটি সম্ভব হয়েছে।
৯৫ বছর বয়সী রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ উপলক্ষে পাঠানো বাণীতে বারবাডোসকে তার হৃদয়ের টুকরো বলেছেন। দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে তাদের অব্যাহত সুখশান্তি সমৃদ্ধি কামনা করেছেন, যেমনটি রীতি। অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রিন্স চার্লস বলেন, ‘এটি একটি নতুন সূচনা। অতীতের অন্ধকারতম দিনগুলো এবং দাসত্বের যে ভয়ঙ্কর নৃশংস পীড়ন আমাদের ইতিহাসে চিরস্থায়ী দাগ রেখে গেছে তার ভেতর থেকে এই দ্বীপদেশের মানুষ অনন্য দৃঢ়তার সাথে নিজেদের অগ্রযাত্রার পথ কেটে নিয়েছে।’
কেমন ছিল সেই ভয়ঙ্কর অতীত? ইতিহাস বলছে, ১৬২৫ সালে ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমসের সময় ইংরেজরা একটি জাহাজে করে এই দ্বীপে পৌঁছে এবং তা দখল করে নেয়। তারা প্রথমে এখানে চাষাবাদ শুরু করে তাদেরই স্বজাতির যেসব মানুষকে তারা বংশানুক্রমিক দাসত্বের শৃক্সক্ষলে আবদ্ধ করেছিল তাদের দিয়ে। তামাক, তুলা, নীল, আখ এসবের চাষের সাথে পরে দাস ব্যবসাও শুরু করে তারা। তারা আফ্রিকা থেকে কালো মানুষদের ধরে এনে এই দ্বীপে চাষাবাদের কাজে নিয়োগ করে। ১৬২৭ থেকে ১৮৩৩ সালের মধ্যে দুই শ’ বছরের বেশি সময়কালে তারা আফ্রিকা থেকে অন্তত ছয় লাখ কালো মানুষকে ধরে এনে এই দ্বীপের আখ চাষে নিয়োগ করে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ১৫শ’ থেকে ১৯শ’ শতাব্দী পর্যন্ত অর্ধ সহস্রাব্দকালে ইউরোপের বিভিন্ন জাতি স্পেনিশ, পর্তুগিজ, ফরাসি, ইংরেজ ও অন্যরা আটলান্টিকের উভয় পাড়ে দাস ব্যবসায়ের জন্য আফ্রিকা থেকে এক কোটিরও বেশি মানুষকে বন্দী করে নিয়ে আসে। পশুর মতো জাহাজের খোলে ভরে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার সময় অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মারা যেত। যারা বাঁচত তাদেরকে চাষের কাজে লাগানো হতো, বাজারে বিক্রি করা হতো।
যা হোক, সেই অতীত ভুলে যাওয়ার লোক যেমন আছে, তেমনি অনেক কৃষ্ণাঙ্গ বারবাডোসীয়র শরীরের রক্তের মধ্যে আজো রয়ে গেছে সেই অপমান, অসম্মান ও নিপীড়নের জ্বালা। ব্রিটেন যখন দাসপ্রথাকে অতীতের একটি পাপ হিসেবে ভুলে যাওয়ার কথা বলছে তখন বারবাডোসের অনেক অধিকারকর্মী ব্রিটেনের কাছ থেকে অতীত পাপের ক্ষতিপূরণ দাবি জানান। তারা বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের দাস বানিয়ে, বেচাবিক্রি করে ব্রিটিশ রাজপরিবার শত শত বছর ধরে লাভবান হয়েছে। এখন তাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। বারবাডোসের কবি, অভিনেতা, নাট্যকার উইনস্টন ফারেল মধ্যরাতের উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় বলেন, ‘এই ঔপনিবেশিক অধ্যায়ে পূর্ণ যতি টেনে দেয়া হলো। ইউনিয়ন জ্যাকের নিচে অনেকেই নির্বোধ হয়ে বেড়ে উঠেছে, তারা তাদের চামড়ার কেল্লায় হারিয়ে গেছে।’
এই যে ‘চামড়ার কেল্লায় হারিয়ে যাওয়া’ এ কথাটা বারবাডোসের বিখ্যাত ঔপন্যাসিক জর্জ ল্যামিংয়ের (এবড়ৎমব খধসসরহম) প্রথম উপন্যাস ‘ইন দ্য ক্যাসল অব মাই স্কিন’ (১৯৫৩) থেকে এসেছে। ল্যামিং আবার এটি ধার করেছেন ১৯৯২ সালে নোবেলবিজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান (মূলত সেন্ট লুইসের বাসিন্দা) ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ডেরেক ওয়ালকটের (উবৎবশ অষঃড়হ ডধষপড়ঃঃ) ১৯৪৯ সালের রচনা ‘এপিটাফ ফর দ্য ইয়াং : সেভেন ক্যান্টোস’ থেকে। বাক্যটি মোটামুটি নির্বুদ্ধিতার ভেতরে নিজের অস্তিত্ব বা আত্মপরিচয় হারিয়ে ফেলা বা ক‚পমণ্ডূকতার মতো অর্থ প্রকাশ করে। ল্যামিং তার উপন্যাসে ঔপনিবেশিক শাসনে নিজের সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং উড়নচণ্ডী এক তরুণের জীবন তুলে ধরেছেন।
নিজের সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম, বিশ্বাস, লোকাচার থেকে বিচ্ছিন্নতা হলো সত্যিকারের উপনিবেশ যা মানুষের মস্তিষ্কের ভেতরে তৈরি করে বিদেশীরা। আমাদের দেশে এই জনবিচ্ছিন্নতার এবং বিদেশী চিন্তা-মনন ধারণ করার দৃষ্টান্ত সর্বত্র বিদ্যমান এবং তা ক্রমবর্ধমান। কিন্তু বারবাডোসের কৃষ্ণাঙ্গ মানুষগুলো নিজ সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকছে। তারা ইংরেজি ও আফ্রিকান ভাষার মিশেলে তৈরি হওয়া বাজান ভাষা ও সংস্কৃতির পরিপোষণ করছে। কেবল নিষ্ঠুর প্রভু ও নিপীড়িত দাসের সম্পর্ক ছাড়া বারবাডোসের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই, যারা শোষণ-পীড়ন করেছে ৪০০ বছর সেই ব্রিটিশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারা এক বড় বিজয়। এ বিজয় হলো নিজের মস্তিষ্কের ভেতরে গড়ে ওঠা উপনিবেশের শেকড় উপড়ে ফেলতে পারা। এটিই সত্যিকারের ডি-কলোনিয়ালাইজেশন। সেটি বারবাডোস করেছে এবং আশা করা হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে যে ১৪টি দেশ ও ভ‚খণ্ড এখনো ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অধীনে আছে তারাও উপনিবেশের শেষ চিহ্ন মুছে ফেলতে উদ্বুদ্ধ হবে। ওই সব দেশ হলো- যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, বাহামা, বেলিজ, গ্রানাডা, জ্যামাইকা, পাপুয়া নিউগিনি, সেন্ট লুসিয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, এন্টিগুয়া ও বারবুডা এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রানাডাইন্স।
বারবাডোস আগের মতোই ৫৪ সদস্যের কমনওয়েলথে থেকে যাবে। তবে সাবেক নিপীড়ক সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের ওপর তাদের যেকোনো মোহ নেই তা বোঝা গেছে। স্বাধীন হওয়ার পর দেশটি চীনের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে। সম্প্রতি চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভে যোগ দিয়েছে। বছরে যত পণ্য ব্রিটেন থেকে আমদানি করে তার প্রায় সমপরিমাণ আমদানি করে চীন থেকে। চীনের অবকাঠামো উন্নয়ন ঋণ ও বিনিয়োগ দেশটির উন্নয়নে বড় ভ‚মিকা রাখছে। এ বিষয়টি নিয়ে এখন ব্রিটেন উদ্বিগ্ন। ব্রিটিশ পত্রপত্রিকাগুলো বেজায় কষ্ট পেয়েছে ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে ফেলার ঘটনায়। তারা এটিকে চীনা প্রভাব হিসেবে চিহ্নিত করে সান্ত¡না পাওয়ার চেষ্টা করছে।
সমসাময়িক ইংরেজি গান যারা শোনেন তাদের বেশির ভাগই একটি গান শুনে থাকবেন।
গানের কথাগুলো এরকম-
‘আমরা কখনো মৃত্যুতে ফুরাবো না
আকাশে আমরা উজ্জ্বল হিরে যেন
জ্বলি উজ্জ্বল, আজ রাতে তুমি, আমি
আকাশে আমরা উজ্জ্বল হিরে যেন
চোখে রাখো চোখ, জীবন্ত, প্রাণময়
আকাশে আমরা উজ্জ্বল হিরে যেন
আমরা কখনো মৃত্যুতে ফুরাবো না।’
‘ডায়মন্ড’ শিরোনামের গানের একটি চরণ ‘শাইন ব্রাইট লাইক এ ডায়মন্ড; (ঝযরহব নৎরমযঃ ষরশব ধ ফরধসড়হফ) যখন উপর্যুপরি গাইতে থাকেন শিল্পী, তখন যেন এক শিহরণ বয়ে যায় শ্রোতার শরীরে-মনে। মনে হতে থাকে, এই জাতি জয়ী না হয়েই পারে না। গানটির শিল্পী বাজান বংশোদ্ভূত। গত মঙ্গলবার বারবাডোসের রিপাবলিকে রূপান্তরের অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিজ মিয়া মোটলে তার বক্তৃতার শেষে ওই গানের শিল্পী রিহানাকে জাতীয় বীর বলে ঘোষণা করেন। হ্যাঁ, গোটা বিশ্বের জন্য মাত্র তিন লাখ মানুষের দেশ বারবাডোসের আরেক অনন্য উপহার রিহানা। ৩৩ বছর বয়সী বিশ্বখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রিহানা (জড়নুহ জরযধহহধ ঋবহঃু) একজন অভিনেত্রী, ফ্যাশন মডেল ও ব্যবসায়ীও। সঙ্গীতজগতে তিনি রিরি নামে পরিচিত। বলা হয়, এখন তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকা। যে জাতি গ্যারি সোবার্স ও রিহানার মতো বীরের জন্ম দিতে পারে তাদের মাথা চিরকালের জন্য শ্বেতাঙ্গ বর্বর প্রভুর সামনে নত হয়ে থাকবে তা কখনো হতেই পারে না। দুঃখজনক, আমরা ১৮ কোটি মানুষের দেশেও তেমন কোনো বীরের জন্ম দিতে পারিনি।
E-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা