মাদরাসা পড়ুয়াদের বিস্ময়কর সফলতার কারণ কী?
- গোলাম মাওলা রনি
- ২৫ নভেম্বর ২০২১, ২০:৫৯
অল্প কয়েক দিন আগের ঘটনা - একটি ছবি হঠাৎ করে আমাদের দেশের সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, দাড়িটুপিধারী জোব্বা পরা এক যুবক প্রাণপণে একটি চলন্ত বাসের পেছনে দৌড়াচ্ছেন। যিনি ছবিটি সামাজিকমাধ্যমে দিয়েছেন তিনিও যুবক। তার বক্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক লক্ষ্য করেন যে, তার প্রায় সমবয়সী দাড়িটুপিধারী জোব্বা পরিহিত যুবকটি একটি গণপরিবহন থেকে নামেন এবং হন হন করে গন্তব্যের দিকে ছুটে চলতে শুরু করেন। হঠাৎ কী মনে করে তিনি ইউটার্ন নিয়ে বাসটির দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে বাসটি যাত্রা শুরু করে দেয় এবং যুবকটি বাসটি থামানোর জন্য চিৎকার করতে করতে চলন্ত বাসের পেছনে তুমুল বেগে দৌড়াতে শুরু করেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই বাসটির নাগাল পাচ্ছিলেন না এবং বাসের হেলপার-কন্ডাক্টর বা কোনো যাত্রী বাসটি থামানোর ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ করছিলেন না।
মোটরসাইকেল আরোহী যুবক বিষয়টি লক্ষ্য করেন। তিনি ধারণা করলেন যে, দৌড়রত যুবকটি হয়তো কোনো মূল্যবান সামগ্রী বাসের মধ্যে ভুল করে রেখে নেমে পড়েছেন এবং তা স্মরণ হওয়া মাত্র তিনি বাসটিকে ধরার জন্য দৌড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় দয়া পরবশ হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক এগিয়ে যান এবং যুবককে তার বাইকে আরোহণ করার প্রস্তাব দেন। এরপর মোটরসাইকেলে টান মেরে বাসটিকে অনুসরণ করে পরবর্তী স্টেশনে গিয়ে থামেন। দাড়িটুপিধারী যুবক এক লাফে মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড়ে বাসে ওঠেন এবং কন্ডাক্টরের হাতে কিছু একটা গুঁজে দিয়ে তার উপকারী বন্ধু, মোটরসাইকেল আরোহীর কাছে ফিরে আসেন। তিনি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উপকারী বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাতে থাকেন এবং তার উপকারের বিনিময়ে আল্লাহ যেন তাকে উত্তম পুরস্কার দান করেন সেই দোয়া করতে থাকেন।
পুরো ঘটনা দেখার পর মোটরসাইকেল আরোহীর কৌতূহল নিদারুণভাবে বেড়ে যায়। তিনি দাড়িটুপিধারী যুবকের পরিচয় এবং তার দৌড়ানোর কারণ জানতে চান। উত্তরে যা জানতে পারেন তা তাকে রীতিমতো হতবিহ্বল করে তোলে। তিনি বিষয়টি শোনার পর দেশের মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা এবং মাদরাসা পড়ুয়াদের সম্পর্কে যে ধারণা পোষণ করতেন তার জন্য অনুতপ্ত হতে থাকেন এবং নিজের সেই অনুতাপের ঘটনা প্রকাশ করার জন্য সামাজিকমাধ্যমে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। উপসংহারে বলেন যে, মাদরাসা থেকে শিক্ষাপ্রাপ্ত একজন মানুষ যে নীতি-নৈতিকতা। সততার প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন তার সাথে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার কোনো তুলনাই চলে না। সে দিনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী যুবক বলেন - দাড়িটুপিধারী যুবকটি একজন মাদরাসা পড়ুয়া অভাবী মানুষ এবং সম্ভবত চাকরির খোঁজে এই মহানগরীতে ছুটে বেড়াচ্ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি ভুল করে বাসের ভাড়া না দিয়ে নেমে পড়েন এবং তা স্মরণ হওয়া মাত্র চলন্ত বাসের পেছনে দৌড়াতে থাকেন ভাড়া পরিশোধের জন্য। উল্লিখিত ঘটনাটি যারা সামাজিকমাধ্যমে পড়েছেন তারা কমবেশি সবাই আবেগতাড়িত হয়েছেন। আর আমি ব্যক্তিগত আবেগের সাথে সাথে ঘটনাটি নয়া দিগন্তের পাঠকদের কাছে তুলে ধরলাম মূলত ভিন্ন একটি কারণে। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নামকরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে সেখানে বেশির ভাগ মাদরাসা পড়ুয়া বিস্ময়কর এবং নজিরবিহীন সফলতা দেখিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও অন্যান্য নামকরা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসা ছাত্ররা প্রথম হয়েছেন। এতে অনেক আলোচিত সমালোচিত বুদ্ধিজীবী কাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রীতিমতো অপমানিত বোধ করছেন এবং তারা প্রকাশ্যেই বলার চেষ্টা করছেন যে, ‘এভাবে যদি চলতে থাকে তবে দেশের তাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় মাদরাসায় রূপান্তরিত হয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও কর্মজীবনে প্রবেশের বিভিন্ন পরীক্ষাতেও মাদরাসা ছাত্ররা নিদারুণ সব রেকর্ড তৈরি করছেন এবং প্রায় প্রতি বছরই নিজেদের পূর্বেকার রেকর্ড ভঙ্গ করে চলতি বছরে নিত্যনতুন রেকর্ড তৈরি করে চলেছেন। বিসিএসসহ সরকারি কর্মকমিশনের অধীনে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগে যেসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হচ্ছে সেখানে মাদরাসা ছাত্ররা ক্রমবর্ধমান হারে নিয়োগ পাচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সম্মিলিত মেধায় প্রথম স্থানটি দখল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। সরকারি কর্মকমিশনের বাইরে ব্যাংক, বীমা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানেও মাদরাসা ছাত্রদের বিনা ঘুষে নিয়োগ লাভের হার এবং পরবর্তী কর্মজীবনে বিনা ঘুষে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে তারা যে বিশ্বাস ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে চলেছেন তাতে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর বুদ্ধির কারখানায় মহামারীর আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।
মাদরাসা ছাত্রদের ইদানীংকালের সফলতা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মতো আমাকে আহত করেনি বটে তবে আমি নিশ্চিতভাবে আশ্চর্য হয়েছি। নিজে কোনোকালে মাদরাসায় পড়িনি। কিন্তু সমালোচকরা যখন দশমুখে বলত, আমি মাদরাসার ছাত্র ছিলাম এবং তখন থেকেই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম, তাদের সমালোচনায় প্রথম দিকে খুব কষ্ট পেতাম এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য নিজের ছাত্রজীবনের ইতিহাস ও পরিবারের রাজনীতির ইতিহাস বর্ণনা করতাম। কিন্তু আমার আত্মপক্ষ সমর্থনে কোনো শুভ ফল তো এলোই না বরং হিতে বিপরীত হতে থাকল। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমি উপায় খুঁজতে গিয়ে যা জানলাম তা শেষ অবধি সমালোচকদের মুখে চুনকালি মাখিয়ে দিলো এবং আমার সম্পর্কে তাদের অন্তরে এক ধরনের ভয় সৃষ্টি হলো। অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হলো এবং কেউ কেউ সমালোচনার পরিবর্তে শ্রদ্ধা করতে আরম্ভ করল।
আপনি যদি প্রশ্ন করেন, কী উপায়ে সমালোচকদের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম? সে ক্ষেত্রে বলবো, প্রথমত নিজের কর্মের প্রতি বিশ্বস্ত, আস্থাশীল ও যত্নবান হওয়া শুরু করেছিলাম। আমার ব্যক্তিগত ধর্মাচার-ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে কথাবার্তার কারণে যারা সমালোচনা করত তাদের কথার জবাব না দিয়ে আমার কর্ম অর্থাৎ ধর্মাচারের বিষয়ে যত্নশীল হয়েছি। আধুনিক জীবনে ধর্ম কিভাবে মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক করতে পারে, সাহসী বানাতে পারে এবং ধর্মাচারের ফলে বাস্তব জীবনের অর্থনৈতিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সফলতা অর্জন করা যেতে পারে তা নিজের জীবনে দৃশ্যমান করার জন্য চেষ্টা চালাতে চালাতে এক সময় লক্ষ করলাম, এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছি যেখানে সমালোচকদের বাহাদুরি নেই বললেই চলে।
উল্লিখিত কারণে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রদের সফলতা দেখে আমি বেশ আশ্চর্য বোধ করছি এ কারণে যে, তারাও হয়তো নিজেদের মধ্যে আমারই মতো অনন্ত কোনো আদর্শ ধারণ করে কর্তব্য ও নিষ্ঠার পরাকাষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং সাধনা করে যার যার কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। ফলে যারা তাদের সমালোচনা করছেন তারা কেবল নিরাপদ দূরত্বে থেকে সমালোচনাই করতে পারবেন কিন্তু কোনো মেধাবী মাদরাসা পড়ুয়ার আসনে দাঁড়িয়ে বুক উঁচু করে তার সাথে মেধার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের দুঃসাহস দেখাতে পারবেন না। এ ব্যাপারে নিজের একটি অভিজ্ঞতা বর্ণনা না করে পারছি না। একবার জনৈক ইসলামবিদ্বেষী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষকের সাথে আমার একটি টকশো অনুষ্ঠিত হলো। ভদ্রলোক তার বক্তব্যের শুরুতে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলা শুরু করলেন। যখন আমার পালা এলো তখন আমি ধীরস্থিরভাবে বললাম - ওভাবে বলছেন কেনো? মানুষকে সম্মান দিতে শিখুন। আপনি ছাত্র হিসেবে পাবলিক পরীক্ষাতে যে ফলাফল করেছেন তার চেয়ে আমার ফলাফল ভালো। অধিকন্তু আপনি যে বিষয়ে অধ্যাপনা করছেন সেই বিষয়ে আমি আপনাকে অনেক দিন পড়াতে পারব। আমার কথা শুনে ভদ্রলোক এতটাই ভয় পেয়ে গেলেন যে, বাকি সময়ে তিনি খুবই সংযত ভাষায় কথা বললেন এবং পরবর্তীকালে আমাদের মধ্যে যতবার সাক্ষাৎ হয়েছে ততবারই তিনি বিনয় ও সৌজন্য প্রদর্শনে কার্পণ্য করেননি।
আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা মাদরাসা ছাত্রদের সফলতার কারণ ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করব। আমার মতে - মাদরাসা পড়ুয়া মেধাবীরা সাধারণত আমাদের সমাজের নিম্নবিত্ত অথবা দরিদ্র পরিবারগুলো থেকে উঠে আসেন। ফলে তাদের দু’চোখ ভরা স্বপ্ন থাকে এবং শরীরের প্রতিটি কোষের মধ্যে যুদ্ধ করে বড় হওয়ার বাসনা লুক্কায়িত থাকে। তাদের পারিবারিক চাহিদা, পারিবারিক বন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীতি-নৈতিকতার কঠোরতা, ধর্মাচার এবং পাঠ্যক্রমের গুণগত মান তাদের মানুষ হিসেবে বড় হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতে থাকে। অন্যদিকে, পৃথিবীর প্রাচীনতম শিক্ষাব্যবস্থা হিসেবে মাদরাসাগুলোতে যে শিক্ষার পরিবেশ থাকে তা অন্য কোনো দেশের কোনো পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আজ অবধি চালু করতে পারেনি।
আধুনিক শিক্ষার নামে আমরা যা কিছু পাঠ করছি তার বয়স বড়জোর ৩০০ বছর। এই ৩০০ বছরে বিভিন্ন দেশে অন্তত ৫০ বার শিক্ষাব্যবস্থায় পরস্পরবিরোধী পরিবর্তন করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের দেশের জেএসসি, পিইসি, এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, এমএ ইত্যাদি ডিগ্রির কথা যদি বলি তাহলে দেখবেন, গত ১০০ বছরে কতবার এই পরীক্ষাগুলোর নাম এবং সিলেবাস পরিবর্তন হয়েছে। এর ফলে তথাকথিত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র-শিক্ষক, পিতা-পুত্র অথবা মা-কন্যার মধ্যে চিন্তা চেতনা তথা শিক্ষাদীক্ষার মধ্যে যে বিস্তর অমিল পয়দা হয়েছে তার কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অমিল-অশ্রদ্ধা, ভিন্নমত ও অস্থিরতা রীতিমতো দিনকে দিন দানব আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে, আমরা যদি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থার দিকে তাকাই তবে দেখব যে, গত চৌদ্দশত বছর ধরে এই শিক্ষাব্যবস্থার মূল কাঠামো একই ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে এবং যুগ যুগান্তরের আইন-বিজ্ঞান, ভুগোল, অঙ্ক, জ্যামিতি বা শিল্পসাহিত্যের নিত্যনতুন ধারা আদি কাঠামোর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। ফলে এই শিক্ষার ভিত্তিমূলে কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে অবকাঠামোকে যুগোপযোগী এবং আধুনিক বানিয়েছে।
এবার মাদরাসা শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলে নিবন্ধের ইতি টানব। মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে মূল ভাষা হিসেবে আরবি ও ফারসি ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজিকে মূল ভাষা রেখে বেশির ভাগ দেশ নিজ নিজ মাতৃভাষায় পাঠ্যক্রম রচনা করে থাকে। কাজেই ভাষা হিসেবে আরবি ও ফারসির গুণগত মান, ঐতিহ্য এবং এই দুই ভাষায় রচিত মানবসভ্যতার সব উপকরণের সাথে যদি ইংরেজির তুলনা করি তবে ইংরেজিকে নিতান্ত নাবালক, অসম্পূর্ণ, দুর্বল এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিভ্রান্তিকর বলে মনে হবে। আমার এই কথায় যারা আশ্চর্য হচ্ছেন তাদের বলছি - ভাষা হিসেবে ইংরেজি কিন্তু বাংলার চেয়েও দুর্বল ও নবীন। অন্য দিকে ইংরেজি সাহিত্য বা বাংলা সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, অঙ্কশাস্ত্র, ভ‚গোল ইত্যাদি বিষয়ে যাদের রচনা দিয়ে পাঠ্যক্রম সাজানো হয় তাদের সাথে যদি আরবি ও ফারসি ভাষার পাঠ্যক্রমের রচয়িতাদের বয়স, যোগ্যতা, মেধা, জনপ্রিয়তা, জ্ঞানের গভীরতা এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের রাজ্যের প্রভাব প্রতিশ্রুতির তুলনা করা হয় তাহলে কী ফলাফল আসবে তা অনুধাবন করার জন্য সাধারণ যোগ বিয়োগের জ্ঞানই যথেষ্ট। যারা বার্ট্রান্ড রাসেল, মিশেল ফুকো প্রমুখের দর্শনতত্ত্ব পড়ে পৃথিবীর সব কিছু বুঝে ফেলেছেন তারা ইবনে খালদুন, জাবের ইবনে হাইয়ান, আলরাজি, প্রমুখ রচিত দর্শনশাস্ত্রগুলোর কয়েকটি পৃষ্ঠা অধ্যয়ন করুন। তারপর বুকে হাত দিয়ে বলুন, আপনার পক্ষে অনন্ত পৃথিবীর কতটুকু জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব!
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা