২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মহীসোপান বিতর্ক

- প্রতীকী ছবি

স্বাধীনতার পাঁচ দশক পরও বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বহু সমস্যার আজো সমাধান হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধানের কথা বলা হলেও অনেক সমস্যা এখনো অনিষ্পন্নই রয়ে গেছে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত উভয় দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিলেও সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ভারত নিজের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য যে উপকূলীয় ভিত্তিরেখা বা বেজলাইন ব্যবহার করেছে, এর একটি অংশ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ভেতরে পড়েছে। সাত বছর ধরে বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও সফলতা আসেনি। এমতাবস্থায় ভারতের অবস্থানের বিষয়টি অবহিত করে বাংলাদেশ ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের কাছে একটি কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে মহীসোপানের দাবির বিষয়ে বাংলাদেশের যুক্তির বিপক্ষে আপত্তি জানিয়ে ভারত গত এপ্রিলে জাতিসঙ্ঘকে একটি চিঠি দিয়েছিল। ভারতের সে চিঠির বিষয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবকে পৃথক একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ওই চিঠিতে বাংলাদেশ বলেছে, ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা অনুসরণ করেই মহীসোপানের দাবি নির্ধারণ করেছে ঢাকা। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ ভারতের কাছে তা মনঃপূত হয়নি। ফলে নতুন করে সীমানা বিরোধ দেখা দিয়েছে, যা অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত।

সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর স্থলভাগের বেজলাইন বা ভিত্তিরেখা থেকে লম্বালম্বিভাবে সমুদ্রের সাড়ে ৩০০ মাইল এলাকা সংশ্লিষ্ট দেশের ‘মহীসোপান’ হিসেবে স্বীকৃত। এর মধ্যে ২০০ মাইল পর্যন্ত এলাকার মালিকানা সংশ্লিষ্ট দেশের। সেখানে অন্য কোনো দেশ মাছ ধরতে এবং খনিজসম্পদের দাবি করতে পারে না। এই ২০০ মাইলের পর ১৫০ মাইল পর্যন্ত সীমায় সমুদ্রের তলদেশে খনিজসম্পদের মালিক সেই দেশ, তবে মাছ ধরতে পারে সব দেশই।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, নিজের সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য ভারত ২০০৯ সালের মে মাস থেকে উপকূলীয় একটি ভিত্তিরেখা বা বেজলাইন ব্যবহার করে আসছে। ওই ভিত্তিরেখার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ২০০৯ সালের অক্টোবরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। তাতে ভারতের ওই ভিত্তিরেখার একটি অংশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ‘ভুল’টি সংশোধনের অনুরোধ করা হয়। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত দুই নিকট প্রতিবেশীর সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে রায় দেয়ার পর ভিত্তিরেখার বিষয়টি দ্বিপক্ষীয়ভাবে সুরাহার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ; কিন্তু সে অনুরোধে ভারত কোনো সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবকে লেখা চিঠিতে বাংলাদেশ উল্লেখ করেছে, দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ বিষয়টি জাতিসঙ্ঘ এবং সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে জানায়নি। কিন্তু এখন বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে ভারতের এ অবস্থানের বিরোধিতা করছে। ভারতের ভিত্তিরেখার বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বাংলাদেশের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সালে ভারত টেরিটোরিয়াল ওয়াটার ও মেরিটাইম জোন-সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করে। এর ৩৩ বছর পর ২০০৯ সালে ভিত্তিরেখা নির্ধারণের জন্য সংশোধনী আনে। আগের নিয়মে সমুদ্রের পানির নিম্নস্তর থেকে ভিত্তিরেখা নির্ধারণের বিধান থাকলেও বর্তমানে তারা ‘স্ট্রেট লাইন বেজলাইন’ পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা আনক্লজের (জাতিসঙ্ঘের সমুদ্র আইনবিষয়ক কনভেনশন) ৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

অভিযোগ উঠেছে, ভিত্তিরেখা সমুদ্রতীর থেকে নির্ধারণের বিধান থাকলেও ভারতের কিছু ভিত্তিরেখা সমুদ্র থেকে ধরা হয়েছে। যেমন ৮৭ নম্বর ভিত্তি পয়েন্টটি সমুদ্র থেকে শুরু হয়েছে। সেখান থেকে ভারতীয় উপকূল আনুমানিক সাড়ে ১০ নটিক্যাল মাইল (নৌমাইল) দূরে। ভারতের ৮৯ নম্বর ভিত্তি পয়েন্টের অবস্থান বাংলাদেশের জলসীমানার প্রায় ২ দশমিক ৩ মাইল অভ্যন্তরে, যা নিয়ে বাংলাদেশ বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন বলে জাতিসঙ্ঘকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মূলত বঙ্গোপসাগরে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয় আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে। ২০১১ সালে ‘ইটলসে’র রায়ে মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের রায়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হয়। সমুদ্রসীমানা নিয়ে দু’টি রায়ের পর বাংলাদেশ যখন নতুন বেজলাইন টেনে মহীসোপানের দাবি উপস্থাপন করে, তারপরই বর্তমান সঙ্কটের শুরু হয়। বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘে মহীসোপানের দাবি প্রথম তুলে ধরে ২০১১ সালে; কিন্তু মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পরিপ্রেক্ষিতে মহীসোপানের ওই দাবি সংশোধন করে ২০২০ সালে নতুন করে কমিশনে জমা দেয়।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মহীসোপানের দাবি নিয়ে বর্তমান বিরোধের মূলে রয়েছে ২০০-এর বেজলাইন। এ বেজলাইন নিয়ে দুই দেশেরই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং আপত্তি রয়েছে। এ ভিত্তিরেখা ধরেই উপকূল থেকে সমুদ্রের ১২ নটিক্যাল মাইল টেরিটোরিয়াল সি, ২০০ নটিক্যাল মাইল ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং তারপর মহীসোপান পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়। দু’দেশের বেজলাইন সমুদ্র উপকূল জুড়ে বিভিন্ন অবস্থানে পয়েন্ট আকারে নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংশোধিত বেজলাইনে পাঁচটি পয়েন্ট আছে আর ভারতের বেজলাইন ৮৯টি পয়েন্ট দ্বারা বিভক্ত।

ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমানা নির্ধারণের পর বাংলাদেশ ২০১৫ সালে বেজলাইন সংশোধন করে। এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘের কমিশনে মহীসোপানের দাবি উপস্থাপন করে। বাংলাদেশের নতুন বেজলাইনের ২ ও ৫ নম্বর পয়েন্টের অবস্থান নিয়ে ভারত আপত্তি জানিয়েছে।

বাংলাদেশের নতুন বেজলাইনের ২ ও ৫ নম্বর পয়েন্টের ব্যাপারে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট ভারত জাতিসঙ্ঘের কাছে একটি চিঠি লিখে আপত্তি জানায়। ওই চিঠিতে বলা হয়- নতুন বেজলাইন ধরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা টানলে বাংলাদেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে, যেখানে একটি ‘গ্রে এরিয়া’ বা ‘ধূসর এলাকা’ চিহ্নিত রয়েছে।
২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা নিয়ে আদালতের রায়ের পর বাংলাদেশ নতুন করে বেজলাইন সংশোধন করে। সেই বেজলাইন ধরে জাতিসঙ্ঘে মহীসোপানের দাবি সংশোধিত আকারে পেশ করে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। বাংলাদেশের বক্তব্য হলো- আদালতের রায় এবং আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি মেনেই বাংলাদেশ বেজলাইন নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ অভিযোগ করছে, ভারত আদালতের রায়ের পর তাদের বেজলাইন সংশোধন করেনি। এতে গ্রে এরিয়ার সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষ করে ভারতের বেজলাইনের ৮৭ ও ৮৯ নম্বর পয়েন্ট নিয়ে বড় ধরনের আপত্তি রয়েছে বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ দাবি করেছে, আদালতের রায় অনুসরণ করে, আইন-কানুন মেনেই বাংলাদেশ নিজ বেজলাইন সংশোধন করেছে এবং মহীসোপানের সংশোধিত দাবি জাতিসঙ্ঘে উপস্থাপন করেছে। মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের বেজলাইন যেটা ওড়িশার বালাশোর উপকূল থেকে সোজা যে টানা হয়েছে, সেখানে ৮৭ নম্বর পয়েন্ট ১০ কিলোমিটার সমুদ্রের ভেতর রয়েছে- যে কারণে গ্রে এরিয়া সৃষ্টি হয়। এটা না থাকলে গ্রে এরিয়ারই সৃষ্টি হয় না এবং পয়েন্ট ৮৯ এখনো বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার ২.৩ নটিক্যাল মাইল ভেতরে।

জাতিসঙ্ঘে মহীসোপানের যে দাবি বাংলাদেশ জানিয়েছে, সেটির আয়তন আট হাজার ৭০০ বর্গকিলোমিটার। আর বিতর্কিত ‘গ্রে এরিয়া’ বা ধূসর এলাকার আয়তন ৭২০ বর্গকিলোমিটার। কিন্তু বাংলাদেশের দাবি, ভারত আদালতের রায় মেনে তাদের বেজলাইন সংশোধন করলে এই ‘গ্রে এরিয়া’ থাকে না।

সাগরের মহীসোপান এলাকায় পানিতে মাছ ধরার অধিকার থাকে সব দেশের। কিন্তু মহীসোপানের মূল গুরুত্ব হলো মাটির নিচের সম্পদের কারণে। মহীসোপান যে দেশের অধিকারে থাকবে, সে দেশই ওই এলাকার মাটির নিচের সম্পদের মালিক হবে। মহীসোপানে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং অন্য যেকোনো খনিজ পদার্থ উত্তোলন অনুসন্ধানের জন্য এর বিরোধ নিষ্পত্তি প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সরকার দাবি করছে, ভারত যে আপত্তি তুলেছে তা সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের সাথে ’সঙ্গতিপূর্ণ’ নয়। এখন জাতিসঙ্ঘের কমিশন অন দ্য লিমিটস অব দ্য কন্টিনেন্টাল শেলফ (সিএলসিএস) উভয়পক্ষের অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত দেবে বলে ঢাকা আশা প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম বিষয়াবলি ইউনিটের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, আদালতের রায়ের ওপর ভিত্তি করে ২০২০ সালের অক্টোবরে সংশোধিত সীমানা সিএলসিএসে জমা দেয় বাংলাদেশ, যা খুবই যৌক্তিক।
প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আলোচনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে। দীর্ঘ সময়ে কয়েকটি বৈঠক হলেও সমাধান না পেয়ে ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক আদালতে যায় বাংলাদেশ। সেখানেও সমঝোতা না হওয়ায় ২০১১ সালের মে মাসে বিষয়টি হেগের সংশ্লিষ্ট আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এর আগে ২০১২ সালে জার্মানির হামবুর্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধের যে রায় দেয়, তাতে ন্যায্যতার ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত জলসীমার অধিকার পায় বাংলাদেশ। এরপর ২০১৪ সালের ৭ জুলাই বিরোধপূর্ণ সাড়ে ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশকে দিয়ে ভারতের সাথে নতুন সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দেন আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত।

আদালতের সেই রায়ের ওপর ভিত্তি করে গত বছরের ২০ অক্টোবর সমুদ্রসীমা ঠিক করে সংশোধিত আবেদন জাতিসঙ্ঘের সিএলসিএসে জমা দেয় বাংলাদেশ। সেই সংশোধিত আবেদনের ওপর গত ১৬ এপ্রিল আপত্তি জানিয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব বরাবর চিঠি দেয় ভারত। এরপর গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘে পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে ভারতের বক্তব্যের জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ, যা সম্প্রতি সিএলসিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

ভারত বলছে, সংশোধিত সীমানার আবেদনে দুই সীমানার মধ্যবর্তী ‘গ্রে-এরিয়ার’ বিষয়টি স্পষ্ট করতে ‘ব্যর্থ হয়েছে’ বাংলাদেশ। তাদের ভাষায়, বিস্তারিত তথ্যের অভাবে এটা ‘বোঝা কষ্টকর’ যে, সীমানা নির্ধারণ আদালতের রায় অনুযায়ী করা হয়েছে কি না। ভারতের চিঠিতে বলা হয়, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকলে সেটি সিএলসিএসের কার্যবিধির অ্যানেক্স-১-এর মধ্যে পড়ে। সেটিকে কমিশন বিবেচনা করতে পারে। সে অনুযায়ী কমিশন যেন বাংলাদেশের প্রস্তাবিত সীমা ‘বিবেচনা না করে’।

সার্বিক দিক পর্যালোচনায় মনে হচ্ছে, বঙ্গোপসাগরের মহীসোপান নিয়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের মূলত বিরোধ নেই। সমস্যাটা সৃষ্টি করা হয়েছে অনেকটা কৃত্রিমভাবে। আন্তর্জাতিক আদালত সীমানা ঠিক করে দেয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশই মেনে নিয়েছে। সেখানে যেহেতু কোনো বিরোধ নেই, সেখানে ভারত বা অন্য কোনো দেশ বলতে পারে না যে, সিএলসিএস যেন বাংলাদেশের দাবিটা বিবেচনায় না নেয়।
বাংলাদেশ-ভারত মহীসোপান জটিলতা একটি মীমাংসিত ইস্যু হলেও বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের একগুঁয়েমির কারণে নতুন সমস্যার জন্ম হয়েছে। তাই সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে খোলা মন নিয়ে উভয় দেশকে আলোচনায় বসতে হবে। একগুঁয়েমিতে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না। আমরা আশা করব, সঙ্কট নিরসনে দু’পক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে।
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement