ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ নিয়ে সামান্য কথা
- মুজতাহিদ ফারুকী
- ০৫ অক্টোবর ২০২১, ২০:৪১
“নিম্নমানের বই থেকে উচ্চমানের ছবি করা সম্ভব। বিশ্বের বহু চলচ্চিত্র পরিচালক সে কাজ সফলভাবে করে এসেছেন। নিম্নমানের বই থেকে নিম্নমানের ছবি করাও সম্ভব। বিশ্বের বহু চলচ্চিত্র পরিচালক সে কাজ সফলভাবে করে এসেছেন। সৃজিত মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি এই দ্বিতীয় কাজটিই করলেন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন নামক কোনো এক লেখকের রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি নামক কোনো এক নিম্নমানের থ্রিলার-গ্রন্থের সার্থক নিম্নমান চলচ্চিত্র ভার্সন- নয়টি পর্বের ওয়েব সিরিজ- তিনি তৈরি করেছেন। শীর্ষনামে চমক আছে, চটক আছে সন্দেহ নেই। কিন্তু এর বাইরে যে আর কিছুই নেই, সিরিজটি দেখার পর তাতেও আর কোনো সন্দেহ নেই। সন্দেহ আছে, মূল কাহিনীটিও কতটা মৌলিক, তা নিয়ে। কেমন যেন রুঅল ডাল-এর ‘ল্যাম টু দ্য স্লটার’ গল্পের গন্ধ মিশে আছে এখানে।”
উপরে যে কথাগুলো বলা হলো, তা আমাদের কথা নয়। এটি একটি উদ্ধৃতি। উদ্ধৃতিটা নেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান সাময়িকপত্র পাক্ষিক দেশ-এর ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১ সংখ্যা থেকে। ওতে শিল্প সংস্কৃতি বিভাগে নিয়মিত লেখেন সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সংখ্যায় একটি বায়োপিক ‘শেরশাহ’ ও একটি থ্রিলার ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শেষ আলোচনাটি সায়মের। আলোচনায় সায়ম বলেননি, থ্রিলারটি বাংলাদেশী লেখকের গ্রন্থ অবলম্বনে তৈরি। তবে আর কিছুই বলতে বাকি রাখেননি। তিনি লেখকের প্রসঙ্গে বলার দরকার মনে করেননি। আলোচনা সমালোচনা যা করার করেছেন পরিচালকের। সেটি করতে গিয়ে প্রসঙ্গক্রমে বইটিকে নিম্নমানের বলতে হয়েছে। বইটি মৌলিক কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে নিছক সংশয়টুকু উল্লেখ করেই দায় সারেননি। এ বইয়ের কাহিনীতে কোন গল্পের ছায়া বা গন্ধ লেগে আছে সেটিও বলে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। নরওয়েজীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, কবি, গল্পকার, নাট্যকার ও প্রাক্তন বিমানসেনা রুঅল ডাল-এর (Roald Dahl) ‘ল্যাম টু দ্য স্লটার’ (Lamb to the Slaughter) বিখ্যাত গল্প। অনেকে খুব পছন্দ করেন, অনেকের কাছে আহামরি কিছু নয়। তার একটি কাহিনীর নাট্যরূপ দিয়েছিলেন বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলফ্রেড হিচককও। যাই হোক, আমাদের প্রসঙ্গ ডাল বা তার সাহিত্যকর্ম নয়।
বেশ কিছু দিন ধরে অনলাইনের নানা প্লাটফরমে ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ এ শিরোনামটি চোখে পড়ছিল। কখনো কোনো বই বিক্রির অনলাইন শপের বিজ্ঞাপনে, কখনো ফেসবুকে কারো পোস্টে বা কমেন্টে, কখনো ইউটিউবের হোম পেজের সাজেস্টিভ চ্যানেলগুলোর মধ্যে। নামে চমক, চটক আছে বলেছেন সায়ম, তার আলোচনায়। কিন্তু এই শিরোনাম আমাদের কাছে একটি চৌকস বাণিজ্যিক ধান্দাবাজি ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি। তাই কখনো খুলে দেখার আগ্রহ জাগেনি। দেশ পত্রিকায় সায়মের লেখায় প্রথম জানা গেল, এটি একটি থ্রিলার এবং তার লেখক কোনো এক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। তখনই এই লেখকের বিষয়ে জানার আগ্রহ হলো। যতটা জানা গেল সেও এক বিস্ময়।
লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই সংস্থাটি বিশেষ করে তরুণ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এরই মধ্যে দেশের তিনটি বড় শহরে শোরুম এবং অনেক বিক্রয় কেন্দ্র খুলেছে তারা। নাজিম উদ্দিন প্রথম দিকে বেশ কিছু জনপ্রিয় ইংরেজি উপন্যাস অনুবাদ করেন। পরে সেই প্রেরণা থেকেই লেখালেখিতে আসা। বাজার মাত করেন থ্রিলার লিখেই। উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। পরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। তার ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ বইটি জনপ্রিয়তা পায়। কাহিনীর চমক এবং নিজের প্রকাশনা সংস্থার ভূমিকা রবীন্দ্রনাথকে বেচাবিক্রি করতে বিশেষ সহায়ক হয়েছে, সন্দেহ নেই। বিপণনে দক্ষতা, লেখক অনুবাদক হিসাবে তার দক্ষতাকে ছাড়িয়ে গেছে একথা বলাই যায়। কিন্তু আমাদের আলোচনার মূল বিষয় কিন্তু লেখক বা বই ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিনও নন। স্পষ্ট করেই বলি, আমাদের আলোচনার মূল লক্ষ্য মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বই নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণকারী পরিচালক সৃজিতের কাজ।
প্রথমেই বলে নিই, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের বইটি পড়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি। দু-একটি পৃষ্ঠা উল্টে মনে হয়েছে, লেখকের ভাষা মন্দ নয়। কাহিনী গেঁথে তোলা বা রহস্য, রোমাঞ্চ জমিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তার পারঙ্গমতা কতটা, আমাদের জানা নেই। বইটি যেহেতু জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাই ওইসব মুন্সিয়ানা তিনি রপ্ত করেছেন এমন কোনো সনদ দেয়ারও কারণ দেখছি না। অনেক আজেবাজে বই নানা কারণেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়; সে খবর আমাদের তো অজানা নয়। নাজিম উদ্দিন বইটি লিখেছেন বাংলাদেশে বসে, সম্ভবত বাংলাদেশের পাঠকের উদ্দেশে। স্বাভাবিকভাবেই তার বইয়ের পাত্রপাত্রীর অধিকাংশ এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মধ্য থেকে আসে। অর্থাৎ চরিত্রগুলো মুসলমান নামধারী। বইয়ের সার্বিক পরিবেশ বা পরিপ্রেক্ষিতও বাংলাদেশের। এতে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। কিন্তু সৃজিতের চলচ্চিত্রে অস্বাভাবিকতা আছে। আবারো বলে নিই, সৃজিতের ওয়েব সিরিজটিও আমাদের অদেখা। তবে দেশ পত্রিকার আলোচনার পর খুব বেশি জানার আছে বলে মনে হয় না। দেশ-এ সায়মের উত্থাপিত একটি প্রশ্ন থেকে কৌতূহলোদ্দীপক একটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
সায়ম লিখেছেন, “শেষে একটি প্রশ্ন- যাঁরা নবমীতে বিফ রাঁধতে প্রস্তুত, যারা অন্য কোথাও নয়, এই দেশেতেই থাকতে চান, তাদের মাঝে থেকে ও কাজ করেও ছবির পরিচালক নুরে ছফা-কে ধর্মান্তরিত করে নিরুপম চন্দ করে দিলেন কেন? কেনইবা ধর্মান্তরিত করলেন ওসি তোফাজ্জল (হয়েছে তপন), এসপি মনোয়ার (হয়েছে ইন্দ্রায়ুধ সেন) এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন অফিসার খোদাদাদ শাহবাজ খানকে (খরাজ খসনবীশ)? অথচ একই কাহিনীতে একজন পুলিশ ইনফরমার, একজন কবরের লাশ পাচারকারীকে এসব কিছুই করতে হলো না। চন্দ-খাসনবীশ-তপন-মনোয়ার-ইন্দ্রায়ুধরা কেন্দ্রীয় আর আতর-ফালু-রা প্রান্তবর্গীয় বলেই কি?
‘প্রশ্ন থাকে। থেকেই যায়। উত্তর ভাসে হাওয়ায়।’
সৃজিত নবীন লেখক। অনেক বিষয়ে হয়তো যথেষ্ট পরিপক্ব এখনো নন। বিশেষ করে রাজনীতির বিষয়ে। সেখানে প্রগতিশীলতার নামাবলি গায়ে চাপিয়ে কিভাবে ঘোরতর সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিতে হয়, সেটা সায়ম জানেন না। সম্ভবত সে কারণেই প্রশ্নটি উত্থাপন করে ফেলেছেন। অথবা নিজের ডানায় প্রগতিশীলতার সামান্য পালক লাগিয়ে নেয়ার চেষ্টায়। ওদেশে সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে মাঝে মধ্যে হা-হুতাশ করাও প্রগতির লক্ষণ বলেই জানি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর যেদিন অযোধ্যায় কট্টর হিন্দুবাদী রাজনৈতিক দলগুলো বিপুল আক্রোশে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দিচ্ছিল, সেদিন কলকাতা শহরের কী অবস্থা ছিল? এই কথাটি আমরা এই কলামে আগেও একবার বলেছি। কলকাতার সমস্ত প্রগতিশীল (!) মানুষ সেদিন কট্টর হিন্দু হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ মানুষের কথা হচ্ছে না। যারা নিজেদের প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক বলে পরিচয় দিয়ে দৈনিক পত্রিকা, সাময়িকী চালান সেসব সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কথা। তারা সেদিন এমনই আত্মতুষ্টি ও পবিত্র ধর্মীয় তুরীয়ানন্দে ভেসে গিয়েছিলেন যে, তাদের মিষ্টি বিতরণের জোয়ারে সেদিন কলকাতার প্রতিটি দোকানের সব মিষ্টি রাত ৯টার মধ্যে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল। সায়ম মুসলমানদের কথা বলেছেন। ‘যারা নবমীতে (দুর্গাপূজার নবমীর দিনে) বিফ রাঁধতে প্রস্তুত, যারা অন্য কোথাও নয়, এই দেশেতেই থাকতে চান’- এরা কারা? এরা হলো সেই মুসলমানরা ভারতের সমাজে যাদের কোনো জায়গা নেই। না শিক্ষা-দীক্ষায়, না ব্যবসায় বাণিজ্যে। না সরকারি-বেসরকারি চাকরি-বাকরিতে, না উন্নয়নে, অগ্রগতিতে। ৭ ডিসেম্বর ১৯৯২ অর্থাৎ বাবরি মসজিদ ভাঙার পরদিনের আনন্দবাজারে সেই সময়ের সেরা প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় খুব কেঁদেছিলেন মুসলমানদের কথা ভেবে। সেসব মুসলমান যাদের সাথে তার সম্পর্ক আছে, যাদের তিনি চলতে ফিরতে দেখেন, যারা তার দৈনন্দিন জীবনে উপকারী বন্ধু। তারা কারা? পাড়ার রাস্তার মোড়ে যে মুচিটা বসে, জুতো পলিশ করে দেয়; বাড়িতে প্রতিদিন দুধ দিয়ে যায় যে দুধওয়ালা, বাজারে টাটকা সবজি দেয় যে মেয়েটি, বাড়িতে দৈনিক কাগজ দিয়ে যায় যে ছোকরাটা, এদের সবার জন্য তিনি কাঁদেন। আহা এদের জীবন আজ বিপন্ন। কে যে কোথায় চলে গেল! কলকাতার সব পত্রিকার পাতা সেদিন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের চোখের জলে এমনই ভেজা ছিল যে, সেটা লুকিয়েও বর্ডার পার করাতে পারেনি। সীমান্ত রক্ষীরা লাগেজ তন্ন তন্ন করে খুঁজে রেখে দিয়েছিল। যদি মান যায় ভারতের!
একটি গোটা সম্প্রদায়ের ২০ কোটি মানুষকে ভারতে যে মানবেতর পর্যায়ে ঠেলে দেয়া হয়েছে তার নজির সম্ভবত ইসরাইল ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। এখন তো ভারতে মুসলমানদের অস্তিত্ব আক্ষরিকভাবে নির্মূলের ব্যবস্থা পাকা করা হয়েছে নাগরিকত্ব বাতিল করার মধ্য দিয়ে। আসাম থেকে শুরু হয়েছে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া। হয় দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে, না হলে মরতে হবে। মরতে হবে সরাসরি গুলিতে কিংবা বন্দিশিবিরে আমৃত্যু আটকে থেকে তিলে তিলে। কোনো বিকল্প নেই।
আমরা সম্ভবত প্রসঙ্গ থেকে একটু বেরিয়ে এসেছি। আবার প্রসঙ্গে ফিরি। সৃজিত কিন্তু এই পরিপ্রেক্ষিতটা ভালো জানেন। যে সমাজে উঁচুতলার মানুষেরা অবধারিতভাবেই সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষ, সেখানে চলচ্চিত্রের উচ্চপদস্থ কোনো চরিত্রের মুসলিম নাম মানানসই হবে কি? একজন থানার ওসি, একজন এসআই, বিশিষ্ট গোয়েন্দা এরা তো প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। এরা মুসলমান হলে সামাজিক গঠনের সাথে মানাবে কিভাবে? ওদেশের দর্শকও তো হোঁচট খাবেন এমন অসামঞ্জস্য দেখে। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গীয় সমাজের সাথে মানিয়ে নিতেই সৃজিত নাজিম উদ্দিনের মুসলিম চরিত্রগুলোকে ধর্মান্তরিত করেছেন। মুসলমানকে হিন্দু করে দিয়েছেন। আবার পুলিশের ইনফরমার, কবর খোদক এসব প্রান্তিক চরিত্র মুসলমান হবে এটাও তো স্বাভাবিক ওখানকার সমাজ কাঠামোর বিন্যাস অনুযায়ী। কাজেই ওগুলোর ধর্মান্তর করার দরকার সত্যিই নেই। এখানে পাঠক একটি প্রশ্ন তুলতে পারেন, বইয়ের প্রধান যে চরিত্র, মুশকান জুবেরি, সেটি তো পাল্টাননি সৃজিত। হ্যাঁ, এখানেও তিনি ঠিক কাজটিই করেছেন। কিভাবে? ভারতীয় সমাজে অপরাধী বলতে মুসলমানদেরই তুলে ধরা হয়। অস্বীকার করার উপায় নেই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মুসলমানদের মধ্যে কিছু মানুষ নিছক বেঁচে থাকার তাগিদে মরিয়া হয়ে নানা ধরনের অপরাধের সাথে হয়তো জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হন। ওদেশের চলচ্চিত্র, নাটক, টিভি সিরিয়াল যারা নিয়মিত দেখেন তারা জানবেন, অপরাধী চরিত্রগুলো বেশির ভাগই মুসলমান হয়। আর হয় অন্ত্যজ শ্রেণীর চরিত্রগুলো। সুতরাং একজন রহস্যময়ী অপরাধী হিসেবে মুসলমান মুশকান জুবেরি পারফেক্ট। পরিচালক হিসেবে সৃজিত এর মধ্যেই সুনাম কুড়িয়েছেন। পুরস্কারও পেয়েছেন বেশ কিছু। তিনি চরিত্রের নাম বাছাইয়ে ভুল করতে পারেন না। করেননি। বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্রটি নির্মাণের কথা ছিল। কোভিডের অজুহাতে সেটি এড়িয়ে গেছেন, কেবল প্রধান চরিত্রাভিনেত্রীকে নিয়েছেন এদেশ থেকে। আর এদেশের তরুণী অভিনেত্রীদের প্রতি তার যে একটি সত্যিকারের অন্তরের টান আছে সেটি তার সাম্প্রতিক কাজকর্মেও আমরা দেখেছি। দেশ-এর আলোচক সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায় তার প্রশ্নের জবাব পান না, ‘প্রশ্ন থাকে। থেকেই যায়। উত্তর ভাসে হাওয়ায়।’ এই হাওয়া রাজনীতির, সাম্প্রদায়িকতার। এই হাওয়া বিষাক্ত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা