২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রজাতন্ত্র ও ভঙ্গুর গণতন্ত্র

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ক্ষমতা কখনো অবারিত হয় না, বরং তা আইন ও সংবিধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতাচর্চার বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আইনকানুন, বিধিবিধান ও চাকরিবিধির কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না অতিউচ্চাভিলাষী আমলারা। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এখন বাঁশের চেয়ে কঞ্চিই বেশি পরিপুষ্ট। এ অবস্থায় আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্যে রাজনীতিকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে খোদ রাজনীতিকরা আত্মস্বীকৃতি দিতে শুরু করেছেন। জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিক ও আমলারা কর্মচারী হলেও রাজনীতিকদের বারবার ব্যর্থতার কারণেই তারা দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। অথচ সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে সরকারি কর্মচারীদের কর্তব্য সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘ঊাবৎু ঢ়বৎংড়হ রহ ঃযব ংবৎারপব ড়ভ ঃযব ৎবঢ়ঁনষরপ যধং ধ ফঁঃু ঃড় ংঃৎরাব ধঃ ধষষ ঃরসব ঃড় ংবৎাব ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব.’
একশ্রেণীর অসাধু আমলা এখন ধরাকে সরাজ্ঞান করা শুরু করেছেন। এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। এ বিষয়ে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিচ্যুতি, ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি ও রাজনীতিকদের পর্বত প্রমাণ ব্যর্থতাকে জোরালোভাবে দায়ী করা হচ্ছে। আর এ বিষয়টিই অধিক যুক্তিযুক্ত মনে করা হচ্ছে; কারণ রাজনীতিকদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে আমাদের দেশের রাজনীতির কক্ষচ্যুতি ঘটেছে। আর অরাজক পরিস্থিতির পুরোপুরি সুযোগ গ্রহণ করছে সুবিধাভোগীরা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ অভিযোগের মাত্রা আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। মেঠো বিরোধী দলগুলো বিষয়টি নিয়ে আগে থেকে সোচ্চার হলেও এখন জাতীয় সংসদে ‘চ্যারিটি ম্যাচ খেলা’ বিরোধীদলীয় শীর্ষ নেতার মুখেও এমন অভিযোগের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের অনেকটা খেদোক্তি করেই বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছেন জনগণ। আর তাদের ভোটে নির্বাচিতদেরই দেশ পরিচালনার কথা। কিন্তু কাজকর্মে এমপিদের খবর নেই, আর সচিবরা সব কাজ করেন, মন্ত্রীরা শুধু জানতে চান।’ বিষয়টি জাপা নেতার বিলম্বিত উপলব্ধি হলেও সত্য ভাষণের জন্য তিনি সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

কাদের যে পরিস্থিতির কথা বলেছেন তাতে দেশের বাস্তব চিত্রই ফুটে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে গণতন্ত্রের জন্য আরো দুঃখজনক পরিণতির আশঙ্কা করছেন। আমলারা যে জোর করে রাজনীতিতে আসছেন, এ কথাও ঠিক নয়। রাজনীতিবিদদের উপর্যুপরি ব্যর্থতার ছিদ্রপথেই সুযোগ নিচ্ছেন তারা। আর রাজনীতিকরা ক্ষমতার খুঁটি ঠিক রাখার জন্য এসব আমলাকে বরাবরই তোষণ করে চলেছেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যদি আমলাতন্ত্রনির্ভর হতে হয়, তা হলে আমলারা সুযোগ নেবেন- এটিই স্বাভাবিক।

একশ্রেণীর আমলার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ এ জন্য কম দায়ী নয়; কারণ এখন প্রশাসনের সচিব বা পদস্থ কর্মকর্তারা অবসরের পরই রাজনীতিতে যোগ দিয়ে এমপি-মন্ত্রী হওয়ার খোয়াব দেখেন। এ জন্য তারা গ্রাউন্ড প্রস্তুত করেন চাকরিতে থাকার সময়ই। সরকারি চাকরিতে থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা চাকরি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিভিন্ন কারণেই একশ্রেণীর আমলা সরাসরি দলীয় রাজনীতিতে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আমাদের দেশে করোনা ব্যবস্থাপনা ও এ নিয়ে বিভিন্ন কাজে মন্ত্রী-এমপিসহ মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদদের তেমন কোনো ভূমিকা দৃশ্যমান নয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ হয়তো কিছু করছেন। কিন্তু প্রশাসনিক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে তারা অনুপস্থিত। ফলে যারা জনপ্রতিনিধি তাদের কাজ চলে গেছে আমলাদের কাছে। আমলারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন। তাই তারা স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিতে কসুর করছেন না। এটি কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, বরং রাজনীতিকদের বড় ধরনের ব্যর্থতা।

আমলারা এ অযাচিত ক্ষমতা পেয়ে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কেউ কেউ নানাবিধ অপরাধপ্রবণতায়ও জড়িয়ে পড়ছেন। জনপ্রশাসন সচিব ঢাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘কর্মকর্তাদের অপরাধপ্রবণতা এখন এত বেশি যে প্রতিদিন তিন-চারটি করে বিভাগীয় মোকদ্দমা শুনতে হয় এবং বিভাগীয় মোকদ্দমায় অনেকের শাস্তি হচ্ছে। এটি জনপ্রশাসনের জন্য সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
মূলত সুস্থধারার রাজনীতি চর্চার অভাবেই আমলাদের প্রভাব অনেক বেড়ে গেছে। ক্ষমতার প্রয়োজনে আমলা নির্ভরতার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে রাজনীতিবিদদের দক্ষতার অভাবেও এটি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদরা। কিন্তু এখন তা করছেন আমলারা। তারা চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন এবং রাজনৈতিক তৎপরতাও চালাচ্ছেন। আমলাতন্ত্র এমন এক ব্যবস্থা যাতে স্থায়ী সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব বিভাজনের মাধ্যমে সরকারের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকেন। আমলারা জনপ্রতিনিধি বা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নন। ফলে রাজনৈতিক সরকার পরিবর্তিত হলেও আমলারা পদ হারান না। এ কারণে আমলাতন্ত্রে সরকার পরিচালনার ধারাবাহিকতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত হয়। আমলারা হলেন সরকারের অংশ যারা অনির্বাচিত। ঐতিহাসিকভাবে আমলারা সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। বর্তমান সময়ে আমলাদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বড় একটি অংশ পরিচালিত হয়।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ তথা জনপ্রতিনিধিরা রাষ্ট্রের আইনকানুন, নীতিকৌশল আর উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবেন, আর জনআকাক্সক্ষা পূরণে জনপ্রশাসনের সদস্যরা জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ ও মতামতকে বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নকে নিশ্চিত করবেন- এটিই তো প্রত্যাশিত। কিন্তু আমলাদের হাতেই এখন সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ। আর রাজনীতিকদের ভূমিকা ‘ধর হে লক্ষ্মণ’ আর ‘তাল পাতার সেপাই’-এর মতো, যা কোনো গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য নয়।

রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতা হারাচ্ছেন আর আমলারা ক্ষমতা অর্জন করছেন, এ কথা বলতে কোনো বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না; বরং ‘গরু-ছাগল চেনার যোগ্যতা’ থাকলেই তা উপলব্ধি করা যায়; কারণ স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা এখন ইউএনও বা ডিসির কাছে পুরোপুরি অসহায়। বস্তুত প্রতিনিধিরা এখন প্রায় ক্ষেত্রেই ক্ষমতাহীন সাক্ষীগোপাল মাত্র। ডিসি, ইউএনওর ওপর তারা কোনোভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। এ বিষয়ে একজন সংসদ সদস্যের উপলব্ধি গণমাধ্যমের খবরে এসেছে। আর তা খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও বেদনাদায়ক। তিনি এক তদবিরকারীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘কোনোরকমে মানসম্মান নিয়ে বেঁচে আছি, দেখো কোনোভাবে ইউএনও বা ডিসি সাহেবকে বলা যায় কি না!’ একজন সংসদ সদস্যের এর চেয়ে বড় অসহায়ত্ব আর কী হতে পারে?

এ বিষয়ে এক উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিমত আরো বেদনাদায়ক। তার ভাষায়, ‘আমরা তো নিয়ম রক্ষার পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও রাজি না হলে কাজ হবে না।’ এসব ঘটনায় প্রমাণিত হয়, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তে আমলারাই খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। আর রাজনীতিবিদরা ক্রমেই গুরুত্ব হারাচ্ছেন।

এ বিষয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ সংসদে দাঁড়িয়ে জেলায় জেলায় সচিবদের দায়িত্ব পালন নিয়ে যে আবেগঘন বক্তব্য রেখেছেন, তা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকারের বৈশিষ্ট্য নয়। জনগণের সাথে সদা সম্পৃক্ত, এলাকার সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা আর সুখ-দুঃখের সাথী জনপ্রতিনিধিদের পাস কাটিয়ে সচিব আর প্রশাসনের আমলারাই যে উন্নয়ন আর থোক বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন তোফায়েল তার বক্তব্যে তা খুবই স্পষ্ট। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘জনগণের দুর্যোগে, বিপদে আপদে রাজনীতিবিদরাই কাছে থাকেন। সরকারি কর্মকর্তাদের কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জনপ্রিতিনিধিদের সহযোগিতা করা, কোনোভাবেই উন্নয়ন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত গ্রহণ নয়।’ হানিফের বক্তব্যেও আমলাদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষের চিত্রই ফুটে উঠেছে, যা কোনো সুখবর নয়।

স্বাধীনতার পর মাত্র পাঁচ দশক অতিক্রান্ত হয়েছে। এরশাদের আমলে এ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু হয়েছিল। এই একনায়কের আমলের উপজেলা পদ্ধতিকে অনেকের খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। সে সময়ে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের কাছে উপজেলার কর্মকর্তাদের কাজের জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা ছিল। পরিষদের সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুধু সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে উপজেলা পরিষদের সদস্যরা মাসিক সভায় সামনের কাতারে আর কর্মকর্তারা পেছনের সারিতে বসতেন। কর্মকর্তারা উপজেলার মাসিক সভায় হাজির হওয়ার আগে জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হওয়ার ভয়ে তটস্থ থাকতেন। অপেক্ষাকৃত দুর্বল নৈতিকতার অধিকারী কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক নাজেহাল করার ভয়ে আতঙ্কে সময়ের হিসাব কষতেন। এখন স্বৈরাচারী ক্ষমতায় না থাকলেও পরিস্থিতির কিন্তু বড় ধরনের অবনতি হয়েছে। ফলে সুশাসন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই চলছে নানা ধরনের অসঙ্গতি।

কারণ হাল আমলে পুরো গণেশই উল্টে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন তো জনপ্রতিনিধিরা তটস্থ থাকেন, কর্মকর্তাদের উচ্চকণ্ঠের ভয়ে চেয়ারম্যানরা করুণা আর দয়া দাক্ষিণ্যের অনুসন্ধানেই ব্যস্ত থাকেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সভাপতির চেয়ারে বসলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সন্তুষ্ট করাই যেন উপস্থিত সদস্যদের একমাত্র কর্তব্য হয়ে ওঠে। কোনোভাবে নির্বাহী কর্মকর্তার চক্ষুশূল হলে বাজেট বরাদ্দ কাটছাঁটের ভয়ে জনপ্রতিনিধির হৃদয় কেঁপে ওঠে। সামরিক স্বৈরাচারের আমলেও যে জনপ্রতিনিধিরা বুক ফুলিয়ে উপজেলার মাসিক সভায় হাজির হয়ে কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে বাধ্য করতেন। কিন্তু সে অবস্থা আর অবশিষ্ট নেই; কারণ আমরা এখন ‘আমলাতান্ত্রিক গণতন্ত্র’ চর্চা করছি। তারাই এখন সব কিছুরই নিয়ামক। এমনকি নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের বিষয়ও।

জাতির যেকোনো সঙ্কটে রাজনীতিকরাই ভরসা। আমলাতন্ত্রের প্রতিভূরা এখনো ‘ভাই’ বা ‘আপা’ সম্বোধনে বিব্রত বোধ করেন, বিনা অনুমতিতে দফতরে প্রবেশ আইনত দণ্ডনীয় বলেই বিশ্বাস করেন। সেই আমলাতন্ত্র কখনো রাজনীতি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের জন্য সহায়ক হতে পারে না। আমলানির্ভরতাকে সহনীয় পর্যায়ে এনে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে, কাগুজে মর্যাদা নিয়ে যতই আত্মতৃপ্তি খোঁজা হোক, তা কখনোই সম্মানজনক নয়; বরং তা রীতিমতো আত্মপ্রবঞ্চনা। উন্নয়নের নামে আমলাতান্ত্রিক গণতন্ত্র জনবিচ্ছিন্নতার পথকেই করবে আরো প্রলম্বিত। আর এর ভিকটিম হতে হবে রাজনীতিকদেরকেই।

তাই দেশকে আইন ও সাংবিধানিক শাসনে ফিরিয়ে নিতে এই অশুভ বৃত্ত থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নিজ কক্ষপথে ফিরিয়ে আনতে হবে আমলাতন্ত্রকে। কারণ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমলাদের অপেশাদার ও দলবাজ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা সম্পর্কে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অগ ঙমম বলেন- (‘ঞযব নড়ফু ড়ভ ঃযব পরারষ ংবৎাধহঃং রং ধহ বীঢ়বৎঃ, ঢ়ৎড়ভবংংরড়হধষ, হড়হ-ঢ়ড়ষরঃরপধষ, ঢ়বৎসধহবহঃ ধহফ ংঁনড়ৎফরহধঃব ংঃধভভ .’) অর্থাৎ ‘রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তারা সুদক্ষ, পেশাদার, অধীনস্থ কর্মকর্তা যারা স্থায়ীভাবে চাকরি করেন এবং রাজনীতির সাথে যাদের কোনো সংশ্রব নেই’। মূলত অপেশাদার আমলাতন্ত্র ও ভঙ্গুর গণতন্ত্র কোনো জাতিরাষ্ট্রের জন্যই কল্যাণকর নয়।
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement