২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিশ্বনায়কের ইতিকথা

-

বড় বড় মানুষের জীবনী পড়া আমার পুরনো অভ্যাস। ইদানীংকালে সেই অভ্যাসটি অর্থাৎ বই পড়ার অভ্যাসটি সিনেমা দর্শনে রূপান্তরিত হয়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীর সব বড় বড় মানুষের জীবনী এখন প্রামাণ্য চলচ্চিত্ররূপে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে পাওয়া যায়। আপনার যদি ঐতিহাসিক বিষয়ে আগ্রহ থাকে তবে মাত্র ১ ঘণ্টার একটি ভালো মানের চলচ্চিত্র দেখার মাধ্যমে কোনো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আপনি যে ধারণা লাভ করতে পারবেন তা বই পড়ে অর্জন করতে হলে সময় এবং অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ অনেক গুণ বেশি হয়ে যাবে।

ইউটিউব নামক সামাজিকমাধ্যমটিতে আপনি যেমন পৃথিবীর প্রথম সম্রাট সারগণের যুদ্ধ, রাজ্য শাসন এবং মানবকল্যাণের ঘটনা সংক্রান্ত চলচ্চিত্র দেখে তার প্রেমে পড়ে যাবেন তেমনি মহামতি সাইরাস, দারারুস, চীনের প্রথম সম্রাট শি হুয়ান টির জীবনীও আপনাকে নিদারুণভাবে প্রভাবিত করবে। প্রাচীন দুনিয়ার পম্পেই দি গ্রেট, মহাবীর হানিবল বার্সা এবং তার বাবা হামিলকার বার্সা, জুলিয়াস সিজার, মার্কাস অরলিয়াস, আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট প্রমুখের জীবনী দর্শনের পর জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণাই পাল্টে যাবে। মধ্যযুগের মুসলিম শাসকদের মধ্যে খলিফা হারুন আল রশিদ, আল মামুন, আল মুইজ, তৃতীয় আবদুর রহমান, সালাউদ্দিন আইয়ুবী, সম্রাট আকবর, সুলতান মুহাম্মদ, সুলতান সুলেমান ছাড়াও পারস্যের শাহ ইসমাইলের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রগুলো আপনাকে নিদারুণভাবে আলোড়িত করবে।

আপনি যদি মধ্যযুগ ছেড়ে বিংশ শতাব্দীর মহামানবদের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্র দেখেন তবে আপনার কাছে এমন একটি অনুভ‚তি হাজির হবে যার কল্যাণে আপনি হয়তো অনেক মহামানবের স্পর্শ পেতে চাইবেন। নেলসন ম্যান্ডেলা, হো চি সিন, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চে গুয়েভারা ছাড়াও আপনি চীনের দেং জিয়াও পিং, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ প্রমুখের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো অধ্যয়ন করেন তবে খুব সহজেই মানুষ এবং অমানুষের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। রাষ্ট্রনায়ক বনাম রাষ্ট্রীয় ভিলেনের চরিত্র কেমন অথবা নিজের পিতা এবং জাতির পিতার মধ্যে পার্থক্য কি তা বোঝার জন্য গয়া-কাশি-বৃন্দাবন বা কামরূপ-কামাক্ষা যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

উল্লিখিত উপায়ে বিশ্বের রাজনীতি-অর্থনীতি-যুদ্ধ অথবা রাষ্ট্র গঠন, রাষ্ট্র পরিচালনা এবং মানুষের চিন্তা-চেতনা-বুদ্ধি এবং কল্পনার রাজ্যে পরিবর্তন আনয়নকারী মহামানবদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো দেখার পর আমার কাছে যে মহামানবকে বর্তমান শতাব্দী এবং বিগত শতাব্দীর অর্থাৎ বিংশ এবং একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিশ্বনায়ক বলে প্রতীয়মান হচ্ছে তিনি হলেন সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান, যাকে রাষ্ট্রটির জনক বা পিতা বলেও অভিহিত করা হয়। যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, কেন আমি সিঙ্গাপুরের মতো ছোট একটি রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যাকে তার প্রতিদ্ব›দ্বীরা ক্ষ্যাপাটে, রূঢ় বা নিষ্ঠুর, স্বৈরাচারী এবং গণতন্ত্রের নামে এক ব্যক্তির শাসন কায়েমকারী ব্যক্তি বলে আখ্যায়িত করে থাকেন তাকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিশ্বনায়ক বলছি। অথবা যেখানে পশ্চিমা দুনিয়ার চার্চিল, জেনারেল দ্য গল, জেনারেল আইসেন হাওয়ার, ট্রব্যান, কেনেডি ছাড়াও মিসরের গামাল আবদেল নাসের, সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল, লেলিন-স্ট্যালিন এবং ভারতবর্ষের মাওলানা আজাদ-গান্ধী-জিন্নাহর মতো দুনিয়া কাঁপানো লোকজন রয়েছে সেখানে কেন আমার কাছে লি কুয়ানকে শ্রেষ্ঠ বিশ্বনায়ক মনে হলো!

আমার মতে লি কুয়ানের শ্রেষ্ঠত্বের সাথে অন্য রাষ্ট্রনায়কদের শ্রেষ্ঠত্বের তুলনা হয় না। কারণ সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৯ সালের মে মাসের পাঁচ তারিখে যে সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে তিনি তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তার চেয়ে লাখ কোটি গুণ বেশি সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে তিনি স্বেচ্ছায় ১৯৯০ সালের মে মাসে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তার সুদীর্ঘ ৩১ বছরের শাসনামলে তিনি কেবল সিঙ্গাপুর নয়, তামাম দুনিয়ার জন্য যে সভ্যতার ইতিহাস রচনা করে গেছেন অমনটি অন্য কারো জীবনীতে দেখতে পাইনি। সিঙ্গাপুরকে নকল করে একই ধাঁচের নগররাষ্ট্র তৈরি করার জন্য ’৮০-র দশকে বিশ্বের তাবৎ ক্ষমতাধর এবং ধনী রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানরা লি কুয়ানের কাছে আসতে থাকেন। ফলে আমরা বর্তমানে দুবাই, আবুধাবী, শারজাহ, শেনঝেন, হংকং, সাংহাই, বেইজিংয়ের মতো নগররাষ্ট্রগুলো দেখতে পাই। একই পথ অনুসরণ করে মার্কিন মুলুকের হনলুলু, ইন্ডিয়ানা, ইউরোপের সাইপ্লাস, মোনাকো, মাল্টা এবং লুক্সেমবার্গ প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর হওয়ার জন্য।

আমরা যারা সাধারণ চোখে সিঙ্গাপুরকে মূল্যায়ন করি তাদের কাছে হয়তো ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্রটির ছিমছাম পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, উঁচু উঁচু বিল্ডিং, বিনোদন ও ব্যবসাবাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধা, উন্নত জীবন, উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা ইত্যাদি মুখ্য বিষয় বলে পরিগণিত হতে পারে। কিন্তু এই শতাব্দীর অন্যতম মহানায়ক এবং আধুনিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা দেং জিয়াও পিং যেদিন সিঙ্গাপুর এসেছিলেন লি কুয়ানের কৌশল রপ্ত করার জন্য সে দিন তিনি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, জনগণ কী কারণে সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রটিকে বিশ্বাস করছে ভালো বাসছে এবং সব বিষয়ে নিজের চেয়েও রাষ্ট্রকে নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ ভাবছে?

দেং জিয়াও পিং আরো জিজ্ঞাসা করেছিলেন শহরের জননিরাপত্তা, ন্যায়বিচার, মুক্ত অর্থনীতি, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন এবং সুখী জনগণের রহস্য সম্পর্কে। দেং এর প্রশ্নের জবাবে লি যা বলেছিলেন তার অসংখ্য ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গেলে নিবন্ধের পরিধি অনেক বড় হয়ে যাবে। সুতরাং দেং ও লিয়ের বৈঠকের চৌম্বক অংশটুকু বলে আমি পরবর্তী প্রসঙ্গে চলে যাবো। লি তার সহকর্মী অর্থাৎ মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য দেশ-বিদেশের ৮০০ মেধাবী মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যারা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরূপে সারা দুনিয়ার মধ্যে শীর্ষ বেতনধারী এবং সফলতম মানুষ ছিলেন। এর বাইরে বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য সেক্টরের সফলতম মানুষের সাক্ষাৎকারও তিনি নিয়েছিলেন।

লি খুব অবাক হয়ে লক্ষ্য করলেন যে, বিভিন্ন সেক্টরে চূড়ান্ত সফল হবার পরও বেশির ভাগ লোকের অর্থলোভ এবং ক্ষমতার লোভ প্রবল। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কিংবা বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত লাখ লাখ লোককে সফলভাবে নেতৃত্বদানকারী লোকটির মধ্যে তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলি দেখতে পাননি। তিনি তাদের মধ্যে সংবেদনশীল মন, সাহস, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এবং সাধারণ মানুষের সাথে মেলাশেলা করার যোগ্যতা দেখতে পাননি। অধিকন্তু তাদের শ্রবণশক্তিও ছিল ভয়ানক দুর্বল। অর্থাৎ তারা শুধু হুকুম দিতে অভ্যস্ত কিন্তু কারো আকুতি কিংবা পরামর্শ শোনার মতো কান তাদের ছিল না। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক আমলাদেরও মন্ত্রী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের অভ্যাস-রুচি, মনমানসিকতা দেখে ব্যথিত হয়েছিলেন। ফলে ৮০০ প্রার্থীর মধ্য থেকে মাত্র দুই-তিনজনকে তিনি মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন।

তিনি মন্ত্রীদেরকে সর্বোচ্চ বেতন দিতেন। অর্থাৎ সিঙ্গাপুর তো বটেই এমনকি লন্ডন আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী অথবা বিশ্বসেরা করপোরেট হাউজের প্রধান নির্বাহীর বেতনের চেয়েও লি কুয়ানের মন্ত্রীরা বেশি বেতন পেতেন। ফলে মাত্র সাত-আট বছরের মধ্যে তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে নামকরা- সফল ও সুন্দর বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর গড়তে পেরেছিলেন। একই সাথে বিশ্বের প্রধানতম বিমান সংস্থা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বা প্রধানতম শিপিং কোম্পানি এপিএল এনওলের সৃষ্টি হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের ব্যাংকিং, পুলিশি ব্যবস্থা, আমলাতন্ত্র এবং বিচারব্যবস্থাকে এমন উন্নত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যার সাথে তুলনা করা যায় এমন কোনো রাষ্ট্র ধরাধামে নেই। তিনি গর্ব করে বলতেন, পৃথিবীর সব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ মাটির নিচে আর আমাদের দেশের সম্পদ নগদে ব্যাংকে জমা রয়েছে যা যখন ইচ্ছে তখনই প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা যায়। কোনো দেশের সোনার খনি-তেলের খনি বা অন্য কোনো খনিতে যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ পরিশোধিত সোনা এবং নগদ অর্থ আমাদের রয়েছে।

লি কুয়ানের শ্রেষ্ঠত্ব তার দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের যে গ্রাফ রচিত হয়েছে তার মধ্যে নিহিত। সেখানকার লোকদের শিক্ষাদীক্ষা আইনের প্রতি আনুগত্য, নৈতিক সততা, সামাজিক সম্প্রীতি, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব পালনে একাগ্রতা ইত্যাদি সূচকে গত পঞ্চাশ বছরে সিঙ্গাপুরের জনগণ যে উচ্চতায় পৌঁছে গেছে তা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। ছিনতাই রাহাজানি চুরিচামারি সন্ত্রাস চাঁদাবাজি মাস্তানি দখলদারিত্ব ইত্যাদি মন্দ শব্দ এখন সিঙ্গাপুরের ডিকশনারিতে নেই। অন্য দিকে, ভোটচুরি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, দিনের ভোট রাতের আঁধারে সম্পন্ন করা, রাষ্ট্রীয় পদে থেকে মিথ্যাচার অনাচার ব্যভিচার, রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় বা লোপাট ইত্যাদি কিভাবে হয় বা হতে পারে তা এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরবাসী দেখা তো দূরের কথা কল্পনাও করতে পারে না।

লি কুয়ান তার দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিশেষ করে নারীদের শিক্ষিত হয়ে ওঠা নিয়ে একবার কৌতুক করে বলেছিলেন যে, এখন সিঙ্গাপুরের মেয়েরা এতটা শিক্ষিত হয়ে পড়েছে এবং কর্মজীবনে দক্ষতা ও সফলতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাদের বিয়ে দেয়া এখন সমস্যা হয়ে পড়েছে। পুরুষরা তাদের স্বভাব অনুযায়ী সাধারণত তাদের চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন। অলস এবং গৃহকর্মে পারদর্শিণী মেয়েদের বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আমাদের মেয়েরা রান্নাঘর ছেড়ে কর্মক্ষেত্রে এসে বহু পুরুষের বস হয়ে গেছে। ফলে এরকম অসংখ্য মেয়েকে বিয়ে করার যোগ্য পাত্র দেশে-বিদেশে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।

লি কুয়ান প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে অবসর নেন ১৯৯০ সালে এবং মারা যান ঠিক ২৩ বছর পর ২০১৩ সালে। অবসর গ্রহণের আগে তিনি তার দলে এবং পরিবারে যোগ্য উত্তরাধিকারী সৃষ্টি করেন। জীবদ্দশায় তিনি তার ছেলের পরিবর্তে গো চক টংকে দল এবং সরকারের প্রধান মনোনীত করেন এবং ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি কোনো ক্ষমতা অফিস বা দফতর ছাড়া নিছক পরামর্শক মন্ত্রীরূপে তার উত্তরাধিকারীদের সাহায্য করেছেন। এরপর ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মিনিস্টার মেন্টর হিসেবে দেশ-বিদেশে সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রকে তুলে ধরেছেন। তারপর যখন দেখলেন তার স্বপ্নের সিঙ্গাপুর বাস্তব রূপ নিয়েছে এবং তার উত্তরাধিকারীরা স্বাধীনভাবে সবকিছু করছে এবং তিনি তা দেখে উপলব্ধি করেছেন যে, তার অবর্তমানে সব কিছু আগের মতোই চলবে তখন তিনি শতভাগ অবসরে চলে যান এবং তার দুই বছর পর মারা যান।

লি কুয়ানের গৌরবময় মৃত্যুর মতোন এমন মৃত্যু এই শতাব্দীতে অন্য কোনো মহামানবের জীবনে ঘটেনি। দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের রাষ্ট্রের জনকের শেষকৃত্যে যে ভক্তি শ্রদ্ধা আবেগ অনুভ‚তির অশ্রু বিসর্জন করেছে এবং ঘটনার দিন মানুষের কান্নার সাথে পাল্লা দিয়ে আকাশ যেভাবে কেঁদেছে তা আপনি নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement
৮ মেগা প্রকল্পের নথি তলব দুদকের প্রত্যেক ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ছক আ’লীগের গণহত্যায় জড়িতদের জায়গা হবে না বিএনপিতে : ফখরুল আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো সাবেক এমপি ও ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা আমাদের শাসক আমরা ঠিক করব ভারত নয় : ডা: শফিক প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিরুদ্ধে হাসিনাকে কোর্টে যেতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ স্বতন্ত্র বিচার বিভাগ ও বিচারপতি নিয়োগ কাউন্সিল গঠন দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন চিঠির জবাব পেলে হাসিনাকে ফেরানোর পরবর্তী পদক্ষেপ

সকল