২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নির্বাচন ও নাগরিক দায়

- ফাইল ছবি

স্কুল জীবনে নাগরিকের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে কিঞ্চিৎ জ্ঞান লাভ করেছিলাম। অধিকার ও কর্তব্য পরস্পরের পরিপূরক এরকম ধারণাও দেয়া হয়েছিল। অধিকারের যে ফিরিস্তি দেয়া হয়েছিল তা এ দেশে এ সময়ে অবান্তর মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। বড় হয়ে এটিও বুঝতে শিখেছি যে, অধিকার অর্জন করতে হয়। স্বাভাবিকভাবে সাধারণকে অধিকার দেয়া হয় না। স্বাভাবিক অধিকার যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায়, তাহলে তার প্রয়োগ অসম্ভব হয়ে পড়ে। অধিকার যেহেতু অবান্তর, তাই প্রথম কর্তব্য হচ্ছে সেই হৃত অধিকার পুনরুদ্ধার। শাসনব্যবস্থায় স্বীয় প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার একটি মৌলিক বিষয়। রাষ্ট্র বা সরকার তা হরণ করতে পারে না। নাগরিকের কর্তব্য হচ্ছে, সে অধিকার ধারণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারিকভাবে তার প্রয়োগ নিশ্চিত করা। আমাদের পাঠ্যবইয়ে আছে ‘প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য হলো ভোট দান করা। কারণ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিনিধি নির্বাচন করাও নাগরিকের কর্তব্য। একজন সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের সময় ভোট প্রদান করে আইন বিভাগে আইন প্রণয়নে সহায়তা করা নাগরিকের কর্তব্য।’

আমাদের সংবিধানেও নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সপ্তম অনুচ্ছেদের ১১৮-১২৬ পর্যন্ত ধারাগুলোতে নির্বাচনের দায় ও দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা থেকে কমিশনের দায়িত্ব, ভোটার হওয়ার যোগ্যতা, নির্বাচনের সময়, নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা, সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দানে সরকারের বাধ্যবাধকতা ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশে আলোচনা করা হয়েছে। সংবিধানের এসব বিধানাবলি কার্যকর করণে যতটা না সরকার আগ্রহী তার চেয়ে বেশি আগ্রহী বিকৃতি সাধনে। তারা এর প্রয়োগ বা অপপ্রয়োগ করে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত, আরো দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র করছে। ১১৮ অনুচ্ছেদে ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশন গঠনের যে বাধ্যবাধকতার কথা বলা হয়েছে তা বিগত ৫০ বছরে কোনো সরকারই কার্যকর করেনি। কারণ ক্ষমতা তাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজন।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রæয়ারিতে। ২০২৩ সালের নির্বাচন যেহেতু আগামী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে, সেহেতু সরকার ও বিরোধী দল কমিশন সম্পর্কে নানা প্রস্তাবাবলি উত্থাপন করছে। নাগরিক সাধারণও স্বাভাবিকভাবে তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সব সংবাদপত্রে বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি বিবৃতি গুরুত্বসহকারে প্রকাশিত হয়। সংবিধানের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কমিশন গঠনের আহ্বান জানান দেশের ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। একই সাথে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচনকালে যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সে জন্য সংস্কার পদক্ষেপের বিষয়টি এখন থেকেই সরকারকে ভাবতে অনুরোধ করেছেন তারা।

গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, গত দু’টি নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আগে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে দু’টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। অস্থায়ী ভিত্তিতে সৃষ্ট ওই দু’টি অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে গঠিত রকিব ও হুদা কমিশন চরম পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। এর ফলে জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনাস্থা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে তীব্র শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। স্মরণ করা যেতে পারে, দৃশ্যত আইনের কাঠামোর মধ্যে ওই দু’টি কমিশন গঠিত হলেও কী করে কারচুপি ও প্রতারণার মাধ্যমে দু’টি কমিশনকে জায়েজ করা হয়েছে, তা নাগরিক সাধারণ অবহিত। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার নাম সরকারি দলের প্রস্তাবনায় ছিল না। এটি ছিল তাদেরই অনুগত নাম নেহাত একটি দলের সুপারিশ তালিকায়। জাতি দেখল, সরকারি দলের কোনো লোক কমিশনে নেয়া হয়নি। অথচ পূর্ব আলোচনা বা পূর্ব ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একজন অনুগত বিশ্বস্ত লোক পাওয়া গেল।

হুদার প্রথম থেকে অদ্যাবধি সমস্ত কার্যক্রম আলোচনা করলে দেখা যায়, তিনি তাদের প্রতি বিশ^স্ত থেকেছেন। নিজের ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতা বিসর্জন দিয়ে বশংবদের তালিকায় নামটি শক্তপোক্ত করেছেন। বিবৃতিতে বুদ্ধিজীবীরা বলেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন।’

আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে বিধানাবলির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করে থাকেন সেরকম ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সংবিধানে কেবল প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ বা নির্দেশনা গ্রহণে রাষ্ট্রপতি বাধ্য নন। রাষ্ট্রপতি যদি যথার্থভাবে আইন অনুযায়ী সংসদের মাধ্যমে একটি পৃথক আইন বা সংবিধান সংশোধনী আনয়ন করে প্রধান বিচারপতির নিয়োগের আলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন- তা হলে তা নাগরিক সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তার কারণ এই আইনের বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়ী থাকবেন না। আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণ বা অভিসংশন করা যাবে না। বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা আরো বলেন, বর্তমান নুরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ আগামী ফেব্রæয়ারি মাসে শেষ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ এখনই গ্রহণ করতে হবে। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাধীনভাবে ও সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত থেকে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে সব ধরনের আইনগত পদক্ষেপ যাতে নির্বাচন কমিশন নিতে পারে, সে জন্য দ্রুত উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।

একই সাথে নির্বাচনকালে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যাতে নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে বিষয়ে সংস্কার পদক্ষেপের কথা এখন থেকে ভাবতে অনুরোধ করেন বিশিষ্টজনরা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের যোগ্যতার মাপকাঠি প্রয়োজন নেই। একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান রাখতে হবে। এই অনুসন্ধান কমিটি দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হতে হবে। যাতে সব নির্বাচনী অংশীজনের কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। গঠিত অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্ব হবে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে উল্লেøখ করা যোগ্যতার মানদণ্ডের ভিত্তি সৎ, নির্দলীয় ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের একটি প্যানেল নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা। স্বচ্ছতার অংশ হিসেবে কোন কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের জন্য অনুসন্ধান কমিটি প্রাথমিকভাবে বিবেচনা করছে, তাদের নাম প্রকাশ ও গণশুনানির আয়োজন করা এবং কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর জন্য সেসব নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে, তার একটি প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করার বিধান আইনে উল্লেখ রাখতে হবে।

বিশিষ্ট নাগরিকরা আশা করেন, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করুক। প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন বিবৃতিদানকারী বিশিষ্ট নাগরিকরা। তবে সামগ্রিক বিচারে এটি একটি নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হতে পারে না। অতীত প্রমাণ করে, সরকার ছলে-বলে-কলে-কৌশলে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করে। তবে এ ধরনের আইনের বিধান ভবিষ্যৎ নির্বাচন ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবেই চিহ্নিত হবে। বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি সম্পর্কে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। এই বিবৃতিকে ভালো কথা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই আইনটা করবে কে? এই আইন তো পাস করবে সেই পার্লামেন্ট, যেখানে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউই নেই। যারা দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, জনগণের সমস্ত অধিকারকে হরণ করে নিচ্ছে, তারা এই আইনটি পাস করবে। সুতরাং নির্বাচনের আইন যারা করতে চান সবার আগে তাদের এই বিষয়টি লক্ষ রাখা উচিত।’

মির্জা সাহেবের কথায় যৌক্তিকতা আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে। আইনটি এই জাতীয় সংসদই করবে যদি নাগরিক সমাজ সেরকম পরিবেশ ও বাধ্যবাধকতার সৃষ্টি করতে পারে। সরকারের ধরনধারণ দেখে মনে হয় এরা কানে দিয়েছে তুলো, পিঠে বেঁধেছে কুলো। সুতরাং কোনো গালাগালি বা দাবি-দাওয়াকে তারা পাত্তা দিচ্ছে না। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া একবার পাকিস্তানি শাসক এলিটদের উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘ইহাদের চোখে বিলাই মুতি দিয়াছে’। এত বড় কথা আমরা লিখতে পারি না, শুধু উদ্ধৃত করতে পারি। ইতোমধ্যে একজন বিশিষ্ট কলামিস্ট লিখেছেন, ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?’ এর উত্তরে গণমাধ্যমে কথা এসেছে, ঘণ্টা বাঁধার দায়িত্বটি কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের নয়। গণতন্ত্রের লক্ষ্যে একটি গণ-অভ্যুত্থানের প্রয়াসে যদি শামিল হয় বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী এবং সব মানুষ, তাহলে জনতার বিপ্লব সফল হতে বাধ্য।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল দেশের নাগরিক সাধারণের পক্ষ থেকে এরকম দায়িত্বশীল বিবৃতিকে স্বাগত জানায়। এই মহল আরো মনে করে যে, তাদের এই প্রস্তাবনা গ্রহণযোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে তারা দেশে নাগরিক আন্দোলন শুরু করতে পারেন। দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহরে সভা-সমিতি ও সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করতে পারেন। দেশে যখন একটি ভয়ঙ্কর গণবিরোধী ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে তখন এই নাগরিক উদ্যোগকে সাহসী ও বিবেকবান মানুষরা নিশ্চয়ই স্বাগত জানাবেন। দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশের সাথে সাথে নাগরিক সাধারণের এক অংশে হতাশা ও নিস্পৃহতার ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকারের দমন-পীড়নের কারণেই এই পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল আরো মনে করে যে, বিবৃতিদানকারী নাগরিকরা সমাজের শীর্ষে সম্মানীয় অবস্থানে রয়েছেন। তাদের এই অবস্থানকে ব্যবহার করে শতধাবিভক্ত সমাজ ও পরস্পর বিবাদে লিপ্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি অভিন্ন কর্মসূচিতে তথা একটি যৌথ বা কৌশলগত আন্দোলনে শামিল করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ডান-বাম ও উত্তর-দক্ষিণ বিভাজন ভুলে যেতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারলে গণতন্ত্রের শুভ দ্বার উদ্ঘাটন হবে এবং তখন যার যার কর্মসূচি অনুযায়ী স্থায়ী তথা টেকসই গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হতে পারবেন। তবে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামই ত্যাগ ও তিতিক্ষাবিহীন নয়। নেতাজী যেমন বলেছিলেন- ‘আমাকে রক্ত দিন, আমি আপনাদের স্বাধীনতা দেবো।’ তেমনি আমরা বলতে পারি, যে জাতি রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সে জাতি প্রয়োজনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রক্ত দেবে।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement