২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

না আধুনিকতায়, না উত্তরাধুনিকতায়

-

অর্থনীতিতে আধুনিকায়ন বলতে নগরায়ন, শিল্পায়ন ইত্যাদির যে ধারণা, সমাজতত্তে¡ আধুনিকতা বলতে পুঁজিবাদের যে সমঅর্থ, তাতে সঙ্কট থেকে মুক্তি, না সে নিজেই সঙ্কটের গর্ভধারিণী?

আধুনিকতার সঞ্চয়ে আমাদের যুগ ও সমাজ সমস্যার সমাধান আছে কি? এমিল দুরখায়েম, কার্ল মার্কস কিংবা ওয়েবার কি আজকের জটিলতার নিষ্কৃতি? যে জটিলতা আজ আমাদের সামনে পরিবেশ দূষণের বিপদ নিয়ে জ্বলন্ত, বিশ্ববিনাশী অস্ত্রের বিস্তৃতি নিয়ে কম্পমান! যে জটিলতা আজ তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমে মিশে আছে চায়ের কাপে মিশে থাকা চিনির মতো! আজকের গুরুতর বিষয়গুলোর বিশ্লেষণ তাদের বয়ানে আমরা পাই কি? এমনকি তাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয়ে ভাসাভাসা আলোচনা করেছেন তারা। বর্ণপ্রথা কিংবা লিঙ্গবৈষম্যের মতো সঙ্কট তাদের মনোযোগ সেভাবে পায়নি। যুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদী প্রবণতা বলতে গেলে উপেক্ষিত হয়েছে; যেসব বিষয় দুনিয়াকে জর্জরিত করছে আজ।

অতএব, দুনিয়ার জ্বলন্ত পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান সঙ্কটগুলো বোঝার জন্য সচেষ্ট হলেন অনেক সমাজবিজ্ঞানী। ব্রিটিশ চিন্তক, রাজনীতিক এন্থনি গিডেন্স, জার্মান দার্শনিক হেবেরমাস, জার্মান সমাজতাত্তি¡ক উলরিচ বেক, স্পেনিশ বুদ্ধিজীবী ম্যানুয়েল ক্যাস্টেলস এদের অন্যতম। তাদের চিন্তা ও বিচারে বিশেষ মাত্রা থাকলেও আগ থেকে চলে আসা আধুনিকতা এবং আধুনিকতাজাত মতবাদগুলো দিয়েই বিদ্যমান দুনিয়ার সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ করার পক্ষেই ছিল তাদের অবস্থান। তারা এমনকি উত্তরাধুনিক পরিভাষাকেও আক্রমণ করেছেন। গিডেন্স দেখান, উত্তরাধুনিক কথাটার মানে হচ্ছে, আমরা আর আধুনিক যুগে বাস করছি না। মানবসমাজ তাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আধুনিকতাকে তো আপন অস্তিত্বের ক্ষেত্রে পেছনে ফেলে আসা হয়নি, সে নতুন অবয়ব নিয়েছে, নতুন বাস্তবতা তৈরি করেছে, শেষ তো হয়ে যায়নি। আজকের বিদ্যমান সমস্যা ও এর সমাধানচিন্তাকে সে চালিত করছে এবং এ চিন্তা ও নিষ্কৃতিপ্রক্রিয়ার জরুরি সব উপাদান সরবরাহে তার সক্ষমতা রয়েছে।

আধুনিকতা তাদের কণ্ঠে নিজেকে উচ্চারণ করতে থাকল। সে অবসিত হয়নি, তা বলেই থামল না, বলতে চাইল তার অবসান নেই। এটি নতুন নয়। ইতিহাসের সমাপ্তির ঘোষণা ফুকোয়ামার জবানিতেই নয়, পশ্চিমা এনলাইটেনমেন্টের তাত্তি¡কতার কণ্ঠে বহুল উচ্চারিত এক প্রগলভতা। ‘বাকি বিশ্বের অনগ্রসর সংস্কৃতিরহিত অসভ্যরা’ ইতিহাসের বাইরে থেকে জেগে ইতিহাসে ঢুকবে, কিন্তু এতে নতুন ইতিহাস দাঁড়াবে না!

এই তো কয়েক দশক আগে উপনিবেশিত মানুষ ঔপনিবেশিক প্রভুদের দৃষ্টিতে মানুষ হিসেবে ছিল অনেক নিচে, আধা-মানুষ কিংবা না-মানুষ। সেই দৃষ্টি জ্ঞানে ও ডিসকোর্সে এনার্কিজম, সিন্ডিক্যালিজম, বলশেভিজম হয়ে যে প্রকাশ লাভ করল, সেখানে উপনিবেশিতের ভাষা ভাষা পায়নি। তাদের থাকা সেখানে ছিল না। তাদের আওয়াজ শোনা যায়নি কান্টের ইতিহাসচিন্তায়, হেগেলের ইতিহাসবিচারে। মার্কস এখানে তরুণ ও পরিণত মার্কসে বিশ্লেষিত। কেউ তার মধ্যে খোঁজেন নিপীড়িতের ভাষা, কেউ তার মধ্যে দেখান আধুনিকতার দূষিত রক্ত।

সমাজতন্ত্রের যে প্রথাগত ধারণা, উত্তর আধুনিকতা সেখানে নির্দেশ করেছে আধুনিকতার খারাপ উপস্থিতি। পুঁজিবাদ ও প্রচলিত সমাজবাদে মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণকে চোখ রাঙায় বিবেচনারিক্ত প্রযুক্তিনির্ভরতা ও প্রবৃদ্ধিমুখিতা। উভয়ের ধরন প্রায় এক। উভয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্রসংগঠনে, শিল্পায়নভাবনায়, নগরব্যবস্থায়, প্রতিরক্ষায় একই বাস্তবতা বলা যায়। উভয়েই যন্ত্র ও যান্ত্রিকতায়, বস্তুসর্বস্বতা ও আত্মিক দারিদ্র্যে একই আত্মঘাতের সহযাত্রী। কেউই দিতে পারে না মুক্তি ও কল্যাণ; সমাজবাদ ব্যর্থতা স্বীকার করে নিজেকে গুটিয়েছে ময়দান থেকে। কিন্তু গণতন্ত্র? সে কেবলই এক প্রতিশ্রুতি। জ্যাক দেরিদা কবুল করেছেন, গণতন্ত্র; যে আসবে বলে অপেক্ষা চলে, এখনো আসেনি। এর মানে যে গণতন্ত্রের নামে দুনিয়া তোলপাড়, সে আসল গণতন্ত্র নয়।

পশ্চিমা চেরাগায়ন অপরাজেয় কর্তৃত্ব দাবি করছে এসব দগদগে ক্ষত বুকে নিয়ে। সব ধরনের সমাজকে নিজের হাত দিয়ে সাজাতে চাইছে। সব সংস্কৃতির ওপর নিজের শ্রেষ্ঠত্বের বোধে বুঁদ হয়ে আছে এবং অন্যদের বুঁদ করে রাখতে চাইছে। যেখানে সব শহর হতে চাইবে ওয়াশিংটন, বার্লিন, প্যারিস বা লন্ডন। তাদের কোনো দিকের সাথে নিজের সাদৃশ্য কল্পনা করে তৃপ্ত হবে এবং তৃপ্তির প্রচার করবে। শাসকরা নিজেদের অগ্রসরমানতার নিদর্শন হিসেবে বলবে, আমাদের অমুক শহর প্যারিসের মতো! এর মধ্যে তালাশ করবে হয়ে ওঠার পথে অগ্রগতির দৃষ্টান্ত ।

এই যে হয়ে ওঠার, মানে তাদের মতো হতে চাওয়া ও হতে থাকার অব্যাহত দৌড়, এই দৌড়ের মধ্যে থাকা রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি সাবেক ঔপনিবেশিকতার নতুন চিত্রপটকে দৃশ্যায়িত করে মাত্র। যেখানে উপনিবেশ অদৃশ্য, কিন্তু তার প্রভাব ও আলামত আমাদের মন ও মগজের নাকে দড়ি লাগিয়ে রাখালি করে চলে! মানে আমরা চালিত থাকি, তারা চালক থেকে যায়।

যেখানে চালিতরা অনুকরণের জন্য পশ্চিমকে জানবে এবং চালকরা উপনিবেশিতদের জানবে জয় করার জন্য। জয়ের মধ্য দিয়ে তাদের শাসন করা হবে, যা তাদের প্রতি অনুগ্রহ। তারা শাসিত হওয়ার মধ্যে দেখবে নিজেদের সম্পন্নতা। যেহেতু তারা সংস্কৃতিতে পিছিয়ে, অদ্ভুত, পরিবর্তনে অপ্রস্তুত, মানায় না এমন বাস্তবতায় বন্দী, কিন্তু এ থেকে জেগে উঠতে অসহায়। ফলে তারা ইতিহাসের বাইরে পড়ে রয়। তাদের ইতিহাসে জেগে ওঠার মানে হলো, পশ্চিমা প্রদীপায়নের আলো ধার করা। সেই শিল্প-সংস্কৃতি, সমাজব্যবস্থা, সেই অর্থনীতি, সেই দৃষ্টি ও দৃষ্টিকোণকে কবুল করা!

অতএব তাদেরকে জাগিয়ে তোলা ও বিশ্বমৈত্রীর জন্য দরকার বিশ্বায়ন; যা অনুন্নতদের উপরে তুলবে এবং এমন অগ্রসরমানতায় যুক্ত করবে, যা তাদের গ্রাম্যতা অতিক্রম করে নাগরিকতায় স্বচ্ছন্দ করবে। আধুনিকায়নের জাতক যে বিশ্বায়ন, সে পুঁজিবাদ ও পশ্চিমা সাংস্কৃতিক হেজিমনির নির্দেশে আমাদের চোখ গঠনে সব ধরনের প্রচারণা ও প্রতারণাকে সক্রিয় করল। ফলে আমাদের চোখ ডাবের পানির মধ্যে দেখাতে শুরু করল গ্রাম্যতা, পেপসি-সেভেন আপের মধ্যে দেখাল আধুনিকতা। জীবনব্যবস্থায় ধর্মীয় আনুগত্যে দেখাচ্ছে মধ্যযুগীয় আবদ্ধতা, সেক্যুলারিজমে দেখাচ্ছে সভ্যতা। আত্মস্বাতন্ত্র্যে দেখাচ্ছে প্রতিক্রিয়াশীলতা, বৈশ্বিক কেন্দ্রিকতায় দেখাচ্ছে প্রগতি।

এই কেন্দ্রিকতা কথাটা ভালো। কিন্তু কেন্দ্রটা কার? সভ্যতা কথাটা সুমধুর। কিন্তু সভ্যতাটা কার? আধুনিকতা খুবই সম্মোহক শব্দ। কিন্তু এর স্বরূপটা কী? প্রশ্ন জাগা অবধারিত। পশ্চিমা যে হেজিমনি আমাদের জ্ঞানকাণ্ড, চিন্তা ও সংস্কৃতিতে প্রতিষ্ঠা চায়, সে এই প্রশ্নের সুযোগ উত্তরাধুনিকতাকে দেয়। কারণ সে তার বিকল্প নয়। সে উপরিতল সর্বস্ব। যা কিছু তার হাতিয়ার, সেগুলো পশ্চিমা মস্তিষ্ক শাসনের নানা রকম আসবাব এবং তার বিকাশের পথে পশ্চিমা পুঁজি সক্রিয়। সে আসলে আধুনিকতাকে উচ্ছেদ করছে না, তার অব্যবস্থা ও দুর্বলতাকে প্রশ্ন করছে। সে আধুনিকতার সমালোচক, এমনকি অবসানের প্রস্তাবক। কিন্তু তার হাতে আধুনিকতার অবসান নেই। কারণ আধুনিকতার দুর্বলতার প্রেক্ষাপটে তারই উদর থেকে সে জন্মগ্রহণ করেছে। সে প্রভাবিত হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংস ও বিনাশ দ্বারা। কোনো কিছুকে ধ্রুব জেনে কোনো আদর্শকে সে প্রস্তাব করে না। তবে উত্তরাধুনিক শিল্প-সাহিত্য চর্চা রঙ ও তুলিতে কেবল ক্যানভাসকে রাঙিয়ে দায়িত্ব শেষ করে না বরং সমকালীন ঘুণেধরা সমাজবিশ্বাসের বাস্তবতায় প্রবলভাবে আঘাত করে এবং পুঁজিবাদী সভ্যতার পরিচিত মানচিত্রকে কাঁপিয়ে দেয়। সে লক্ষ্য করে, ভোগকেন্দ্রিক সমাজব্যবস্থায় ক্রেডিটকার্ডমুখী ক্রেতাদের উত্থান, যে ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে সবাই বাধ্য। সবাই চাপে আছে অন্যের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে এবং নিজেদের স্টাইল প্রকাশের প্রতিযোগিতায়। লোকদেখানো এসব পণ্যের ও স্টাইলের প্রতিযোগিতা আধুনিকতা নির্ধারণ করছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো নির্ধারণ করছে মানসম্মত জীবনের স্বরূপ। অবিরাম বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তারা এটি করছে, ভোক্তাদের চাহিদা সৃষ্টিতে খাটছে মিডিয়া, মানুষ সেই চাহিদার হাতে নিজেদের সমর্পণ করছে আধুনিক হবে বলে! কিন্তু সে জানে এই সিস্টেমের হাতে সে নিপীড়িত এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রলোভনের অসহায় শিকার।

জগৎ হয়ে উঠছে ভোগ্যপণ্যকেন্দ্রিক ও পণ্য সমাজে স্তরবিন্যাস করছে এবং মনমানসিকতা নির্ধারণ করছে। যারা এই জগতে প্রবেশ করছে, তারা এমন কোথাও প্রবেশ করছে, যেখান থেকে বের হতে পারছে না। আর যারা এখানে প্রবেশ করতে পারেনি, তারা সমাজের বঞ্চিত ভোক্তা। ভোগ্যপণ্যের পূজারী সমাজে তারা আছে নানামাত্রিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতায়! আধুনিকতার এই যে শূন্যতা, দ্ব›দ্ব, অমানবিকতা, এর ওপর প্রতিক্রিয়া জানাল উত্তরাধুনিকতা। পশ্চিমা সমাজব্যবস্থাকে সোসাইটি না বলে সোসাইলিটি বা সামাজিকতা বলে আখ্যা দিলো, যে সামাজিকতার স্থিতিশীল কোনো ধরন বা প্রকৃতি নেই; বরং সে নিজেই একেবারে ভঙ্গুর, বিক্ষিপ্ত।

সামাজিক পরিস্থিতি এখানে মানবিক পরিচয় ও সম্মান নির্ধারণ করে না, বরং মানুষের নিজস্ব প্রয়াসে ভোগ্যপণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে আপন পরিচয় তুলে ধরতে হয়। বাজারে প্রচলিত ভোগ্যপণ্য ব্যক্তি ও সমাজের অগ্রগতির মাত্রা নির্দেশ করছে। এ সমাজে গতিশীলতার সম্ভাবনা আছে, পরিবর্তনের সুযোগ আছে বিস্তর। কিন্তু এর না আছে কোনো নির্ধারিত গতিবিধি, না আছে সঠিক কোনো গতিধারা। বরং সে অতীত থেকে পালাচ্ছে এবং মানুষ পালাচ্ছে মানুষ থেকে।

উত্তরাধুনিকতা এসবে উদ্বিগ্ন ও সংক্ষুব্ধ। প্রচলিত রাষ্ট্রচিন্তা ও সামাজিক বিকাশকে সে প্রশ্ন করে এবং ডাডাইজমের দিকে পা বাড়ায়। আধুনিকতা যেখানে কাঠামোর চক্রবদ্ধতা, উত্তরাধুনিকতা সেখানে ফর্মের শাসনে অনুগত নয়। আধুনিকতাবাদ যেখানে জ্ঞান অর্জনে যুক্তিকে এবং যৌক্তিক উপায়কে প্রধান অবলম্বন করে নেয়, উত্তরাধুনিকতা সেখানে যৌক্তিক চিন্তাভাবনার কর্তৃত্বকে করে প্রত্যাখ্যান, এককেন্দ্রিকতার বদলে বহুকেন্দ্রিকতাকে করে আমন্ত্রণ এবং বিচিত্র সংস্কৃতি ও বিশ্বাসকে স্বীকার করে নেয়।

উত্তর আধুনিকতা আলোকপাত করে সেসব গুণ, বৈশিষ্ট ও কৌশলের ওপর, যা সত্য ও মিথ্যায় সৃষ্টি করে একধরনের বহুমাত্রিকতা। ফলে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত যেকোনো কিছুর আয়ুষ্কাল হয় খুবই স্বল্প এবং সব কিছুতে আরোপিত হয় অস্থায়িত্ব ও অস্থিতিশীলতা।

প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা এখানে বদলে যায়। বদলে যাওয়া সংজ্ঞাও দ্রুত বদলে যায়। চূড়ান্ত কোনো অর্থের গুরুত্ব থাকে না, সত্যের মূল্য থাকে না, বাস্তবতার আবেদন নিশ্চিত হয় না। বরং উত্তরাধুনিকতার মূল বিষয় হয়ে ওঠে তুচ্ছ এবং অস্থায়ী বৈশিষ্টমণ্ডিত মানবজীবনের ক্ষণকালীন জীবনযাত্রা। এখানে সত্য বলে স্থির নেই কিছু। গতকাল যা সত্য, আজ তা হয়ে উঠছে মিথ্যা। অর্থ এবং উপাদান এখানে মুখ্য হয়নি, মুখ্য হয়েছে স্বরূপ, প্রবণতা ও কৌশল।

কিন্তু সত্যের নিশ্চিতি না থাকলে, সদর্থের প্রতিষ্ঠা না থাকলে, উপাদান সুনিশ্চয় না হলে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা কিভাবে উন্মুক্ত করবে মুক্তির দরোজা?

বস্তুত আধুনিকতা পশ্চিমের প্রবল শক্তি ও দুর্বলতা। এ শক্তির অহমকে সে ছাড়তে পারছে না, এই দুর্বলতার ক্ষয় ও পচন তাকে ছাড়ছে না। এ অহম যত বাড়বে, সমান মাত্রায় বাড়বে তার পচন। নিজস্ব উপাদান দিয়ে এ থেকে তার মুক্তির পথ প্রশস্ত নয়। অতএব পশ্চিমা একাধিপত্য থেকে যে শাসিতরা মুক্তি চায়, তাদের হাতিয়ার হিসেবে আদর্শ নয় এমন আদর্শ, যার প্রস্তাবনা আসে পশ্চিমা সভ্যতার ভেতর থেকে, তার নিজস্ব দুর্বলতা থেকে!

লেখক : কবি, গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement
তাবলিগ জামাতের বিবদমান ২ গ্রুপের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে আইনি নোটিশ হাজীদের সেবা করতে পেরে আমরা গর্বিত ছাত্রদলের ১১ ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা ঢাকায় আসতে পারে ইলন মাস্ক! ঢাকা-চট্টগ্রাম জ্বালানি তেল পাইপলাইন জানুয়ারিতে চালু হবে পুরানো ল্যাপটপে ৫০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাস আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের আহ্বান টিআইবির সংস্কৃতি ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগিয়ে তোলার বৈপ্লবিক উপাদান : রাহাত ফতেহ আলী খান অবসরে যাওয়া বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার

সকল