২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেশটা কি ‘দুগ্ধবতী গাভী’?

- প্রতীকী ছবি

দেশে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে সর্বত্রই। মনে হচ্ছে, দেশটা যে রীতিমতো দুগ্ধবতী গাভীতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাতেও স্বস্তি মিলছে না। মূলত দেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম একপ্রকার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে বলা যায়। এ থেকে মুক্ত নয় রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারি কেনাকাটাও। আর লাগামহীন দুর্নীতিই আমাদের সব অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ; স্বাধীনতার স্বপ্নগুলোও পূর্ণতা পাচ্ছে না। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্য বাস্তবসম্মত। তার ভাষায়, ‘দুর্নীতি একটি ক্যান্সার, যা গণতন্ত্রের প্রতি নাগরিকের বিশ্বাস নষ্ট করে এবং উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার ইচ্ছাকে দুর্বল করে দেয়।’

আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধির জন্যই রাষ্ট্র উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, অপচয় ও অপব্যবহারের জোরালো অভিযোগ অতি পুরনো। সড়ক-মহাসড়ক-সেতুসহ সরকারি অবকাঠামো নির্মাণ, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিভাগের জন্য সরকার যে বাজেট বরাদ্দ দেয়, তার বেশির ভাগই চলে যায় দালাল ও মধ্যস্বত্ব¡ভোগীদের পকেটে- এমন অভিযোগের ভিত্তিও বেশ জোরালো। তাই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা, রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপচয় ও কাজের মানহীনতার অভিযোগ কারো অজানা নয়। এমনকি সরকারি কেনাকাটায়ও চলছে লাগামহীন ‘হরিলুট’।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের সরকারি প্রকল্পগুলোতে উন্নয়নের চেয়ে অর্থ খরচই মুখ্য হওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে, অর্থ খরচের চিন্তা থেকে প্রকল্প না নিয়ে অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্দেশ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে। গৃহীত প্রকল্প থেকে দেশের কতটুকু উন্নতি হবে আর এর সুফল জনগণ কতটুকু পাবে, তা বিবেচনায় নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। একই সাথে কষ্টার্জিত অর্থের অপব্যবহারের বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথাও বলা হয়েছে।

শুধু উন্নয়ন প্রকল্পে নয়, বরং সরকারি কেনাকাটায়ও ‘শনির আছর’ পড়েছে। ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকায় পর্দা ও প্রতিটি স্টেথোসকোপ এক লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকায় কেনার মাধ্যমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জাতিকে সে বার্তাই দিয়েছে। পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকায় বালিশ, তা ফ্ল্যাটে তোলার খরচ ৭৬০ টাকা, একেকটি বিছানা পাঁচ হাজার ৯৮৬ টাকা, আর তা উপরে উঠাতে ৯৩১ টাকা খরচ দেখিয়ে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসন প্রকল্প, যা অতীতের সব নির্লজ্জতাকে হার মানিয়েছে।

মূলত দুর্নীতি ও অনিয়ম এখন সব ক্ষেত্রেই সর্বগ্রাসী রূপ নিয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে রাষ্ট্র যে পরিমাণ টাকা খরচ করছে লাগামহীন দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা তার পুরোপুরি সুফল পাচ্ছি না। অপচয় ও দুর্নীতিই আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রক্রিয়ায় চলছে এসব। জেলা, উপজেলা, বিভাগ, রাজধানীসহ দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে অপচয়, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা হচ্ছে না। আর এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোও যা আমাদের জাতিসত্তার ভিত্তিমূলকেই প্রাণহীন ও দুর্বল করে দিচ্ছে।

এ ছাড়াও লাগামহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে রাষ্ট্রীয় ১৩ করপোরেশনে অব্যাহতভাবে লোকসান এখন উদ্বেগজনক পর্যায়ে। বছরের পর বছর ধরে লোকসানের পাশাপাশি ঋণভারে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন, বিজেএমসি, বিসিআইসি, বিএফআইডিসি, বিটিএমসি, ঢাকা ওয়াসা, বিআরটিসি, টিসিবি, খুলনা উন্নয়ন করপোরেশন, বিএফডিসি, বিআইডব্লিউটিএ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার বা বিটাক অন্যতম। ইতোমধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি লোকসান দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন। বিদায়ী অর্থবছরে এর লোকসানের পরিমাণ এক হাজার ৬১ কোটি টাকা। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় ৩০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টির কাছে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাওনার পরিমাণ ৩৯ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের।

মূলত ঋণ ব্যবহারে দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, ট্রেড ইউনিয়নের অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ, প্রয়োজনের চেয়ে অধিক জনবল, ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাচারিতা, অদক্ষতা, পেশাদারিত্বের অভাব, মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে ব্যর্থতা, অধিক উৎপাদন ব্যয়, প্রভৃতি প্রধান লোকসানের কারণ। কিন্তু এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের হলেও এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো সাফল্য নেই। এমনকি প্রায় ক্ষেত্রেই এসবের সাথে সরকার সংশ্লিষ্টদের জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। জনসচেতনতার অভাবও এ জন্য কম দায়ী নয়। কারণ অন্যায়ের বিরোধিতা করে সরকারকে সচেতন করে তোলা সুনাগরিকের দায়িত্ব। এডওয়ার্ড গ্রিফিনের ভাষায়, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরোধিতা করা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশ।’

এসব নৈরাজ্য থেকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোও মুক্ত নয়। আর সরকারি কেনাকাটা মানেই যেন, হরিলুটের মহোৎসব। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, কক্সবাজার পৌরসভার রাস্তার জন্য প্রতিটি ১০০ ওয়াট এলইডি লাইটের দাম ধরা হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৯০ টাকা। প্রকল্পের প্রস্তাব থেকেই এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ‘কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার রাস্তার জন্য এলইডি বাতি সরবরাহ ও স্থাপনের মাধ্যমে আধুনিকায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের প্রেক্ষাপট দাবি করে এতে বলা হয়েছে, ‘কক্সবাজার একটি পর্যটন শহর। প্রতিদিন দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। নিরবচ্ছিন্ন নাগরিক সেবা দিতে কক্সবাজার পৌরসভাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেবার মানোন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত আলোক ও নিরাপত্তাব্যবস্থা প্রয়োজন। তাই আধুনিক ও বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি সড়কবাতি ক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।’

খরচের হিসাব থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবে প্রতিটি ১০০ ওয়াট এলইডি লাইটের দাম ৬৯ হাজার ৬৯০ টাকা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ৪০ ওয়াট এলইডি লাইট ৩১ হাজার ৯৭১ টাকা, প্রতিটি ৬০ ওয়াট ৫৫ হাজার ৩২১ টাকা এবং প্রতিটি ৮০ ওয়াট ৬৬ হাজার ৬৯৭ টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু এসব লাইটের দরের পেছনে কোনো মার্কেট যাচাই না করার অভিযোগ উঠেছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পে গাড়ি কেনার কোনো প্রস্তাব না থাকলেও পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে, যা দুর্নীতির ব্যাপকতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।

চীনা বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, কোম্পানি ও লাইটের মানভেদে প্রতিটি সেটের দাম ১২ ডলার থেকে সর্বোচ্চ ১৭৮ ডলার পর্যন্ত রয়েছে; যা স্থানীয় টাকায় ৮৫ টাকা হিসাবে ডলারের বিনিময় মূল্য ধরলে সর্বনিম্ন এক হাজার ২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ১৩০ টাকা। চীনের জংসান ইয়াই লাইটিং কোম্পানির দর ৩২.৫ থেকে ৮৪.৫ ডলার প্রতিটি সেটের। হাংজুয়া টেকনোলজির ওয়েব তথ্যানুযায়ী, প্রতিটি এলইডি সেটের দাম ১২ থেকে ৬৫ ডলার পর্যন্ত। এ ছাড়া ইয়াংজু বেস্টার্ন ইন্টার, ট্রেডিং কোম্পানির সোলার এলইডি ওয়াটার প্রুফড লাইটের সেটের দাম ২০ থেকে ১৫০ ডলার। এগুলো সাড়ে ৭ থেকে ৪২০ ওয়াটের। এ ছাড়া ইয়াংজু ইয়াংফেং নিউ এনার্জি টেকনো কোম্পানি লিমিটেডের ১৪৮ থেকে ১৭৮ ডলার। এ দিকে সংশ্লিষ্ট সরবরাহকারীর তথ্য অনুযায়ী সেটসহ ৬০ ওয়াটের প্রতিটি লাইটের দাম সর্বোচ্চ ২৯৮ ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় ২৫ হাজার ৩৩০ টাকা। এদের সর্বনিম্ন দর হলো ৮৫ ডলার।

মূলত এলজিইডির সিটি গভর্ন্যান্স প্রজেক্টের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে এলইডি সড়কবাতির দর এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন ওয়েস্টার্ন ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী এলইডি বাতির বর্তমান বাজারদর, বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য সমন্বয়ে ব্যয় নির্ধারণ করার তাগিদ দিয়েছে। একই সাথে কেনা বাতি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির দাম নির্ধারণের জন্য কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে কমিশন। এ কমিটির মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি দৃশ্যত ইতিবাচক মনে হলেও অতীতে এ ধরনের প্রক্রিয়া প্রায় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল বয়ে আনেনি, বরং ফল হয়েছে ঠিক উল্টো। তাই এবারো খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। বিষয়টি যথারীতি ‘চর্বিত-চর্বণ’ বলেই মনে হচ্ছে।

কক্সবাজার পৌরসভার কেনাকাটায় বড় ধরনের অনিয়মকে একপক্ষীয় মনে করার কোনো সুযোগ নেই, বরং সার্বিক দিক বিবেচনায় এ প্রক্রিয়ার সাথে অন্যরাও জড়িত আছে বলেই অনুমিত হয়। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের বক্তব্য হচ্ছে, ‘ওই পৌরসভা প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হলেও এই দায় একার নয়।’

কারণ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তা হলে ওই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কী করেছেন? এরপর এটি আসে পরিকল্পনা কমিশনের কাছে। তারা এটি কিভাবে অনুমোদন দিয়েছেন? এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব। এসব ধরার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। এটি কমনসেন্সের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা যায়। কিভাবে এসব পার হয়ে যাচ্ছে?’ এ বক্তব্যকে অযৌক্তিক মনে করার কোনো সুযোগ নেই, বরং পুরো প্রক্রিয়াটিই রীতিমতো রহস্যজনক।

আসলে লাগামহীন দুর্নীতিই দেশের প্রধান জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই, যা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতামুক্ত রয়েছে। আর লাগামহীন দুর্নীতি নিয়ে কোনো রাষ্ট্র সামনের দিকে এগোতে পারে না। আমাদের জাতীয় জীবনে অনেক বড় বড় অর্জন থাকলেও দুর্নীতির কারণেই আমরা অনেকটাই পশ্চাৎপদ। তাই জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।

এ বিষয়ে মনীষী রে ডেভিসের বক্তব্য খুবই প্রাণবন্ত ও হৃদয়গ্রাহী। তিনি বলেছেন, ‘অবৈধ অর্থলিপ্সা ও দুর্নীতি জমিন নষ্ট করছে, কুটিল রাজনীতিবিদরা শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। আমাদেরকে ভেড়ার মতো ব্যবহার করছে এবং আমরা যে প্রতিশ্রুতি শুনেছি, তা শুনে শুনে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি; যা তারা রক্ষার বিষয়ে আন্তরিক নয়।’ তাই আমাদেরকে অবিলম্বে এই অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেশকে ‘দুগ্ধবতী গাভী’ মনে করার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই, বরং সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রয়োজন।
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement