২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অনিবার্য ইবনে খালদুন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

[প্রথম কিস্তি]

সন্দেহ নেই, কী পূর্বে কী পশ্চিমে ইবনে খালদুনকে নিয়ে বিপুল গ্রন্থ রচিত হয়েছে। আধুনিক বিদ্যায়তনে তাকে নিয়ে রচিত গ্রন্থ হাজারের অধিক। যদিও আজিজ আল আজমেহের ইবনে খালদুন ইন মডার্ন স্কলারশিপ গ্রন্থে প্রায় ৮৫০ এর অধিক গ্রন্থ তালিকাভুক্ত করেন, রবার্ট আরউইন লিখেন, ‘সময়ের সাথে সাথে এটি বোধহয় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার কথা।’ শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে মামলুক গ্রন্থপঞ্জিতে তার ওপর রচিত ৮৫৮টি গ্রন্থ ও প্রবন্ধ তালিকাভুক্ত রয়েছে। এ তালিকায় স্থান পায়নি মরক্কো ও আন্দালুসিয়ার গ্রন্থাবলি। আরউইন বিভিন্ন কাল আর ভাষায় রচিত গ্রন্থের পরিসরের দিকে তাকিয়ে লিখেন, ‘আপনি যদি ইবনে খালদুনের ওপর লিখিত যাবতীয় সব কিছু পড়ে ফেলতে চান, তা হলে একজনমেও শেষ হবে না।’ এত আলোচনা তাকে নিয়ে হয়েছে, যা সমাপ্তির দিকে নয়, আরো আলোচনার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এ বিশেষ এক দিক; যা আজকের দুনিয়ায় ইবনে খালদুনের প্রাসঙ্গিকতাকে শুধু বয়ান করে না, বরং আজকের দুনিয়াকে ইবনে খালদুনের চিন্তার দুনিয়ার প্রাসঙ্গিক করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোকপাত করে। যেমনটি করেছেন রবার্ট আরউইন, Ibn Khaldun : An Intellectual Biography গ্রন্থে।

মুসলিম সভ্যতার যে বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস, সেখানে ইবনে খালদুন রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ এক জায়গায়। বস্তুত মানববিশ্বের চিন্তার ইতিহাসে তিনি এক পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তার আগে মুসলিম বুদ্ধিবৃত্তি বহু মনীষীর জ্ঞান ও চিন্তায় প্লাবিত হয়েছে। জ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় তৈরি হয়েছে কর্মসঞ্চয়ন। ইবনে খালদুন বিশাল এক পটভ‚মির ওপর আপন সৌধ নির্মাণ করেন। সেখানে তিনি চিন্তায় দেখান এমন মৌলিকত্ব, যা অগ্রগণ্য পূর্বসূরিদের চেয়েও নানা ক্ষেত্রে উজ্জ্বল।

তার জন্ম তিউনিসিয়ার তিউনিস শহরে, ৭৩২ হিজরির ১ রমজান মোতাবেক ১৩৩২ সালের ২৭ মে। মৃত্যু ১৪০৬ সালের ১৯ মার্চ কায়রোতে। তার পুরো নাম ওলিউদ্দিন আবু যায়েদ আবদুর রহমান ইবনে মুহম্মদ ইবনে খালদুন আল-হাযরামি। ওলিউদ্দিন বা ধর্মের অভিভাবক তার উপাধি, ডাকনাম আবু জায়েদ, মূল নাম আবদুর রহমান। বাবা ও দাদার নাম ছিল মুহাম্মদ। পারিবারিক পরিচয় ইবনে খালদুন বা খালদুনের সন্তান। বানু খালদুন ছিল সর্বব্যাপী সুখ্যাতি ও প্রতিপত্তির অধিকারী একটি বংশ। অষ্টম শতকে মুসলিম বিজয়ের ধারায় হাজারামাউত থেকে স্পেনে যান এ বংশের পূর্বপুরুষ খালেদ। ইবনে হাযমের মতে, তার নামের উচ্চারণ বিবর্তিত হয়ে খালদুনে রূপান্তরিত হয়। তিনি ইয়েমেনি সৈন্যদলের সাথে স্পেনে প্রবেশ করে সেভিলের অধিবাসী হন। বসবাস শুরু করেন অভিজাত কারমোনা এলাকায়। এ পরিবারে কুরাইব ইবনে খালদুনের উত্থান হয় খ্রিষ্টীয় নবম শতকের শেষ দিকে।

উমাইয়া শাসনকর্তা আমির ইবনে মুহাম্মদ (২৭৪-৩০০ হিজরি) শাসনকালে গণবিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন খালেদ ও কুরাইব ইবনে খালদুন। জনগণ কুরাইবকে সেভিলের শাসনকর্তা হিসেবে গ্রহণ করে। তিনি সেভিলায় একটি অর্ধ-স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন এবং প্রায় এক দশক রাজ্য শাসনের পর ৮৯৯ সালে নিহত হন। বানু খালদুন পরিবার এরপর বারবার ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে নিজের ভ‚মিকা প্রদর্শন করেছে। বানু আব্বাস শাসনামলে শাসনকার্যে বানু খালদুন পরিবারের হাতে ছিল বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। এ সময়ে; ৪৯০ হিজরি/১০৬৮ সালে সংঘটিত হয় জাল্লাকার বিখ্যাত যুদ্ধ, ইবনে আব্বাস ও ইউসুফ ইবনে তাশফিন ক্যাস্টাইলের রাজা ষষ্ঠ আলফন্সোকে করেন পরাজিত। এ যুদ্ধের আয়োজন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে খালদুন পরিবারের ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা। পরবর্তীকালে স্পেনে যখন মুসলিম কর্তৃত্ব অস্তগামী, স্পেন ত্যাগ করে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় চলে আসেন ইবনে খালদুনের পিতামহের পিতামহ হাসান ইবনে মুহম্মদ। এখানেও প্রবল প্রতিপত্তি লাভ করে এই পরিবার।

স্পেন ও মাগরিবে ইবনে খালদুনের পূর্বপুরুষের সবাই ছিলেন জ্ঞান ও শাসনকর্মে উচ্চাসনে বরিত। তার কুলজিনামা হলো ওলিউদ্দিন আবদুর রহমান ইবনে মুহাম্মদ, ইবনে মুহাম্মদ, ইবনে আল-হাসান, ইবনে জাবির, ইবনে মুহাম্মদ, ইবনে ইব্রাহীম, ইবনে আবদুর রহমান ইবনে খালদুন। ইবনে খালদুনের বাবা রাজনীতিতে ছিলেন অনাগ্রহী। জ্ঞান ও প্রজ্ঞাচর্চায় নিরত থেকেছেন। পাণ্ডিত্য ও জ্ঞানকর্মের ঐতিহ্যে এ পরিবারের সুখ্যাতি কম ছিল না। একাদশ শতাব্দীতে খালদুন পরিবারে আবু মুসলিম আমর ইবনে আহমদ ইবনে খালদুনের (মৃ. ৩৩৯ হিজরি) আবির্ভাব ঘটে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী মাসলামা আল মাজরিতি ছিলেন তার গুরু। জ্ঞান-বিজ্ঞানে তার কৃতিত্ব ছিল স্বীকৃত। যে সুনামের প্রতি পরবর্তীতে অবিচার করেনি এই বংশধারা।

জ্ঞানী মহলে অতি উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ থাকার বদৌলতে শ্রেষ্ঠ পণ্ডিতদের কাছে পড়াশোনার সুযোগ হয়েছিল ইবনে খালদুনের। প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন শুরু হয় তার বাবার কাছ থেকে। কুরআন মুখস্থ করেন অল্প বয়সে। মুহম্মদ ইবনে সাদ ইবনে বোররাল শেখান কুরআন-হাদিসের মৌলিক জ্ঞান। স্থানীয় তিউনিসীয় আলেমদের কাছে বিদ্যার্জন করেন। যাদের মধ্যে ছিলেন মুহম্মদ ইবনে আল আরবি আল হাসায়রী, মুহম্মদ ইবনে আশ্শাওয়াশ আজ্জারজালি, আহমদ ইবনে আল আস্সার এবং মুহম্মদ ইবনে বাহর প্রমুখ। ইবনে বাহর কাব্য ও সাহিত্য সমালোচনায় ছিলেন বিশেষজ্ঞ। তার মাধ্যমে ইবনে খালদুন যুক্ত হন কবিতারচনা ও সাহিত্য সমালোচনার প্রক্রিয়ায়। আন্দালুসিয়া থেকে হিজরত করে অনেক গুণী পণ্ডিত, বিশেষজ্ঞ এসে তিউনিসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। ইবনে খালদুন এদের সংশ্রব লাভ করেন।

আবুল হাসান মারিনি ৭৪৮/১৩৪৭ সালে তিউনিস দখল করলে তার দরবারের সাথে যুক্ত বহু আলেমের সান্নিধ্য লাভ করেন ইবনে খালদুন। তর্কশাস্ত্র, দর্শনশাস্ত্র, ইতিহাস, ভূগোল, রাষ্ট্রতত্ত¡, ধর্মতত্ত¡, ফিকহ ও আরবি ভাষাতত্তে¡র বিভিন্ন শাখায় লাভ করেন অগাধ জ্ঞান। শামসউদ্দিন মুহম্মদ ইবনে জাবির ইবনে সুলতান আলওয়াদিওয়ালির কাছে লাভ করেন হাদিসের পাঠ, ফিকহ শিখেন মুহম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ যাইজানি, মুহম্মদ আল কাসির, মুহম্মদ ইবনে আবদুস সালাম আলহাওয়ারির মতো আইনজ্ঞদের কাছে।

তিলিমসানের দার্শনিক ও গণিতবিদ আল-আবিলির কাছে শেখেন উচ্চতর গণিত, যুক্তিবিদ্যা ও দর্শন। পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় কারাউইন এ করেন লেখাপড়া। সান্নিধ্য লাভ করেন বরেণ্য বহু শাস্ত্রজ্ঞের। মুসলিম দুনিয়ার প্রধান চিন্তাবিদদের কাজ নিয়েও ব্যাপক অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেন। অন্যান্য জাতি ও সভ্যতা নিয়ে করেন বিস্তর অধ্যয়ন। মানবজাতির জ্ঞানসম্পদের একজন ভোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করেন শুরু থেকে।

কিন্তু অচিরেই ছেদ পড়ল তার প্রথাগত জ্ঞানসন্ধানে। ১৩৪৮-৪৯ সালে, যখন তার বয়স আঠারো, মিসর থেকে মৌরিতানিয়া পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকায় ভয়াবহ প্লেগ রোগ দেখা দেয়। এ সর্বগ্রামী প্লেগ মহামারীতে তার পিতার মৃত্যু হয়।

ইবনে খালদুন হিজরত করে মৌরিতানিয়া যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে বড় ভাই নিষেধ করায় আর যাননি। ২০ বছর বয়সে তিনি তিউনিশিয়ার শাসক ইবনে তাফরাকিনের দরবারে ক্যালিগ্রাফার হিসেবে কাজ নেন। দরবারের কাজকর্মের বিবরণ লিখে রাখতেন। ১৩৫২ সালে কনস্টানটিনের সুলতান আবু জিয়াদ তিউনিশ দখল করে নিলে আবু ইনানের আমন্ত্রণে চলে যান মরক্কোর বিদ্যানগরী ফেজে। সেখানে পান রাজকীয় ফরমান লেখার কাজ। অচিরেই রাজকীয় প্রশাসনের হায়ারার্কির সাথে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। আনুগত্য না দেখানোর দায়ে কারাবন্দী হন, জেলে থাকতে হয় ২২ মাস। মুক্ত হয়ে তিনি তিউনিশ ত্যাগ করেন এবং মাগরিবের অন্য সরকার ও প্রশাসনে কাজ করেন। এরপর তিনি গমন করেন স্পেনে, অস্থিতিশীল, কম্পমান ও শত্রুপরিবেষ্টিত স্পেনের রাজধানী গ্রানাডা তাকে স্বাগত জানায়। খলিফা পঞ্চম মুহাম্মদ তাকে সেভিলের খ্রিষ্টান শাসকের কাছে মিশনে পাঠান। যেখানে বসবাস করতেন তার পূর্বপুরুষ।

কিন্তু স্পেন তাকে জায়গা দিচ্ছিল না। শাসকদের সন্দেহ তাকে ধাওয়া করতে থাকে। তিনি দ্রুত আলজেরিয়াতে চলে যান। হাফসিদ আমির আবু আব্দিল্লাহ তাকে প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণের আমন্ত্রণ করেন এবং পাহাড়ি এলাকায় পাঠান খাজনা আদায়ের জন্য। অচিরেই মারা যান আবু আব্দিল্লাহ। হাফসিদ শাসক হন আবুল আব্বাদ। ইবনে খালদুন তখনো প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি সকালে করতেন সরকারি কাজ, বিকালে মসজিদে করতেন অধ্যাপনা। তার প্রভাব বিস্তৃত হয় বার্বার ও আরব গোত্রপ্রধানদের মধ্যে।

যা অচিরেই শাসকদের রোষানলের কারণ হয়ে উঠল। পরিস্থিতি তাকে ঠেলে দিলো নির্বাসনে। গ্রানাডায় ফিরে যাবার চেষ্টা করে বন্দী হন মেরিনিড শাসকের হাতে; ১৩৭০ সালে। আবার মেরিনিড রাজসভায় জায়গা করে নেন অচিরেই। সভাষদ হিসেবে থাকেন চার বছর অবধি। কিন্তু শাসকদের সাথে সঙ্কট তৈরি হলো দ্রুতই। পালিয়ে গেলেন গ্রানাডায়। সেখানকার শাসক তাকে ফেরত পাঠালেন আলজেরিয়ায়। রাষ্ট্র তাকে নিয়োগ দিলো অবাধ্য যাযাবরদের নিয়ন্ত্রণের কাজে। জটিল পরিস্থিতি। আলজেরিয়ার গ্রামাঞ্চল, যেখানে চার বছর তিনি পার করেন। পশ্চিম আলজেরিয়ার দুর্গম এক প্রাচীন দুর্গ ক্বালাত বানু সালামা হলো তার ঠিকানা, এখানে থাকলেন এক আরব গোত্রপ্রধানের আশ্রয়ে। এখানেই শুরু ইবার রচনা, আল মুকাদ্দিমার খসড়া তৈরি। নগর ও সভ্যতাকেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনের মাধ্যমে তিনি ইতিহাস ও সমাজতত্ত্বের আত্মাকে স্পর্শ করার ও বয়ান করার দুরূহ কাজ এগিয়ে নিলেন। পরে আবার ফিরে এলেন নগর কোলাহলে।

বোঝাই যাচ্ছে, কী জটিলতা তার জন্য বরাদ্দ রেখেছিল সমকাল। তিনি এরই মধ্য দিয়ে জীবনকে উদযাপন করেছেন। জড়িয়েছেন রাজনীতিতে। সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পদে আসীন হন, আবার নির্বাসনে যান। কঠোর সমালোচনা করতেন সমাজের, প্রতিষ্ঠানের, রাষ্ট্রের। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও বৃহত্তর জনজীবন নিয়ে তার ছিল সজাগ পর্যবেক্ষণ। সংগ্রহ করতেন তথ্য-উপাত্ত। জারি রাখতেন বিশ্লেষণ, সমালোচনা ও প্রস্তাবনা। এর ফলে শত্রু তৈরি হয় অগণিত। যেখানেই যান, জটিলতা হয় তার ছায়াসঙ্গী। অনেক উত্থান-পতনের তরঙ্গে সাঁতার কেটেছে তার জীবন। তার আত্মজীবনী দেখে মনে হয় একটি অভিযাত্রার গল্প। জটিলতম সঙ্কট, দুঃখ, বিপর্যয় আবার উত্তরণ, উন্নয়ন ও সৃষ্টিসুখের শিহরণ। ১৩৮২ সালে তিনি তিউনিসিয়ার শাসকের কাছে মক্কায় হজে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন।

তিনি জাহাজে করে মিসরের আলেকজান্দ্রিয়াতে পৌঁছান। জীবনের ৫০তম বছরে তিনি চিরদিনের জন্য মাগরিব তথা পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলো ছেড়ে যান। জীবনের শেষ দিকটা কাটিয়েছেন মিসরে। সেখানে হয়েছেন মালেকী মাজহাবের প্রধান কাজী। লাভ করেছেন মামলুক সুলতানের পৃষ্ঠপোষকতা। পরিচালক হয়েছেন বায়বারদের খানকার। পড়িয়েছেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়েও। আবার হারিয়েছেন সব দায়িত্ব। শিকার হয়েছেন বিরোধিতার, অপবাদ ও সমালোচনার। বারবার হয়েছেন কাজী, বারবার হয়েছেন পদচ্যুত। হজের সফরে আলেকজান্দ্রিয়া উপক‚লে সমুদ্রে ডুবেছে তার স্ত্রী-কন্যাদের বহনকারী জাহাজ। মাল-সামানা আর অগণিত গ্রন্থসহ ...! গেছেন দামেশকে, সেনাবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছেন যুদ্ধে। করেছেন দূতিয়ালি। দিগ্বিজয়ী তৈমুর লং-এর সাথে তার সাক্ষাৎ ছিল আলেকজান্ডারের সাথে এরিস্টটলের সাক্ষাতের মতো। পেয়েছেন তৈমুরের আতিথ্য। মিসরে ফেরার পথে ফিলিস্তিনের পাহাড়ে ডাকাতদের দ্বারা হয়েছেন আক্রান্ত, লুণ্ঠিত হয়েছে সব কিছু। এত কিছুর মধ্যে তিনি বরাবরই থেকেছেন জ্ঞানের সাধক, উৎপাদক! [চলবে]

লেখক : কবি, গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement
দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি হাসিনাপুত্র জয়ের ছেলে আর ফিরবে না জেনেও ‘হালুয়া’ বানিয়ে অপেক্ষায় থাকেন মা জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি গ্রেফতার মুন্সীগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে পুলিশে দিলো ছাত্ররা রাজনীতিতে আ’লীগের আর ফেরা সম্ভব না : ফজলুর রহমান হাইতিতে হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত ৩ দূষিত বাতাসের তালিকায় তৃতীয় ঢাকা পৌষের প্রভাতের আলোয় শীতের জয় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবাইকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ব্যারিস্টার ফুয়াদের ছবি সম্পাদনা করে নয়া দিগন্তের নামে ভুয়া প্রতিবেদন প্রচার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক

সকল