নিরাপদ ও শঙ্কামুক্ত জীবন কি সম্ভব
- ড. গাজী মো: আহসানুল কবীর
- ৩০ জুলাই ২০২১, ১৯:৫৭
কোভিড-১৯ এর দাপটে বিশ্বের মানুষ আজ দিশেহারা। তবে এ শত্রুটিকে চিহ্নিত করা গেছে। প্রতিরোধও গড়ে তোলা হয়েছে। হয়তো নির্মূলও করা যাবে যেমন সম্ভব হয়েছে আগের সব মহামারী নির্মূলে। কিন্তু মানুষের চার পাশে আরো এমন সব নিত্যদিনের অদৃশ্য শত্রু আছে, যার প্রভাবে আতঙ্কজনক হারে ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটলেও আমরা কেন যেন হাত গুটিয়ে বসে আছি। কিছুই করতে পারছি না বা করার তেমন চেষ্টাও করছি না। বড় কোনো বিপর্যয় ঘটার আগেই এসব অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে সতর্ক হওয়া এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া খুবই জরুরি।
এমন একটি শত্রু হলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি। নানা কাজে বিশেষ করে যানবাহনে একচেটিয়াভাবে অকটেন, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করায় কার্বন নিঃসরণ হয়ে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে মেরু অঞ্চলে সঞ্চিত বিশাল বরফ স্তরগুলো গলে সমুদ্রবক্ষের পানির উচ্চতা বেড়ে পৃথিবীর বিরাট অংশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে। কয়েক দশক ধরে এ বিষয়টি নিয়ে কম তোলপাড় হয়নি।
১৯৯১ সালে বিশ্ব নেতারা ব্রাজিলে প্রথম ‘ধরিত্রী সম্মেলনে’ বসেন। তাদের অনেক সিদ্ধান্তের মধ্যে প্রধানতম ছিল- আমাদের প্রিয় গ্রিনহাউজটিকে রক্ষা করতে হলে যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার অনেক কমিয়ে আনতে হবে। এর বিকল্পও খুঁজতে হবে জরুরিভাবে। তার পর ৩০টি বছর কেটে গেছে। প্রতি বছর বিশ্ব নেতারা একবার করে সম্মেলনেও বসেছেন। কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা হয়েছে বলে মনে হয় না। একমাত্র ফিনল্যান্ড জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বেশ কমিয়ে আনতে পেরেছে। কিন্তু এ বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপে তো ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ থামানো যাচ্ছে না। যেভাবে চলছে তাতে আগামী ৫০-১০০ বছর পর আমাদের এ প্রিয় গ্রহের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা সমুদ্রজলে হাবুডুবু খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু কি তাই? গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে দেশে দেশে যে হারে দাবানলে বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে, তাতে বায়ুতে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যেতে পারে, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যাও বেশ বেড়ে যেতে পারে। কারণ বনাঞ্চল আর উদ্ভিদই তো অক্সিজেন তৈরির কারখানা।
গাছ শুধু যে কার্বোহাইড্রেট আর অক্সিজেনের উৎস তা নয়। মাটি থেকে টেনে নেয়া নাইট্রোজেন থেকে গাছ যে প্রোটিন তৈরি করে তা আমাদের চাহিদার এক বিরাট অংশ পূরণ করে। সুতরাং বাঁচতে হলে বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। গ্লোবাল ওয়ার্মিং রুখতে হলে বায়ুতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প খুঁজতে হবে। এ বিকল্প এখন অনেকটা আমাদের নাগালের মধ্যে। পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ এরই মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে যানবাহনে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ কয়েকটি উন্নত দেশের হাইওয়েতে আজকাল সিএনজি বা অকটেন রিফুয়েলিং পাম্পের মতো হাইড্রোজেন রিফুয়েলিং স্টেশন গড়ে উঠেছে। এ ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন ঢোকাতে হয়। এদের সংযোগেই বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
সেলটিতে কোনো দূষণ পদার্থ তো উৎপন্ন হয়ই না, বরং উপজাত হিসেবে পানি পাওয়া যায়। এ কারণে আজকাল মহাকাশযানেও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করা হয়। ফলে নভোচারীদের জন্য আর পৃথিবী থেকে পানীয় জল বয়ে নিয়ে যেতে হয় না।
এ ছাড়াও পৃথিবীর প্রায় সব ক’টি বৃহৎ বাণিজ্যিক হাউজ যেমন Coca-Cola, Google, Nestle, FedEx, Walmart, Nissan এমনকি আবহাওয়া কেন্দ্র ও বড় বড় সামরিক স্থাপনায়ও হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের ব্যবহার হচ্ছে। তাই তো ২০০৭ সালের ১১ হাজারের চেয়ে মাত্র তিন বছর পরই ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী দেড় লাখ ফুয়েল সেল বাজারজাত হয়েছে। এখন এ সংখ্যা গণহারে বাড়াতে হবে। আবার অন্য বিকল্পও খুঁজতে হবে।
কার্বন নিঃসরণ ছাড়াও আমাদের আরো বহু সমস্যা রয়েছে। মানুষ নিজের বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে প্রায়ই নিজের শত্রু নিজেই তৈরি করে। এই যে আমাদের এতসব রোগবালাই হয়, অদ্ভুত সব শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় তা এমনি এমনি হয় না। আমরাই এসবকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসি। যেমন- আমাদের অনেকেই দিনে-রাতে বহুবার নিজ বাড়ির কাছের ড্রাই ক্লিনার্সের পাশে দিয়ে হেঁটে যান। আমরা কি জানি ড্রাই ক্লিনার্সগুলোতে কী হয়? ড্রাই ক্লিনিংয়ে পানির পরিবর্তে ওয়েস্ট্রোসল নামের এক হ্যালোজেনেটেড তরল পদার্থ (১, ১, ২-ট্রাইক্লোরোইথিন) ব্যবহার করা হয়। ওয়াশিং শেষে সেটি ড্রেনেই ছেড়ে দেয়া হয়। এ low boiling তরলের বাষ্প প্রতিনিয়ত আশপাশের মানুষের নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে ঢুকে লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে জন্ডিস, এমনকি লিভার সিরোসিস হতে পারে; যার পরিণতি কখনো কখনো মৃত্যু। আবার খেলার মাঠে খেলোয়াড় ব্যথা পেলেই ফিজিওথেরাপিস্ট দৌড়ে এসে ব্যথার স্থানে স্প্রে করে দেন। তৎক্ষণাৎ ব্যথা চলে যায়, খেলোয়াড় আবার খেলায় মন দেয়। একইভাবে অস্ত্রোপচারের সময় এনেসথেসিওলজিস্ট চেতনানাশক স্প্রে করে অস্ত্রোপচারের জায়গা অবশ করে দেন। এসব ক্ষেত্রেই স্প্রে করা বস্তুটি হলো low boiling হ্যালোজেনেটেড তরল ক্লোরোমিথেন, ক্লোরোইথেন বা ফ্লুথেন। আমাদের মনে রাখতে হবে সব হ্যালোজেনেটেড পদার্থের বাষ্পই দীর্ঘ দিন নিঃশ্বাসের সাথে নাক দিয়ে শরীরে ঢুকলে লিভার কিডনির নানা জটিলতা তৈরি করে।
বাড়িতে, অফিসে বা গাড়িতে আমরা যে air freshener স্প্রে করি তাতে উপকরণ হিসেবে থাকতে পারে ফরমালডিহাইড, অ্যাসিটালডিহাইড, বেনজিন, টলুইন বা থ্যালেটের মতো carcinogenic অর্থাৎ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ। কোনো কোনো air freshener-এ থাকে ১, ৪-ডাইক্লোরোবিউটেন, যা শ্বাসকষ্ট ঘটায়, প্যারাবেন হরমোন নষ্ট করে এবং জাইলিন স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। আমাদের ব্যবহার করা পারফিউম আর হেয়ার স্প্রেগুলোও একইভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
অনেকেই ব্যবহার শেষে গাড়ির নষ্ট ব্যাটারি এখানে-সেখানে ফেলে রাখি। বৃষ্টি হলে এর পানিতে এসব ব্যাটারির লেড যৌগ দ্রবীভূত হয়ে জলাশয়ে গিয়ে পড়ে। তা মাছের পেট হয়ে আমাদের পেটেই ঢোকে। আর এতে আমাদের কিডনি, লিভার ও হাড় সবই নষ্ট হতে পারে। আবার আমাদের কাঠের আসবাবপত্র বার্নিশ করতে যে কাঁঠালি-মেহগনি রং ব্যবহার করা হয়, তাতে ক্রোমিয়াম যৌগ থাকে। এ বার্নিশের অব্যবহৃত অংশও এখানে-সেখানে ফেলে দিলে বৃষ্টির পানির সাথে সেটিও গিয়ে পুকুরে পড়তে পারে। আমরা সেই পুকুরের মাছ খেলে পরিণতি হতে পারে ফুসফুস ক্যান্সার, মারাত্মক গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টিনাল ক্ষত ও ব্রংকাইটিসের মতো শারীরিক জটিলতা। আর একটি ক্ষতিকর বস্তু হলো টলুইন। অনেক বাণিজ্যিক দ্রব্যের মোড়কে যে নজরকাড়া ডিজাইন বা লেখা থাকে, তার মুদ্রণ কালির উপাদান হলো টলুইন। এটি একটি carcinogenic পদার্থ। এ ছাড়া এর দ্বারা শ্বাসকষ্ট, স্মৃতিবিভ্রাট বা মানুষ বধির হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপারও ঘটতে পারে। তাই ভারত-চীনসহ বহু দেশেই খাদ্য-প্যাকেজিংয়ের মুদ্রণ কালিতে টলুইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো বিধিনিষেধ নেই।
বিশ্বে কী মাত্রায় এসি, ফ্রিজ, কোল্ড স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়, সে দিকে কি আমাদের নজর আছে? এগুলোতে যে রেফ্রিজারেটিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়, তা হলো ক্লোরোফ্লোরোকার্বন। এগুলোই বাষ্প হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে গিয়ে ওজোন স্তরকে ছিদ্র করে। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষার জন্য এর চার পাশে একটি ওজোন স্তর দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন, যাকে ‘পৃথিবীর ছাতা’ বা ‘সৌর পর্দা’ বলা হয়। সে পর্দা ছিদ্র হলে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে ঢুকে পড়ে। এতে মানুষের শরীরে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। বনাঞ্চলেরও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এ অতিবেগুনি রশ্মি সমুদ্রের পানিতে এমনকি ১৫-২০ ফুট ভেতরে ঢুকে মাছ ও জলজ জীব ধ্বংস করে দিতে পারে।
মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। নিজেরা সাজসজ্জা তো করেই; আবার খাবারও নানাভাবে সাজাতে হয়। এটি করতে গিয়ে এমন কিছু ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। আজকাল বিভিন্ন ‘ফুড অ্যাডিটিভ’ যেমন ফুড কালার, এসেন্স, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সুইটেনার প্রভৃতি ব্যবহার করে খাদ্যবস্তু আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। চকোলেট আর আইসক্রিমের রঙ ও এসেন্স, গুঁড়ো দুধে লেসিথিন, ডায়াবেটিক চকোলেটে সরবিটল, ফলের জুসে সালফার ডাই-অক্সাইড, আলুর চিপসে বিএইচটি এগুলোর কোনোটিই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া নয়। দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহারে ক্যান্সারও হতে পারে। সুতরাং সাবধান। কিছু ব্যবসায়ী কাঁচা শাকসবজি ও ফলমূল সংরক্ষণে ফরমালিন ব্যবহার করে। কেউ ফল পাকাতে ব্যবহার করে ক্যালসিয়াম কার্বাইড। এসব ক্ষতিকর পদার্থ যেহেতু পানিতে দ্রবণীয়, তাই বাজার থেকে এনে খাদ্যবস্তুগুলো ভালো করে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
আমরা যে কতভাবে মানবকুলের ও পরিবেশের ক্ষতি করে থাকি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এই যে যারা রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেন, তাদের অনুরোধ করব একটু আগ্রার তাজমহলের দিকে দেখুন। চার শ’ বছরের পুরনো এ বিস্ময়কর স্থাপত্যটি প্রতিষ্ঠার পর সাড়ে তিন শ’ বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত ও নিরুপদ্রব ছিল। কিন্তু যখনই আড়াই শ’ কিলোমিটার দূরে মথুরায় তেল শোধনাগার প্রতিষ্ঠা হলো, তখন থেকে এর নির্গত সালফার ডাই-অক্সাইডের প্রভাবে ধীরে ধীরে তাজমহলের শ্বেতপাথরগুলো বিবর্ণ ও ক্ষয়ে যেতে লাগল। একইভাবে মানুষের পরিবেশবিরোধী আগ্রাসী কর্মকাণ্ডে যে এসিড বৃষ্টি হলো, তার ফলে গত শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ও সুইডেনের একাংশে বনাঞ্চল সাফ হয়ে গিয়েছিল। অনেক কষ্টে তা আবার গড়ে তোলা হয়েছে। এখনো মেক্সিকোর মানুষ গত শতাব্দীর শেষ দিকে তাদের পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা ভুলে যায়নি। মেক্সিকো সিটির প্রায় শতভাগ মানুষ অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তখন দ্রæত সুচিন্তিত পরিকল্পনায় শিল্পকারখানাগুলো শহরের বাইরে দূরে সরিয়ে নেয়া হলো। রাস্তায় জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ির সংখ্যা ব্যাপক কমিয়ে দেয়া হলো। দু’জন যাত্রী বহনের উপযোগী পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল নামানো হলো। ফলে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলো। প্রমাণিত হলো, ইচ্ছা করলেই মানুষ পারে।
সুতরাং অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, যদি রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়, আর তাতে কাঁচামাল হিসেবে কয়লাই ব্যবহার করা হয়, তবে আর রক্ষা নেই। এ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে যে পরিমাণ সালফার ডাই-অক্সাইড বেরোবে, তাতে বৃষ্টিপ্রবণ এ দেশে তীব্র ‘এসিড বৃষ্টি’তে সুন্দরবনের অভাবনীয় ক্ষতি হবে। হয়তো এক শ’-দেড় শ বছর পর এ অঞ্চলে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না ‘বিশ্ব হেরিটেজের’ সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ছিটেফোঁটাও। তাই কোনো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আবারো ভেবে দেখা উচিত।
আমাদের কর্তৃপক্ষ ও শিল্পকারখানার মালিকদের কাছে করজোড়ে অনুরোধ থাকবে, দয়া করে বর্জ্য গ্যাস বা তরল পদার্থ আপনাদের কারখানার গণ্ডির বাইরে যেতে দেবেন না। নানা কারিগরি প্রক্রিয়ায় ভেতরেই ট্রিটমেন্ট করে দূষণমুক্ত করে ফেলুন। প্রকৃতি-পরিবেশ আর মানুষের মূল্যবান জীবন যেন উন্নয়ন ও সামান্য লাভের বলি না হয়। ভাবতে হবে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কেমন পৃথিবী রেখে যাচ্ছি। সামান্য সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আর ভোগবিলাসের জন্য বড় কোনো বিপর্যয় যেন আমরা ডেকে না আনি। স্রষ্টার গড়ে দেয়া প্রাকৃতিক ভারসাম্যে যেন অযাচিতভাবে হাত না দিই।
লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা