অপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগে শাস্তি শুরু!
- জসিম উদ্দিন
- ২৩ জুন ২০২১, ২০:২৬
অভিনেত্রী পরীমণি মামলা করার চার ঘণ্টার মধ্যে প্রধান আসামি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ গ্রেফতার হয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডও মঞ্জুর হয়ে যায়। এ মামলায় বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারব্যবস্থার দ্রুততা চমকপ্রদ। চোখের পলকে ভোজভাজির মতো বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি দেখে পরীমণি নিজে মন্তব্য করেছেন, ম্যাজিকের মতো কাজ হয়েছে। তিনি বিশেষত সংশ্লিষ্ট পুলিশের প্রশংসা করেছেন।
একই সময়ে ঘটা একজন মানুষের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা শুরুতে দেখা গেল না। আইনশৃঙ্খলার জন্য বিচার্য হিসেবে কোনটি গুরুতর বা বড় ঘটনা; একজন মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া না একজন মানুষের ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠা? নিখোঁজ বা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার আপাতত একটা ইতি ঘটেছে। কিন্তু এ ঘটনাটির প্রকৃতি বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার সাথে গভীরভাবে জড়িত। এ ব্যাপারে লেখার শেষের দিকে বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করব। ধর্ষণের আশঙ্কার মধ্যে পড়া নারী নিজেই অভিযোগ করছেন। তিনি ঘটনাটি যেভাবে ব্যক্ত করেছিলেন সেটি গুরুতর। তিনি বলেছিলেন, একজন সাধারণ নারী হিসেবে ধর্ষণচেষ্টার প্রতিকার পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। অপরাধীর পরিচয় পাওয়ার পর কেউ এগিয়ে আসেননি। সবাই তাকে চুপ হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সামনে পরীমণি বলেন, বাংলাদেশে একজন সাধারণ নারী যে কতটা অসহায় সেটি তিনি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। এমনকি যেকোনো সময় তার আত্মহত্যা হয়ে যেতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে জানান, তিনি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে নন। এমনটি হলে সাংবাদিকরাই যাতে এ বিচারের জন্য দাঁড়ান সেই আহ্বান তিনি জানান। তিনি আগেই সবাইকে সতর্ক করে দিলেন কোনোভাবে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে যাতে চালিয়ে দিতে না পারে; এমন যদি ঘটে তা হলে কেউ যাতে তা বিশ্বাস না করে। যদি এমনটি ঘটে সেটি হবে যারা তার ওপর ধর্ষণচেষ্টা করেছে তাদের কাণ্ড। পরোক্ষভাবে সেটি তিনি বুঝিয়ে দিলেন।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আনা নারী ঢালিউড চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী পরীমণি। তার আনা অভিযোগের পর যাকে গ্রেফতার করা হয় সেই নাসির মাহমুদ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতাসীন গোত্রের মানুষ। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকার উত্তরা ক্লাবের সাবেক সভাপতি। ‘ধর্ষণচেষ্টা’র অকুস্থল বোট ক্লাবের বিনোদন ও সংস্কৃতিবিষয়ক কার্যনির্বাহী সদস্য। এ ক্লাবটি দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালীরা বানিয়েছেন। নাসিরের পক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। তারা সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। সেখানে তারা বলেছেন, নাসির একজন ভালো মানুষ। বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কৃতি অনুযায়ী এই প্রোফাইলের একজন মানুষের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এক প্রকার অসম্ভব, ঘুষ-দুর্নীতিসহ দেশে বড় বড় লুটপাট ও অনিয়মের ঘটনায় যেমনটি দেখা গেছে।
এর আগে বহু নারী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। ভুক্তভোগীদের অনেকে আইনের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেননি। বিশেষ করে ওই ধরনের ঘটনার সাথে যদি ক্ষমতার সম্পর্ক থাকে তা হলে তো চুপ করে যাওয়া ছাড়া উপায় খুব কমই থাকে। ধর্ষণ হাতেনাতে প্রমাণিত হওয়ার পরও এমনই হয়। কিছু দিন আগে রাজধানীতে এক তরুণীর অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে, না তাকে মারা হয়েছে এ নিয়ে বিরাট বিতর্ক চলেছে। আত্মহত্যা যদি করেও থাকে তা হলে সম্ভাব্য প্ররোচনাদানকারীদের নিয়ে আড়ালে অনেক কথা হয়েছে। অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে খুব তৎপরতা চালাতে দেখা গেল না।
আলোচ্য মামলায় পরীমণি অভিযোগ করেন নাসির তাকে মদ পানের জন্য জোর করেন। একপর্যায়ে তার মুখে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এরপর তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এগুলো অভিযোগ। এর পক্ষে ভিডিওফুটেজ কিংবা শক্তিশালী অ্যাভিডেন্স উপস্থাপিত হয়নি। আদালতে তা প্রমাণিত হয়নি। অন্য দিকে নাসির দাবি করেন পরীমণি জোরপূর্বক দামি মদ নিতে চাইলে তিনি ক্লাবের একজন কার্যনির্বাহী হিসেবে তাতে বাধা দিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরীমণি তাকে ‘গালিগালাজ’ করেন। একপর্যায়ে পরীমণির সাথে থাকা ব্যক্তিরা তাকে ‘থাপ্পড় মারেন’। একটি ভিডিওফুটেজে দেখা যায়, পরীমণি আরো দু’জন পুরুষসহ বোট ক্লাবে ঢুকছেন। তিনি একপর্যায়ে তাদের একজনকে ফ্লাইং কিক দেন। নাসিরের অভিযোগ কারো কাছে পাত্তা পায়নি। আপাতত সেটি গ্রহণ বা বিবেচনা করার লক্ষণ নেই। বোট ক্লাবে পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের উভয়পক্ষ এখন বলতে গেলে সেইমসাইডে বা সমানে সমানে রয়েছে।
এ ঘটনায় অপরাধ কোন পক্ষ করেছে, তা নিয়ে জনগণ পুরোই দ্বিধার মধ্যে রয়েছে। আপাতত গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডে গিয়ে নাসির ও তার সহযোগীরা একপ্রস্ত শাস্তি হজম করে ফেলেছেন। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার এ দুর্বলতা বিগত এক দশকে এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, বহু মানুষ এর ভুক্তভোগী হয়ে গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রমের বিশাল একটা অংশ কল্পিত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যবহৃত হয়। আদালতের কার্যক্রমও প্রমাণ করেছে, বহু নির্দোষ মানুষ শাস্তি পেয়েছেন। অন্য দিকে প্রমাণিত অপরাধীরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায়।
এ অবস্থায় ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ধর্ষণচেষ্টা করেছেন না তিনি ভিকটিম হয়েছেন, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। নাসিরসহ প্রধান দুই আসামিকে সাত দিনের রিমান্ড দেয়ার সময় তাদের আইনজীবীর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে পুলিশি কার্যক্রম ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে আমরা ধারণা পেতে পারি। তারা বলেছেন, পুলিশ দেখিয়েছে নাসিরকে উত্তরার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে চার বোতল মদ উদ্ধার করার দাবি করা হয়েছে। অন্য দিকে তার আইনজীবীরা দাবি করেন, তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং তার মদ পানের লাইসেন্স রয়েছে।
পরীমণির বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও লাঞ্ছনার ঘটনা যদি সত্যিই ঘটে থাকে, তার উপযুক্ত বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগের কোনো নারীর ধর্ষিত হওয়া, আটক করে গণধর্ষণ করা কিংবা কোনো নারী কারো দ্বারা যৌনলালসার শিকার হয়ে প্রাণ হারানোর বিচার যদি নাও হয় তাই বলে পরীমণির বিরুদ্ধে যৌন সন্ত্রাসের বিচার হবে না, ব্যাপারটি এমন নয়। মূল ব্যাপার হচ্ছে, অপরাধের বিরুদ্ধে একটি নির্মোহ অবস্থান আমাদের বিচারব্যবস্থা নিতে পারছে না। পরীমণিকে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিচার চাইতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষমতা ও সুযোগ আঠারো কোটির মধ্যে অতি সামান্য কিছু মানুষের রয়েছে। অপরাধের বিচারের জন্য কেন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে? তিনি দেশের প্রধান নির্বাহী। তার ওপর অর্পিত দায়িত্বের বোঝা বিশাল। তিনি পুরো দেশের ব্যাপার সামাল দেন। তাকে যদি প্রত্যেকটি ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের ব্যাপারে নজর দিতে হয়, তা হলে সে দেশ চলবে কিভাবে? এ অবস্থা মানা যায় না।
শুরুতে উল্লেখ করেছিলাম, ঘটনা হিসেবে প্রায় একই সময়ে ঘটা রংপুরের ইসলামী বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানের নিরুদ্দেশ ঘটনাটি ধর্ষণচেষ্টার চেয়ে কতটা কম গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে গুমের ব্যাপারটি নিয়ে বলতে হয়। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ১১ জন গুম হয়েছেন। গত বছরের আগস্ট মাসে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দেয়া তথ্যে জানা যায়, গত ১৩ বছরে বাংলাদেশে ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ৮৯ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে এবং ৫৭ জন কোনো না কোনোভাবে ফিরে এসেছেন। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এএইচআরসি) বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত গুম হওয়া ৫৩২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে।
ত্ব-হা নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনাটি ঘটে বোট ক্লাব কাণ্ডের দুই দিন পর। গুমের ঘটনাগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ব্যাপার কোনো দায়িত্ব স্বীকার করে না। নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন কিংবা র্যাবের কার্যালয় কোনো অভিযোগ গ্রহণ করতে চায় না, যদিও প্রকাশ্যে যখন একজন নাগরিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আটককারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দেয়। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকটস্থ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে যায় তারা। ত্ব-হা রাতের আঁধারে নিরুদ্দেশ হয়ে যান; যেমন এর আগে রাজনৈতিক নেতা ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী আলমসহ আরো অনেকে হারিয়ে গেছেন। নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার পর তাদের একাংশের বেওয়ারিশ লাশ পাওয়া যায় কিংবা অনির্দিষ্ট কালের জন্য খোঁজ পাওয়া যায় না, তাই এ ধরনের ঘটনা ঘটলেই স্বজনরা শঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ত্ব-হার স্বজনদের ক্ষেত্রে একই ভয় লাগা স্বাভাবিক। স্ত্রীর সাথে তার সর্বশেষ কথা হয়েছিল রাজধানীর গাবতলী থেকে। তাই তিনি পরে সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজখবর নিতে যান। এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি করতে চান। তবে কোনো সহযোগিতা পুলিশের কাছ থেকে পাননি। কয়েক দিন অনবরত তিনি কয়েকটি থানায় ঘুরেছেন। কেউ তাকে সহযোগিতা করেননি। একটি রাষ্ট্রের এ ধরনের অসহায় মানুষের সহযোগিতা আসলে কারা করবেন? যেখানে মানুষরা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নিরুদ্দেশ হওয়ার পর ত্ব-হা নিজেই ফিরে এসেছেন। পুলিশের থেকে বলা হচ্ছে তিনি স্বেচ্ছায় সাথীদের নিয়ে এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। আবার সেই বন্ধু তখন তার নিজের বাসায় ছিলেন না। অথচ এই বন্ধু ত্ব-হাকে ফিরে পাওয়ার জন্য মানববন্ধন করতে দেখা গেছে। ভুক্তভোগীরা প্রথমে পুলিশের কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি। পরে নিরুদ্দেশ ব্যক্তি ফিরে আসার পর তাদের পক্ষ থেকে ঘটনার এমন বর্ণনা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে যেখানে নিরুদ্দেশ হওয়া ব্যক্তিরা সম্পূর্ণ চুপ হয়ে যান।
একজন মানুষের জীবনহানির সমূহ আশঙ্কা দেখা দেয় নিরুদ্দেশ হওয়ার পর। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যে প্রতিবেদন দিয়েছে তা থেকে সেটি স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে। অধিকারের দেয়া হিসাবে ১৩ বছরে গুম হওয়ার মধ্যে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৫৭ জন কোনো না কোনোভাবে ফিরে এসেছেন। বাকি আরো ৩৮০ জনের জীবনে কী ঘটেছে কেউ জানে না। আইনশৃঙ্খলার দৃষ্টিকোণ থেকে ত্ব-হার নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া তাই বলা যায়, সবচেয়ে গুরুতর ঘটনা। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী পুলিশকে তাই ত্ব-হার পরিবার থেকে করা অভিযোগকে সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম একই সময় এক নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগ নিয়ে পুলিশের উচ্চমহল থেকে যেভাবে সাড়া দেয়া হলো তার কানাকড়ি গুরুত্ব দেয়া হয়নি নিরুদ্দেশের ঘটনা নিয়ে। নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ নিয়েও পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা প্রদর্শন করুক সেটিও আমরা চাই। নিরুদ্দেশের ঘটনাটিতে সৌভাগ্যবশত নাগরিক সমাজ ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সরকারের দায়িত্ব কারো জীবন হুমকির মধ্যে পড়লে সেটি রক্ষায় সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করা। দুর্ভাগ্য, আমাদের সরকার জানমাল রক্ষায় সঠিকভাবে অগ্রাধিকার নির্বাচন করে না। ফলে বহু মানুষ চিরতরে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এসব পরিবার সরকারের তরফে কোনো সহযোগিতা পায় না।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা