করোনা, কারো পৌষ মাস, বাকিদের সর্বনাশ
- আলমগীর মহিউদ্দিন
- ১৫ জুন ২০২১, ১৮:৫৪
করোনাভাইরাস এখন সারা বিশ্বে দাপিয়ে বোড়াচ্ছে। আর মহামারীর আকারে প্রতিদিন মৃত্যুর পরোয়ানা পৌঁছে দিচ্ছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো- এ ভাইরাসটি নিজেকে বারবার পরিবর্তন করতে পারে। এ জন্য প্রতিরোধক এবং প্রতিষেধকগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজ করতে পারেনি।
এর আগে এমন ভাইরাস-সৃষ্ট মহামারী বিশ্বে আরো অন্তত ১৬ বার এসেছিল। প্রতিটি ভাইরাস আক্রমণ মহামারীর আকারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছিল। তবে তারা সীমিত থাকত এক এক অঞ্চলে। সে সব অঞ্চল বিরান হয়ে যেত। মৃত্যুর সংখ্যাও হতো ভয়াবহ।
এবারের ভাইরাস আক্রমণ কোনো অঞ্চলে সীমিত থাকেনি। ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। ইতিহাসের আলোকে দেখলে দেখা যাবে, এর ফলও নতুন নয়। বলা হয় বিত্তের সাথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এর প্রমাণ এখন সবার সামনে। এ নিয়ে প্রচুর আলোচনার কারণে বিত্ত লাভের ভয়াবহ চিত্রও এর মধ্যে প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এটাও সত্য যে, বিশ্বমানবতার সমস্যার অন্যতম কারণ হলো, মানুষ চিন্তা করতে পারে না কেন সে বুঝতে পারে না কোন ‘সত্য কারণে’ তার এই সমস্যা।
ক্ষমতালোভীরা এরই সুযোগ নিয়ে যুদ্ধ, দারিদ্র্য, দুর্নীতি, কুসংস্কারসহ নানা বন্ধনে তাদের আবদ্ধ করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে থাকে। এমনকি পারিবারিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে তারা। ধনতন্ত্রবাদের মূল ভিত্তি এটা। এর প্রতিবাদে সমাজতন্ত্রবাদের সৃষ্টি হলেও এই ধনতন্ত্রের অমোঘ বলয় থেকে বেরিয়ে না এসে নিজেই তার চরিত্র পরিবর্তন করে ধনতন্ত্রবাদের চেয়ে বেশি শোষণ-শাসন করতে থাকে এবং এই কাজে প্রকৃতিতে বারবার ব্যবহার করে।
এমন মহামারীর সৃষ্টি কেন হয়? আধ্যাত্মিকবাদীরা দাবি করেন, মানুষের নৈতিকতার অবক্ষয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে এর অভ্যুদয় ঘটে। বিজ্ঞানী-দার্শনিকরা এটা পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন এ বলে যে, মানুষ যখন তার ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ-সুন্দর-শৌচ রাখতে ব্যর্থ হয় তখনই মহামারীর আবির্ভাব হয়।
আগেই বলা হয়েছিল যে, ইতিহাস তথ্য অনুসারে করোনাভাইরাস ১৭তম ভাইরাস। এর আগের ভাইরাসগুলো হলো- ১. প্লেগ ভাইরাস; ২. ভ্যারিওয়ালা ভাইরাস; ৩. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস; ৪. পোলিও ভাইরাস; ৫. আরভিএফ ভাইরাস; (রিফটভ্যালি ফিভার ভাইরাস) ৬. ডেঙ্গু ভাইরাস; ৭. সিসিএইচএফ ভাইরাস; ৮. জিকা ভাইরাস; ৯. মারবুর্গ ভাইরাস; ১০. ইবোলা ভাইরাস; ১১. এইচআইভি ভাইরাস; ১২. হেনিসা ভাইরাস; ১৩. নিপাহ ভাইরাস; ১৪. সার্স ভাইরাস; ১৫. সোয়াইন ভাইরাস; ১৬. মার্স ভাইরাস ও ১৭. করোনাভাইরাস।
এই ভাইরাসগুলো কেমন ভয়ঙ্কর ছিল, তার একটি ছোট্ট বিবরণই যথেষ্ট এটা জানতে। ১. প্লেগের ভাইরাস প্রধানত বহন করে ইঁদুর এবং ১৩৪৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম চিহ্নিত করা হয় ইউরোপে। ইরসিনিয়া পেস্টিস নামক ব্যাকটেরিয়া এটা বহন করত। এটা এত ভয়ঙ্কর ছিল যে, তখন এর নামকরণ করা হয় কালো মৃত্যু বলে। এর আবিষ্কারক ছিলেন ইয়ারসি। এই মহামারীতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ২. ভ্যারিওয়ালা ভাইরাসের উৎপত্তি যিশু খ্রিষ্টের জন্মের আগে। এর আক্রমণে গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স রোগ হয়। এটা প্রথম মিসরে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে আবির্ভাব হয় বলে ইতিহাসে জানা যায়। এর টিকা ১৭৯৩ সালে আবিষ্কৃত হলেও এর ব্যবহার পরবর্তী ২০০ বছরে হয়নি। ফলে লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণ করে।
১৯৭০ সালে ভারত উপমহাদেশে এটি ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করলে জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য দেশ একত্রে এর প্রতিষেধক ব্যবহার শুরু করার পর ১৯৭৫ সালে বিশ্ব এই রোগমুক্ত বলে ঘোষণা দেয়া হয়। ৩. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস- এই ভাইরাসটিও খ্রিষ্টের জন্মের আগের একটি রোগ বলে বলা হয়। ধারণা করা হয়, এই ভাইরাসটির উপস্থিতি ২০ হাজার বছর আগেও ছিল। মাত্র এক বছরেই এক কোটি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় বলে এক বর্ণনায় এসেছে। ৪. পোলিও ভাইরাস- পোলিওমাটিস বা পোলিও প্রথমে ধরা পড়ে ১৯০৯ সালে। প্রথমে নিউ ইয়র্ক শহরে এর বিস্তৃতি শুরু হয়ে ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেহের অঙ্গগুলো অবশ হয়ে পড়ে। নিউ ইয়র্কের ৯ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ছয় হাজার মৃত্যুবরণ করে। সারা বিশ্বে কত মানুষ পোলিওতে মারা গেছে তার সঠিক হিসাব কারো জানা নেই। ১৯৫০ সালে টিকা আবিষ্কারের পর এর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ৫. আরভিএফ (রিফটভ্যালি) ভাইরাস- ১৯৩১ সালে কেনিয়াতে এই রোগটি প্রথমে ধরা পড়ে। সাধারণত রক্তখেকো মশা বা পতঙ্গের মাধ্যমে এটা পশুদের মধ্যে ছড়ায় এবং পরে মানুষকেও আক্রমণ করে। দেখা গেছে, আক্রান্ত গরুর দুধ খেলেও এই রোগে আক্রান্ত হয়। এতে দুই হাজার মানুষ ও শত শত গরু এবং অন্যান্য পশু মারা যায়। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো অবশ হয়ে যায়।
৬. ডেঙ্গু ভাইরাস- এটা ধরা পড়ে ১৯৪৩ সালে যখন সামান্য জ্বরেই মানুষের হৃদপিণ্ড, কিডনি, এমনকি মস্তিষ্ক অচল হয়ে মৃত্যুবরণ করছিল। এতে চার হাজার ২১ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছিল। প্রথম দিকে জ্বর হতো তীব্র এবং সাথে মাথাব্যথা এবং কিডনির প্রদাহ। পরে দেখা গেল, রোগটি নিজেকে পরিবর্তিত করে তখন এসব উপসর্গ মৃদু হচ্ছিল।
৭. সিসিএইচএফ ভাইরাস (ক্রাইমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার) এক প্রকারের এঁটেল পতঙ্গ থেকে আসে আর মানুষের মধ্যে ছড়াতে থাকে। এটা প্রধানত আফ্রিকা, বলকান অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার কিছু এলাকায় কিছুকালের জন্য দাপিয়ে বেড়ায়। প্রায় ৫০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এর উপসর্গ হলো- মাথাব্যথা, জ্বর, মেরুদণ্ডে ব্যথা, পাকস্থলীতে ব্যথা এবং বমি।
৮. জিকা ভাইরাস- উগান্ডার জিকা বনভূমিতে এর উৎপত্তি। ধরা পড়ে ১৯৪৭ সালে। মশার মাধ্যমে ছড়ায় বলে নির্ণয় করা হয়। যৌন সংসর্গেও এটা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। এখনো কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি। ৯. মারবুর্গ ভাইরাস- এই রোগ প্রথমে জার্মানির মারবুর্গ শহরে ১৯৬৭ সালে ধরা পড়ার কারণে এই নামকরণ করা হয়। সেখানে প্রায় চার শত লোক মৃত্যুবরণ করে। ইবোলার মতো এটা বাদুড় থেকে সংক্রমিত হয় বলে নির্ণয় করা হয়।
১০. ইবোলা- আফ্রিকায় ১৯৭৬ সালে আবিষ্কৃত হয়। প্রায় এক হাজার মানুষ এতে মৃত্যুবরণ করে। ইবোলায় আক্রান্ত হলে ৫০-৯০ ভাগ লোক মারা যেতে দেখা গেছে। সাধারণত গা গোলানো, বমি, ডায়রিয়া হয় এবং সাথে লিভার ও কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে কারো মধ্যে রক্তপাত হতে থাকে। ১১. এইচআইভি ভাইরাস- এই ভাইরাসের আক্রমণে দেহে এইডস রোগের উৎপত্তি হয়। এইডস মানুষের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কেড়ে নিলে সামান্য জ্বরেও মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৮১ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে দুই কোটি ৫০ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশেও এটা নির্ণয়ের জন্য ৯১টি কেন্দ্র (সরকারি ১৬ ও বেসরকারি ৭৫টি) কাজ করছে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার হাজার ১৪০ জনকে পজিটিভ নির্ণয় করা হয়। ১২. হেনিসা ভাইরাস- এটা প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় চিহ্নিত হয়। ১৯৯৪ সালে ঘোড়ার মৃত্যু হতে থাকে এবং তার সংস্পর্শে থাকা চারজন মানুষও মারা যায়। এটা বাদুড় দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছিল। ৭০টি ঘোড়ার মৃত্যু হয়। ১৩. নিপাহ ভাইরাস- এটার প্রসারও বাদুড়ের মাধ্যমে ঘটতে দেখা যায়। ১৯৯৮ সালে শূকরের মাঝে মালয়েশিয়ায় এটা প্রথমে নির্ণয় করা হয়। নিপাহ শহরে এটা প্রথমে ধরা পড়ে বলে এই নামকরণ। দেড় শতাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করলে এর ভয়াবহতা আন্দাজ করা হয়। বাংলাদেশের লালমনিরহাটে ১৭ জন এ রোগে মারা যায়।
১৪. সার্স ভাইরাস (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ভাইরাস)- চীনে এই রোগটির উৎপত্তি হয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০০২ সালে এর উৎপত্তির বছরে সে দেশে মারা যায় ৭৭৪ জন। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এই রোগের খবর আর পাওয়া যায়নি। ১৫. সোয়াইন ইনফ্লুয়েজা- শূকরের মাধ্যমে আসে বলে নামকরণ হয়েছে এই রোগটির। ইউরোপ-আমেরিকায় ৭৫টি দেশে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। বাংলাদেশে ভারতের মাধ্যমে রোগটি আসে বলে নির্ণীত হয়েছে। ১৬. মার্স ভাইরাস- এটাকে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বলার কারণ, এ রোগ সৌদি আরব ছাড়া আশপাশের মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে একসাথে আবির্ভূত হয়। ২০১২ সালে সৌদি আরবে পরিলক্ষিত হয়। মারা যায় প্রায় ৭০০ মানুষ।
এখন ১৭তম ভাইরাস হিসেবে করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। করোনা প্রথমে মুরগির মধ্যে লক্ষ করা যায় ১৯৬০ সালে চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাদুড় এবং সাপ প্রথমে এই ভাইরাসটির আমদানি ঘটায়। পরে মুরগির মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে দ্রুত ছড়াতে থাকে এবং এ পর্যন্ত ১৩১টি দেশে এ রোগটি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি মানুষ এ রোগে প্রাণ দিয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খবর। আবার একটি পক্ষ বলছে, চীনের উহান থেকে এর জন্ম। এখানকার বিখ্যাত ভাইরাস ল্যাবরেটরিতে থেকে জীবাণুটি ছড়িয়ে পড়ে।
যারা এই ভাইরাসের কারণে পৌষ মাসের সন্ধান পেয়েছে তাদের সবার হয়তো নয়, কিন্তু কিছু মানুষ এবং সংস্থার উল্লেখ এখানে করা যায়। অবশ্যই এরা বিশ্বের সব মানুষের কাছে পরিচিত। এরা হলো- ১. টেসলা (এলন মাস্ক যে এখন বিশ্বের এক নম্বর ধনী) লাভ ১১৮ বিলিয়ন ডলার; ২. আমাজন (জেফ বেজোস দুই নম্বর ধনী) লাভ ৫৮ বিলিয়ন ডলার; ৩. ফেসবুক (মার্ক জুকারবার্গ) লাভ ২৯ বিলিয়ন ডলার; ৪. গুগল (ল্যারি পেজ ও সার্জি ব্রিন অ্যালফেবেট) লাভ ৬৫ বিলিয়ন ডলার; ৫. মাইক্রোসফট (বিল গেটস) ২৬টি বিলিয়ন ডলার; ৬. ল্যারি এলিসন ওরাকন লাভ ২৮ বিলিয়ন ডলার; ৭. স্টিভ বেলমার সাবেক মাইক্রোসফট- ২৩ বিলিয়ন ডলার; ৮. মাইকেল ডেল (ডেল টেকনোলজি) ১৮ বিলিয়ন ডলার; ৯. ড্যানিয়েল গিলবার্ট (তিনি রকেট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা) লাভ ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এ থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, অতীতের যে সব প্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে তা বাস্তবভিত্তিক।
তবে এটাও সত্য ‘ধনবাদ সচ্ছলদের সবচেয়ে বড় বন্ধু’। ধনবাদ বহুল সমালোচিত হলেও এটা সত্য যে, এই পদ্ধতিতেই উন্নতির সোপান নির্মিত হয়। এ পথ দিয়েই এই ৯ ধনী এবং সংস্থা গত এক বছরে বিশ্ব অর্থনীতির মাধ্যমে ৩৬০ বিলিয়ন ডলার লাভ করে অর্থনীতি সচল রাখে। খানিকটা তাদের নিজেদের স্বার্থেও বটে। কারণ অচল এবং দুর্বল অর্থনীতিতে ধনীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের সম্মুখীন থাকে।
সিনেটর বার্নি স্যানডার্স এক মন্তব্যে বলেছেন, ‘আমরা মানুষের এই অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক কষ্টের সময় আর জেফ বেজোস, মার্ক জুকারবার্গ এবং এলন মাস্কের মতো ব্যক্তিদের এমন অশ্লীলভাবে ধনী (অবসিনলি রিচ) হওয়া মানতে পারি না।’ (উই ক্যান নো লংগার টলারেট বিলিয়নেয়ার্স লাইক জেফ বেজোস, মার্ক জুকারবার্গ অ্যান্ড এলন মাস্ক বিকামিং অবসিনলি রিচ অ্যাট এ টাইম অ্যা আনপ্রেসিডেন্টেড ইকোনমিক পেইন অ্যান্ড সাফারিং)। তিনি সাধারণ মানুষের ইচ্ছার কিছু প্রতিফলন ঘটালেও বাস্তব অবস্থার কোনো পরিবর্তনের কোনো দিশা দেননি।
এই ধনীদের চারজন সাধারণ মানুষের কল্যাণে কিছু দান করেছেন। বিশ্লেষকরা দেখিয়েছেন, বেজোস এই মহামারীতে তার লাভের মাত্র ০.২৬ শতাংশ দান করেছেন। মাস্ক দিয়েছেন ০.০০৪ শতাংশ, জুকারবার্গ দিয়েছেন ০.৩৬ শতাংশ এবং ব্রিন দিয়েছেন ০.২৪ শতাংশ, তবে সবচেয়ে বেশি দিয়েছেন বিল গেটস। তার লাভের ৭.৩ শতাংশ। তবে অবস্থার অবনতির জন্য তারাও দায়ী, কারণ সোস্যাল মিডিয়ার প্রচারের মাধ্যমেই এই অবস্থার সৃষ্ট হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন এবং এভাবেই তাদের জন্য পৌষ মাস এসেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা