ব্যাকফুটে উপমহাদেশের সাংবাদিকতা
- জসিম উদ্দিন
- ০৯ জুন ২০২১, ২০:৩৮, আপডেট: ০৯ জুন ২০২১, ২১:০৭
গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাকিস্তানের রাজনীতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাংবাদিকদের জবাবদিহিতার আওতায় রাখার জন্য যথেষ্ট আইনকানুন থাকলেও দেশটির সরকার একটি নতুন কানুন চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে দেশটির সাংবাদিকরা আগে থেকে বিভিন্নভাবে গুরুতর বাধার মুখে পড়ছেন। তাদের অপহরণ, হেনস্তা, আক্রমণ, আটক করে ভীতি প্রদর্শন নিয়মিত ব্যাপার। নতুন আইনটি আলোচনায় আসার মধ্যেই সেখানে কয়েকজন সাংবাদিক নিপীড়নের ঘটনা আইনটি প্রণয়নের বিরুদ্ধে তাদের ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত করছে। তারা শেষ পর্যন্ত নতুন কালাকানুন রুখে দিতে পারেন কি না, জানা নেই। তবে এ ধরনের ঐক্য স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আসাদ আলি তুর নামে একজন স্বাধীন সাংবাদিক ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করেন। ২৫ মে একদল দুষ্কৃতকারী জোরপূর্বক তার বাসায় প্রবেশ করে এবং দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্দয়ভাবে তাকে পেটায়। তারা তুরের অর্থের উৎস কোথায়, তা জানতে চায়। পরে মোবাইল ফোনসহ তার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যায়। ওই হামলার পর প্রখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর জোরালো প্রতিবাদ করে নিজেও খড়গের মধ্যে পড়েছেন। তুরের ওপর হামলাকারীরা সেনা গোয়েন্দা সংস্থার লোক- ইঙ্গিতে তিনি সে কথা বলেছিলেন। তার দেয়া বক্তৃতায় কঠোর প্রতিবাদ ছিল। হামিদ মীর বলেছেন, তোমরা যদি ভাঙচুর করে আমাদের বাসায় ঢুকে হামলা করো, আমরা তো তোমাদের বাসায় ঢুকতে পারব না, কারণ আমাদের কাছে কামান বন্দুক নেই, তবে আমরা তোমাদের হাঁড়ির খবর জনগণকে জানিয়ে দিতে পারব।’
এর পরপরই হামিদ মীরকে জিও টিভির জনপ্রিয় টকশোর উপস্থাপনার দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়। কেন তাকে বাদ দেয়া হচ্ছে সে কারণ দর্শাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে তারা জানিয়েছে ‘প্রচণ্ড চাপে পড়েছেন’ তারা। কোথা থেকে এমন চাপের উৎপত্তি, তারা প্রকাশ করতে পারেননি। ২০১৪ সালে হামিদ মীরের ওপর শারীরকভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। ওই সময় তিনি একটি টিভি অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনী কর্তৃক নাগরিকদের অধিকার হরণ নিয়ে কথা বলার পর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
তুরের বিরুদ্ধে গত বছর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। তখন অভিযোগ ছিল, গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো। পরে একটি আদালত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেন। গত বছর রাজধানী ইসলামাবাদে আরো দু’জন সাংবাদিকের ওপর একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০ এপ্রিল আবছার আলম নামে এক টিভি সাংবাদিককে তার বাসার কাছে গুলি করে আহত করা হয়। সরকারের সমালোচক হিসেবে তিনি পরিচিত। একই বছরের সেপ্টেম্বরে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়। তিনি সামাজিক মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর’ ভাষা ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়। তার আগে ২১ জুলাই মতিউল্লাহ জান নামে এক সাংবাদিককে ইসলামাবাদ থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ। এভাবে গুম করে ফেলার কয়েক ঘণ্টা পর তাকে অবশ্য ছেড়ে দেয়া হয়।
একটি স্বাধীন দেশে একজন নাগরিকের বাসায় দরজা ভেঙে প্রবেশ করা; তারপর তাকে সেখানে বেঁধে মারধর করে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাওয়া, এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপ করতে পারার কথা নয়। সন্ত্রাসীরা যদি এমনটি করেও থাকে, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য তাদের আটক করা মামুলি ব্যাপার। এই দুষ্কৃতকারীরা আবার কখনো ধরা পড়ে না। এমন বেআইনি বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের জন্য কাউকে কখনো বিচারের মুখোমুখি হতে হয় না। আক্রান্ত ব্যক্তিকে করা প্রশ্নের ধরন দেখে বোঝা যায়, এটি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ব্যাপার। একই ব্যক্তির ওপর একই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আবার তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’সহ একই ধরনের ‘আদালত অবমাননা’র মামলা হচ্ছে। সুতরাং বুঝতে অসুবিধা হয় না, টকশোর উপস্থাপনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া থেকে শুরু করে সাংবাদিকের ওপর মারধরের ঘটনা এক যায়গা থেকেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।
ভিন্নমত প্রকাশ, এমনকি জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার সুযোগ পাকিস্তানে সীমিত হয়ে যাচ্ছে। সরকার সমালোচক সম্পাদক ও গণমাধ্যম মালিকদের ওপর চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে দেশটির সরকার পাকিস্তান মিডিয়া অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএমডিএ) নামে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠার তোড়জোড় শুরু করছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী পিএমডিএ হবে মুদ্রণ, সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মাধ্যমের একক নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর আগে সে দেশে গণমাধ্যমের ওপর বিচ্ছিন্নভাবে কর্তৃত্ব করা হতো। অধ্যাদেশটি অনুমোদিত হলে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট আগের সব আইন বিলুপ্ত হবে। পিএমডিএ এর ওপর খবরদারি করার কোনো কর্তৃপক্ষ থাকবে না সর্বোচ্চ আদালত ছাড়া। নতুন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার অনুমোদন ও প্রতি বছর নবায়নের দায়িত্ব যাবে পিএমডিএ এর কাছে। এই কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যম কর্মীদের বেতনভাতা এবং এসব নিয়ে যাবতীয় বিরোধের নিষ্পত্তি করবে।
অধ্যাদেশটির যে কাঠামো তা গণমাধ্যমের ওপর সরকারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ করে দেবে। এ ধরনের অধ্যাদেশ এক কথায় দানবীয়। দেশটির ইতিহাসে বেশির ভাগ সময় কেটেছে সামরিক শাসনে। সেখানে মার্শাল ল একটি অতি পরিচিত টার্ম। এই নতুন আইনকে ‘মিডিয়া মার্শাল ল’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। এর ফলে সংবাদমাধ্যমের বৈচিত্র্য বিনষ্ট হয়ে এককেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে, যা সংবাদমাধ্যমকে সরকারের প্রচারযন্ত্রে রূপান্তরিত করবে।
তবে এর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সব সাংবাদিক সম্পাদক মালিক একাত্ম ঘোষণা করেছেন। তারা এমন অধ্যাদেশ পাস হলে আন্দোলন করবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এ ধরনের আইন প্রণয়নের ফলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে বলে সাবধান করে দিয়েছে। অন্য দিকে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ এবং ভুট্টো পরিবারের নেতৃত্বাধীন পিপিপি এর বিরুদ্ধে কঠোর বিবৃতি দিয়েছে।
এই উপমহাদেশের বৃহৎ দেশ ভারতের উদার বহুত্ববাদী চরিত্রে ফাটল ধরেছে বেশ ক’বছর আগে। সেই সাথে দেশটির গণমাধ্যমও নানাভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। বাসার দরজা ভেঙে মারধর করা- এমন বৈশিষ্ট্য ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর মধ্যে এখনো নেই। তবে কাশ্মির ও দেশের অন্য কিছু এলাকায় সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে। এই দেশে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলটি ভিন্ন। নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলার ছড়াছড়ি। এসব মামলার চরিত্র এমন যে, প্রকৃতপক্ষে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সঙ্কীর্ণ করে দেয়। প্রকারান্তরে এটি গণমাধ্যমের গলা চেপে ধরে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদিকে অবমাননার জন্য ১৪৯টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। পাল্লা দিয়ে উত্তর প্রদেশের একই দলীয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথিত অবমাননার জন্য হয়েছে ১৪৪ মামলা। দেখা যাচ্ছে, গত দশ বছরে দায়ের হওয়া ৪০৫ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ৯৬ শতাংশ রাজনৈতিক নেতাদের অবমাননার কারণে।
সম্প্রতি এমন একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় উচ্চ আদালত খালাস দিয়েছে বিনোদ দুয়া নামে এক সাংবাদিককে। ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উচ্চ আদালত এমন বাড়াবাড়িমূলক মামলা নিয়ে বিরক্ত। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আনীত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। উচ্চ আদালতের এমন স্বাধীন কার্যক্রম পরিচালনা অনেক সময় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গত বছর দিল্লি রায়টের সময় বিজেপি নেতাদের উসকানিমূলক বক্তৃতায় ছড়িয়ে পড়া রায়ট বন্ধে দিল্লির আদালতের বিচারপতি এস মুরালিধর একটি স্বপ্রণোদিত আদেশ দিয়েছিলেন। পরদিনই আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান বিচারপতির সমঝোতায় তার বদলির আদেশ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি সেই আদেশে অনুমতিও দিয়ে দেন। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি পদটিরও অপব্যবহার হয়ে গেল সংখ্যালঘু নিধনের কাজে। একটি স্বেচ্ছাচারী সাম্প্রদায়িক শাসন যদি কর্তৃত্বে থাকে সেখানে কোনো আইনই মানুষের অধিকার রক্ষায় যথেষ্ট হয় না।
একটি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালে ভারতে ৬৭ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। মোদির শাসনকালে ২০০ সাংবাদিক শারীরিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন। উত্তর প্রদেশে একটি গণধর্ষণের খবর দিতে গিয়ে একজন সাংবাদিক জেলে গেছেন। তার মুক্তি মেলে কেবল অসুস্থ মাকে দেখার জন্য। কংগ্রেসের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর ভারতে গণমাধ্যমের সম্পাদকীয় নীতির অধঃপাত নিয়ে আফসোস করে সম্প্রতি একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি সাংবাদিক হেনস্তার এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। তার পর্যবেক্ষণে দেশটির সাংবাদিকতার উচ্চ মান ক্ষয়িষ্ণু হয়ে গেছে। এখন সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলোর চোখ স্থির হয়ে যায় নিজের আয় কিভাবে হবে সেই দুশ্চিন্তায়। বিজ্ঞাপনের প্রবাহ গণমাধ্যমের নীতি নির্ধারণের প্রধান নিয়ামক। এ কারণে সরকারসহ ক্ষমতার রথী মহারথীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি খবর হয় না। অন্য দিকে বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও ভিন্নমতের ব্যক্তিরা আক্রমণের অকারণ শিকার হচ্ছেন গণমাধ্যমে।
বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম এমন খবর তৈরি করে যেগুলো ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষে যায়। এই খবর সরকারের ব্যর্থতাকে জনসাধারণের কাছ থেকে আড়াল করে রাখে। অর্থাৎ বর্তমান ভারতীয় সংবাদমাধ্যম শুধু ‘সরকারের কাছে দায়বদ্ধ’। জনসাধারণের প্রতি অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতি তারা রক্ষা করে না। বিজেপি সরকার স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ক্ষীণ আলোটুকুও দমিয়ে দেয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১ তৈরি করেছে। চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি এটি পাস হয়েছে। দেশটির উচ্চ আদালতকে আপাতত কিছু সৎ সাহস করতে দেখা যাচ্ছে। তাও করোনা মহামারী নিয়ে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থার কারণে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের স্বেচ্ছাচারিতা আবার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নেবে। তখন নতুন আইনটির ব্যবহার দেখা যাবে গণমাধ্যম কোণঠাসা করার জন্য।
ভারত ও পাকিস্তানে সাংবাদিকদের অবস্থা আমাদের চেয়ে খারাপ এমন বলার কোনো সুযোগ নেই। রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার প্রণীত ফ্রিডম ইনডেক্সে বিগত দুই বছরই আমরা দেশ দু’টি থেকে পেছনে রয়েছি। ২০২০ সালে ইনডেক্সে ভারতের অবস্থান ১৪২, পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৫, বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১। চলতি বছর তারা যে ইনডেক্স তৈরি করেছেন তাতে আমরা আরো একধাপ পিছিয়ে ১৫২। অন্য দিকে ভারত পাকিস্তান দুটো দেশই তাদের আগের অবস্থান ধরে রেখেছে। এই ইনডেক্সে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানও আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। পরপর দুই বছর তাদের অবস্থান ১২২। চলতি বছরে এ দেশগুলোতে সাংবাদিকের মৃত্যুর কোনো ঘটনা নেই। আমাদের দেশে এই সময় দু’জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। হেনস্তার শিকার হয়েছেন অনেকে।
ভারত পাকিস্তানে সাংবাদিকদের একটা অংশের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করতে হয়। তারা চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। এই যাত্রায় অনেক সংবাদ প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করার মতো। একইভাবে অনেক সাংবাদিকের অবস্থান অনুসরণীয়। আমাদের দেশেও ব্যতিক্রম রয়েছে। তবে এ দুটো দেশের তুলনায় সে সংখ্যা নগণ্য।
বাংলাদেশে সাংবাদিকতাকে টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এমন চাপকে অগ্রাহ্য করার জন্য সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্যের লক্ষণ খুবই কম দেখা যাচ্ছে। নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোয় দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা পেশায় সম্পাদকীয় প্রতিষ্ঠানটিকে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। জায়গাটি এমন সব মানুষের হাতে চলে গেছে, যারা সাংবাদিক নন। যার টাকা আছে তিনিই সম্পাদক হতে পারবেন। অভিজ্ঞতার কোনো প্রয়োজন নেই। অনভিজ্ঞ, অসাংবাদিক বা ব্যবসায়ী সম্পাদক হলে তার অধীনে স্বাধীন সাংবাদিকতা হতে পারে না।’ সরকারের কঠোর চাপের চেয়েও তার এ মন্তব্যের বাস্তবতাই এ দেশে বেশি দেখা যায়।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা