২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঈদুল ফিতরের ‘সুরতহাল’

-

‘রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ রোজার শেষে খুশির সওগাত নিয়ে যে ঈদ এসেছিল এবারে তা নিরঙ্কুশ আনন্দের ছিল না। সমগ্র পৃথিবী ছিল করোনা ভারাক্রান্ত। বাংলাদেশেও করোনার করুণা আর সরকারের গঞ্জনা ঈদকে ফেলে দিয়েছিল ‘আনন্দ-বেদনা, মিলন-বিরহ সঙ্কটে।’ করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী ঘরবন্দী মানুষের চিরায়ত উৎসবের আমেজ ছিল অনেকটাই বিবর্ণ। বাঁধভাঙা আনন্দ-জোয়ার এবারের ঈদে ছিল একরকম অনুপস্থিত। বাংলাদেশে সবচেয়ে আনন্দের এই ঈদ উদযাপিত হয়েছে নিরানন্দে। গত বছরের মতো লকডাউনের কারণে এবারো ছিল না স্বাভাবিক রোশনাই।

এ বছর ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয় মসজিদে। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাত করা সম্ভব ছিল ময়দানে। রোজার মধ্যে তারাবির নামাজেও ছিল নিয়ন্ত্রণ। অথচ দোকানপাট, রাস্তাঘাট খোলাই ছিল। ঈদের জামাত মসজিদে হলেও মুসল্লিদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বাধাবিঘ্নের মাঝে সন্তুষ্টি ছিল না সাধারণ মানুষের।

আসলে ঈদ তো রোজাদারদের জন্য। আর রোজাদারদের এক বড় অংশ আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় নেতারা। রোজার ইবাদতের মূল অংশ আবর্তিত হয় আলোম-ওলামাদের কেন্দ্র করে। রোজার অনুষ্ঠান, মাহফিল-মিলাদ, ওয়াজ-নসিহত ও তারাবিতে তারাই নেতৃত্ব দেন। এবারের তাদের একটি বড় অংশ রোজার মাসেই হয়েছেন নিপীড়িত নির্যাতিত। হেফাজতে ইসলাম কেন নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করল- তার মাশুল কড়ায়গণ্ডায় গুনতে হয়েছে তাদের। তারা নতজানু হয়ে- আপস রফার জন্য দেনদরবার করেও নিস্তার পাননি। কওমি মাদরাসায় রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। পদত্যাগও করেছেন অনেকে। তারপরও ‘অত্যাচারের খড়গ কৃপাণ’ থেমে থাকেনি। তাই বৃহত্তর আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখদের পরিবারে ঈদ আসেনি। জুলুমের জাঁতাকলে নিষ্পেষিত হয়েছে মজলুম। ‘ঈদের বিমল জ্যোতি যে আনন্দ আনিল ধরায়/হিংসা-দ্বেষ, ভেদ-জ্ঞান আর জালেমের অত্যাচার/লুপ্ত হলো অমঙ্গল প্রভায়।’ হাজারো আলেম-ওলামার ভারাক্রান্ত হয়েছে জেলখানা। এরপরও যারা বাইরে ছিলেন- নামাজে জামাতে মুনাজাতে ছিলেন হাজির, তাদের চোখেমুখে দেখেছি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। অব্যক্ত বেদনা। ঈদের আনন্দ ছিল বেদনাবিধুর। জালেমরা সবসময়ই জুলুমের অজুহাত খোঁজে। একই অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন ইসলামী রাজনীতির ধারকরা। অবশেষে ঈদের রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে জামায়াত নেতা সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে। ঈদের মধ্যেই রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাকে। বাদ যায়নি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এক যুগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ঈদ বলতে যেটা সবসময় বুঝি সেই ঈদ এক যুগ ধরেই আমাদের নেই। কারণ আমাদের কমপক্ষে ৩৫ লাখ নেতাকর্মী বিভিন্ন মামলায় আসামি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এক দিকে করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্য দিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন। এ দিকে সিসিইউতে বিবর্ণ ঈদ পালন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে আবেদন জানানো হয়েছিল বিদেশে নেয়ার। সদাশয় সরকার তা নাকচ করেছে। বরং তথ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ‘সরকারের দয়ায় বেগম খালেদা জিয়া এবার জেলের বাইরে ঈদ করার সুযোগ পেয়েছেন।’ এটি গেল রাজনৈতিক চিত্র। ঈদ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও অবর্ণনীয়।

লকডাউন নিয়ে সরকারের তুঘলকি কাণ্ড সর্বজনবিদিত। ঈদে গণপরিবহন খোলা ও বন্ধের খেলা সাধারণ মানুষের জন্য চরম ভোগান্তি ডেকে আনে। গণপরিবহন যখন মানুষের জন্য অনিবার্য ছিল তখন তা বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার খোলা রাখা হয় আন্তঃজেলা পরিবহন। গাড়িওয়ালাদের চলাচলেও বিধিনিষেধ ছিল না। প্রচণ্ড কষ্ট, চরম ভোগান্তি, আর করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে মানুষ গিয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছিলেন, যে যেখানে আছেন তাকে সেখানেই ঈদ করতে। তার এ নির্দেশে যুক্তি ছিল। দরকার ছিল কারফিউয়ের মতো অবস্থা তৈরি করে সব পরিবহন বন্ধ করা। সীমিত পরিবহন চালু থাকবে এবং বড়লোকদের গাড়ি চলবে- এটি যৌক্তিক ছিল না। বাংলাদেশের মানুষের নাড়ির খবর যারা রাখেন তারা নিঃসন্দেহে স্বীকার করবেন যে, মানুষ তার আত্মার-আত্মীয়দের সাথে ঈদ করতে চায়। এ জন্য তারা পর্বত পরিমাণ বাধাও অতিক্রম করতে চায়। যাত্রীবাহী ট্রেন, লঞ্চ ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে দেশের বাড়ি গেছে তারা। এ জন্য তাদের অনেক গুণ ভাড়াও গুনতে হয়েছে। বাড়ি যাওয়ার এই তাড়না সরকার বুঝতে অক্ষম ছিল। তার কারণ এটি জনগণের সরকার নয়। কী রকম অবস্থা হলে ফেরিতে পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে অনেকের প্রাণ গেল, তা বোঝার ক্ষমতা এই সরকারের নেই। ক্ষমতাই তাদের লক্ষ্য। মানুষের সেবা নয়। কর্মস্থলে ফিরতে গিয়েও মানুষ একই ধরনের দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়। সরকার যখন দেখল যে, মানুষ এত কষ্ট করেও আবার ফিরছে কর্মস্থলে তখন তাদের উচিত ছিল তাদের যাতায়াত সহজ করা। সরকার তা করেনি। সরকারের এই ব্যর্থতার সুযোগ নিয়েছে কিছু লোভী মানুষ। তারা কৌশলে কার, মাইক্রোবাস ও ট্রাক ব্যবহার করে তাদের লোভের ক্ষুধা মিটিয়েছে।

ঈদ আনন্দের রেশ যেতে না যেতেই আরো নিরানন্দের খবর, করোনা আক্রমণ আরো ভয়াবহ হবে। দুনিয়াজুড়ে আরো ভয়াবহ আকার নিতে পারে করোনাভাইরাস। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রথম বছরের চেয়েয় দ্বিতীয় বছরে এই অতিমারী অনেক বেশি প্রাণঘাতী হতে চলেছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের অভিঘাত ঠেকানোর সতর্কতা বাড়াতে বলেছে সংস্থাটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার ভারতীয় ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম ভারতে এই ধরনটির সন্ধান মিলেছিল। ইতোমধ্যে তা ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে এই ভারতীয় ধরন অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আর এই ভারতীয় ধরন নিয়েই বাংলাদেশের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সরকার ও সাধারণ মানুষ ভীতির মধ্যে বসবাস করছে। ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ রোধ করার জন্য লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অথচ অফিস-আদালত, কলকারখানা এমনকি দোকানপাটও খুলে দেয়া হয়েছে। সরকারের এই বিপরীত সিদ্ধান্তে ভোগান্তি বেড়েছে জনগণের। দেশে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কমেছে। আর সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। ভারতীয় ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ যদি রোধ করা যায় তাহলে অবস্থার উন্নতি হবে। আর যদি এটির সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে আমাদের ভয়াবহ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

এই করোনাভীতি ও সরকারের অন্যায় অত্যাচার যখন আমাদের ঈদের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে তখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের আরেকটি ভয়াবহ খবর আমাদের হৃদয়কে বিচলিত করেছে। সেটি হলো গাজা তথা ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বর হামলা। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে এই সংঘর্ষের শুরু এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জেরুসালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। ইসরাইলি নির্মম হামলায় গত সাত দিনে প্রাণহানি ২০০ অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ৫২ জনই শিশু। আহত হয়েছে এক হাজার ২০০ জন। রকেট হামলা হয়েছে তিন হাজার ১০০ বার। বাস্তুচ্যুত হয়েছে দুই হাজার ৫০০। ইসরাইল গাজার আলজাজিরা ও এপির অফিস গুঁড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই মুহুর্মুহু বিমান হামলায় কেঁপে উঠছে গাজা ভূখণ্ড। প্রতিবাদে গাজা থেকে হামাস রকেট ছুড়ছে ইসরাইলের দিকে। তা তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে না। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসেছিল। সেখানে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে বারবার ভেটো দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরাইলের আত্মরক্ষার যুক্তিতে এই বর্বর আক্রমণ সমর্থন করে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে আরব ভূমিতে জোরপূর্বক ইসরাইল সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে। সেখানে সরকার বদল হলেও ইসরাইলি নীতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি অর্থনীতি ও সমরনীতিতে ইহুদিদের অনতিক্রম্য প্রতিপত্তি রয়েছে। ইসরাইলি বিমানবাহিনী ঈদের দিনই গাজায় হামলা শুরু করে। মানবিকতা ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন কিছুই তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সাম্প্রতিককালে ইসরাইলের এই বেপরোয়া যুদ্ধের মূল কারণ আরব বিশ্বের কতিপয় রাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতা।

উল্লেখ্য, আরব-আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর এর অনেক আগে মিসর ও জর্দান ইসরাইলের মিত্রদেশ হিসেবেই কাজ করছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তন না হলে ইতোমধ্যে সৌদি আরবও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিত। ট্রাম্প জামাতা কুশনার এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ইসরাইলের হয়ে আরব স্বীকৃতির পক্ষে জোরদার কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল বলে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, মূলত আরব জাহানের বেঈমান ও মোনাফেকরাই ফিলিস্তিনি জনগণের চিরস্থায়ী দুর্ভোগ এবং বর্তমান বর্বর হামলার জন্য দায়ী। উত্তরণের উপায় হিসেবে সবাই আরব তথা মুসলিম বিশ্বের বাস্তব ঐক্যের কথা বলে আসছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরও একই উপলব্ধি। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেদিন এই একই বাস্তবতার কথা বলেছেন। সত্যিই মুসলিম বিশ্ব যদি এক ও অভিন্ন থাকে তাহলে ইসরাইল অনেক আগেই আক্রমণাত্মক মনোভাব পরিহারে বাধ্য হতো।

দেশের ও মধ্যপ্রাচ্যের এসব ঘটনাবলি আমাদের ঈদকে ম্লান করে দিয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিশেষত আলেম-ওলামাদের দুঃখকষ্ট আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে। দেশের ও বিদেশের তথা ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির জন্য নাগরিক ও রাষ্ট্রিক ঐক্যের বিকল্প নেই। সব দেশের সব মানুষের ঐক্য অবশেষে রাষ্ট্রিক ঐক্যের সূত্রপাত ঘটাবে। বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের এই দুর্দশায় ঐক্যের জন্য ‘কাঁদছে বেলাল নিতুই রাতে- যেন কাবার মিনার থেকে/কাঁদছে বেলাল ঘুমন্ত সব মুসলিমেরে ডেকে ডেকে।’ তাই কবি নজরুলের ভাষায় আমাদের আকুল প্রার্থনা, ‘তাওফিক দাও খোদা ইসলামে/মুসলিম-জাঁহা পুনঃ হোক আবাদ। দাও সেই হারানো সালতানাত/দাও সেই বাহু সেই দিল আজাদ।... দাও ভায়ে ভায়ে সেই মিলন/ সেই স্বার্থত্যাগ সেই দৃপ্ত মন,/হোক বিশ্ব-মুসলিম এক জামাত/ উড়ুক নিশান ফের যুক্ত চাঁদ।’

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ২৪ ঘণ্টায়ও মহাসড়ক ছাড়েনি ডিইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা বুধবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ চীন সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা সুদানে গৃহযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা আগের হিসাবকে বহুগুনে ছাড়িয়ে গেছে, বলছে গবেষণা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা : যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২০ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যার’ অভিযোগ নিহত আইনজীবীকে নিয়ে অপপ্রচার করছে ভারতীয় গণমাধ্যম : প্রেস উইং হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্র-বিরতি চুক্তি জয় দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করতে চায় টাইগ্রেসরা সহজ জয়ে সিরিজে সমতা পাকিস্তানের

সকল