২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

উন্নয়নের নিজস্ব মডেল হওয়া উচিত

উন্নয়নের নিজস্ব মডেল হওয়া উচিত - ফাইল ছবি

বিশ্বের সব দেশের মানুষ উন্নত জীবনের আকাক্সক্ষা পোষণ এবং তা অর্জনের জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা-সাধনা করে থাকে। তবে শুধু ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা থাকলেই তা অর্জন সম্ভব নয়। কেননা, দেশের কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য ব্যক্তিবিশেষের প্রচেষ্টা তথা ক্ষুদ্রপর্যায়ের উদ্যোগ কার্যকর হতে পারে না। এ জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অপরিহার্য। তবে সরকারি প্রচেষ্টা সফল করতে হলে অবশ্যই প্রতিটি ব্যক্তিকে রাষ্ট্রের পাশাপাশি সাধ্য-সামর্থ্য নিয়ে পাশে থাকতে হবে- উন্নয়নের কার্যক্রম যে প্রক্রিয়ায়ই হোক সে জন্য অর্থ-সম্পদের প্রয়োজনটি নিঃসন্দেহে সবার আগে বিবেচনায় নিতে হবে। সেই সাথে এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে যে, অর্থ তো উন্নয়ন পরিকল্পনার নীতিনির্ধারণ, আর তার সুষ্ঠু পরিকল্পনা আর তদারকির কাজ করতে পারবে না। যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা সরকার ও তার প্রশাসনের ভূমিকা এবং গুরুত্ব এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি। সব দেশের উন্নয়নের যাত্রাটা এভাবেই শুরু হয় এবং তাতেই সাফল্য আসে। দেশের মানুষের জীবন যাপন স্বাচ্ছন্দ্যের সীমায় পৌঁছে দেয়া তথা সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে জীবন যাপনের ঈপ্সিত সোপানে পৌঁছার জন্য ওপরে বর্ণিত পথের কোনো বিকল্প নেই। ব্রিটেনে মানুষের জীবন, সম্পদ ও তার নিরাপত্তাসহ যাবতীয় সুরক্ষার পুরো দায়িত্বই নিয়ে থাকে সে দেশের সরকার ও তার মেশিনারি।

আগেই উল্লেখ করেছি, উন্নয়নের সব পরিকল্পনার নীতি ও সে নীতির আলোকে দায়িত্ব পালন করে থাকে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ তথা সরকার ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সেই কর্মকর্তাদের কাজের অর্থাৎ দায়িত্ব পালন ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর সার্বিক তদারকি করে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। যেহেতু বাংলাদেশে রাজনীতি ও সরকারব্যবস্থা সব কিছুই ব্রিটেনের মডেলকে অনুসরণ করে করা হয়, তাই এখানে যেসব উদাহরণ পেশ করব তা মূলত ব্রিটেনেরই অনুরূপ। ব্রিটেনে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সে দেশের কর্মকর্তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সম্ভব নয়। কেননা, সে দেশের প্রয়োজনীয় সব তথ্য উপাত্ত বস্তুত কর্মকর্তাদের নখদর্পণে থাকে। এমন অসম্ভব যোগ্যতা তাদের থাকতে হয়। আর তাদের সব তথ্যই থাকে হালনাগাদ। ফলে রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের দিকনির্দেশনা অনুধাবন আর তা বাস্তবায়নের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য প্রশাসনের কিছুমাত্র বিলম্ব করতে হয় না। তারপরও কর্মকর্তাদের এমন পারঙ্গমতার ওপর রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে না বরং পুরোপুরি তৎপর থাকে।

আমলাদের ওপর দেয়া দায়িত্বগুলো নিয়ে রাজনীতিকরা সার্বিকভাবে অবহিত থাকেন এবং তদারকির দায়িত্ব পুরো মাত্রায় পালন করেন। ব্রিটেনের রাজনীতিক ও প্রশাসনের বিষয় নিয়ে কিঞ্চিৎ বক্তব্য পেশ করা হলো। এখানে তাদের অন্যান্য সব বিষয়ের এবং জনহিতকর কাজের কোনো উল্লেখ করা হয়নি। তাদের যোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করিনি এ জন্য যে, দেশের ও জনগণের পুরো আস্থার কারণেই সে দেশে কোনও সরকারের ওপর স্বাভাবিকভাবে এসব দায়িত্ব আসে। সে দেশের রাজনীতিকদের লক্ষ্যটাই মূলত তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে এখন সজাগ সতর্ক থাকতে অনুপ্রাণিত করে। যাতে তাদের কাছে এমন কোনো দায়িত্বহীনতার নজির না ঘটে, যাতে তাদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। ব্রিটেনে ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষও তাদের কাজ করার সময় অধীনস্থ আমলাদের এমনভাবে বাছাই করে থাকে, যাদের যোগ্যতা দক্ষতাকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ থাকে না। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি রয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তারা যোগ্যতা আর কর্মপটুতার অনন্য উদাহরণ রাখে বলে সেখানে বিরোধী দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি রয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তাদের বলা হয় ‘হার ম্যাজেস্ট্রিস অপজিশন’। তাই যদি কখনো ক্ষমতাসীন দল আস্থাভোটে হেরে যায়। তখন সরকারের দায়িত্ব পালন নিয়ে কোনো শূন্যতার সৃষ্টি হয় না। সরকারের পতন ঘটার মুহূর্তেই বিরোধীদল সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন শুরু করে থাকে। ফলে কোথাও কোনো শূন্যতা পরিলক্ষিত হয় না। তারা তখন দ্রুত কাজে তৎপর হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ ও সদ্য ক্ষমতা গ্রহণকারী সরকারি মেশিনারি যোগ্যতার সাথেই গতিশীল প্রশাসন পরিচালনা শুরু করে দেয়।

এমনটা কি আমাদের দেশে কল্পনা করা যায়? যোগ্যতার কথা না হয় বাদই থাক। এক্ষেত্রে যে ভয়াবহ দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত সৃষ্টি হবে, দুই পক্ষের মধ্যে যে কুরুক্ষেত্র বেধে যাবে তাতে সব কিছু টালমাটাল হয়ে পড়বে। দেশে সৃষ্টি হবে চরম অস্থিতিশীলতা আর নাশকতা।

লেখাটা ভিন্ন দেশের রাজনীতিক নেতা ও আমলাদের ভূমিকা নিয়ে সূচনা করার একটাই উদ্দেশ্য যে, আমরা কিছুকাল আগে থেকে শুনতে পাচ্ছি, দেশের উন্নয়নকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু আমাদের সরকার আর আমলাদের কি সে জন্য ষোলোআনা প্রস্তুতি ও পারঙ্গমতা রয়েছে, নাকি তা অর্জনের জন্য কোনো কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ কথা অবশ্যই স্বীকার করছি, করোনা আমাদের অনেক পিছিয়ে দিয়েছে এবং এখনো তা আমাদের পিছু ছাড়েনি, তারপরও ঘরে বসে তা নিয়ে আমাদের সবার কতটা ‘হোম টাস্ক’ হয়েছে? আমাদের মিডিয়া যেহেতু সব কথা বলতে পারে না বলে অভিযোগ রয়েছে, সম্ভবত সে জন্য মিডিয়াও আমাদের এ সম্পর্কে হালনাগাদ কোনো তথ্য দিয়ে ওয়াকিবহাল করতে পারছে না। মিডিয়া প্রসঙ্গে আর কিছু কথা বললে হয়তো অতিরিক্ত বলা হবে না। কারণ উন্নয়নের সাথে হাজারও অর্থ ও তথ্যের সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে উন্নয়ন ও তার সাথে অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সেখানে হিসাব-নিকাশের বেশুমার তথ্য জড়িত থাকে। কথাটা কটু হলেও বিষয়টি এতটাই ওপেন-সিক্রেট যে, বহু আগে থেকেই দেশের মানুষের কাছে বিষয়টি জানা যে, বাংলাদেশে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটে। বিশ্বব্যাপী আমাদের অর্থনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। তা ছাড়া প্রতিদিনের খবরের পাতা খুললেই দুর্নীতি আর অর্থ আত্মসাতের শত কাহিনী শোনা যায়, যার কোনো প্রতিকারের ব্যবস্থা হয় না।

বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশের সীমা অতিক্রম করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রশাসনিক ঘোষণা এসেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থান নির্ণয়ের জন্য গবেষণা সংস্থা রয়েছে। তারা বিভিন্ন বিচার-বিশ্লেষণের পর বিভিন্ন দেশ সম্পর্কে তাদের মতামত দেয়। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উপনীত হওয়ার যে ঘোষণা হয়েছে তা এখন এসব সেই গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থাগুলো- তাদের বিচার-বিবেচনায় রেখেছে। উন্নয়ন নিয়ে আমাদের যে প্রশাসন এসব বিষয় দেখভাল করছে তাদের পশ্চিমের দেশগুলো থেকে বহু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের প্রয়োজন রয়েছে। অবশ্য সে জন্য আমাদের আমলাদের অহমিকায় ভোগার পরিণতি শুভ হবে না। কিন্তু এ-সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা গ্রহণের জন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট আমলাদের উদ্যোগও তো লক্ষ করা যায় না।

আমাদের সূচনা বক্তব্যে বস্তুত এ জন্য আমরা ব্রিটিশ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি, যাতে উন্নয়নের কাজটি করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বোধটি আমাদের প্রশাসন উপলব্ধি করে। সেই সাথে রাজনীতিকরাও সজাগ হন।

পশ্চিমে উন্নয়ন নিয়ে নানা অনুশীলনের কোনো ব্যত্যয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। সে সব দেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা শুধু মানুষের ভোট পাওয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকেন না, দেশ পরিচালনা নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে থাকেন। প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে রাজনীতিকদের সব ব্যাপারেই ওয়াকিবহাল থাকার পাশাপাশি জবাবদিহির মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব নির্বাচনী এলাকার মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য তারা সদা তৎপর থাকেন।

জনগণকে সব কিছু কড়ায় গণ্ডায় বুঝিয়ে দেন। আর আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের হালটা কী তা আর কাউকেই বোঝানোর দরকার পড়ে না। কেননা, কেবল ভোটের সময়ই তাদের চেহারা দেখা যায়। তারপর আর তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায় না।

উন্নয়ন প্রকল্পের যে ধারণা আমাদের প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা পেয়েছি এবং কিছু প্রকল্প স্বচক্ষে দেখছি এসব থেকে আমাদের এই ধারণাই জন্মেছে যে, বড় বড় সব মেগা প্রকল্পের আরও কাজ শুরু হবে।

কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের উন্নয়নের সূচনাটা কী করে, কেমন ভাবে শুরু হবে? বিশ্বে কোথায় কিভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে? এসব বিষয় সম্পর্কেও অনেকেরই ধারণা থাকার কথা নয়। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের এসব বিষয় নিয়ে সংসদে আলোচনার প্রয়োজন ছিল, যাতে সাধারণের একটা বোধ সৃষ্টি হয়। এমন আলোচনা হচ্ছে না বলে সন্দেহ জাগতে পারে আমাদের জনপ্রতিনিধিদেরও হয়তো এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা সৃষ্টি হয়নি।

সে যাই হোক, মেগা প্রকল্প বা প্রজেক্ট মানেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার সংশ্লিষ্টতা। এ দিকে এটাও সবার জানা যে, এখানে নানা অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা অহরহ ঘটে। তাই এমন আশঙ্কা জাগা স্বাভাবিক যে, এসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে মূলত সব বড় বড় ঠিকাদার। আমাদের সম্মুখে অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে- বড়রাই বরাবর অর্থ-বিত্ত নিয়ে নয়ছয় করে থাকে। তা ছাড়া আমাদের এখানে জবাবদিহি আর হিসাব-নিকাশ নেয়ার যে দশা তাতে গরিবের করের অর্থ নিয়ে কোনো খেলা না শুরু হয়।

সে যাই হোক, আমরা আমাদের মূল কথায় ফিরতে চাই। দেশের উন্নয়নের সাধারণ অর্থ সবার ভাগ্য ফেরা। তাই উন্নয়নের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি নিয়ে সাধারণ আলোচনা, যে নির্দেশনা সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে তা থেকে একটি একটি করে যদি সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হতো তবে এভাবেই দেশের অগণিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ক্রমান্বয়ে সুবিধাভোগী হয়ে উঠতে পারত। তাতে পর্যায়ক্রমে দেশে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধানটাও কমে আসত। মুক্ত আলোচনা যদি হতে পারত তবে সরকারেও নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটত। উন্নয়নের স্বপ্ন আকাশে ডানা মেলতে পারত। সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছোট ছোট স্বপ্ন থেকে বড় স্বপ্ন দেখার চিন্তার বিকাশ ঘটত।

স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা সবেমাত্র উন্নয়নের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি আর তার স্বরূপ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। কিন্তু আমাদের সহযোগীরা উন্নয়নযাত্রা শুরু করে দিয়েছিল বহু আগে। তারা আজ কোথায়, আর আমরা কোন পর্যায়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেই অতি পুরনো গল্পের কথা স্মরণ হলো- কচ্ছপ আর খরগোশের গল্প। স্বাধীনতার পর আমরা উন্নয়ন নিয়ে অনেক কথা আর হম্বিতম্বি করেছি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, খরগোশ এক দৌড়ে যাতে লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারে কিন্তু আসলে কিছুটা যেতেই খরগোশ গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন হয়। যেমন আমরা উন্নয়ন নিয়ে অনেক আলোচনা করে খরগোশের মতোই নিথর হয়ে যাই। অন্য দিকে কচ্ছপ বিরামহীনভাবে ধীরস্থিরভাবে পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যেতে থাকে। এভাবেই কচ্ছপ লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। আর আমরা খরগোশের মতো গভীর নিদ্রায় অচেতন হয়ে পড়ে থাকি।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ গুমের ঘটনা তদন্তে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি : কমিশন প্রধান প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিপনের লাশ সাড়ে ৩ মাস পর উত্তোলন নির্বাচনের জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করাই ইসির প্রধান কাজ : রিজভী পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয় কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে মৃত ১, নিখোঁজ ২ জাপান নতুন বাংলাদেশেরও বন্ধুই রয়েছে : রাষ্ট্রদূত পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় জিম্বাবুয়ের

সকল