মহামারী ও দ্বিতীয় তরঙ্গ
- মীযানুল করীম
- ১১ এপ্রিল ২০২১, ২০:১১
‘পৃথিবীর আর সব দেশে কোভিড জীবাণু দেহে ঢোকে নাক-কান-মুখ-চোখ ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে। তবে বাংলাদেশে ঢোকে থুতনি দিয়ে।’ এ চুটকিটার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষকে মুখের মাস্ক নামিয়ে থুতনি বরাবর রাখতে দেখে। আবার অনেকে মাস্কটা রাখেন এক কানে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে। অনেকের মাস্ক মুখে নয়; পকেটে থাকে।
এভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করতে করতে, এখন একদিনেই ৭৭ জনের কোভিডে প্রাণ দেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে এ দেশে। অবশ্য কেউ কেউ কেবল রেকর্ডের পেছনে দৌড়ান আর ভাবেন ‘তবুও তো হতভাগা দেশটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়ছে, ভাঙছে। আজ হয়তো কোভিডের রেকর্ড; কাল পরশু ভালো কিছুও তো হতে পারে।’ এটা যেন ‘করতে করতে হাত আসা’ বা দক্ষ হওয়ার কল্পকাহিনী। অবশ্য কোনো কথা শোনা কিংবা কোনো কিছু দেখার জন্য মাস্ক খুলে রাখার অভিজ্ঞতা বোধ হয় বাংলাদেশ ছাড়া কোথাও নেই।
লকডাউন চলছে সারা দেশে। আসলেই কি লকডাউন? না অন্য কিছু? এই সন্দেহের কারণ, ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং লকডাউন বললেও তার প্রশাসনিক মুখপাত্র তুল্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, ‘লকডাউন চলছে না; বিধিনিষেধ চলছে।’ সাধারণত দেখা যায়, ‘রাজা যাহা বলেন, পারিষদ করে তার শতগুণ;’ অর্থাৎ ধরে আনতে বললে মেরে আনে। কিন্তু লকডাউনের বেলায় অন্যথা কেন? কেউবা সাফাই গেয়ে বলবেন, লকডাউন বা বিধিনিষেধ নামে কি বা আসে যায়? ‘যাহাই বাহান্ন, তাহাই তেপান্ন’। কিন্তু খোদ প্রবল প্রতাপশালী সরকারপ্রধান একটা কথা বলার পর তার সরকারের প্রধান আমলার ভিন্নসুর কিভাবে হতে পারে? নেত্রীর চেয়ে তার স্টাফের ক্ষমতা তো বেশি নয়।
এ প্রেক্ষাপটে লকডাউন রয়েছে, লকডাউন নেই- এ কথাটা দেশবাসীর মনে জাগাই এখন স্বাভাবিক। তদুপরি সরকারবিরোধী লোকজনের কথা, ‘এটা লকআপের সরকার। তাই লকডাউন এ আমলে বাস্তবায়িত হয় না।’ তাহলে আগে জেনে নেয়া দরকার ‘লকআপ’ ও ‘লকডাউন’ বলতে কী বোঝায়? প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে নিউ জেনারেশন নিউজ ব্রেকডাউনের চেয়ে ব্রেকআপের সাথে বেশি পরিচিত। যা হোক্, কথা হলো- ‘লক্আপ’ মানে হাজতখানা। অক্সফোর্ড অ্যাডভান্সড লার্নার্স ডিকশনারিতে ‘লক্আপ’-এর মানে করা হয়েছে, A small prison where prisonens are kept for a short time (একটি ছোট কারাগার যেখানে বন্দীদেরকে রাখা হয় স্বল্প সময়ের জন্য)। লকআপের দ্বিতীয অর্থটি ব্রিটিশ ইংরেজিতে বেশি চালু আছে। তা হলো A smalll shop that the owner dosnot live in (একটি ছোট দোকান যেখানে এর মালিক থাকেন না) এবং A garage that is usually separate from the buildings and that is rented to somebody (এমন একটি গ্যারেজ যা অন্যান্য ভবন থেকে আলাদা এবং যা কাউকে ভাড়া দেয়া হয়।) ‘লকডাউন’ মানে যে, সব কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং পরিণাম জনজীবনের অচলাবস্থা, তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এ যাবৎ কথাটা বেশি প্রয়োগ করা হতো কলকারখানার ক্ষেত্রে (এটা পুরো বন্ধ করে দেয়া বোঝাতে)। আর ব্রেকডাউন-এর সাধারণ অর্থ, Failure of a relationship, discussion or system (কোনো সম্পর্ক, আলোচনা কিংবা ব্যবস্থার ব্যর্থতা)। কোনো তথ্য, হিসাব, পরিসংখ্যান প্রভৃতি ভেঙে ভেঙে বিস্তারিত উপস্থাপনকেও Break Down বলা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ জেগেছে। বিশ্বের কোথাও কোথাও নাকি ‘তৃতীয় তরঙ্গ’ উঠেছে এই প্রাণঘাতী জীবাণুর। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যবিধি মানতে লোকজন যেন অপারগ বা অনিচ্ছুক। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (‘হু’) চিকিৎসকরা বারবার মাস্ক পরা এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাকিদ দিয়েছেন। দেশের অসংখ্য স্থানে ব্যানার-পোস্টারে লেখা আছে ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে।’ বিশেষত প্রকাশ্য সমাগমস্থলে এ লেখা বেশি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? মৃত্যুভয় যেন কারো নেই। এসব বিধি মেনে চলতে গিয়ে শহরের লোক গ্রামের মানুষের কাছে, এমনকি নিজ পরিবারে পাগল/বোকা/ভীতু বলে গণ্য হচ্ছেন।
মানুষ সামাজিক জীব। কথাটা শতভাগ সত্য। তবে বঙ্গ সন্তানদের চেয়ে অধিক সামাজিক বোধ হয় ধরণীতে কেউ নেই। তাই সামাজিক দূরত্বের মতো ‘অসামাজিক’ কর্ম বজায় না রেখে করমর্দন, কদমবুসি, কোলাকুলি ইত্যাদি আগের মতো চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। অপর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত সর্বক্ষণ মাস্ক পরিধান করে থাকেন এবং ভুলেও করমর্দন করেন না।
একটা কথা, রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সের বাইরে চার দিকে সরকারের প্রচারণামূলক বহু ছবি রয়েছে। এগুলো কিছুদিনের ব্যবধানে বদলিয়ে নতুন ছবি বসানো হয়। সম্প্রতি সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আলোকচিত্র দেখা গেছে। সরকারপ্রধানের বেশির ভাগ ছবি ছিল স্বাভাবিকভাবেই মাস্ক পরিহিত। রাষ্ট্রপ্রধানের ছবিগুলোর অধিকাংশে মাস্ক দেখা যায়নি। নিশ্চয়ই তিনিও মাস্ক পরে থাকেন এ সময়ে। তাই অবিলম্বে ভুল সংশোধন করা উচিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
৪ এপ্রিল রোববার ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও বড় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘আন্তঃজেলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকবে।’ শুনে তখনই অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দেয়, শুধু আন্তঃজেলা বন্ধ থাকার অর্থ, নগরীর অভ্যন্তরীণ বাস-মিনিবাস চলবে। এ ধারণাই সত্য হলো। কেননা, পরদিনই সব মহানগরে সড়ক যোগাযোগ চালু রাখার, অর্থাৎ গণপরিবহন চলাচল করার অনুমতি দেয়া হলো। কথা হচ্ছে, সরকার আগেই আটঘাট বেঁধে লকডাউন দিলে হতো। এর অর্থ, পর্যাপ্ত সমন্বয় এবং যথাযথ প্রস্তুতি। যখন অফিস-আদালত, শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, তখন এর লাখ লাখ শ্রমিকসহ স্টাফের যাতায়াতের উপায়ও রাখা চাই। বিশেষত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের কাজে আসা যাওয়ার সুব্যবস্থা থাকতে হবে। তাহলে আর গণপরিবহন থাকা না থাকার কথা আসত না। কেউ যেন অধিক ভাড়ার সাথে অধিক যাত্রী না নেয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।
এ দিকে ডিজিটাল দেশ গড়ার জন্য সবকিছু ‘ডিজিটালাইজ’ করার ধুম পড়ে গেছে। কিন্তু মহামারীর সময়ে খুব জরুরি হলো ‘স্যানিটাইজ’ করা। তাই স্যানিটাইজার থাকতে হবে সবার কাছে; অন্যথায়, জীবাণুমুক্ত থাকা হয়তো সম্ভব হবে না। গত বছর মহামারীর মধ্যে যখন গণপরিবহন চলার অনুমতি প্রথম পায়, তখন বাস-মিনিবাসের হেলপাররা নিজেরাই সবাইকে স্যানিটাইজার দিতেন। অনেক অফিসে ও ব্যাংকে ছিল স্যানিটাইজার ভর্তি ট্রে। এতে জুতা/ স্যান্ডেল ডুবিয়েই ঢুকতে হতো ব্যাংকে বা অফিসে। আস্তে আস্তে হেলপারের হেল্পিং হ্যান্ড গুটিয়ে গেল; অর্থাৎ আর স্যানিটাইজার দেখা গেল না। স্যানিটাইজার ট্রে-ও হয়ে গেল উধাও। এখন স্যানিটাইজার চেয়ে নিতে হয়। অনভ্যাসে যেন জড়তা বেড়েছে সংশ্লিষ্ট লোকজনের।
অপরিকল্পিত কাজ আমরা বেশির ভাগ সময়ে করি বলে কথা শুনতে হয়। এ জন্য ‘ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিওনা’ বলে একটা বাংলা প্রবাদ প্রচলিত আছে। কথা হলো- পরিকল্পনা শুধু নয়, সমন্বয়ের অভাবও ব্যাপক। প্রধানত সে কারণে করোনার প্রথম ধাক্কা খেয়ে আমরা সবাই চিৎপটাং হয়ে গিয়েছিলাম। সেটা না হয় পয়লা আঘাত। তবে তা থেকে আমরা কী শিক্ষা পেলাম? এ থেকে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের শিক্ষা নেয়াই বড় কথা। কিন্তু ইতিহাসের বড় শিক্ষা, ‘ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।’ পবিত্র কুরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বারবার ‘বুদ্ধিমান’দের শিক্ষা নিতে বলেছেন বিভিন্ন ঘটনা থেকে। অর্থাৎ যারা যথাযথ শিক্ষা নেয় না, তারা বেকুব। জাতি হিসেবে আমরা নিঃসন্দেহে নিজেদের বোকা হিসেবে তুলে ধরতে চাই না। তাই করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার এ সময়ে আমাদের সরকার ও সমাজের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে কি আশা করা যায় না? অন্যথায় যে চড়া মাশুল দিতে হবে দেশের সবাইকে, তার ক্ষতি কোনো দিন পূরণ করা যাবে না। এ দিকে মিডিয়ায় সমালোচনা চলছে, কেন লকডাউনের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত হয়নি, কেন প্রয়োজনীয় সমন্বয় নেই, কী কারণে প্রণোদনার বেলায় প্রচারণার চেয়ে প্রয়োগ অনেক কম ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা আশা করি, সবাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাবো সততা ও দক্ষতার সাথে। এ জন্য দরকার দূরদর্শিতা ও দেশপ্রেম। দরকার উদার মানসিকতা ও জাতির ঐক্য। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবার আর ফেল করার কোনো যুক্তি দেখানো যাবে না। সবার সে হুঁশ হবে কি?
লকডাউনের উদ্দেশ্য কী, তা সরকার বারবার বলেছে এবং জনগণের কাছেও তা স্পষ্ট। তবুও একটা বিষয় প্রমাণিত যে, দেশবাসীর অনেকেই সরকারের সাথে বিচ্ছিন্নতাবোধ করছে এবং প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। দৈনিক কালের কণ্ঠের ৭ এপ্রিল সংখ্যায় একটা প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগের দিন রাজধানীর এক ব্যবসায়ী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন দমানোর জন্য সরকার এই লকডাউন দিয়েছে। তার পাশ থেকে আরেক ব্যক্তি বলে ওঠেন, ‘আমাদের সরকার উন্নত বিশ্বের চাপে রয়েছে। তাদের দেখানো হচ্ছে, করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশও কিছু একটা করছে।’
আসলে সরকার প্রথম থেকে, মহামারী মোকাবেলায় কঠোরতা বা দক্ষতার পরিচয় দিলে এবং সংশ্লিষ্ট তৎপরতায় সমন্বয় থাকলে জনগণের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস বাড়তো এবং এসব কথা বলা হতো না। এখন এক দিকে দেশে-বিদেশে বড় বড় ঘটনা ঘটছে; আবার সরকারের এক ধরনের হ-য-ব-র-ল দশা। ফলে লোকজন করোনা কিংবা টিকার ধার ধারছে না নিজেদের ক্ষতি সত্ত্বেও।
তদুপরি জীবন ও জীবিকার ইস্যু তালগোল পাকিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সরকার জীবিকাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে আগে তো জীবন।’ তার কথার সত্যতা ও যৌক্তিকতা অস্বীকার করা যায় না। বাস্তবে যে অবস্থা, তাতে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই বিপন্ন। কর্মকর্তারা আরো সৎ, আন্তরিক ও বাস্তবধর্মী হলে এ সমস্যা কমে যেত। সরকার জনগণকে ‘একটু’ কষ্ট করতে বলেছে এই দুর্যোগের সময়ে। কার্যত, একটু নয়- ‘অনেক’ কষ্ট করতে হচ্ছে গণমানুষকে। জীবিকা বন্ধ হয়ে অনেকের জীবন সঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। যার কষ্ট, তিনি এর যাতনা বোধ করেন বেশি। লকডাউনে মিরপুর থেকে গুলশান কিংবা বাসাবো হতে রামপুরায় হেঁটে গিয়ে কাজ করার কষ্ট কেমন, তা বলে দিতে হয় না ।
কোভিড-১৯ করোনা অণুজীবঘটিত কালব্যাধি। তা এখন ‘কোভিড-২১’ হওয়া উচিত। এই মারীর তৃতীয় তরঙ্গ নাকি উঠেছে কোনো কোনো রাষ্ট্রে। বাংলাদেশে এর দ্বিতীয় তরঙ্গ বা ঢেউ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কেন? কেউ বলছেন কোভিড জীবাণু উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়া সইতে পারে না। এখন কেবল উষ্ণতা আছে, আর্দ্রতা নেই। তাই তার পোয়াবারো। বৃষ্টি হলে এর দৌরাত্ম্য কমে যেত। আবার কেউ কেউ বলছেন, আসলে মাস্ক না পরাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঢেউ নতুন করে ওঠার হেতু। কারো বা অভিমত, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে, উধসহ পধৎব ভাব দেখিয়ে চলা এবং যেখানে সেখানে যখন তখন লোকসমাগম হওয়ার ফলেই কোভিড ব্যাধির বাড়-বাড়ন্ত। তবে সারা দুনিয়াতেই কোভিড অতিমারী আবার মহাআক্রোশে আক্রমণ চালাচ্ছে মানুষের ওপর। এর তরঙ্গ সৃষ্টির প্রকৃত কারণ ও করণীয় সম্পর্কে একমাত্র আল্লাহই জানেন।
পাদটীকা : কয়েক দিন আগে মতিঝিলের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার মুখে মাস্ক; মাথায় সুরক্ষার আবরণ। এ সময়ে যা ন্যূনতম করণীয়, তা-ই করেছি মাত্র। এক তরুণ আমাকে দেখে এক লাফে দূরে সরে গেল। যেন ‘আমিই অন্যায় করেছি এবং ওর মতো মাস্কবিহীন থাকাটাই শোভন ও সঙ্গত।’ এখন মাস্ক ও মস্তকাবরণ নতুন বা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। তবুও এসব না পরাই যেন অনেকের কাছে বীরত্বের বহিঃপ্রকাশ। আর যারা এসব পরিধানের নিয়মকানুন বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তারা হয় ‘পাগল’, না হয় ‘বোকা’, নতুবা ‘অদ্ভুত’। সত্যিই কী বিচিত্র এ দেশ!
mizanulkarim1956@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা