খবরের ফলোআপ কোন দিকে গেল
- জসিম উদ্দিন
- ০৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:৪৯

নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে কতজন প্রাণ হারিয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। কেউ ১৪, কেউ ১৭ আবার কেউ ২০ জনের মৃত্যুর কথা বলছেন। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিয়ে প্রমাণসহ কিছু বলার তাগিদ অনুভব করছে না। দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে তার নামধাম ও ঠিকানা গুরুত্বের সাথে সংগ্রহ করা হয়। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল থাকে। তা ছাড়া সরকারি ক্ষতিপূরণ দানের একটা বিষয় থাকে। হেফাজতের যারা জীবন দিলেন তাদের বেলায় তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।
দেখা যায়, নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য পাওয়া যায়, যা মর্মস্পর্শী। ব্যক্তি হিসেবে হয়তো তার কোনো অনন্য গুণ ছিল। হয়তো ছিল প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার তার কঠিন কোনো সাধনা। হয়তো তিনি অনেক কষ্ট করে পড়তে এসেছিলেন। আলোকিত হওয়ার জন্য, দারিদ্র্য জয় করার জন্য তার সেই প্রচেষ্টা অন্যদের প্রেরণা হতে পারে। বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে তার মেলামেশা, উদারতা, মায়ামমতা হয়তো ছিল অনুসরণযোগ্য। থাকতে পারে পরিবারের অন্য কোনো গল্প। হতে পারে তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। হতে পারেন অনেকগুলোর বোনের একমাত্র ভাই। কিংবা হতে পারেন পিতামাতাহীন বেড়ে ওঠা কোনো একজন এতিম তিনি। সাধারণত অকাল মৃত্যু বা অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর পর আমরা একজন মানুষকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করি।
কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে মহিমান্বিত হওয়ার সুযোগ আরো বাড়ে। নিকটাতীতে লেখক ব্লগার কিংবা প্রগতিশীল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মানুষদের প্রাণ হারানোর পর এমন নানা কাহিনী তাদের নিয়ে প্রকাশ পেতে দেখা গেছে। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের জন্য শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। খুনিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। তাদের হত্যার বিচারের জন্য তাগিদ দিয়েছেন। খুনিরা বিচারে যাতে কোনো ছাড় না পায় সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা দেখিয়েছেন। সাধারণত অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর ঘটনার পর সেগুলোর ফলোআপ সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দেয়। সদস্য হারানো পরিবারগুলো সবার মনোযোগের কেন্দ্রে চলে আসে।
সংবাদমাধ্যম ওই সব ব্যক্তির জীবনের নানা অজানা তথ্য ও তাদের পরিবার-পরিজনের কথা তুলে আনে। এটি সংবাদমাধ্যমের নিয়মিত চর্চার বিষয়। পাঠক আকৃষ্ট করার জন্য কিছুটা রঙ চড়ানোও হয় অনেক সময়। মানুষ সেসব রঙচড়ানো কাহিনী আগ্রহের সাথে পড়ে কিংবা টেলিভিশনে সাগ্রহে দেখে। এবার প্রতিবাদকারী বিক্ষুব্ধ মানুষের প্রাণহানি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো ফলোআপ নেই। কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্যও পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটা এবারই প্রথম নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের ব্যতিক্রম আচরণ দেখা গেছে। সংবাদমাধ্যমের নিয়মনীতি পাল্টে যাওয়ার নজির এ দেশে সৃষ্টি হয়েছে। হেফাজত এর আগে যখন রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছিল তখনো তাদের ওপর সরকারি বাহিনীর ভয়াবহ অভিযানের খবরই অনুপুঙ্খভাবে জানা যায়নি।
হেফাজত নামের সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ নামের আরেকটি সংগঠনের কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়ায়। গণজাগরণ নিয়ে আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যম সীমাহীন উৎসাহ দেখিয়েছে। মানুষের ফাঁসির দাবি নিয়ে সৃষ্টি হওয়া মঞ্চ থেকে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যে ধর্ম বা মতাদর্শে বিশ্বাসী তাদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সময় ওই মঞ্চের প্রতিটি কর্মসূচির খবর আমাদের সংবাদমাধ্যম বিপুলভাবে প্রচার করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিনভর মঞ্চ থেকে ধারা বর্ণনা দিয়েছে। পত্রিকাগুলো আলাদা পাতা ছেপে গেছে নিয়মিত। কখনো মূল সংবাদপত্রের ওপর আলাদা দুই পৃষ্ঠা দিয়ে জ্যাকেট পরিয়ে দেয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ওই আন্দোলনকে নতুন প্রজন্মের মহান একটি কর্ম হিসেবে দেখিয়েছে।
আজ যদি পেছন ফিরে ওই আন্দোলনের ফল বিশ্লেষণ করা হয় তা হলে তাদের কার্যক্রমকে ওই আন্দোলনকে জাতি বিভক্তিকারী সাম্প্রদায়িক উসকানি ছাড়া অন্য কোনোভাবে চিহ্নিত করার অবকাশ থাকে না। আজ হেফাজতকে সাম্প্রদায়িক দানবীয় শক্তি হিসেবে সংবাদমাধ্যম তুলে ধরতে চায়। হেফাজত প্রকৃতপক্ষে যদি একটি দানবীয় শক্তিও হয় তা হলেও সেটি গণজাগরণ মঞ্চের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ। যেসব তরুণ ওই আন্দোলনের মহান নেতা হিসেবে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন আজ কেউ তাদের নামও উচ্চারণ করে না। দেশের মানুষ তাদের ভালো চোখে দেখে না। হেফাজতের ক্ষেত্রে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এমন মনে করে না। তাদেরকে এখনো প্রাসঙ্গিক দেখা যাচ্ছে।
কথাগুলো এ জন্যই বলা যে, আজ মানুষ হত্যার শিকার হয়েও গুরুত্ব পাচ্ছে না। যেন সরকারি কর্তৃপক্ষ ও সংবাদমাধ্যমের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে, একজন অপরাধীর হত্যাও গুরুত্বপূর্ণ খবর। চরিত্রহীন নিকৃষ্ট ব্যক্তিকেও কেউ যদি হত্যা করে তার জন্য সংবাদমাধ্যম জায়গা বরাদ্দ করবে; যাতে অপরাধী কেন প্রাণ হারালো তা মানুষ জানতে পারে। অন্য দিকে সরকারি কর্তৃপক্ষ মানুষ হত্যার দায় কোনোভাবে এড়াতে পারে না। হত্যার শিকার ব্যক্তিরা যদি অপরাধ করে থাকে সেটা যেমন সামনে আনা দরকার। একইভাবে তাদের যারা হত্যা করেছে তারা কোন পরিস্থিতিতে তাদের হত্যা করেছে সেটাও সামনে আনা দরকার। ভুলবশত হত্যার শিকার হলেও তার দায় রয়েছে। আর যদি ইচ্ছাকৃত কাউকে হত্যা করা হয় তার জন্য শাস্তি রয়েছে। হত্যাকারীকে শাস্তি দেয়া না হলে একটা সময় গোটা সমাজই ভেঙে পড়তে বাধ্য।
মোদির আগমনের পর সহিংসতার খবরের ফলোআপ এখনো সংবাদমাধ্যমে আছে। ওই সব খবরে জানা যাচ্ছে, হেফাজত জ্বালাও-পোড়াও করেছে। তারা পুড়িয়ে দিয়েছে সরকারি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ, সুরসম্রাট আলাউদ্দিনের সঙ্গীতাঙ্গন। তাদের কাছে মূল্যবান বইপত্র, সরকারি অফিস ও রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো কোনো কিছু মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, তারা মসজিদেও জ্বালাও-পোড়াও করছে। এমনকি যেসব বইপুস্তককে পবিত্র জ্ঞান করে সেই কুরআন হাদিসও তারা জ্বালিয়ে দিচ্ছে। ঠিক এ ধরনের সংবাদ দিনের পর দিন সংবাদমাধ্যমে আসছে। অনেক বুদ্ধিজীবী হেফাজতের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদপত্রে কলাম লিখেছেন, টেলিভিশনের টকশোতে বলছেন। এ ধরনের একচেটিয়া বয়ান তৈরির সময় সংবাদমাধ্যম কাউন্টার বক্তব্য নেয়ার কোনো দায় অনুভব করছে না। এই সংবাদমাধ্যমের কাছে একই ঘটনা কখনো আন্দোলন আবার কখনো নাশকতা। এটি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড।
এই যখন অবস্থা তখন হত্যার বিচার চাইতে দেখা যাচ্ছে না হেফাজতকে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কী অবস্থা তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। চলমান আন্দোলনে অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিয়ে কোনো কথা নেই। সরকার ২০ হাজার লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। নিহত আহত হয়ে যারা পর্যুদস্ত হয়েছে এখন তাদের বিরুদ্ধ নেমে আসবে আরেক দফা নিপীড়নের খড়গ।
বৈধ স্ত্রী নিয়ে মোবাহেলা
হেফাজতের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা মামুনুল হকের একটি রিসোর্টে গমন সব কিছুকে ছাড়িয়ে গুরুত্বপর্ণ হয়ে উঠল। বিষয়টি এতটাই গুরুত্ব পেল আমাদের জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী নিজে কথা বললেন। এসব ক্রিয়াকলাপের অসংখ্য অসঙ্গতি। একজন মানুষ কোথায় যাবে, কী করবে এসব নিয়ে অন্য কেউ বিনা প্রয়োজনে নজরদারি করতে পারে না। দেখা গেল, মামুনুল হকের হোটেলের রুমে হাজির হয়ে গেলেন ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সাথে গেলেন সাংবাদিকরা। তার সাথে যে ভদ্রমহিলা ছিলেন তারা তার পরিচয় জানতে চায়। মামুনুল ওই ভদ্রমহিলাকে তার বিবাহিত স্ত্রী বলে জানালেও তারা জেরা অব্যাহত রাখে। উনাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে, অবরুদ্ধ করে রাখেন। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা তাকে বিক্ষোভ মিছিল করে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
একজন মানুষের সাথে থাকা নারী বিবাহিত স্ত্রী কি না সেটি একটি রিসোর্টে যাচাই করার এমন ঘটনা আগে কখনো দেখা যায়নি। বরং খবর রয়েছে, এ দেশের অবকাশ যাপন কেন্দ্র হোটেল রেস্তোরাঁয় অবাধে সামাজিক অনাচার চলে। সেখানে বাধা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি দেশে নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণ ও নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। তার কোনো প্রতিকার নেই। এসব অতি উৎসাহীদের ওই সব ক্ষেত্রে একেবারে চুপ থাকতে দেখা যায়। মামুনুল হক সাহেবের স্ত্রীর পরিচয় নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী যখন সামাজিক অনাচারের অভিযোগ আনলেন মামুনুল তখন মোবাহেলার ঘোষণা দেন।
মোবাহেলার প্রসঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সা: সেই সময়কার আহলে কিতাবদের একটি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তারা ঈসা নবীর জন্ম পরিচয় নিয়ে কথা তুলেছিল। ঈসার ব্যাপারে তাদের কাছে জানা গল্পগুলো তারা বলতে চাচ্ছিল। মুহাম্মদ সা: কথা বলছিলেন ওহির মাধ্যমে তার কাছে আসা নিশ্চিত জ্ঞান থেকে। তিনি তাদের বলেছিলেন, কিভাবে ঈসার জন্ম হলো। আর তিনি কী কাজ তখন মানুষের মধ্যে করছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে ফুঁকে দেয়া রূহ বিবি মরিয়মের গর্ভে আসে। তিনি ঈসা মসীহ হিসেবে পৃথিবীতে আসেন। তিনি মানুষের মধ্যে এসেই মায়ের কোল থেকে কথা বলছিলেন।
তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তাওরাত ও ইনজিল দিয়ে। তার আবির্ভাব একটি নিদর্শন। বাবা ছাড়া তার জন্ম। তার ওপর তিনি কয়েকটি অলৌকিক শক্তির অধিকারী ছিলেন। মাটি দিয়ে জীবন্ত পাখি তৈরি করতে পারতেন। অন্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে সারিয়ে দিতে পারতেন। মৃতকে করতে পারতেন জীবিত। মানুষ কী খেয়েছে এবং কী ঘরে রেখে এসেছে সেটি বলতে পারতেন। মুহাম্মদ সা: যখন এভাবে তার পরিচয় তুলে ধরেছিলেন। উপস্থিত আহলে কিতাব সেটি মেনে নেয়নি। শুরু হয়েছিল বিতর্ক। বিতর্কের অবসানে তিনি মোবাহেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার বক্তব্য যদি মিথ্যা হয় আসুন আপনাদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে। আমিও একইভাবে আসছি। আর আমরা প্রার্থনা করি স্রষ্টার কাছে যেই পক্ষ মিথ্যুক সে ধ্বংস হয়ে যাক। এ চ্যালেঞ্জটি এখনো রয়ে গেছে সূরা আলে ইমরানের ৬১ নম্বর আয়াতে।
তারা সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। তারা যদি তাদের মিথ্যা বানানো বক্তব্য নিয়ে মুহাম্মদ সা:-এর সামনে আসতেন হয়তো তাৎক্ষণিক এর পরিণাম ভোগ করতেন। ঘটনার ভয়াবহতা অনুমান করতে পেরে সামনে আসেননি। গুটিয়ে গেছেন। খ্রিষ্টানদের পক্ষ থেকে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারীকে এখনো দেখা যাচ্ছে না। মামুনুল হক তার স্ত্রীর বৈধতা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। চৌদ্দশত বছর পরও কেউ যদি কোনো ঘটনার ব্যাপারে এ চ্যালেঞ্জ দেন, সেটি একটি নিদর্শন হবে যদি চালেঞ্জটি গ্রহণ করা হয়। কারণ সাথে সাথে এর পরিণতি প্রমাণ হয়ে যেতে পারে।
প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে একটি গুরুতর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মামুনুল হকের প্রিয় হেফাজতের অনেককে হত্যা করা হয়েছে। অনেকে রয়েছেন আহত, তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন। সংগঠনটির বিশাল একটি গোষ্ঠী নিপীড়নের মুখে। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এই সময় ব্যস্ত থাকার কথা। তার পরও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে কোনো নেতা যদি বিলাসবহুল রিসোর্টে যান, তা হলে সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। এটি এ কারণে যে, সরকারি কর্তৃপক্ষ ও দেশের তাবৎ মিডিয়া তাদেরকে বিরোধী পক্ষ হিসেবে গণ্য করছে। হেফাজত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও এখন সরকারের বিরুদ্ধে এ সংগঠনটিকে একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান মনে হচ্ছে। অন্তত সরকার যেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে তাতে এমনটিই মনে হচ্ছে। কারণ সরকার কেবল তাদের সাথে দরকষাকষি করে এবং কেবল প্রতিপক্ষ হিসেবে তাদেরই ছাড় দেয়। তবে বরাবরই হেফাজতের কর্মী সমর্থকরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের শিকার। যে পরিমাণ আবেগ অনুভূতি তারা দেখায় তার কানাকড়ি মূল্যও তারা কারো কাছ থেকে পায় না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা