কিছু স্মৃতি, কিছু রাজনীতি
- মাসুদ মজুমদার
- ২৮ মার্চ ২০২১, ২১:৩০
টাটকা খবর হচ্ছে কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সভাস্থলে বোমা পুঁতে রাখার অপরাধে ১৪ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক গেল মঙ্গলবার এ রায় দিয়েছেন। এ রায় নিয়ে নিশ্চয়ই আপিল হবে এবং শেষ দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে, বাংলা ভাষায় একটা প্রবাদ বা প্রবচন রয়েছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। রোহিঙ্গাদের অবস্থা হয়েছে তাই। আগুনে নিঃস্ব হয়ে গেল ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। মৃতের সংখ্যা ১৫। ১০ হাজার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কথায় আছে, আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না। মানে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, সিনাগগ কিছুই রক্ষা পায় না। মসজিদ আল্লাহর ঘর, মন্দির হিন্দুদের উপসনালয়, গির্জা খ্রিষ্টানদের উপাসনালয়, ইহুদিদের আরাধনার স্থানকে বলা হয় সিনাগগ। এটা ঠিক আগুনে শুধু রোহিঙ্গাদের ক্ষতি হয়নি।
আশপাশের স্থানীয়দের বাড়িঘরও পুড়েছে। রোহিঙ্গাদের এই ক্যাম্প উখিয়া এলাকায়। এটি কক্সবাজার থেকে অনেক দূরের রাস্তা নয়। ঢাকার জেনেভা ক্যাম্পে প্রায়ই আগুন লাগে। কারো কারো ধারণা, জেনেভা ক্যাম্পে আগুন লাগানের বিষয়টি পরিকল্পিত ঘটনা হতে পারে। জেনেভা কনভেনশন অনুসারে এখানে বিহারিরা বসত করে। তাই বলা হয় জেনেভা ক্যাম্প। রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও অমন কিনা ভেবে দেখা দরকার। এদিকে, ভাসানচরে ঝড় জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ। ভাসানচরের নাম কেন ভাসানচর হলো ঠিক জানি না। সম্ভবত বঙ্গোপসাগরে ভেসে ওঠা চর বলেই এ ধরনের নাম হয়ে থাকতে পারে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই বসতি গড়ে তোলা হয়েছে। সাংবাদিকরা সরেজমিন দেখে এসে বলেছেন, এ যেন বস্তি নয়, আলীশান সব ব্যাপার স্যাপার। প্রথমে রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যেতে চায়নি। যারা গিয়ে একবার ব্যবস্থাপনা দেখেছে তারা বাকিদের উদ্বুদ্ধ করেছে। রোহিঙ্গারা ধরে নিয়েছিল এটা এক ধরনের শাস্তি। পরে বিষয়টি সম্পর্কে তাদের ধারণা পাল্টে যায়। রোহিঙ্গারা ধরে নিয়েছিল এটা আন্দামান নিকোবরের মতো কিছু হবে। আন্দামান নিকোবর বঙ্গোপসাগরের ওপারে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যারা শরিক হতো তাদের এ দ্বীপে নির্বাসনে পাঠানো হতো। এটার অপর নাম ছিল ‘কালাপানিয়া’। বাস্তবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আলেম-ওলামারাই প্রথম অংশগ্রহণ করেন। শায়খুল হিন্দকেও কালাপানিয়ায় নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল। এখন আন্দোলনকারীদের আর ওখানে পাঠানো হয় না। সেই আন্দামান নিকোবর এখন ভারতের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। যারা বিলাস ভ্রমণে যেতে চান তাদের জন্য একটি শীর্ষস্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র। যেমন আমাদের সেন্টমার্টিন।
এবার অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। সম্প্রতি কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কমডোর (অব:) আতাউর রহমান অন্যতম। তবে আতিকুল্লাহ খান মাসুদও স্মরণযোগ্য। কারণ তিনি জনকণ্ঠ পত্রিকার মালিক, সম্পাদক ও প্রকাশক। একসময় মতিঝিল থেকে প্রকাশিত হতো। তিনি জাতে সাংবাদিক ছিলেন না। ছিলেন একজন উদ্যোক্তা। সম্ভবত গ্লোব নামে তার একটি সংস্থা ছিল বা আছে। জনকণ্ঠ একসময় বেশ বাজার পেয়েছিল। বামঘেঁষা লোকজনই পত্রিকাটি পরিচালনা করত, লেখালেখি করত। এখন সেই রমরমা অবস্থা নেই।
কমডোর (অব:) আতাউর রহমান অনেক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মানুষের সেবা করেছেন। একসময় দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারপারসন ছিলেন, ইবনে সিনা টাস্ট্রের চেয়ারম্যান ছিলেন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের শুরুর দিকের চেয়ারম্যান ছিলেন। নিজ এলাকা আড়াইহাজার উপজেলার প্রভাকরদি এলাকায় তিনি অনেক সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রভাকরদিতেই তার পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন কাফন হয়। একবার তিনি দিগন্ত পরিবারের আমাদের ক’জনকে তার গ্রামের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি গাজীপুর চৌরাস্তার কাছাকাছি একটা বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। সেখানে তিনি আমাদের বার-বি কিউ বানিয়ে খাইয়েছিলেন। একসময় ইস্কাটনে তার সরকারি বাসভবনে গিয়েছিলাম। তখন তার ছেলে জিয়া ছিল ছোট্ট বালক। তাকে ঠাট্টা করে বলেছিলাম, মেজর জিয়ার নামানুসারে তোমার নাম। নিশ্চয়ই তুমি জিয়ার মতো নামজাদা হবে। যদ্দুর জানি সেই বালক জিয়া এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
সময় অনেক দ্রুতগতিতে গড়িয়ে যায়। আজ অনেক স্মৃতির ভিড় মনকে ভারাক্রান্ত করে দেয়। একবার ভারত যেতে হয়েছিল, কলকাতায়, একটা চেকআপ করার জন্য। আসা-যাওয়া বিমান ভাড়া ও চিকিৎসা বাবদ কত খরচ হলো তিনি জানতে চাইলেন। বলার পর বললেন, একটা ভাউচার জমা দিন। আপনি একটা ভাউচার করে আমার কাছে জমা দিয়ে দিন। কল্যাণ ফান্ড থেকে জমা দিয়ে দিলে আমি স্বাক্ষর করে দেবো এবং আপনার সব খরচ দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করব। বাস্তবেও করেছিলেন। এত উদার ও মানবতাবাদী মানুষ আজকাল কমই চোখে পড়ে। আগাগোড়া তাকে সৎ ও নিষ্ঠাবান হিসেবেই দেখেছি। রেগে গেলেও সংযম হারাতেন না। ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে এতটুকু স্মৃতিচারণ করেই প্রসঙ্গটার শেষ করছি। আল্লাহ তাকে এসব গুণাবলি ও সৎকর্মকাণ্ডের উপযুক্ত বিনিময় দিন। আদালতে আখেরাতে বেহেশত নসিব করুন।
ঢাকা মহানগরীর বায়ুদূষণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দিন দিন অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা শুধু পরিবেশ দূষণের কথা বলেন, সমাধান দেখতে পান শুধুই গাছ লাগানোর মধ্যে। বাস্তবে সরকারও গাছ লাগানোর মধ্যেই সমাধান দেখেন। বাস্তবে গাছ কেটে ফেলা অবশ্যই একটা সমস্যা। তবে একমাত্র সমস্যা কী! বর্তমান মেয়র আসার পর মেশিনে ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়ানোর উদ্যোগ অবশ্যই হচ্ছে। অন্তত সপ্তাহে দু’দিন ওষুধ ছিটানো হয়। আমার অভিজ্ঞতা, রাস্তার পাশে বাসা হওয়ার কারণে ধোঁয়া ছিটানোর শব্দ পাই। দরোজা জানালা খুলে দিই, বাস্তবে একটা গন্ধ, কিছু ধোঁয়া মেশিনের শব্দ এ ছাড়া মশা মরতে দেখি না, মাঝখানে পরিবেশ দূষণ আরো বাড়ছে। যদিও এখনো ডেঙ্গুর প্রকোপ একটা সীমার মধ্যে আছে। সামনে বর্ষাকাল তখন বৃষ্টিপাত বাড়লে হয়তো উপকার হবে। কিন্তু ক্ষতির দিকটিও ভুলে থাকা উচিত নয়। তখন ডেঙ্গু বাড়ে, নগরীতে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পায়। ঝড় জলোচ্ছ্বাস জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। তা ছাড়া বাংলাদেশকে ষড়ঋতুর দেশ বলা হয়। বাস্তবে আমরা অনুভব করি মূলত তিনটি কাল- গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকাল। এর বাইরে প্রকৃতি যেন বড্ড খেয়ালী হয়ে উঠেছে। এবার শীত পড়েছে গড়ে এক মাস, জানুয়ারির অর্ধেক এবং ডিসেম্বরের অর্ধেক। ভাদ্রে তাল পাকা গরম যেন আরো বেড়েছে। আগে মওসুমি ফলগুলো যথারীতি পাওয়া যেত সস্তায়। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। জলবায়ু পরিবর্তনে এই অঞ্চলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই মন্তব্য করেছেন। আমার জানামতে সার্ক জোন ছাড়াও বায়ুদূষণ ও পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রভাব পৃথিবীজুড়ে দেখা যায়। অর্থাৎ বৈশ্বিক পরিস্থিতিই একটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।
মানুষ যত উন্নত হচ্ছে তত বেশি পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছে। স্কুল জীবনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতো। উন্নয়ন, আশীর্বাদ না অভিশাপ। এখন এটি আর বিতর্কের বিষয় নেই; বাস্তবে মানুষের প্রয়োজনেই যেমন উন্নয়ন, তেমনি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও সর্বজন স্বীকৃত বিষয়। তাহলে কি আমরা চুপচাপ বসে থাকব? নিশ্চয়ই নয়, উন্নয়ন যেমন প্রয়োজন, তেমনি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সমাধান খোঁজাও জরুরি।
দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। দেশের অন্যতম মূল দল যারা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, তারা ‘অন্তর্কোন্দলে জর্জরিত। বসুরহাটে ওবায়দুল কাদের, মির্জা কাদের ও একজনের স্ত্রী অন্যজনের ভাবী- তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন। ইতোমধ্যে এই ইস্যুতে অনেক পানি গড়িয়েছে। আরো পানি গড়াবার সম্ভাবনাই বেশি। তা ছাড়া সরকারি দল ভিন্নমত মোটেও সহ্য করতে পারছে না, সেটা বিএনপি হোক, আর অন্য কোনো দলই হোক কিংবা বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের কেউ হোক, প্রত্যেকে নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সংযমী হচ্ছেন। কারণ হামলা-মামলা ছাড়াও হেন কোনো অপকর্ম নেই যার দায় ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর চাপাবে না।
ভারত চায় কানেকটিভিটি। আমরা চাই তিস্তার ইস্যুটি প্রাধান্য পাক। এটা নিয়েও দেশের রাজনীতিতে সুস্পষ্ট দু’টি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটি পক্ষকে বলা হচ্ছে ভারতের দালাল, অন্য পক্ষটি অভিযুক্ত হচ্ছে পাকিস্তানি দালাল হিসেবে। সেই ঘোষক বিতর্ক সমানে চলছে। অথচ একটি মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে রাজনীতি ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা জানি না এর শেষ কোথায়! হয়তো জনগণই এক সময় এর শেষ উত্তর দেবে। কারণ, এখন জনগণ রায় দেয়ার অবস্থায় নেই। ভোট বলতে এক ধরনের মহড়া। বারবার বলে আসছি দেশের সাংবিধানিক কোনো প্রতিষ্ঠানই বাস্তবে কার্যকর অবস্থায় নেই। সেবা খাত কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। বিদ্যুৎ খাত নিয়ে এত বেশি হামবড়ামি। গত বুধবার সন্ধ্যায় চারবার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করেছে। দুদক কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন গায়। দুই সিটি করপোরেশন বেশ করিৎকর্মা ভাব দেখায়। বাস্তবে নগরীর কোনো অংশে চোখে পড়ার মতো কিছুই দেখা যায় না। ওয়াসা পানির দাম বাড়াবার কথা বলছে। চূড়ান্ত কী হলো এখনো জানা হলো না।
দেশে মুজিববর্ষের তৎপরতার বাইরে কার্যত কোনো পক্ষের রাজনীতি নেই। অপরপক্ষে সরকার আবদার করে বলেছে, অন্য সব পক্ষ এই ইস্যুতে কেন তৎপর নয়। এর দায়ও সরকার ও সরকারি দলের অথচ অনেক আগে থেকেই প্রধান দু’টি দল যাদের জাতীয় নেতার মর্যাদায় অবিতর্কিত রাখা প্রয়োজন, সেখানে বঙ্গবন্ধু ও জিয়া দু’জনকেই দুটো দল ভাগ করে নিয়েছে। বাপুজিখ্যাত মহাত্মা গান্ধী কিন্তু কোনো দলের নেই। কায়েদে আযম কোনো দলের নন। পৃথিবীর কোনো দেশেই জাতীয় নেতাকে নিয়ে বিতর্ক হয় না।
সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী গান্ধী পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আমাদের রাজনীতির দুর্ভাগ্য সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা, মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু, জিয়াকে নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। এক দলের কাছে একজন দেবতাতুল্য, অন্যজন খুনি। তাই আসল রাজনীতি বাদ দিয়ে দু’জন নেতাকে নিয়েই রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। অথচ কেউ কারো সমান্তরাল নন, যার যার স্থানে তিনি আছেন, থাকবেন। সবশেষে বলব, সামনে বর্ষাকাল, বর্ষা কতটা আশীর্বাদ, কতটা অভিশাপ সেটা বুঝার জন্য অনেক বড় পণ্ডিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। গেল শুক্রবার ভোরবেলা হাঁটতে বেরিয়েছি, শাহজাহানপুর চৌরাস্তা ধরে রাজারবাগের দেয়ালের পাশঘেঁষে বেইলি রোডের দিকে যাবো। রাজারবাগের পশ্চিম কোনার পেট্রলপাম্পের কোনা পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এখনই বেগতিক, শেষ পর্যন্ত বর্ষাকাল না এলেও দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা না করলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা কষ্টকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। সুয়ারেজের মল-মূত্রসহ ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে সয়লাব হয়ে আছে। কাজটা কার দায়িত্বে জানি না। ওয়াসা বা আর যারাই এর দায়িত্বে রয়েছেন, তারা কি জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন? আর মেয়র সাহেবই বা কী করছেন, এ প্রশ্নটি রেখেই প্রসঙ্গটির ইতি টানছি।
অন্য একটি ছোট্ট খবর, হয়তো অনেকের দৃষ্টিতেই পড়েনি। চট্টগ্রামে যক্ষ্মা অসম্ভব বেড়ে গেছে। কোন কারণে কিংবা কোন পোকা-মাকড়ের কারণে যক্ষ্মা হয় তা জানি না, তবে যক্ষ্মার এখন চিকিৎসা আছে। একসময় বলা হতো যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই। আমরা আশা করব, এই রোগের উৎসের কারণ অনুসন্ধান করা হবে এবং দ্রুত এর প্রতিবিধানে উদ্যোগ নেয়া হবে। যদ্দুর মনে পড়ে, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর কোনো এক টিলার ওপর একটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। ঢাকা মহাখালীতে আরো একটি যক্ষ্মা চিকিৎসালয় রয়েছে। অবশ্য পাহাড়তলীতে কোনো দিন যাইনি। মহাখালীরটায় একবার গিয়েছিলাম। আমার প্রীতিভাজন ও প্রিয়ভাজন কবি গীতিকার কবি মতিউর রহমান মল্লিকের যক্ষ্মা হওয়ার পর দেখার জন্য তার রুমে ডোকার আগেই হাত দিয়ে না করলেন আমি যেন ভেতরে না ঢুকি। তিনি মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আর বেঁচে নেই। আমি ছিলাম তার অভিভাবকতুল্য। ভীষণ অভিমানী মানুষ ছিলেন। একবার ঢাকা থেকে রাগ করে বাগেরহাটের নিজ গ্রামে গিয়ে উঠলেন। সবাই ঠিক করল আমিই নাকি তার অভিমান ভাঙিয়ে ঢাকায় আনতে পারব। তাই আমি নিজেই গিয়ে তার অভিমান ভাঙিয়ে এনেছিলাম। তার অসংখ্য গান, গজল, কবিতা তাকে অমর করে রাখবে। তার স্ত্রীর লেখার হাত ছিল, শুনেছি ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করেন। এটি রাজনীতি সম্পর্কিত কলাম, অথচ স্মৃতিচারণ করেই শেষ করতে হলো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা