ইথিওপিয়ায় যুদ্ধ ও বাংলাদেশে উদ্বেগ
- মীযানুল করীম
- ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:১৪
বাংলাদেশ থেকে ইথিওপিয়া অনেক দূর। আগে ‘আবিসিনিয়া’ নামে পরিচিত, প্রাচীন দেশটির অবস্থান ‘সোনালি উপদ্বীপ’ অর্থাৎ আফ্রিকার শৃঙ্গে। আমাদের এ দেশ আফ্রিকার লাঙ্গুলেও নেই। বাংলাদেশে ইথিওপিয়া নামের সে দেশ থেকে আসতে হলে গোটা আরব জগৎ, ইরান এবং উপমহাদেশ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের দেশের অবস্থান দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে। এবার অতদূর থেকেও শতাধিক বাংলাদেশী কর্মী ফিরে এসেছেন স্বদেশে। ফেরার সময় অন্য প্রবাসীদের সঙ্গী হয় জমানো অর্থ, বাংলাদেশীদের সঙ্গী আতঙ্ক আর উদ্বেগ। কারণ, তারা যে পোশাক কারখানায় কাজ করেন ইথিওপিয়ার তিগ্রে অঞ্চলে, সেখানে ঘোরতর যুদ্ধ বেধে গেছে। দেশটার কেন্দ্রীয় সরকার আর স্থানীয় প্রভাবশালী বিদ্রোহীদের এ সঙ্ঘাত কবে থামবে, কেউ জানে না। বরং ভয় হয়, সবে তো শুরু। এই যুদ্ধ অনির্দিষ্টকাল চলতে থাকলে না জানি কী দশা দাঁড়ায় ইথিওপিয়ার।
বাংলাদেশের সাথে ইথিওপিয়ার সম্পর্ক অনেক দিনের যদিও তা হয়তো আনুষ্ঠানিক কিংবা কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়। তেমনি সাম্প্রতিক সম্পর্কের একটি প্রধান নজির বাংলাদেশের ডিবিএল গ্রুপের ব্যবসায়িক বিনিয়োগ। বিরাট বিনিয়োগে তারা ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে দূরে গিয়ে তিগ্রেতে গড়ে তুলেছেন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, যেখানে বাংলাদেশের সাথে শ্রীলঙ্কার শ্রমিকও কাজ করছিলেন। কিন্তু তিগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সাথে কেন্দ্রের গৃহযুদ্ধ আপাতত ‘সব শেষ করে দিয়েছে’। ফলে সে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং বাংলাদেশের ১০১ জন কর্মী আর শ্রীলঙ্কান ২ জন নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার আরো জানিয়েছেন মিডিয়াকে, ইথিওপিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের সহায়তা দিয়েছিল আলোচ্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার বিকল্প নেই। সবাই আশঙ্কা করছেন, গৃহযুদ্ধে কিছু না কিছু ক্ষতি সবার হবে। অবশ্য তিনি ইথিওপীয় পরিস্থিতি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।
জানা গেছে, ইথিওপিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানির বেলায় বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। যেমন, ইথিওপিয়ার পণ্যসমূহ যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির জন্য কোনো শুল্ক দিতে হয় না, যাকে বলা হয় Duty-free Access. তা ছাড়া ইথিওপিয়ায় জমির দাম তুলনামূলকভাবে কম আর শ্রমও সস্তা। এই প্রেক্ষাপটে বিদেশীরাও সেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হওয়া স্বাভাবিক। সে মোতাবেক, বাংলাদেশের ডিবিএল তিগ্রেতে গড়ে তুলেছে তৈরী পোশাকের সুদৃশ্য কারখানা। কিন্তু গৃহযুদ্ধ বাড়তে থাকায় কারখানাটি আপাতত বন্ধ করে দিতে হলো যা শিগগিরই খোলার কথা নয়। যুদ্ধ শুরু হলে নভেম্বরের প্রথম দিকে এই ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যায়। আধা স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেল রাজ্য তিগ্রে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে ডিবিএলের পোশাক শ্রমিকরা কয়েক দিন আটকে থাকার পর কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় রাজধানী আদ্দিস আবাবায় পৌঁছেন। কারখানাটির জন্য সে দেশের কিছু ব্যাংকও অর্থায়ন করেছিল। ডিবিএলের পরিকল্পনা ছিল সে দেশে বিরাট এলাকাজুড়ে শিল্প পার্ক গড়ে তোলার।
পৃথিবীতে মানবজাতির আদিতম বসতিগুলোর অন্যতম হিসেবে স্বীকৃত ভূখণ্ড, ইথিওপিয়া অতীতে পরিচিত ছিল ‘আবিসিনিয়া’ হিসেবে। বাংলাদেশ মুসলিমগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। তাই মুসলমানদের ধর্ম ইসলামের প্রেক্ষাপটে সে দেশের সাথে আমাদের সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করা হলো। ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, আদি মানব হজরত আদম আ: ও আদি মানবী বিবি হাওয়া রা:-কে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বেহেশত থেকে দুনিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তখন প্রথমে আদম আ:-এর ঠিকানা ছিল সরণদ্বীপ বা সিংহল (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) এবং হাওয়া রা:-এর অবস্থান ছিল ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবাতে। পরে দু’জনের সাক্ষাৎ ঘটে আরব ভূমিতে। আজও শ্রীলঙ্কার Adam’s Peak নামের পর্বতশৃঙ্গ ও সেখানকার বিরাট পদছাপযুক্ত তীর্থস্থান; আর ভারতের তামিলনাড়– ও শ্রীলঙ্কার মধ্যবর্তী প্রণালীতে Adam’s Bridge নামের কয়েকটি ছোট দ্বীপ আদি মানব আদমের স্মৃতি বহন করছে। যা হোক, ইথিওপিয়ার কালো মানুষদের অনেকে পরবর্তীকালে নানা কারণে লোহিত সাগর পাড়ি দিয়ে জাজিরাতুল আরব বা আরব উপদ্বীপে বসতি স্থাপন করেন। তাদের বলা হতো হাবশি এবং ইথিওপিয়াকে আরবরা বলতেন হাবশা। ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন ও প্রখ্যাত সাহাবি হজরত বেলাল রা: এমন একজন হাবশি কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। তাদের অনেককে ধনাঢ্য আরবরা ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছিল, যারা ছিলেন অকথ্য নির্যাতনের শিকার। বিশেষত ইসলাম গ্রহণ করায় বেলাল রা:কে অবর্ণনীয় অত্যাচার সইতে হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা:-এর সময়ে আবিসিনিয়ার খ্রিষ্টান রাজা ছিলেন নাজ্জাশি। ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তিনি এক পর্যায়ে মুসলমান হয়ে যান এবং আরবের নওমুসলিমদের নানাভাবে সাহায্য করেন। তখন সাহাবিদের অনেকে আরবের মুশরিক-কাফিরদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে, সাগর পাড়ি দিয়ে নাজ্জাশির রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এভাবে ইসলামের সূচনাকাল থেকে বর্তমান ইথিওপিয়ার সাথে মুসলমানদের ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। মধ্য যুগে আমাদের বর্তমান বাংলাদেশে হাবশি শাসন ছিল প্রায় এক শতাব্দী। মনে করা যায়, তাদের পূর্ব পুরুষরা আবিসিনিয়ার কৃষ্ণাঙ্গ বাসিন্দা ছিলেন।
ইথিওপিয়া দেশটা দরিদ্র হিসেবে পরিচিত হলেও নিকট অতীত থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রেকর্ড গড়েছে। অথচ খরা, দুর্ভিক্ষ, মরুভূমি প্রভৃতিই ইথিওপিয়ার পরিচায়ক। এর সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধির সুফল সাধারণ মানুষ কতটা পাচ্ছে, তা একটা গুরুত্ববহ প্রশ্ন। এ জন্য দেশটিতে আগে শোষণমুক্ত সমাজ এবং ন্যায়বিচারপূর্ণ সুষ্ঠু বণ্টন ব্যবস্থা কায়েম হতে হবে। কয়েক দিন আগেও কোনো কোনো আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলে সে দেশে মানুষের অত্যন্ত কষ্টকর জীবনযাত্রার চিত্র দেখা গেছে। বৈরী আবহাওয়া ও প্রকৃতির বিরূপতাও এ জন্য কম দায়ী নয়।
ইথিওপিয়া প্রসঙ্গে বলতে গেলে কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করতে হয়। প্রথমত, দেশটি ছিল বিশ্বের সর্বাধিক সময় ধরে ক্ষমতাসীন ‘সম্রাট’ কর্তৃক শাসিত। দ্বিতীয়ত, উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার এ দেশের ক্রীড়াবিদরা প্রতিবেশী কেনিয়া-সোমালিয়া-ইরিত্রিয়া প্রভৃতির মানুষের মতো ম্যারাথনসহ দূরপাল্লার দৌড়ে পারঙ্গম। তৃতীয়ত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অল্প কয়েক বছর পরে গণতান্ত্রিক শাসন বিপন্ন হওয়ার সময় ইথিওপিয়ার রেফারেন্স দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বোঝানো হয়েছিল।
এবার খুলে বলা যাক। ইথিওপিয়া গত শতাব্দীর ত্রিশের দশক থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত একটানা শাসিত হয়েছে সম্রাট হাইলে সেলাসির দ্বারা। ‘হাইলে’ একটি সম্মানসূচক শব্দ এবং ‘সেলাসি’ অর্থ তিন। আরবির সাথে এদিক দিয়ে ইথিওপিয়ার প্রধান ভাষার কিছু মিল পাওয়া যায়। কারণ আরবি ভাষায় তিনকে ‘ছালাছা’ বলা হয়। এই সেলাসিকে স্বয়ং বিধাতার বরপ্রাপ্ত, স্বর্গীয় বংশের সদস্য বলে বিশ্বাস করা হতো। শ্মশ্রুমণ্ডিত এই সম্রাটের বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি সিংহাসনে উপবিষ্ট থাকতেন পাশে একটি বাস্তব সিংহকে রেখে। আর ভয়ঙ্করদর্শন হিংস্র পশুটি চুপচাপ বসে থাকত একান্ত অনুগত ও নিরীহ-শান্ত প্রাণীরূপে। দীর্ঘতম সময় ক্ষমতায় থাকার কারণে হাইলে সেলাসির উল্লেখ থাকত বইপত্রে। তবে তার একচ্ছত্র রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল কুশাসন ও স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা। দেশের মানুষ তার একনায়কসুলভ দাপট ও প্রতাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল।
১৯৭৪ সালে ভয়াবহ দুুর্ভিক্ষ ও খাদ্যাভাবের প্রেক্ষাপটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর ক্ষমতায় এলেন হাইলে মেঞ্জিস্তু মরিয়াম, হাইলে আন্দন প্রমুখ। কিন্তু রাজতন্ত্রের বদলে ‘সমাজতন্ত্র’ কায়েম হলেও গণতন্ত্র আসতে সময় লেগে যায়।
আমাদের দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক কলামিস্ট ছিলেন পরলোকগত নির্মল সেন। তিনি ছোট ছোট বাক্যে ও অনবদ্য ভঙ্গিতে অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলা পত্রিকায় কলাম লিখতেন। ১৯৭৪ সালের দিকে স্বদেশের দুর্ভিক্ষকালীন ‘মরণমিছিল’ দেখে তিনি এই বেহাল দশা তুলে ধরেছিলেন পরোক্ষে। এ জন্য প্রসঙ্গ টেনেছিলেন সুদূর ইথিওপিয়ার। সরকার নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায় তখন তার আর কীইবা করার ছিল?
এবার খোদ ইথিওপিয়া সম্পর্কে কয়েকটি কথা। ইথিওপিয়া বাংলাদেশের তুলনায় কয়েক গুণ বড় এবং আয়তন ১২২২ হাজার বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ৯২ লাখ। দেশটির প্রতিবেশী হচ্ছে সুদান, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, কেনিয়া, জিবুতি ও ইরিত্রিয়া। রাজধানীর নাম আদ্দিস আবাবা এবং উত্তরে তিগ্রের প্রধান শহর মেকেলে। দক্ষিণ অঞ্চলে গোবা একটি উল্লেখযোগ্য শহর। ইথিওপিয়ার অদূরে, লোহিত সাগরের অপর পাড়ে ইয়েমেন। ইথিওপীয় রাষ্ট্রপ্রধানের নাম সাহলে ওয়ার্ক জেওদে। তবে সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমদ বেশি পরিচিত। ইদানীং নীল নদের বাঁধ মৎধহফ জবহধরংংধহপব উড়স (এজউ) প্রকল্প এবং তিগ্রের গৃহযুদ্ধের কারণে তিনি আরো আলোচিত ও বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন। খ্রিষ্টান শাসকদের কারণে ইথিওপিয়ার ‘অমুসলিম ইমেজ’ থাকলেও আসলে দেশটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে জানা যায়। এমনকি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুসলমানের সন্তান, যদিও এখন তিনি খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। তার বিরুদ্ধে মুসলিমদের প্রতি বৈরিতা এবং ইসলামবিদ্বেষের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তবে নিজ দেশে অশান্তির জন্য তাকে অনেকটা দায়ী করা হয়। যে তিগ্রে অঞ্চলের পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, সে অঞ্চল মুসলিম দেশ সুদানের সংলগ্ন। এবার গৃহযুদ্ধে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হওয়ার খবর এসেছে। আর প্রায় অর্ধলক্ষ ইথিওপীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন পাশের সুদানে। পারস্পরিক অনাস্থার দরুন গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধরত টিপিএলএফ সংগঠনের নেতার নামে বোঝা যায়, তিনি একজন খ্রিষ্টান। কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মহামারীর কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত রাখায় তিগ্রের জনগণ বিক্ষুব্ধ। তাদের ধারণা, আবি আহমদ নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছেন নিজের স্বার্থে এবং রাজনৈতিক ক্ষমতা বাড়াতে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ (Who) বিশ্বসংস্থা তথা জাতিসঙ্ঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্বে চলমান মহামারীতে এর গুরুত্ব বেড়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানটি ত্যাগ করেছেন এ বলে, ‘এর প্রধান ব্যক্তি চীনের হাতের পুতুল। তিনি মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করছেন।’ তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংস্থার আয়ের প্রধান উৎস আমেরিকার চাঁদা। ট্রাম্প সংস্থাটি ছাড়ার আগে প্রথমে চাঁদা দেয়া বন্ধ করেছিলেন। জানা গেছে, ইথিওপিয়ার লোক তেদরোস আধানম গেব্রিয়াসুস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ নির্বাহী হওয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন, পাশ্চাত্যের ‘মোড়ল’রা মেনে নেননি শুরু থেকেই। এর বিপরীতে, উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর সমর্থন ছিল গেব্রিয়াসুসের প্রতি। হঠাৎ ‘হু’ ত্যাগ করা গুরুতর প্রশ্ন জাগাবে; তাই চতুর ট্রাম্প মহামারীকে ইস্যু করে সংস্থাটি থেকে নিজের দেশকে সরিয়ে নিলেন। তার সময়ে ইউনেস্কো থেকেও যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা