একচোট রাজনীতিই হলো
- জসিম উদ্দিন
- ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২০:০১
ধর্ষণের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড আইনটি কার্যকর করার জন্য প্রেসিডেন্ট অধ্যাদেশ জারি করেছেন ১৩ অক্টোবর। এরপর ১ মাস ১০ দিনের ধর্ষণের রেকর্ড পর্যালোচনা করে দৈনিক কালের কণ্ঠ একটি সংবাদ প্রতিবেদন ছাপিয়েছে। ওই সংবাদের শিরোনাম, মৃত্যুদণ্ডের আইনের পর ধর্ষণ বেড়ে তিন গুণ। নিজেদের পত্রিকার ৪০ দিনের ধর্ষণবিষয়ক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পত্রিকাটি দেখতে পেয়েছে, এই সময়ে ১৯১টি ঘটনায় নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৬টি গণধর্ষণ রয়েছে। ধর্ষণ করলে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে- কিন্তু এসব লম্পট নিপীড়কদের ওপর তার প্রভাব শূন্য। তা হলে কোনো ধরনের গভীর চিন্তাভাবনা না করে এমন আইন প্রণয়নের লক্ষ্য কী?
‘নারী নিরাপত্তা জোট’ ও ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’ নামের দু’টি সংগঠন যৌথভাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসের ধর্ষণের চিত্র তুলে ধরেছে। তারা ১১টি পত্রিকার খবর বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, চলতি বছরে প্রতি মাসে গড়ে ১০৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার। সব মিলিয়ে ৯৭৫ জন ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণ বন্ধে নানা হুঁশিয়ারি হুমকি-ধমকির মধ্যে দেখা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসে সর্বোচ্চ ৩৭৪টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধ বিজ্ঞানীরা আইনের কঠোরতার সাথে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার সমান্তরাল চিত্র বাংলাদেশে দেখতে পাবেন। কমপক্ষে এটা বলা যায় যে, কঠোর আইন প্রণয়নের সাথে এ অপরাধের কোনো সম্পর্ক অন্তত আমাদের দেশে দেখা যায় না।
ধর্ষণের তালিকায় বিশ্বে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যেও বাংলাদেশ নেই। তবে স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে দুর্বৃত্তরা যখন নারীকে গণধর্ষণ করে তখন যেকোনো দেশে হইচই পড়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। ঠিক এ ধরনের জঘন্য অপরাধ সম্ভবত পৃথিবীর কোথাও নেই। এখন কোনো দেশেই আইনকানুন প্রয়োগের এতটা দুর্বল অবস্থা নেই যে, রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাকে তাকে যেকেনো সময় ধর্ষণ করা যাবে। সংসদে ১৭ নভেম্বর আইনটি পাস হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনায় এক সংসদ সদস্য ধর্ষণের কারণ নিয়ে আনুমানিক কথা বলে নারীবাদী ও মিডিয়ার সমালোচনার শিকার হয়েছেন। এই সংসদের প্রতি নারীবাদীদের জোরালো আক্রমণ থেকে মনে হতে পারে, ধর্ষণ রোধের চেয়ে এই এমপিকে একহাত নেয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বগুড়া থেকে আসা সংসদ সদস্য মো: রেজাউল করিম ‘তেঁতুল তত্ত্ব’টি নতুন করে উত্থাপন করেন। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করেন, হেফাজতের মরহুম আমীর আল্লামা শফী সাহেবের দেয়া তত্ত্বটি প্রয়োগ করা হলে ধর্ষকরা নিরুৎসাহিত হবে। পরে একটি ইংরেজি দৈনিক এ ব্যাপারে ওই সংসদ সদস্যের একটি সাক্ষাৎকার নেয়। তিনি জানান, ধর্মীয় অনুশাসন মেনে শালীন পোশাক পরলে ধর্ষণ প্ররোচনা কমে যাবে। তিনি টিশার্ট পরে নারীদের রাস্তায় চলাচলের সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এ ধরনের পোশাক লম্পট পুরুষদের ধর্ষণে প্রলুব্ধ করে। রাস্তায় উসকানি পেয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে তারা নারীর ওপর জোরপূর্বক উপগত হতে পারেন। সুতরাং রাস্তায় টিশার্ট পরার মতো ‘বেহায়াপনা’ বন্ধ করা গেলে ধর্ষণ কমে যাবে।
ধর্ষণের সাথে পোশাকের সম্পর্ক কতটা, এ ব্যাপারে কোনো গবেষণা আমাদের সামনে নেই। উগ্র পোশাক আশাকের সাথে যৌনতার সম্পর্ক থাকা স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশে সীমাহীন ধর্ষণের সাথে পোশাকের কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। সিলেটে স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করে নেয়া মেয়েটি রাস্তায় টিশার্ট পরে ঘুরছিলেন না। অন্য দিকে নোয়াখালীর বিধবা মহিলাটি রাস্তায় বেরই হননি। তিনি ঘরের প্রকোষ্ঠের মধ্যে থেকেই লম্পটদের বিভীষিকার শিকার হয়েছেন। আলোচিত ধর্ষণ ঘটনাগুলোর একটির সাথেও সম্ভবত পোশাকের সম্পর্ক পাওয়া যাবে না। রাস্তায় এ দেশের নারী সমাজের বৃহদংশ আপাদমস্তক ঢেকে চলাফেরা করে থাকেন। হিজাব পরা নারীর সংখ্যা বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধমান। এ দেশে ধর্ষণের সংখ্যাও বর্ধমান। তা হলে বর্ধমান হারে আমাদের হিজাব পরা ধর্ষণ কমাতে পারছে না কেন?
মহান স্রষ্টা যে পোশাকের কথা বলেছেন, তার অনুসরণ করা হলে ধর্ষণের সম্ভাবনা কমে যাবে। কুরআন থেকে এ ব্যাপারে আমরা লেখার শেষের দিকে আলোচনা রাখব। মুসলিম দেশগুলোতে সত্যিকার অর্থে এর চর্চা হলে ধর্ষণ সেখানে শূন্য হয়ে যাওয়ার কথা। বাস্তবে কোনো মুসলিম দেশই ধর্ষণশূন্য নয়। এসব দেশে এ অপরাধটা যতটা না ঘটছে, আলোচনা ও হইচই হচ্ছে অনেক বেশি। অন্য দিকে যেসব দেশে ধর্ষণের ঘটনা সবচেয়ে বেশি সেখানে ধর্ষণ নিয়ে আলোচনা নেই। সমাজের একটি ‘স্বাভাবিক প্রবণতা’ হিসেবে ধর্ষণকে তারা যেন অনেকটাই মেনে নিয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৩৫ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। কোনো কোনো দেশে দেখা গেছে, ৭০ শতাংশ নারী এমন সন্ত্রাসের শিকার। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ ডাটা বলছে, সর্বোচ্চ মাত্রায় ধর্ষণ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। এ দেশে প্রতি বছর পাঁচ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এই দেশের নারীরা বাংলাদেশের নারীদের মতো গণহারে হিজাব পরেন না। তারা খোলামেলা পোশাক পরতে অভ্যস্ত। ‘উন্নত সভ্য’ বিশ্ব বলতে পশ্চিমাদের বোঝানো হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা তেমনি একটি দেশ। এটি আফ্রিকার সবচেয়ে উন্নত ও ধনী দেশ। সভ্য হওয়া তাদের যৌন আচরণে সৎ হতে প্রণোদনা দেয়নি।
ইউরোপের নারী-পুরুষের পোশাকের বিবর্তন খুব লক্ষণীয়। নারীদের পোশাক সেখানে ক্রমেই খাটো ও সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। এর বিপরীতে পুরুষরা হাত-পা সম্পূর্ণ ঢেকে বাড়তি পোশাক পরে থাকেন। নারীরা মিনি স্কার্ট ও গেঞ্জি পরেন। অনেক সময় তাদের পোশাক একেবারেই ‘প্রতীকী’ হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার জনসাধারণ ইউরোপের এমন পোশাক পরতে অভ্যস্ত। দক্ষিণ আফ্রিকান মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের এক জরিপে দেখা যায় ২৫ শতাংশ পুরুষ স্বীকার করেছেন, তারা ধর্ষণ করেছেন। এটি কখনোই কোনো কৃতিত্ব নয়। সাধারণত এ ধরনের যৌন সন্ত্রাস চালানোর পর মানুষ সেটি গোপন করে। বোঝা যায় দেশটিতে ধর্ষণের প্রবণতা কত ব্যাপক। যৌন সন্ত্রাসের হাজার রকম ধরন রয়েছে। এর একেবারে চূড়ান্ত রূপ হচ্ছে বলপূর্বক নারীর ওপর উপগত হওয়ায়। এ লাম্পট্যের কাজ করার ফলে নারীরা মারাও যায়। পশ্চিমা নারীর পোশাক যেভাবে খাটো হয়ে যাচ্ছে তাতে আশঙ্কা হতে পারে, একসময় তা একেবারেই উঠে যায় কি না। এমনটি ঘটলে দক্ষিণ আফ্রিকান নারীদের ক্ষেত্রে তখন কী ঘটবে আমরা জানি না।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জরিপে দেখা যায়, উচ্চ মাত্রায় ধর্ষণ সংঘটিত হয় এমন দেশগুলো আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায়। প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে ইউরোপের উন্নত ও সভ্য দেশ সুইডেনও রয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে ধর্ষণ নিয়ে অনেক বেশি হইচই হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ধর্ষণের প্রবণতা অনেকটা ক্ষমতার সাথে সম্পৃক্ত পাওয়া যায়। সিলেট ও নোয়াখালীর ঘটনাগুলো যেভাবে ঘটেছে, পৃথিবীর অন্য কোনো দেশেই এ ধরনের ধর্ষকদের পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে ধর্ষণ ওই সব দেশের চেয়ে অনেক কম কিন্তু এমন বেপরোয়া লাম্পট্য কোনো দেশে চিন্তাও করা যায় না। কাউকে দিনের পর দিন বন্দী করে তার মতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ কিংবা বিবস্ত্র করে তার ভিডিও করে কাউকে জিম্মি বানিয়ে ধর্ষণ চালানো অকল্পনীয়। স্বামীর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে কাউকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ করা যায়- এই নজির সাম্প্রতিক ইতিহাসে শুধু বাংলাদেশেই দেখা যাচ্ছে। সে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে।
লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, একজন সংসদ সদস্য ধর্ষণের কারণ ব্যাখ্যা করে এর প্রতিকারের কথা বলেছেন। তিনি যতটুকু বলেছেন, সেটি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে বলেছেন সম্ভবত। তার বলার মধ্যে রেফারেন্স ছিল না। কুরআনে নারী পুরুষের মেলামেশার যে সীমারেখা দেয়া হয়েছে সেটি ধর্ষণ প্রতিরোধে যথেষ্ট। একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যখন বলবেন, তথ্যসূত্র দিয়ে বলবেন। এলোপাতাড়ি বলে কাউকে অভিযুক্ত করে দেয়ার মধ্যে সংশোধন নেই। ওই এমপির দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নারীবাদী সংগঠনের নেত্রী সাংবাদিকরাও এলোপাতাড়ি পথে হেঁটেছেন। তাদের অনেকেই মুসলিম হিসেবে পরিচিত। তাদের নিজের মুসলিম নামের প্রতি সুবিচার করতে হলে প্রথমত তাদের আসল মালিকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে হবে। কোনো কিছু তারা এমন কখনো বলতে পারেন না যা স্রষ্টার কথার সাথে সাংঘর্ষিক।
সংসদ সদস্যের ওপর যতটা জোরালো ভাষায় নারী নেত্রীরা সমালোচনার বান হেনেছেন ঠিক এমন ভূমিকা যদি তারা নারী নির্যাতন রোধে রাখতেন তা হলে দেশের পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না। তখন নারীদের বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার স্পর্ধা এ দেশে কারো হতো না। সন্ত্রাসীরা স্বামীকে আটক করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করার সাহস পেত না। এসব ব্যাপারে নারীবাদীদের সাথে সুর মেলানো সাংবাদিকরা একসাথে নামলে নারী নির্যাতন নিশ্চয়ই সীমা ছাড়াতে পারত না। তারা ওই সংসদ সদস্য ও তেঁতুল তত্ত্বের ওপর ক্ষিপ্ত। তবে উত্তেজনার চোটে যা বলছেন তা বাস্তবসম্মত নয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে অনেকেই যখন কথা বলছেন, নারী-পুরুষের মেলামেশার মূল সূত্রটি নিয়ে কাউকে কিছু বলতে দেখা গেল না। মুসলিম হিসেবে আল্লাহর কথাগুলো বাস্তবে অনুসৃত হলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “তোমরা তোমাদের ‘বিশেষ’ দৃষ্টিগুলোকে সংযত করো, নিজেদের যৌনতাকে সংরক্ষণ করো।” এ কথাটি প্রত্যেক মুসলিম যদি নিজের ব্যাপারে কার্যকর করে, তা হলে কে কী পোশাক পরল সেটি ধর্তব্যের মধ্যে আসবে না। কুরআনের সূরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে নারীদের প্রতি আদেশ আকারে রাসূল সা:-এর মুখ দিয়ে আল্লাহর বলা এ কথাটি থেকে বোঝা যাচ্ছে, কাপড় পরিধানে শালীনতা থাকতে হবে। ঠিক এর পরের আয়াতে আল্লাহ একই আদেশ পুরুষদেরও দিয়েছেন। যৌন অপরাধ রোধে নারী-পুরুষ উভয়েরই জন্য একই আদেশ। এতটুকু আদেশই মানুষের জন্য যথেষ্ট হলেও আরো ব্যাখ্যা করে সূরা নূরের ৩১ আয়াতে আল্লাহ মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলা হয়েছে, ‘নারীরা বুকের ওপর কাপড় দেবে। তারা সৌন্দর্য প্রদর্শন করে বেড়াবে না, যতটুকু আপনা থেকে প্রকাশিত হবে তা ছাড়া। আরো বলা হয়েছে, এমনভাবে নারীরা চলবে না, যাতে কাপড়ে আপাদমস্তক ঢাকা থাকলেও সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়ে যায়।’ কথাগুলো নারীবাদীরা অনেকে সম্ভবত মানতে চাইবেন না। তবে এ দেশের নারীবাদীরা প্রায় বেশির ভাগই মুসলিম।
এ দিকে পণ্যের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনার সাথে নারীকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চা পাতার বিজ্ঞাপন থেকে গাড়ির বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত আমরা নারীকে দেখছি। ধরুন একজন একটি গাড়ি বাজার থেকে কিনবেন। এ জন্য গাড়িটির ব্যবহারিক সুবিধা জানা দরকার। সেটি কতটা দৃষ্টিনন্দন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এর সাথে অপ্রাসঙ্গিকভাবে গাড়ির বিজ্ঞাপনে নারীকে জুড়ে দেয়া হয়। বিজ্ঞাপনচিত্রে কিংবা সরাসরি প্রদর্শনীতে গাড়ির চেয়ে যৌনতাকে আরো জোরালো করে দর্শকের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। যৌন আবেদনে সুড়সুড়ি দিয়ে এটি কি গাড়ি বিকানোর অপকৌশল নয়? নারীর যৌনতার প্রকাশ্যে ব্যবহার কি অসম্মানজনক নয়? এসব ব্যাপারে বাংলাদেশের মুসলিম নারী অধিকার আন্দোলকারীদের কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না। আমরা ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রসঙ্গে এ কথাগুলো বলছি এ জন্য যে, অনেকে নারী অধিকার ও সম্মান রক্ষায় মূল কাজটি করার চেয়ে এটিকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বেশি ব্যবহার করছেন। তাদের কামানের গোলাটি যেন সবসময় তাক করা থাকে বিশেষ একটি রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মহলের বিরুদ্ধে। সরকারকেও দেখা যাচ্ছে, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার বদলে আইনের শাস্তি কঠোর করার সস্তা পথ নিতে। তবে এ দেশে প্রমাণিত হয়েছে যে, কঠোর শাস্তির বিধান অপরাধ রোধে কাজে আসছে না।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা