বোয়ালদের ধরুন, পুঁটিরা ঠিক হয়ে যাবে
- জসিম উদ্দিন
- ২৫ নভেম্বর ২০২০, ২০:০৯
বিষয়টা কি এমন যে, একজন দোকানকর্মী হাজার কোটি টাকার মালিক হতে পারবেন না? বিশ্বের বহু দেশে এমন অনেক মানুষই রয়েছেন যারা শূন্য থেকে উঠে এসেছেন। নিয়ম-কানুন মেনে শিল্প স্থাপন করে বা ব্যবসায়-বাণিজ্য করে তারা ধনকুবের হয়েছেন। সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের প্রশংসা করা হয়। আইডল আইকন হিসেবে মিডিয়া নতুন প্রজন্মের কাছে তাদের অনুসরণের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিডিয়ার উপস্থাপনার ধরন এমন হয়ে উঠছে যেন দরদ্রিদের ধনী হয়ে জাতে উঠতে মানা। সংবাদ পরিবেশনার ধরন এমন হচ্ছে যাতে মনে হতে পারে কিছু পেশা যেন সত্যিই ছোট ও নিচু। পিয়ন, চাপরাশি, আরদালি কিংবা দোকানের কর্মচারীরা হেয় করারই যোগ্য। ‘দোকান কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক’, এই শিরোনামে খবর প্রকাশ হলে ‘দোকান কর্মচারীরা’ তাচ্ছিল্যের শিকার হন। এগুলো খুব সচেতনভাবে করা হচ্ছে এমন নয়। আমাদের মনোজগতে উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র নিয়ে যে হীনম্মন্যতা রয়েছে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। সম্প্রতি একজনকে মেরুল বাড্ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে তিনি গাউছিয়া মার্কেটের দোকানের বিক্রয়কর্মী ছিলেন।
মিডিয়ার ভাষ্য, ‘সামান্য এই দোকানকর্মী’ এখন অগাধ সম্পত্তির মালিক। অনিয়ম দুর্নীতির উৎসবের জামানায় কেন এই চুনোপুঁটিকে সিলেকশন করে ধরা হলো তা কৌতূহলের বিষয়। তাকে চুনোপুঁটি এ জন্য বলছি, কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাঘব বোয়ালদের নগদ অঙ্কের লুটপাটের যে খবর পাওয়া গেছে এগুলো সব হাজার কোটি টাকার অঙ্কের। ওই দুর্নীতিবাজদের বাসাবাড়ি, ফ্ল্যাট-প্লট এসবের মূল্য কত শত কোটি টাকা সেগুলো সামনে আসেনি। বাড্ডা থেকে ধৃত মনিরের বাসায় ৬০০ ভরি স্বর্ণ ও এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। তার বাড়িতে কয়েকটি গাড়ি পাওয়া যায়। ঢাকায় তার ২০২টি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একটি প্লট ৭০ কাঠার। সবমিলিয়ে এগুলোর মূল্য এক হাজার ৫০ কোটি টাকা। সারা দেশে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অসংখ্য মানুষ বিপুল জায়গা জমির মালিক হয়েছেন। অন্যের জমিজমা দখল করে নেয়া সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও বড় শহরগুলো ঘিরে এখন জমি ও আবাসন কোম্পানির রমরমা ব্যবসা। তাদের অনেকের রয়েছে কয়েক বর্গকিলোমিটার ব্যাপী ল্যান্ড প্রজেক্ট। সাধারণ মানুষের জমি দখল করে এসব প্রজেক্ট গ্রহণ করার কারণে অনেকে পেয়েছেন ভূমিখেকো তকমা।
মনির জালিয়াতি করে রাজউকের জমি আত্মসাৎ করেছেন। জাল স্ট্যাম্প, জাল সিল দিয়ে ভুয়া দলিল করে এগুলো হাতিয়ে নিয়েছেন। রাজউকের অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে তিনি প্রতারণা করছিলেন। এর সাথে তিনি কৌশলে সরকারের মন্ত্রীর আনুকূল্য আদায় করেছেন। মন্ত্রীর পরিচয় ব্যবহার করেছেন। এটা হচ্ছে তার মূল অপরাধ। জানা যায়, মনিরকে একসময় মার্কেট থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর তিনি বিমানবন্দর কেন্দ্রিক লাগেজ পার্টিতে যোগ দেন। তারপর যোগ দেন স্বর্ণচোরাচালান সিন্ডিকেটের সাথে, সেই সূত্রে তিনি এখন গোল্ডেন মনির। এসব কাজ তিনি এক দিন দুই দিন নয়, কয়েক দশক ধরে করেছেন। আর সেখান থেকে অর্জন করা অর্থ দিয়ে রাজউকের জমি হাতিয়ে নেয়ার জন্য চক্র গড়ে তুলেছেন।
বাংলাদেশে এমন দুষ্কর্ম যারা করে তাদের সংখ্যা হাজারে হাজারে। একজনকে ধরা হলেই কেবল তার ব্যাপারে মানুষ জানতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড বেআইনি বলে তা ধর্তব্যের মধ্যে আসে। তার আগে এসব রটনা হিসেবে চাউর থাকে। মানুষ আড়াল থেকে ফিস ফিস করে। তবে এ ধরনের প্রতারণা জালিয়াতি এখন আর সমাজের চোখে অসম্মানের বলে বিবেচিত হয় না। বরং এমন অসাধু কাণ্ডের হোতারা সম্মান মর্যাদার অধিকারী হয়। সমাজ তাদের সমীহ করতে বাধ্য হয়। এটা আমাদের দুর্বৃত্তায়িত সমাজের কুফল।
র্যাব তার বাসায় অভিযান চালানোর সময় দুইটি গাড়ি উদ্ধার করেছে। এ দুইটি গাড়ির কোনো কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। গাড়ির নম্বর দেখে বিআরটিএ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি গাড়ি আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্যের নামে নিবন্ধিত। অন্য গাড়িটি জাতীয় পার্টির আরেকজন সংসদ সংসদের নামে।
ওই সংসদ সংস্যদের সাথে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মনির তার বন্ধু। অর্থাৎ যাকে মিডিয়ায় একজন দোকান কর্মচারী পরে স্বর্ণচালানি হিসেবে দেখিয়েছে, তিনি ওই সংসদ সংস্যদের বন্ধু। মেরুল বাড্ডায় নিজের ছয়তলা বাড়িতে তিনি থাকেন। ওই এলাকায় তিনি সম্মানিত মর্যাদাবান একজন ব্যক্তি। মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্ট কল্যাণ সমিতির সভাপতি তিনি। তার সেক্রেটারি এলাকার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সরকারদলীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
এলাকায় মনিরের একটি স্কুল আছে। আছে একটি মাদরাসা। নব্য ধনীদের এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার প্রবণতা বাংলাদেশে একটি সাধারণ ঘটনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে তারা নিজেদের অসৎ কর্মকাণ্ড আড়াল করতে চান। এসব প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিলে জানা যাবে তাদের প্রকৃত চেহারা। সম্মানিত শিক্ষকদের সাথে এরা যথাযথ আচরণ করেন না। তবে স্কুলের সাথে তারা যুক্ত করে এমন সব লোকদের যাদের ফেস ভেলু আছে। বিভিন্ন উপলক্ষে সম্মানি মানুষদের দাওয়াত করে তারা নিজের সামাজিক মর্যাদা আরো উন্নত করতে চান।
মনির ২০২টি প্লটের মালিক কিভাবে হলেন। তিনি তো কোনো বড় ব্যবসায় দেখাতে পারছেন না। তিনি কোনো বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেননি। দেশে বর্তমানে সরকারি অফিসের অসংখ্য পিয়ন, চাপরাশি ও গাড়িচালকেরও এমন সম্পত্তির পাহাড় রয়েছে। এ ধরনের সরকারি কর্মচারীদের কিছু সংখ্যকের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। প্রকাশ হওয়া অংশটি হিমশৈলীর চূড়ামাত্র। এর নিচে ডুবে থাকা হিমালয় পর্বতটি হয়তো জাতির পক্ষে আর দেখা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী যেসব অভিযান, এগুলো সিলেকটিভ। সরকার কেবল বাধ্য হলে কারো বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজেরা উৎসাহী হয়ে করে। মনিরের গ্রেফতারের ঘটনাও এই শ্রেণীর। তার ক্ষেত্রে বড় করে দেখানো হচ্ছে, তিনি বিএনপি সরকারের আমলে মন্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক রাখতেন। আর এখন তিনি বিদেশে অর্থ পাচার করছেন। বিদেশে নির্বাসিত বিরোধী নেতাদের তিনি অর্থ সরবরাহ করছেন এই সন্দেহ থেকে তিনি বলির পাঁঠা হয়ে থাকতে পারেন।
কেউ যদি চুরি করেন তিনি যেই হোন না কেন, তিনি একজন চোর। তিনি যদি সবচেয়ে বড় ক্ষমতাধর হন কিংবা যদি একজন মর্যাদাবান লোক হন তাহলেও তিনি চোর। সমাজ যদি তাকে চুরির জন্য বিচার করতে পারে তাহলেই সেই সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি অপরাধের মানমাত্রা অনুযায়ী তার শাস্তি প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশে অপরাধী শনাক্ত করা হয় বিশেষ মানদণ্ড অনুযায়ী। এমন অনেক ব্যক্তি ও গ্রুপ রয়েছে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে জাতিকে দেউলিয়া করে দেয়ার পরও আইন-বিচার যেন তাদের জন্য অচল। দেশে ব্যাংক লুটপাটকারীদের রাষ্ট্র স্পর্শ করতে পারেনি। লুটপাট এখনো অব্যাহত রয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে হরিলুট হয়েছে। প্রত্যক্ষ তথ্য-প্রমাণ থাকার পরও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ডাক বিভাগে একটি প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। বিভাগের মহাপরিচালক সুধাংশু শেখর ভদ্রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ডিজিটালাইজেশনের নামে কিভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে আসছিল। সরকার যেন দেখেও না দেখার ভান করে যাচ্ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে অবশেষে তাকে প্রকল্পের অর্থের হরিলুট নিয়ে প্রশ্নে করে কোনো সদত্তুর পায়নি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত নিয়েছে। কিন্তু এমন ব্যবস্থা যাতে দুর্নীতিবাজদের কোনোভাবে নিরুৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। তাকে কিছুদিনের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এমন শ্লথগতির দুর্বল পদক্ষেপ ভদ্র বাবুদের অপরাধ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার পথ তৈরি করতে সহায়ক হবে। ছুটিতে থেকে নিজের কৃত অপরাধের তথ্য-প্রমাণ গায়েব করা এবং অর্থ নিরাপদে পাচার করে দেয়ার সুযোগ তিনি পাবেন।
ধীরগতির দুর্বল ব্যবস্থা আমরা পিকে হালদারের বিরুদ্ধেও দেখেছিলাম। বলা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশের আর্থিক খাত থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন। কারো কারো হিসাবে এই অঙ্ক ১০ হাজার কোটি টাকা। কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে তিনি প্রায় দেউলিয়া করে দিয়েছেন। তিনি বিপুল অঙ্কের অর্থ একদিনে সরিয়ে নেননি। এ জন্য তাকে অনেকগুলো ভুয়া কোম্পানি খুলতে হয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়েছে।
কয়েক বছর ধরে তিনি যখন জালিয়াতি করছিলেন আশ্চর্যজনকভাবে কেউ টের পায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী পক্ষগুলো এ চুরি দেখতে পায়নি। আরো দেখতে পায়নি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তিনি সম্পূর্ণ অর্থ যখন বিদেশে পাচার করে দিলেন তারপর কেউ কেউ মিউ মিউ করে উঠলেন। তাও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলো না। তিনি নিরাপদে বিদেশে সটকে পড়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হলো। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, পিকে হালদার দেশে ফিরতে চান। অন্য দিকে আদালতের সমন জারি করে রাখা হয়েছে তিনি দেশে এলেই গ্রেফতার।
এর মধ্যে একটা রহস্যই দেখতে পাওয়া যায়। তাকে যেন হুমকি দেয়া হচ্ছে, তুমি দেশে এসো না। অথচ জনগণের এতগুলো অর্থ যাতে ফিরে পাওয়া যায় সে জন্য তাকে সরকারের হাতের মুঠোয় পাওয়া দরকার। অন্য দিকে আমরা জানি, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার অনেক চেষ্টা তদবির করে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে ওয়ারেন্ট ইস্যু করায়। যিনি দেশের এত বড় সর্বনাশ করলেন তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেই।
মনিরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ মানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের প্রতিফলন নয়। বাংলাদেশে বিগত এক দশকে দুর্নীতি-অনিয়মের যে সয়লাব সেই ক্ষেত্রে এসব মুনিরদের চুনোপুঁটিও বলা যায় না। সামান্য একজন ছাত্র নেতাকেও আমরা দেখেছি দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করার খবর বের হতে।
ধনী ও অতি ধনী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে। এর সাথে বিদেশে বাংলাদেশীদের অর্থপাচারের যেসব খবর পাওয়া যায় সেগুলো থেকে তার ইঙ্গিত মেলে বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি চলছে। অর্থপাচার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিগত বছরগুলোতে জানিয়ে এসেছে, বাংলাদেশ এখন অর্থপাচারের হটস্পট। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যায় ৯২ হাজার কোটি টাকা। সংস্থাটির হিসাবে গত বছর অর্থপাচার আরো পাঁচগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকায়।
সত্যিকার অর্থে সরকার যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে পিকে হালদারদের মতো সাগর চোরদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে মনিরদের মতো প্রতারকরা এমনিতেই সাইজ হয়ে যাবে। অন্যথায় রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য কয়দিন পর পর একেকজন মনির মিডিয়ার জন্য খোরাক হতে পারে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে মানুষের চোখ ফিরিয়ে রাখার জন্যও এগুলোর ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। আর জাতি দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের দ্বারা পিষ্ট হতেই থাকবে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা