ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্র
- ড. আবদুল লতিফ মাসুম
- ১৮ নভেম্বর ২০২০, ২০:২৩
আকবর আলি খান সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিলকে উদ্ধৃত করে আমাদের রাজনীতিকে বলেছেন, ‘একটি রহস্যঘেরা প্রহেলিকা আচ্ছন্ন হেঁয়ালি’। বাংলাদেশের বিগত প্রায় ৫০ বছরের উন্নতি-অধোগতি ব্যাখ্যা করে আকবর আলি খান এ উদ্ধৃতি দেন। বাংলাদেশের রাজনীতি যে আসলেই ‘বিচিত্র ছলনা জালে প্রবাহিত’ আবারো তা প্রমাণিত হলো।
গত বৃহস্পতিবার আকস্মিকভাবে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১১টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়ায় এর প্রমাণ মেলে। প্রথমত, শাসকদলের সৌজন্যে(!) এবং দ্বিতীয়ত, করোনায় করুণায় বাংলাদেশে এখন ‘কবরের শান্তি’ বিরাজ করছে। এ অবস্থায় যখন রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুপস্থিত, তখন এ বাসে আগুনের ঘটনা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে ‘রহস্যময়’ মনে হওয়াই স্বাভাবিক। চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী, সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়ই বিষয়টিকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছে। উভয় দলই একে ন্যক্কারজনক ও দুর্বৃত্তসুলভ বলে বর্ণনা করেছে। তাহলে কাজটি করল কারা? তৃতীয় পক্ষ? হতে পারে, না-ও হতে পারে। শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব ঘটনা ‘বিএনপির ষড়যন্ত্রের অংশ’ বলে মন্তব্য করেছেন। অন্য দিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বাস পোড়ানোর ঘটনায় সরকারি এজেন্টদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সাথে সাথে কোনোরকম তদন্ত বা দায় স্বীকারের স্বীকৃতি ছাড়াই পরস্পরকে দোষারোপ আসলেই ‘রাজনীতি’। সবচেয়ে অবাক করেছে পুলিশের রাজনীতিকসুলভ মন্তব্য। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজের সাথে পুলিশের মামলার তথ্যের মিল নেই। পুলিশ বাদী হিসেবে একটি মামলায় যার নামে এজাহার দিয়েছে সেই দুলাল হাওলাদারের দাবি, মামলাটি তিনি করেননি। আসামিদেরও চেনেন না। সবকিছু করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। সত্যতা যাই হোক, পুলিশকে রাষ্ট্রের ভাষায় কথা বলতে হবে, রাজনীতির ভাষায় নয়। কবিগুরুর কথা- ‘রাজা যা বলেন, পারিষদ বলে তার শতগুণ’। সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য বরং একাডেমিক এবং রাজনীতিসুলভ। গত রোববার জাতীয় সংসদে তিনি বলেন, ‘কথা নেই বার্তা নেই, হঠাৎ করে বাসে আগুন দিয়ে অগ্নি সন্ত্রাস কেন? কী স্বার্থ? কিসের জন্য?’ কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নির্বাচন হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নামে অংশগ্রহণ করে। টাকা পয়সা যা পায় পকেটে নিয়ে রেখে দেয়। ইলেকশনের দিন ইলেকশনও করে না। এজেন্টও দেয় না। কিছুই করে না। মাঝপথে ইলেকশন বয়কটের নাম দিয়ে বাসে আগুন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। এটার উদ্দেশ্যটা কী?’ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা প্রহসন করে নির্বাচন পদ্ধতি নষ্ট করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি একটা সিস্টেমে নিয়ে আসতে।’ রাজনৈতিক বিরোধীরা হয়তো প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য গ্রহণ করবেন না। তারা পাল্টা রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন। আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের শেষ অংশের উচ্চারণ ‘সিস্টেম’ শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। মূলত একটি দেশের সংবিধান সে দেশের সিস্টেমকে নিশ্চিত করে। আমাদের সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে। এই কাটাছেঁড়ার জন্য রাজনীতিকরাই দায়ী। যারা যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, তাদের সুবিধার্থে সংবিধান সংশোধন করেছেন। মূল সংশোধীয় ‘সিস্টেম’ প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন করলে এ অবস্থা হতো না। প্রধানমন্ত্রীর আরো একটি বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ- ‘পরিস্থিতির সৃষ্টি করা’। বিগত ৫০ বছরে সন্দেহ নেই বাংলাদেশের জনগণ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। কী কারণে বারবার পরিস্থিতির শিকার হয় তা ৫০ বছরের রাজনীতি বিশ্লেষণ করলেই পাওয়া যাবে। এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব রাজনীতিকরা এড়িয়ে যেতে পারেন না। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ চায় না কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক। পারস্পরিক ষড়যন্ত্রের দোষারোপ এর সমাধান নয়।
এ ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনীতিকে হঠাৎ করেই ধাক্কা দিয়েছে। রাজনীতির অঙ্গন উত্তপ্ত হয়েছে। বিশ্লেষণ এসেছে নানাভাবে। এ ঘটনা নিয়ে একটি রাজনৈতিক মূল্যায়ন দিয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৫ নভেম্বর, ২০২০)। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপির ঘোষিত সরকারবিরোধী আন্দোলনের এটা সূচনা কি না তা কে বলবে?’ বিএনপির ‘সন্ত্রাসী অভ্যাস’-এর সমালোচনা করে চৌধুরী মন্তব্য করেন, ‘হতাশা থেকে যে ডেসপারিসি মানুষের মনে আসে, তা রাজনৈতিক দলের মধ্যেও আসতে পারে।’ এ উপমহাদেশের অতীত রাজনীতির নানা সমীকরণ ব্যাখ্যার পর তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি যদি একটি নিয়মতান্ত্রিক দায়িত্বশীল দলের ভূমিকা গ্রহণ করে তাহলে এই নিয়মতান্ত্রিক বিরোধিতার সব অধিকার বিএনপিকে দিতে আওয়ামী লীগ সরকার বাধ্য। এই বাধ্যবাধকতা না মানলে জনগণই তাদের ক্ষমতার গদি থেকে টেনে নামাবে। যেমন অতীতে নামিয়েছে এরশাদ ও খালেদা জিয়ার স্বৈরাচারী সরকারকে। কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করেও তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের বেলায়ও যদি জনগণ দেখত অকারণে তারা বিরোধী দলের ওপর দমন নীতি চালাচ্ছে, তাহলে তারা শেখ হাসিনাকে পর্যায়ক্রমে তিন দফা ক্ষমতা দিতো না যেমন দেয়নি খালেদা জিয়াকে।’ জনাব চৌধুরী বিএনপিকে সন্ত্রাসের রাজনীতি পরিহার এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। এই প্রবীণ সাংবাদিক মন্তব্য করেন, ‘সত্যি সত্যি আজ বাংলাদেশের একটি দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক বিরোধী দল দরকার। দীর্ঘকাল একটানা ক্ষমতায় থাকলে যেকোনো দলেই স্বৈরাচারী প্রবণতা ও দুর্নীতি দেখা দেয়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমার জোরে আওয়ামী লীগ এখনো টিকে আছে এবং ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু তিন দফা পরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে দলের অধিকাংশ এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রী-উপমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কারো কাছে জবাবদিহি নেই। কারণ জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল নেই।’ ভাষা আন্দোলন-খ্যাত এই শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী অবশেষে উপসংহারে বলেন, ‘এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। এই পরিবর্তন ঘটাতে পারে জাতীয় রাজনীতিতে এবং সংসদে শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল বিরোধী দল।’ আবারো ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি আশঙ্কা করেন, এখানেও ভারতের মতো ‘প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক দল’ ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি আবদুল গাফফার চৌধুরী যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন সেই সরলরেখায় চলে না। সত্যি সত্যি একটি নিয়মতান্ত্রিক পথে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন যদি ঘটে তাহলে জনসাধারণের আপত্তির কারণ থাকে না। বাংলাদেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তনে বারবার ষড়যন্ত্রই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৫ সালের মধ্য আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনাবলি ‘ষড়যন্ত্রের ফলাফল’। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এবং ৭ নভেম্বর যে পরিবর্তনগুলো ঘটে তাও রাজনৈতিক সমীকরণ ভেদে ‘ষড়যন্ত্রের ফসল’। সেনাপ্রধান এরশাদের ১৯৮২ সালে ক্ষমতা গ্রহণ, ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে তার নির্বাচন বিভিন্ন সময় ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ওয়ান-ইলেভেনের ঘটনাবলি ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই জনগণের কাছে প্রতিভাত হয়েছে। ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে বিরোধী দল। সব শেষে ২০১৮ সালের নিশীথ নির্বাচনও জনগণের কাছে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে পরিচিত। অতএব বাংলাদেশের ৫০ বছরের রাজনীতিকে যে কেউ ‘ষড়যন্ত্র এবং ষড়যন্ত্র’-এর ইতিহাস বলে অভিহিত করতে পারে।
আসলে ষড়যন্ত্র ইতিহাসের মতোই পুরনো। বাংলা ভাষায় ষট্+যন্ত্র=ষড়যন্ত্র অর্থ হচ্ছে ছয়টি বা অনেকগুলো যন্ত্র দিয়ে জটলা পাকানো। এর ভাবার্থ হচ্ছে, কোনো কিছুকে জটিল ও কুটিলভাবে চিন্তা করা। বাস্তবে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি সবারই জানা কথা। আগেকার দিনে সাধারণ মানুষের মধ্যে ষড়যন্ত্রের লালন-পালন ও বাস্তবায়ন থাকলেও এর মূল কেন্দ্রিকতা ছিল রাজা-রাজ্য-রাজধানী। হাজার বছর ধরে পৃথিবীর মানুষের অনেক কিছুতে পরিবর্তন হলেও মৌলিক স্বভাব-চরিত্র বদলায়নি এতটুকু। আজো ষড়যন্ত্র চলছে আগের মতোই। আগের রাজা-রাজ্য এবং রাজন্য একটি শব্দে একীভূত হয়েছে আর তা হচ্ছে ‘রাজনীতি’। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরাও বসে নেই। তারা রীতিমতো তত্ত্বকথার আলোকে ‘ষড়যন্ত্র’কে আনুষ্ঠানিকতা ও প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে ব্যতিব্যস্ত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মাইকেল বার্কুনের মতে, গোটা বিশ্বই একটি নেতিবাচক নীলনকশা দিয়ে পরিচালিত। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে প্রোথিত। প্রথমত, কোনো কিছুই সাধারণভাবে ঘটে না। দ্বিতীয়ত, যা দেখছেন তা আসল নয়। তৃতীয়ত, সব কিছুর সাথে সব কিছু সম্পর্কিত। তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সব কিছুকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ বলেই ধারণ করে। তিনি বিষয়টিকে প্রবাদের মতো করে উপস্থাপন করেছেন : ‘A matter of faith rather than proof’। বার্কুন ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Culture of Conspiracy : Apocalyptic Visions in Contemporary America’-তে এসব তত্ত্বকথা বলেন। তিনি যখন প্রমাণ ছাড়াই শুধু বিশ্বাস বা ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বটি ব্যাখ্যা করেন, তখন বিষয়টি আসলে দাঁড়ায় ‘মনে মনে কলা খাওয়ার’ মতো। তাহলে যড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে, অনুমাননির্ভর (Hypothesis)। গবেষণা ক্ষেত্রে আমরা একটি প্রাক-অনুমান দিয়ে শুরু করি। এর সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে মাঠপর্যায়ে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা শেষ করি। পক্ষান্তরে, ষড়যন্ত্র তত্ত্বে শুরু এবং শেষ সবই অনুমাননির্ভর। এ তত্ত্বকথায় বলা হয়, দুই বা ততোধিক লোক অথবা কোনো সংগঠন যদি গোপন পরিকল্পনার ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যের ক্ষতি করার প্রয়াস পায়, তাহলে তা ‘ষড়যন্ত্র’ পদবাচ্য হবে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উৎস হচ্ছে সন্দেহ, অবিশ্বাস এবং নেতিবাচক মানসিকতা। ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব হচ্ছে প্রচলিত আইনকানুন, রীতি-রেওয়াজ এবং সভ্যতা-ভব্যতাবিরোধী বিষয়াবলি। এ তত্ত্বে একটি সহজ বিষয়কে জটিল-কুটিল করে ব্যাখ্যা করা হয়। মানুষ সহজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের মাধ্যমে ক্ষমতার ওঠানামাকে ব্যাখ্যা করে। পলাশীর আম্র্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার জন্য আজো কাশিমবাজার কুঠির ‘ষড়যন্ত্রে’র কথা বলা হয়।
অবশেষে, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব সম্পর্কে একটি গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা দেয়া যাক। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ভাষায়, ‘The theory that an event or phenomenon occurs as a result of conspiracy between interested parties; spec. a belief that some covert but influential agency (typically political in motivation and oppressive in intent) is responsible for an unexplained event’। ষড়যন্ত্র তত্ত্বটি প্রধানত রাষ্ট্রিক। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে হিটলারের জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করার জন্য ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারত আমাদেরই স্বার্থে ভারতের আকাশসীমা যাতে পাকিস্তানি বিমান ব্যবহার করতে না পারে সে জন্য দু’জন কাশ্মিরি যুবক দিয়ে ভারতের বিমান হাইজ্যাক করিয়েছিল। এতদিন পরে ভারতীয় কূটনীতিক মুকচুন্দ দুবে স্বীকার করছেন, জাতীয় স্বার্থে এটি ছিল একটি ‘ষড়যন্ত্র’। জাতীয় স্বার্থে যখন ‘ষড়যন্ত্র’ হয় তখন তা জাতি মেনে নেয়; কিন্তু যখন ব্যক্তিস্বার্থে অথবা ক্ষমতার স্বার্থে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আরোপ করা হয়, তা জনগণের সবার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বাস্তব অর্থে বাংলাদেশের জনগণ এখন বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রের মধ্যেই বসবাস করছে। রাজনীতিবিদদের উভয় পক্ষই যদি হয় ষড়যন্ত্রকারী তাহলে আমরা কি ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্যা গলের মতো বলব, ‘পলিটিক্স ইজ টু সিরিয়াস এ ম্যাটার টু বি লেফট টু দ্য পলিটিশিয়ানস’।
লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা