চরিত্র হননের জন্য ধর্ষণ মামলা নয়
- জসিম উদ্দিন
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫৩
পুলিশ বিভাগে নাকি বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান চলছে। তার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ২৬ জনকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। ১০০ জন সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট করার পর এরা মাদকাসক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন সার্জেন্ট, পাঁচজন পরিদর্শক বা তার কাছাকাছি মর্যাদার। বাকিরা সাধারণ পুলিশ সদস্য।
পুলিশ প্রশাসনে বড় বড় অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। ওইসব অনিয়মে এ ধরনের চুনোপুঁটিদের ‘অবদান’ কতটুকু আমরা জানি না। শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা পুলিশের সব সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। একসাথে ১৪ শতাধিক পুলিশের বদলি ইতিহাসে নজিরবিহীন। এমন মহাবদলি পুলিশে সংশোধন আনার জন্য কাজে আসবে না। এটি নিছক আইওয়াশ হয়ে থাকবে।
সদ্য বদলি করে দেয়া কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করে আসছিলেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অনেকেও তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ আনেন। সাবেক মেজর সিনহা মুহাম্মদ রাশেদকে হত্যার প্রাথমিক আলামত নষ্ট করে দেয়ার কাজটি তিনি করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। তিনি বাঁচিয়ে দিতে চেয়েছিলেন প্রধান আসামি প্রদীপ ও লিয়াকতকে। প্রদীপ ও লিয়াকতের জন্য যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা চেয়ে কারাগারে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে চিঠিও লিখেছেন। সর্বশেষ, সিনহার বোন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। যদিও আদালতে দায়ের করা তার আর্জি বাতিল হয়েছে।
প্রদীপ একাই কক্সবাজারের একটি থানায় ২০৪ জন বাংলাদেশী হত্যার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ, দুই শতাধিক মানুষকে তিনি একাই হত্যা করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার মাসুদ কি এসব ব্যাপারে একেবারেই দায়-দায়িত্বহীন থাকতে পারেন। দরকার ছিল কক্সবাজারের ওই পুলিশ সুপারের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করা। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তথ্য-উপাত্ত বলছে, মাসুদ প্রশাসনের অধীনে ইয়াবা চোরাকারবার এবং স্থানীয় মানুষের ওপর গুম খুন এনকাউন্টার ও পুলিশ কর্তৃক ধর্ষন হয়েছে। এগুলোর কোনো সুরাহা না করে সন্দেহভাজনদের এভাবে গণবদলি কিভাবে শুদ্ধি অভিযান হতে পারে?
অপরাধীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করে দিলে কি সব খালাস হয়ে গেল? কেউ একজন চুরি করলেন কিংবা ডাকাতি করলেন, এখন তাকে যদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি করা হয় তিনি কি দুধে ধোয়া হয়ে যাবেন? তিনি না হয় ভালো হয়ে গেলেন, ধরে নিলাম। কিন্তু যারা অপরাধের শিকার হয়েছেন তাদের বিচার পাওয়ার অধিকারের কী হবে? একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এটা কিভাবে সংশোধনী বা সংস্কার কার্যক্রম হতে পারে? আমরা জানতে পারছি, পুরো পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ কি এবার পুলিশের সেবা পাবেন এমন নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে? সরকারের একদল পুলিশ নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেনি, জনগণের অধিকার হরণ করেছে, তাদের গুম খুন ক্রসফায়ার দিয়েছে, এখন তাদের কেবল স্টেশন পরিবর্তন করে দিলে বাংলাদেশে একটি সেবাধর্মী পুলিশ প্রশাসন কায়েম হয়ে যাবে?
এদিকে, ধর্ষণের বিষয়টি দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা। এর কারণ এমন নয় যে, হঠাৎ করে দেশে ধর্ষণ বেড়ে গেছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ধর্ষণে ‘সেঞ্চুরি’ করেছেন। এরপর আর কেউ তার সেঞ্চুরি রেকর্ড ব্রেক করার নতুন ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি, এমন সব রেকর্ড আগেই হয়ে গেছে এবং সেগুলো অতিক্রম করা দুরূহ ব্যাপার। এবার ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলো সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করেছে থানায়। ওই মামলায় ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে তিনি ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরকে অভিযুক্ত করেছেন। ‘সহযোগিতা’র ধরণটি কেমন তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।
ডাকসুর ইতিহাসে নূর এক ব্যতিক্রমী ভিপি। তিনি কঠিন এক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে জাতির সামনে এসেছেন। এর আগে কোনো ছাত্রনেতাকে এত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে হযনি। নূর নিজেই বলেছেন, ১১বার তার ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রত্যেকবার বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের লোকজন তাকে নির্মমভাবে পিটিয়েছে। সরকার তার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে দেশের বিরোধী রাজনীতিকে শতভাগ স্তব্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার দলীয় লোকদের চেয়ে পুলিশের বন্দুক বেশি ব্যবহার করেছে। রাজপথে ধরতে গেলে, বন্দুকের মুখে কেউ আর টেকেনি। নূর প্রতিনিয়ত ছাত্রলীগ ও আগ্রাসী পুলিশের মুখোমুখি থেকে মারধর সহ্য করে তিলে তিলে উঠে এসেছেন। বলতে গেলে, তিনি রক্তচক্ষুকে প্রতিমুহূর্তে উপেক্ষা করে এগিয়েছেন। ডাকসুতে তিনি একাই সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তার কণ্ঠস্বরটি অন্যায়-অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো জোরালো হয়েছে। বিরোধী দল যেখানে ব্যর্থ হয়ে ঘরে ঢুকে গেছে, সেখানে নূর একাই সরকারের অন্যায়ে সোজাসাপ্টা সমালোচনা করে চলেছেন। তাই দেশের মানুষের কাছে তিনি একজন আদর্শ ছাত্রনেতায় পরিণত হয়েছেন।
নূরকে কোনোভাবে দমানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে ধর্ষণের ওই মামলাটি হয়েছে। তাই মামলাটি সারা দেশে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। চারদিকে যে কথাটি শোনা যাচ্ছে- সজ্জন ক্লিন ইমেজের নূর কিভাবে ধর্ষণের মতো একটি গর্হিত কাজে সহযোগী হতে পারেন? তিনি কোন কারণে অন্য একজনকে ধর্ষণে সহযোগিতা করবেন? এ ব্যাপারটি কারো বুঝে আসছে না। অথচ সেঞ্চুরি করা ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো উচ্চবাচ্য হয়নি। প্রতিদিন ধর্ষণের অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর খুব কম সংখ্যকের বিচার হয়েছে। সাধারণত ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ধর্ষণ করলে সেগুলোর বিচার পাওয়ার সুযোগ খুব কমই থাকে। মামলা থেকে তারা ‘কোটা সিস্টেমে’ রেহাই পেয়ে যায়।
এ মামলাটির ব্যাপারে নূর নিজের অবস্থান খোলাসা করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগের তিনি জবাব দিয়েছেন। মেয়েটি অভিযোগ করেছেন, তিনি নূরের সাথে ফোনে কথা বলেছেন, নীলক্ষেতে কয়েকজন নিয়ে বসেছেন। এর জবাবে নূর বলছেন, মেয়েটি তার সাথে একবার তিন-চার মিনিট ফোনে কথা বলে প্রতিকার চেয়েছিলেন। তিনি ওই সময় মেয়েটিকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ওই ফোনালাপের রেকর্ড বের করে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। নূর জানান, নীলক্ষেতে মেয়েটির সাথে কোনো বৈঠক তার সাথে হয়নি। আর যে তারিখে তার বিরুদ্ধে আভিযোগ আনা হয়েছে, নূর তখন ছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষ যদি নূরের বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ করতে পারে যে, তিনি ধর্ষণের কোনো ধরনের সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন তাহলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন: তিনি সাথে সাথে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। তবে নূরের এ চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক নেতাদের হেয় করার জন্য চুরি-ডাকাতি, মাদক চোরাচালান ও মাদক গ্রহণসহ আরো হাস্যকার শতরকমের মামলা আমরা দেখেছি। ধর্ষণকে রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র হননের জন্য ব্যবহার হতে দেখা যায়নি। নূর এ মামলার জন্য সরকারি দলের লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। প্রতীয়মান হয়, সরকারি দল তার প্রতিপক্ষ চরিত্র হননের জন্য এ মামলা ওই মেয়েটিকে দিয়ে করিয়েছেন। এর ভয়াবহ একটি দিক রয়েছে। ধর্ষণকে যদি আমরা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য ব্যবহার করি তাহলে এ সমাজ, আইন ও বিচারব্যবস্থার এক ভয়াবহ পতন হবে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ আসলে কোনো খেলার ব্যাপার নয়। দরকার প্রকৃত ধর্ষকদের বিচার। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগ করার জন্য দৃষ্টি রাখা। তা না করে আমরা যদি সংশ্লিষ্ট আইনটিকে মানুষকে হয়রানি করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করি তাহলে নিঃসন্দেহে ধর্ষকরা আশকারা পাবে। এতে করে সমাজে সংঘটিত বিপুল ধর্ষণ আরো মহামারী হিসেবে দেখা দেবে। কারণ, ধর্ষণ করেনি এমন নিরপরাধ মানুষকেও এই অভিযোগে শাস্তি দেয়ার ফন্দি আঁটা হচ্ছে।
নূরের বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণ মামলাকে অপব্যবহারের ফন্দি আঁটা হচ্ছে তখন সিলেট এমসি কলেজে একই অপরাধে ঘটনা কেমন তা খোলাসা করে দেখিয়ে দিয়েছে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্ররা। আমরা যদি একটু পর্যালোচনা করে দেখি তাহলে বুঝতে পারব, কেন এই গণধর্ষণ। খবরে জানা যায়, ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী যখন ক্যাম্পাস ত্যাগ করছিলেন তখন ওই ছাত্রলীগ সদস্যরা তাদের ঘিরে ফেলে। তারা তরুণীর গহনাগাটি ছিনতাই করে চলে যাচ্ছিল। এর মধ্যে একজন অসদুদ্দেশ্যে মন্তব্য করে বসে ‘মেয়েটি সুন্দর’। তখনই মেয়েটির প্রতি লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে ওই ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তদের। শুধু ছিনতাই করে ক্ষান্ত হয়নি তারা। গাড়িসহ প্রকাশ্যে এ দম্পত্তিকে তারা ছাত্রবাসে নিয়ে যায়।
যতটুকু জানা যায়, ছাত্রলীগের এ দুর্বৃত্তদের এটি প্রথম ধর্ষণ বা প্রথম অপরাধ নয়। ছাত্রাবাসটিকে অপরাধীরা তাদের আস্তানা হিসেবে গড়ে তুলেছিল। তারা ওই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছিল। আরো ধর্ষণের ঘটনা তারা ঘটিয়েছে। আর প্রতিনিয়ত তারা সেখানে ছিনতাই করত। এ নিয়ে প্রতিদিন সেখানে অভিযোগ পাওয়া যেত। তবে এসবের বিচার করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ, পুলিশ কর্তৃপক্ষ কেউ তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। এসব অপরাধ যখন ক্ষমতার ছাতা মাথায় নিয়ে করা হচ্ছে- তখন দায়িত্ববানরা সবাই মুখ বুজে ছিলেন। এমন অপরাধ কিন্তু প্রকাশ্যে চলছিল। অপরাধীদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হাজির করা কঠিন কোনো কাজ ছিল না। এ অপরাধীদের শায়েস্তা করার জন্য দেশের বড় বড় গোয়েন্দাদের ঘাম ঝরানোর দরকার ছিল না। কেবল প্রশাসনের সৎ মানসিকতাই এই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য যথেষ্ট ছিল। ক্ষমতার ছাতা এ অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পথটি বন্ধ করে রেখেছিল। রাষ্ট্র সরাসরি এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কার্যত আশকারা দিচ্ছে।
অন্যদিকে ডাকসুর ছাত্রনেতা নূরের বিরুদ্ধে অন্যায় অনিয়মের কোনো রেকর্ড নেই। যিনি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, আমরা এ ধরনের ব্যক্তির সাথে ধর্ষণের সম্পর্ক দেখানোর জন্য রাষ্ট্রের সব মেকানিজম ব্যবহার করছি! কেন বাংলাদেশে আজ এমন দুর্নীতি ও অন্যায়ের সয়লাব তার কারণ বোঝা যায়। আমাদের বিশাল গোয়েন্দা বাহিনী, জনগণের অর্থে যাদের আমরা পুষছি, তাদের কার্যক্রম রাষ্ট্রের নিরাপত্তার রক্ষার কাজে ব্যবহার করতে হবে। ওসি প্রদীপ একাই ২০৪টি হত্যার জন্য অভিযুক্ত। জনগণের অর্থে লালিতপালিত এই রাজশক্তি ব্যবহার হয়েছে এতগুলো মানুষ হত্যার কাজে। এভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের অভিযোগ রয়েছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দারা কাজ করলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর কিছু সদস্য এ কাজটি করতে পারত না। একটি দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পরই তারা শনাক্ত হয়ে যেত। তখন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেত।
আমরা দেখলাম, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসকে অপরাধীরা আস্তানা বানিয়েছে। সাধারণ মানুষ এ অপরাধীদের কার্যক্রম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল। সরকার যদি জনগণের কল্যাণ চাইত তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা কঠিন কোনো ব্যাপার ছিল না। এই অপরাধীরা কোনো গুপ্ত বাহিনী ছিল না যে, ধর্ষণ-ছিনতাই করে পাহাড়ে পালিয়ে যায়, তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না, বরং তারা প্রকাশ্যে সরকারি হোস্টেলে থেকে জনসাধারণের সর্বনাশ করে যাচ্ছিল। সরকারের এজেন্সিগুলো যদি এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আগেই অপারেশন চালাত তাহলে ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের শিকার হতে হতো না। রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত বাহিনী নূরদের মতো সচ্চরিত্রবান লোকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহৃত হচ্ছে যাতে তারা ধর্ষক না হলেও তাদের চরিত্র হনন করা যায়। অন্যদিকে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর দৃষ্টি উল্টো দিকে ফিরিয়ে রাখার কারণে অপরাধীরা তাদের আস্তানার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে। সারা দেশে গুম খুন ধর্ষণের নৈরাজ্য চলছে তাই।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা