২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পর্যটন শিল্পে বিপর্যয়

পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় - ছবি সংগৃহীত

আমাদের দেশের প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। তাই পর্যটন শিল্পের বিকাশে আমাদের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। কিন্তু স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশক পরও আমাদের পর্যটন শিল্প বিশ্বমানের হয়ে উঠেনি। ফলে আমরা এই শিল্পের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে পারছি না। বিশ্বের প্রায় সব দেশে পর্যটন অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার খাত। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে বিশ্বে পর্যটকের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ মিলিয়ন, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৩৫ মিলিয়নে। চলতি বছর প্রায় ১৫০ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যটক সারা পৃথিবী ভ্রমণ করার কথা। কিন্তু করোনা সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সে লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

মূলত বিগত ৬৯ বছরে পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৫০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধিও বহুমাত্রিকতা পেয়েছে। ২০১৯ সালে বিশ্বের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান ছিল ১১.৪ শতাংশ, যা ২০২৭ সালে ১২.৭ শতাংশে গিয়ে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০১৯ সালে পর্যটকদের ভ্রমণ খাতে ব্যয় হয়েছে ২০৯৪.২ বিলিয়ন ডলার। আর একই বছর পর্যটনে বিনিয়োগ হয়েছে ৯৮২.৪ বিলিয়ন ডলার।

বিগত বছরের তুলনায় ২০২০ সালের শুরুটা পর্যটনের জন্য বেশ ইতিবাচকই ছিল। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে পর্যটকের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় ছিল ২ শতাংশ বেশি। তবে করোনার কারণে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রায় পর্যটকশূন্য আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রগুলো। বিশ্বব্যাপী লকডাউনের সাথে সাথে পর্যটকের সংখ্যাও দ্রুত হ্রাস পেতে পেতে এখন তা প্রান্তিক মাত্রায় নেমে এসেছে। জুনের শুরু থেকে কিছু দেশ লকডাউন শিথিল করলেও এখন পর্যন্ত এই শিল্প ছন্দে ফিরতে পারেনি।

করোনা সৃষ্ট জটিলতার কারণে ‘বিশ্ব পর্যটন সংস্থা’ এই শিল্প নিয়ে তিন ধরনের পূর্বাভাস দিলেও প্রথমটির কার্যকারিতা এখন আর নেই। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়ে বলেছিল, জুলাই পর্যন্ত এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। কিন্তু জুলাই মাস শেষে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো উন্নতি ঘটেনি পরিস্থিতির। সংস্থাটির দ্বিতীয় পূর্বাভাস হলো, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকলে তা ৭০ শতাংশ আর ডিসেম্বর পর্যন্ত হলে তা ৫৮ শতাংশে নেমে আসবে। একই সাথে প্রভাব পড়বে পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত কর্মসংস্থানেও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন মানুষ চাকরি হারাবেন। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশেও ২০২০-২১ সালের বাজেটে পর্যটন খাতে কিছু বরাদ্দ বাড়লেও তা নিতান্তই অপ্রতুল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

অতীতে আমাদের দেশের কোনো বাজেটই পর্যটনবান্ধব ছিল না। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে পর্যটন খাতে বরাদ্দ ছিল ৩০৭ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫৯ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩৭১ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৮৬ কোটি টাকা, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৮৬ কোটি টাকা এবং ২০১৮-১৯ বছরে ১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে ২০১৯-২০ সালের বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।

প্রতি বছর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই খাতের জন্য বরাদ্দ হয়ে আসছে। বাজেটে পর্যটনের জন্য মাত্র ৫০-৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। আর বাকি টাকা বরাদ্দ হয় বেসামরিক বিমান পরিবহনের জন্য। তাই পর্যটন খাতের জন্য আলাদা বাজেটের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকেই। কিন্তু এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের মনোভাব ইতিবাচক নয়। ফলে দেশের পর্যটন শিল্প সেকেলেই রয়ে গেছে।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই মন্দার সৃষ্টি হয়েছে। বৈশ্বিক পর্যটনও এ থেকে মুক্ত থাকেনি। বাংলাদেশের পর্যটনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মূলত করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটনের সাথে জড়িত অনেকের কর্মসংস্থান পড়েছে হুমকির মুখে। বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস অনুসারে, করোনার প্রভাব থাকবে আরো প্রায় ১ থেকে ২ বছর। ফলে এই দীর্ঘ সময় পর্যটন শিল্পকে টিকে থাকতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিন্তিত ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এ শিল্পে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। আর করোনা সৃষ্ট জটিলতায় এই শিল্প বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি খাতে পর্যটন শিল্পের অবদান ছিল ৯৫০.৭ বিলিয়ন টাকা। এ খাতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে ২৫ লাখ ৩২ হাজার। একই বছর পর্যটন খাতে বিনিয়োগ এসেছে ৪৩ বিলিয়ন টাকা। তা ছাড়া সঠিক তথ্য-উপাত্ত না পাওয়া গেলেও ধারণা করা হয়, গত বছর বাংলাদেশে প্রায় ৬ লাখ বিদেশী পর্যটক ভ্রমণ করেন। একই বছর প্রায় ৫ কোটি দেশীয় পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে, যা এই শিল্পের ইতিবাচক দিক। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অকৃত্রিম সৌন্দর্য, সিলেটের সবুজ অরণ্যসহ অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত। সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সাগরের পাড়ে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণ দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণে কক্সবাজারে তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে। প্রতি বছর এতে বাড়তি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি। সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কোর ঘোষিত ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে এ বনের জীববৈচিত্র্য এটিকে পৃথিবীর অন্য যেকোনো পর্যটনকেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্ররূপে উপস্থাপন করেছে। সুন্দরবনকে বেষ্টন করে রেখেছে সামুদ্রিক স্রোতধারা, খাল, শত শাখা নদী, কাদা চর এবং ম্যানগ্রোভ বনভূমির লবণাক্ততাসহ ক্ষুদ্রায়তন দ্বীপমালা। বনভূমিটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানা ধরনের পাখি, হরিণ, কুমির, ডলফিন ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। তাই সুন্দরবন দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে খুবই চমকপ্রদ ও আকর্ষণীয়।

আমাদের দেশের পার্বত্য অঞ্চল পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটনের মূল উপকরণ হলো পাহাড়ে ঘেরা সবুজ প্রকৃতি, যা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে পর্যটকদের কাছে ধরা দেয়। এখানে শীতে যেমন এক রূপ ধরা দেয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে, তেমনি বর্ষা অন্য এক রূপে হাজির হয়। শীতে পাহাড় কুয়াশা আর মেঘের চাদরে ঢাকা থাকে, তার সাথে থাকে সোনালি রোদের মিষ্টি আভা। আবার বর্ষায় চারদিকে জেগে ওঠে সবুজের সমারোহ। এ সময় প্রকৃতি ফিরে পায় নতুন যৌবন।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল। এ শহরে রয়েছে উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ চা বাগান মালনীছড়া চা বাগান। এ অঞ্চলে আসা পর্যটকদের মন জুড়ায় ‘সৌন্দর্যের রানী’ জাফলং, নীলনদ খ্যাত স্বচ্ছ জলরাশির লালাখাল, পাথর ও জলের মিতালিতে বয়ে যাওয়া বিছনাকান্দির নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, পাহাড় ভেদ করে নেমে আসা পাংথুমাই ঝরনা, ‘সোয়াম্প ফরেস্ট’ রাতারগুল, ‘মিনি কক্সবাজার’ হাকালুকি হাওর এবং কানাইঘাটের লোভাছড়ার সৌন্দর্য।

দেশের হাওর অঞ্চল পর্যটনের আরেক সম্ভাবনার নাম। বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- এ সাতটি জেলার ৭ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জলাভূমিতে ৪২৩টি হাওর নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। হাওর অঞ্চলের সাগরসদৃশ বিস্তীর্ণ জলরাশি এক অপরূপ মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা নৌকায় বসে বিস্তীর্ণ নীল জলরাশির মায়ায় ভেসে বেড়াতে পারেন। হাওরের কোল ঘেঁষে থাকা সীমান্ত নদী, পাহাড়, ঝরনা, হাওর-বাঁওড়ের হিজল, করচ, নল, খাগড়া বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নানা প্রজাপতির বনজ, জলজপ্রাণী আর হাওর পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকার নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো খোরাক মিলবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের।

আমাদের পর্যটন শিল্পের বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সঠিক পরিকল্পনা ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আমরা পর্যটন শিল্পে পিছিয়ে রয়েছি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত সব পক্ষকে নিয়ে এক সাথে কাজ করে যেতে হবে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশী পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। এ শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারবে যা জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে।

বস্তুত পর্যটন একটি বৈশ্বিক শিল্প। বিশ্বের অনেক দেশেরই পর্যটন বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের উল্লেখযোগ্য মাধ্যম এবং জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম অনুসঙ্গ। সঙ্গতকারণেই পর্যটন খাতকে ‘বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত’ হিসেবে অভিহিত করে এর স্থিতিশীল ও কার্বন-নিরপেক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে টেকসই ও সবুজায়নের বিকাশে প্রত্যেককে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি কোভিড-১৯ মহামারীর সময় পর্যটন খাতকে অবশ্যই নিরাপদ, সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং জলবায়ুবান্ধব করে পুনর্গঠিত করার তাগিদও দিয়েছেন।

ইউএন নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি পর্যটন বিষয়ে সর্বশেষ নীতিমালার সারসংক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে গুতেরেস বলেছেন, এ খাত পৃথিবীর প্রতি ১০ জনের একজনের কাজের সুযোগ করে দেয় এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে। জাতিসঙ্ঘের পর্যটনবিষয়ক বিশ্ব পর্যটন সংস্থার (ইউএনডব্লিউটিও) তথ্যে দেখা যায়, করোনার কারণে পর্যটন খাতে জড়িত ১০ থেকে ১২ কোটি মানুষের চাকরি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী জিডিপির দেড় থেকে ২.৮ শতাংশ লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি) যা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়।

করোনার কারণে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের গমনাগমন অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে এবং পর্যটন আয় প্রায় ৩২০ বিলিয়ন ডলার কমেছে। আমাদের দেশের পর্যটন খাতের আয় প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটলে বৈশ্বিক পর্যটন আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে পর্যটকবান্ধব ও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে আমাদেরকে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করা দরকার। তা হলে এই শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement