২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চুরি-ডাকাতি কি সমান অপরাধ

চুরি-ডাকাতি কি সমান অপরাধ - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রশান্ত কুমার হালদার প্রতারণার আরেক চ্যাম্পিয়ন। সংক্ষেপে তিনি ‘পিকে হালদার’। জনগণের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছেন। সংবাদমাধ্যমে তাকে প্রতারক বলছে। তাকে যদি ‘প্রতারক’ বলা হয় তাহলে প্রকৃত প্রতারকদের প্রতি অবিচার করা হবে। কারণ সামান্য কিছু অর্থকড়ি বেহাত করতে হলেও প্রতারকদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। সতর্কতা-সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। পরিকল্পনায় কোনো ভুল হয়ে গেলে কিংবা সামান্য অসর্তকতায় তাদের প্রতি নিদারুণ অপমান লাঞ্ছনা নেমে আসতে পারে। তদুপরি, উত্তমমধ্যমের শিকার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা থাকে। এরপরও যদি সফলতা মিলে তাহলে দুই চার লাখ টাকা বা কোটি টাকা নিয়ে তাদের সবসময় চরম আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হয়।

বাংলাদেশে এক যুগ ধরে যে সাগর-মহাসাগর চুরি হচ্ছে, সেগুলোকে প্রতারণা বা দুর্নীতি বললে সেটা সত্য বলা হয় না। পৃথিবীর ইতিহাসে দুর্নীতির সম্পূর্ণ এক নতুন ধারার সূচনা করেছে বাংলাদেশ। এর অঙ্ক হাজার কোটির টাকা হওয়ার পরও তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর ভাষায় ‘খুব বেশি কিছু চুরি নয়’। আবার এই নব্য ধারার দুর্নীতিবাজরা একেবারে আশঙ্কামুক্ত। হিসাব সহজ, ‘কয়েক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে সেটা বিদেশে পাচার করে দাও। তারপর পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে বিদেশে সটকে পড়ো।’ দুর্নীতি দমন কমিশন, দেশের স্বার্থরক্ষাকারী গোয়েন্দা বাহিনী, ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সবাই চোখ বন্ধ করে থাকবেন। কেবল বিদেশে চলে গিয়ে ওই ব্যক্তি নিরাপদে থিতু হলে কেউ কেউ মিন মিন করে বলে উঠবেন- দাদা কিছু টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন রুটিনমাফিক একটি ফাইল খুলবে। একটি তদন্ত কমিটি জনগণের স্বার্থে গঠিত হতেও পারে। না হলে কেউ কিছু বলবে না।

প্রচলিত প্রতারণার ধারণাকে ওরা পাল্টে দিয়েছেন। হালদার বাবু সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছেন। কারো কারো হিসাবে এটা প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। ধরে নিলাম, তিনি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লুট করেননি। করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টর রুগ্ন হয়ে গেছে। সরকার অর্থের অভাবে পর্যাপ্ত প্রণোদনা সহযোগিতা করতে পারছে না। দেশের সংবাদমাধ্যমও দুস্থ হয়ে গেছে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সরকারের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। সামান্য প্রণোদনা দিলে দেশের সংবাদমাধ্যম ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সংবাদপত্রগুলো চালু হতে পারে। চাকরি হারানো সাংবাদিকরা ফিরে পেতে পারেন চাকরি। টেলিভিশন চ্যানেলের বেতন নিয়মিত হতে পারে। এ জন্য সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার দরকার হয় না। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে ১০০টি সেক্টর ঘুরে দাঁড়াতে পারে। দুর্ভাগ্য, একজন মাত্র ব্যক্তি এ বিপুল অর্থ লুটে নিয়ে চলে গেলেন।

অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে দেশের মানুষ যখন ধুকে ধুকে মরছে, তখন হালদারদের মতো মহাচোরেরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিচ্ছেন। হালদারদের রুখে দিতে পারে, এমন কোনো আন্তরিক ও শক্তিধর কর্তৃপক্ষ দেশে নেই। জনগণের স্বার্থ পাহারা দেয়ার জন্য নিয়োজিত এজেন্সিগুলো যখন ব্যর্থ হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমও এসব দুর্নীতি নিয়ে সময়মতো কোনো রিপোর্ট করতে পারে না। বরং এই লুটেরাদের জন্য পরিবেশ ছিল অনুকূল। হালদার নিরাপদে সটকে পড়ার আগে এসব দুর্নীতি নিয়ে কোনো টুঁ শব্দ হয়নি। পিকে হালদার ২০০৮ সালে ইন্ডাস্ট্র্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানির (আইআইডিএফসি) উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। এরপর তার উত্থান শুরু হয়। পরের বছর রিলায়েন্স ফাইনান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন। এরই মধ্যে তিনি গড়ে তোলেন একটি অবৈধ চক্র। চক্রের সদস্যরা তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন। পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক অমিতাভ অধিকারী এবং একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান উজ্জল কুমার নন্দী ও তার স্ত্রী অনীতা কর তার চক্রের কোর সদস্য। এই চক্র চারটি নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান ফোকলা করে দিয়েছে।

ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা মিলে এ চক্র কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এগুলোর নামে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের ছিলছাপ্পড় যুক্ত করেন তারা। এসব হাওয়াই প্রতিষ্ঠানের নামে ওইসব চালু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শেয়ার কিনেছেন। জনগণের অর্থে পরিচালিত বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল লাভজনক। অন্যদিকে তার নব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয় কোনো অর্থকড়ি ছাড়া। এবার শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার তিনি কিনে নেন। এ জন্য নিজের পকেটের অর্থ খরচ করতে হয়নি। বাংলাদেশে এখন এসব চক্রের জন্য লুটপাটের একটা খোলা হাটবাজার। সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চরম অনিয়ম করে তিনি একের পর এক অর্থ সরিয়ে নিচ্ছিলেন। একটি লুটপাটের পর তাকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে, এমন দেখা যাচ্ছে না। বরং দেখা যাচ্ছে, পরে আরো বেশি বড় অঙ্কের অর্থ সরিয়ে নেয়ার কারসাজি তিনি করেছেন।

তিনি যে বিপুল অর্থ পাচার করেছেন সেটা কয়েক দিনে বা কয়েক বছরে ঘটেনি। বিগত এক দশকে টানা তিনি জনগণের পকেট কেটে টাকা সরিয়ে সটকে পড়েছেন। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের ভঙ্গুরতাই দেখা যাচ্ছে। একটা বড় অঙ্কের অর্থ যখন হাত বদল হয় সাধারণভাবে কিছু নজরদারি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে থাকার কথা। আমরা দেখেছি জঙ্গি অর্থায়নের বিরুদ্ধে সরকারের কড়া নজরদারি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের খবরদারি চরম সীমায় পৌঁছেছিল। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোগুলো তাদের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায়। এমন একটি বড় জঙ্গি অর্থায়নের চিহ্নও মানুষ জানতে পারেনি। অন্যদিকে একই সময় হালদারের মতো ডজন ডজন দুষ্কৃতিকারী বড় অঙ্কের অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরিয়ে নেয়ার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো হুঁশ ছিল না। আশ্চর্যের বিষয়- কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেরা রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কোষাগারটির নিরাপত্তাও দিতে পারেনি। একটি চক্র বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও বিপুল অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে। সেই অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোনো সফলতা দেখাতে পারেনি।

টিআইবি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে এভাবে গড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। ফরিদপুরে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের এক সদস্য একাই পাচার করেছেন দুই হাজার কোটি টাকা। টিআইবি যে তথ্য দিচ্ছে, এই অঙ্কটিতে অবিশ্বাস করার কিছুই নেই। বরং পাচার হওয়া অঙ্কটি আরো বড় হলেও বিস্মিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ ধরনের লুটপাট যখন অব্যাহতভাবে চলছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় জড়িত কর্তৃপক্ষগুলো আসলে তখন কী করেছে? জনগণের জমানো অর্থ একবার দুবার চুরি বা প্রতারণা হতে পারে। কিন্তু একজন ব্যক্তি বা একটি চক্র যখন উপর্যুপরি চুরি করে নিচ্ছিল, তখন কর্তৃপক্ষ কোথায় ছিল? এত বড় লুটপাটের জন্য দায়িত্বশীল সংস্থার জবাদিহিতা কোথায়? কোনো ব্যক্তিই কি এর জন্য দায়বদ্ধ নন?

কিছু রহস্যের ব্যাপারে হুঁশ হওয়া দরকার। হালদার যখন প্রথম চুরিটি করেছেন তখনই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া গেলে রাষ্ট্র্রের বিপুল অর্থ খোয়া যেত না। তিনি যখন নিরাপদে সরে গেলেন তারপরই ঘটনা প্রকাশ হলো। এ ধরনের আরো অসংখ্য ঘটনা বাংলাদেশে ঘটছে, ঠিক চোর পালানোর পর সেসব ঘটনা জানা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ধারণা হওয়া স্বাভাবিক, এই চোরেরা একা নন, তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চুরি করছেন। তাদের কাজ পাকাপাকি হয়ে যাওয়ার পর এই চোরদের জন্য নিরাপদ এক্সিট করে দেয়া হচ্ছে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে- এই সিন্ডিকেটের দাপট। কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। হালদারের চুরি নিয়ে এখনো দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সরাসরি কথা বলতে ইতঃস্তত করছেন। যেসব সোর্সের সূত্রে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে, তারাও নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চান না। চোর তো পালিয়ে গেছেন, এখন তার বিরুদ্ধে কথা বললে সমস্যা কোথায়? তিনি তো এখন কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না। ব্যাপারটা এমন যে, এ চক্র আসলে এখনো এমন শক্তিশালী যে, চুরির ঘটনা ফাঁসকারীর বিরাট ক্ষতি করার শক্তি তারা রাখেন।

আরো কিছু বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে। সেগুলো প্রত্যক্ষ করলেই আমরা বুঝতে পারব দুর্নীতিবাজরা শক্তিশালী। তাদের অনিয়ম ও নয়ছয়ের ঘটনা ফাঁস করলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভাসুরের নামটি নিতে ভয় পাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি ডাক বিভাগের একটি প্রকল্পে বিপুল অঙ্কের দুর্নীতির খবর সংবাদমাধ্যমে আসছে। ডাক বিভাগের অনলাইন কার্যক্রম সহজ করার জন্য ৫৪১ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। সাড়ে আট হাজার ডাকঘরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে বলে কাগজপত্রে উল্লেখ রয়েছে। সরেজমিন দেখা গেল, অনেক ডাকঘর এ প্রকল্পের আওতায় আসেনি। ঢাকার পাশ্ববর্তী গাজিপুর জেলার পাঁচটি ডাকঘরে কাগজেপত্রে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে ওইসব ডাকঘরে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। সারা দেশে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে সে প্রশ্ন দেখা দিযেছে। অন্যদিকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মাত্র ৩৪ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি কিনে খরচ দেখানো হচ্ছে দুই কোটি ৩৪ লাখের বেশি টাকা। এভাবে প্রত্যেকটি কেনাকাটায় অনিয়ম বা নয়ছয় করা হয়েছে।

এর মধ্যে আবার ৫৪১ কোটি টাকার প্রকল্পের ১৩৪ কোটি টাকার কোনো হদিস নেই। পাঁচ বছরব্যাপী এ প্রকল্পের শেষ তিন বছরের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন সুধাংশু শেখর ভদ্র। এর কেনাকাটা বা প্রাসঙ্গিক খরচ নিয়ে তিনি অন্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করেননি বলে অভিযোগ উঠছে। প্রকল্পের অর্থ খরচ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা প্রকল্পের পরিচালককে এ ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করবেন, সেই ক্ষমতা তাদের ছিল না। সংবাদমাধ্যমে এসব জানা যাচ্ছে। এভাবে এককভাবে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের নামে টাকা হরিলুট করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। স্বাধীন তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া প্রয়োজনীয়। দেখা গেছে, প্রধান অভিযুক্ত প্রমোশন পেয়ে আরো বড় দায়িত্ব পাচ্ছেন।

বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে চলা দুর্নীতির স্বরূপ চিহ্নিত করতে হলে এর নতুন নামকরণের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এগুলো প্রচলিত ধারণার চুরি-ডাকাতি বা প্রতারণা নয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যাওয়াকে আমরা যদি ‘চুরি’ বলি তাহলে একে সঠিকভাবে আমরা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হবো। চোরের অপরাধের শাস্তি আর ডাকাতির শাস্তি সমান নয়। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি নির্ধারণে আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা টিকে থাকতে পারবে না। তাই এই বড় বড় অপরাধগুলোকে আগে তার মাত্রা অনুযায়ী শনাক্ত করতে হবে। যারা এগুলো করেছেন তাদের সে মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে।
দুর্নীতিকে রোধ করতে হলে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে আপনি যদি বরখাস্ত না করেন বা সরিয়ে না দেন নিতান্তপক্ষে তাকে তো প্রমোশন দেয়া বন্ধ করতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেই। বরং দেখা যাচ্ছে, তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন। এতে করে সৎ ও যোগ্যরা ভুল বার্তা পাবেন। তারা হীনবল হবেন, দুর্বল হবেন। এত করে কেবল রাষ্ট্র দুর্বল হতে থাকবে।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement