আমার লেখালেখির স্মৃতি
- প্রফেসর ড. এম এ মান্নান
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০৩
আমি সৌভাগ্যবান। অনেকবার এই সৌভাগ্য শব্দটি আমার লেখনীতে উল্লেখ করেছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান। আমার শিশুকাল কেটেছে ব্রিটিশদের শাসনামলে। এরপর এলো পাকিস্তান আমল। তখন আমি কিশোরপর্ব পার করে যুবক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছি। আর এখন পরিণত বয়সে স্বাধীন বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। এক জীবনে এভাবে তিন দেশের নাগরিক হওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপারই বটে। আমার জন্মের এক বা দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময়ে আমার বোঝার বয়স হয়নি। তবে ১৯৪৫ সালে যখন যুদ্ধ শেষের দিকে তখন আমার বয়স সাত এবং কিছুটা বুঝতে শিখেছি। আমার বাড়ি সিরাজগঞ্জের আকাশে যখন জঙ্গিবিমান আনাগোনা করত তখন চিৎকার করে বলতাম ‘আমাদের রাজার প্লেন আসছে’। ওই বছর জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে আমেরিকা আ?বিক বোমা ফেলে, সেই খবর বাবার কাছ থেকে পাই। বাবা একদিন বাড়িতে এসে বললেন, আমেরিকা জাপানে অ্যাটম বোমা ফেলেছে। জিজ্ঞেস করি অ্যাটম বোমা কী? তিনি বললেন, ও তুমি বুঝবে না। এক বোমা দিয়ে পুরো শহর ধ্বংস করে দেয়া যায়। ১৯৪৭ সালে যখন ব্রিটিশরা বিদায় নেয় তখন আমার বয়স ৯। ফলে আশপাশের পরিস্থিতি বেশ বুঝতে পারছি। বাড়িতে রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল, বাবা পাকিস্তান আন্দোলনকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতেন, মুসলিম লিগ করতেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়িতে, কাছারি ঘরে আলোচনা হতো। তাই এগুলো সম্পর্কে ভাষাভাষা হলেও জ্ঞান ছিল আমার। আমার নানা প্রায় ৩২ বছর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তখন সিরাজগঞ্জ মহকুমা হলেও ছিল একটি অগ্রসর শহর। এটি ছিল নৌবন্দর ও বাংলা অঞ্চলের অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র। ইংরেজদের কুঠি ছিল। আশপাশের অনেক অঞ্চলের আগে এখানে বিদ্যুৎ বাতি পৌঁছেছিল। ১৯৪০ সালে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের সম্মেলন হয়েছিল এই সিরাজগঞ্জেই।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৩ সালে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় তা কিন্তু আমার মোটামুটি মনে আছে। আমার বয়স তখন পাঁচ। দেখতাম আমার মা সাধারণত গৃহকর্মীদের সাথে নিয়ে রান্নঘরেই খেতে বসতেন। তিনি যখন খেতে বসতেন তখন প্রায়ই দেখতাম ক্ষুধার্ত মানুষ সামান্য একটু ভাতের মাড়-এর জন্য জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তখন মা উঠে গিয়ে পাতের খাবার দিয়ে দিতেন। তখন আব্বার কাছে শুনেছি, ওই দুর্ভিক্ষ ছিল ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্র। ওই দুর্ভিক্ষে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা যায়। বেঙ্গল পার্লামেন্ট তখন ব্রিটিশদের বিরোধিতা করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটেনের নেতৃত্ব দেন চার্চিল। ওই দুর্ভিক্ষের জন্য তাকে দায়ী করা হয়। যুদ্ধে সেনাবাহিনীর জন্য খাদ্য মজুত করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চার্চিল ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা। যুদ্ধের পরপরই ১৯৪৫ সালে ব্রিটেনের নির্বাচনে তার দল হেরে যায়। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার ফলে ভারতের স্বাধীনতার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমার কিশোর মনে দারুণ রেখাপাত করেছিল। তখন আমার মনে এক ধরনের অনুভূতি জাগত, যাকে বলে ইনটুইশান। আমি বুঝতে পারতাম ‘সময়ের দাবি’ কী। ফলে ’৫০ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত পরবর্তী প্রতিটি দশক একেবারে আলাদা আলাদাভাবে আমার স্মৃতিতে গেঁথে আছে। ১৯৫৪ সালে যখন যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয় তখন আমি কলেজছাত্র। সিরাজগঞ্জ কলেজে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে খবরাখবর রাখার চেষ্টা করতাম। তখন আমার ভাবনায় মুসলিম লিগের উত্থান ও পতনের বিষয়গুলো উদিত হতো। মুসলিম লিগের ওই যে পরাজয় ঘটল আর দলটি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেল।
এই পঞ্চাশের দশক থেকেই মূলত আমার পত্রিকায় লেখালেখি শুরু। ১৯৫৬ সালের সেপ্টেম্বরে মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃৃত্বাধীন জোট সেন্টোতে (সেন্ট্রাল ট্রিটি অর্গানাইজেশন) যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বললাম, ‘কাশ্মির সমস্যার আর সমাধান হলো না। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নেহরু সেন্টোতে যোগ না দিয়ে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সাথে গেলেন।’ আমাদের এটা বুঝতে ৪০ বছর লেগেছে। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সাথে থাকলে অনেক আগেই কাশ্মির সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। ফলে শত্রুতা শুরু হয়ে গেল। জাতিসঙ্ঘে যুক্তরাষ্ট্র চাইলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দেয়, আর সোভিয়েতরা চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেয়। সেই অবস্থা আজো চলছে। আমি সেন্টোতে পাকিস্তানের যোগদানের বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করি। এই পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে নিবন্ধ লিখেছিলাম। সেটা ইত্তেফাক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। আমি আটটি কারণ উল্লেখ করেছিলাম। কোনো জোটে যোগ না দিয়ে আমাদের স্বাকীয়তা বজায় রাখা উচিত সে কথা আমি লিখেছিলাম। ষাটের দশকে আমার কর্মজীবন শুরু হয় সিরাজগঞ্জ কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে। পরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেই। ওই দশকের শেষ দিকে পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয় পাতায় আমার লেখালেখি মোটামুটি নিয়মিত হয়ে ওঠে।
ষাটের দশককে বুঝানোর জন্য আমি তিনটি শব্দ আমি ব্যবহার করি : ডিসপ্যারিটি, ডিকটেটরশিপ ও ডিসট্রাস্ট। এগুলো আমাকে প্রভাবিত করেছে এবং এর ওপর আমি কলাম লিখেছি। ষাটের দশকের দ্বিতীয়ার্ধে চাকরি সূত্রে পশ্চিম পাকিস্তানে অবস্থান করি। তখন সেখানকার খ্যাতনামা পত্রিকাগুলোতে আমার কলাম এসেছে। পাকিস্তান টাইমস, ডন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনায় লিখতাম। চেষ্টা করতাম ওইসব প্রসঙ্গ কলামে তুলে আনতে যেগুলো সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও গতানুগতিক কলামিস্টদের লেখনীতে উপেক্ষিত থাকত। আর সহজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়গুলোকে উপস্থাপনের চেষ্টা করতাম। এর সুফলও পেয়েছি। আমি সব সময় শান্তির পক্ষে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লিখেছি। তখন ২২ পরিবারের হাতে পাকিস্তানের বেশির ভাগ সম্পদ জমা ছিল। লিখেছি ইসলামে সম্পদ এভাবে কয়েকজনের হাতে জমা হওয়া অনুমোদন করে না। ইসলাম যে ডিসপ্যারিটি বা বৈষম্য অনুমোদন করে না এটা তো আল কুরআনে সুস্পষ্টভাবেই আছে। সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থাতেই আমি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের কারণ খুঁজে বের করি। যার ফলে আমার ‘ইকোনমিক প্রবলেমস, এ প্লানিং ইন পাকিস্তান’ বইটি প্রকাশিত হয়। সেখানে পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ডিসপ্যারিটির বিষয়টি আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করি।
আসলে পত্রিকায় লেখালেখি কিভাবে কারো ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে তা তুলে ধরতেই মূলত আজকে এই লেখনীর অবতারণা। অর্থনীতির ছাত্র হলেও ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা আমার নেই। এমনকি আমার পিএইচিডি গবেষণাতেও এ বিষয়টি আসেনি। আসলে পত্রিকার লেখালেখিই আমাকে ইসলামী অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করতে উদ্বুদ্ধ করে। যা পরবর্তীতে আমার কর্মজীনকেও অনেকটা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। ষাটের দশকে পাকিস্তান সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২৭-২৮টির মতো থিম দিয়ে দেশের শিক্ষাবিদসহ প-িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে গবেষণাধর্মী লেখা আহ্বান করা হয়। আমি তার মধ্যে পাকিস্তানে সুদমুক্ত ব্যাংকিংয়ের ধারণাটি বেছে নিয়েছিলাম। বিশেষ করে পাকিস্তান টাইমসে আমার অর্থনীতি বিষয়ক কলামগুলো এসেছে। ওই পত্রিকায় লিখতেন জেড এ সুলেরির মতো সাংবাদিকরা। যাদের কলাম সরকারের নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা রাখত। পাকিস্তান টাইমসে প্রকাশিত আমার অর্থনীতি-বিষয়ক কলামগুলোর সঙ্কলন হিসেবে ‘ইসলামিক ইকনমিকস : থিওরি অ্যান্ড প্র্যাকটিস’ নামক বইটি প্রকাশিত হয়। এই বইটি আমার ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি), কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটিতে যোগদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইসলামিক অর্থনীতির জগতে আমার যে সামান্য পরিচিতি তারও সূচনা ওই বই থেকেই। আসলে আমি বলতে চাচ্ছি, পত্রিকার পাতার লেখনী কিভাবে একজন মানুষের মন ও মননকে বদলে দিতে পারে তার উদাহরণ এটি।
লেখার এই অভ্যাস আমার পরবর্তী জীবনেও বজায় ছিল। আমেরিকায় পিএইচডি করার পরও আমি ভাবিনি যে, ইসলামিক অর্থনীতিই হবে আমার ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র। আমেরিকা থেকে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে পাপুয়া নিউগিনি চলে যাই ১৯৭০ সালের প্রথমার্ধে। সেখানে পশ্চিমা ধারণার গতানুগতিক ও সমকালীন অর্থনীতিই ছাত্রদের পড়িয়েছি। সেখানে গিয়েও ফের পত্রিকায় কলাম লেখা শুরু করি। সেখানে পোস্ট-কুরিয়ার (Post-Courier) নামে একটি পত্রিকা ছিল। তাতে লিখতাম। সেখানকার অর্থনীতি, সমাজ ও সভ্যতা নিয়ে লিখেছি। আমি ওদের পক্ষেই লিখতাম। ওই অঞ্চলে দুই জাতির লোক ছিল- পলিনেশিয়ান ও মেলিনেশিয়ান। পলিনেশিয়ানদের গাত্রবর্ণ কালো, আর মেলিনেশিয়ানদের সাদা। সেখানে আমার বক্তব্য ছিল, একটি সুন্দর দ্বীপকে হোয়াইটরা নষ্ট করছে। কলাম লেখার কারণে আমাকে দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী মাইকেল সুমারের সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা করা হয়। পরে পাপুয়া নিউগিনির এডুকেশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এই লেখালেখি বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে আমার পরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছিল। একবার আইডিবির মিশনে সৌদি আরব থেকে সম্ভবত আফ্রিকার বেনিন যাচ্ছিলাম। প্লেনে আমার পাশে দেখি এক লোক বসেছেন, হোয়াইট। তিনি আমাদের কথাবার্তা শুনছিলেন। হঠাৎ তিনি জিজ্ঞেস করলেন ‘আর ইউ ড. মান্নান’। আমি জিজ্ঞেস করি, আপনি কোথা থেকে এসেছেন। বললেন, তিনি রাশিয়ান মুসলিম। তিনি একটি ইসলামিক ব্যাংক স্থাপন করতে চান বলে জানালেন। শুনে আমি তো অবাক। এরপর আমাদের সম্পর্ক এতটাই গভীর হয় যে, আমি তাকে সোস্যাল ইসলামিক ব্যাংকের শেয়ার কিনতে রাজি করিয়েছিলাম। তিনি এক লাখ ডলারের শেয়ার কিনেছিলেন। তিনি ঢাকায়ও আসেন। পরে অবশ্য সব শেয়ার বিক্রি করে মুনাফাসহ টাকা নিয়ে চলে যান।
সত্যি বলতে কি, এই লেখালেখির অভ্যাসের কারণেই আজো কথিত অবসর জীবনের দেখা পাইনি। কিন্তু আজকে যখন পত্রিকার পাতায় নানা প্রশ্নবিদ্ধ লেখনী দেখি তখন অন্তরে বেদনা অনুভব করি। দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই বস্তুনিষ্ঠ লেখা ও সাংবাদিকতার প্রয়োজন ছিল। যা আমাদের জাতিকে দিক-নির্দেশনা দিতে পারত। জ্ঞানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারত। আজকের অনেক লেখায় বস্তুনিষ্ঠতার বদলে দেখি চাটুকারিতা। অথচ এ জন্য আমাদের অনেক বড় খেসারত দিতে হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। চাটুকাররা দেশের নেতাদের সত্যিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে দেয় না, বিভ্রান্ত করে। আমাদের দেশে সত্যিকারের সাহসি সাংবাদিক আছে কি না তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।
তবে এখনো লিখে যেতে পারছি বলে আমি গর্বিত। আমার লেখনী কোনো এক মুহূর্তে যদি কারো মনের বাঁক বদলে দেয়, মানবতার সামান্যতম কল্যাণ হয়, সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হয়, সে জন্যই লিখছি। এই চেতনা নিয়ে কর্মজীবনের শুরু করেছিলাম। এই চেতনাই অমৃত্যু লালন করে যাব।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা