জনস্বাস্থ্য ও রাষ্ট্রের দায়
- সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৫৬
গণমানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালনে সফল ও হতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় উদাসীনতার কারণেই নাগরিকরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকারবঞ্চিত থাকছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে বিষয়টি একেবারে প্রান্তিকতায় এসে পৌঁছেছে। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা ও বাসস্থানের মতো সুচিকিৎসাও মানুষের মৌলিক অধিকার। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১)-এ চিকিৎসাসেবা ও জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র গণমানুষের জন্য সুচিকিৎসার নিশ্চিয়তা দিতে পারেনি বরং চিকিৎসা নামক এই মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। করোনাকালে তা আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
দেশের স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি নতুন কিছু নয়। এমনকি স্বাস্থ্যসেবার নামে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বেশ জোরালো। রয়েছে বড় ধরনের দুর্নীতি ও গণলুটপাটের অভিযোগও যা দেশের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি এক তদন্তে অনেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও কিছু অসাধু চক্র যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করেই বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যালয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে দুর্নীতির শক্তিশালী বলয় গড়ে ওঠেছে। এই চক্রের মাধ্যমেই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে ‘সিন্ডিকেট’ গঠন করে স্বাস্থ্য খাতে জনসাধারণের জন্য বরাদ্দ সরকারি অর্থের বড় একটি অংশ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।
ফলে সাধারণ মানুষ কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বরাবরই। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, ওষুধ সরবরাহসহ ১১টি খাতে দুর্নীতি সব সীমা অতিক্রম করেছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সংসদেও প্রশ্ন উঠেছে বারবার। প্রধানমন্ত্রী বরাবরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা করলেও ‘বিভীষণ’দের কারণেই তার সেই ঘোষণা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। ফলে দেশের স্বাস্থ্য খাতে ‘পুকুরচুরি’ ও অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি।
করোনাভাইরাসের কারণে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাইরাসে দেশে এ পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা চার হাজার অতিক্রম করেছে। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতেও পড়েছে বিরাট বিরূপ প্রভাব। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে মানুষ যখন এমনকি, নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তখন বিবেকবিবর্জিত এক শ্রেণীর মানুষ আখের গোছানোর বড় সুযোগ হিসেবে এই সময়কেই বেছে নিয়েছে। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, এসব সুবিধাবাদী নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। স্বাস্থ্য খাতের এমন মারাত্মক অনিয়ম রোধ করার দায়িত্ব যাদের, তাদের বিরুদ্ধেই অনিয়মে জড়িত থাকার অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দেশের জনস্বাস্থ্যই এখন হুমকির মুখোমুখি।
করোনা পরীক্ষার কিট আমদানি ও সরবরাহ নিয়ে বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে এবং এখনো ঘটছে। আরটি-পিসিআর প্রযুক্তির পরীক্ষায় ব্যবহৃত প্রতি সেট কিটের বেসরকারি বাজারমূল্য এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা, সেখানে এতদিন তা সরকারিভাবে কেনা হয়েছে দুই হাজার ৭০০ টাকা দরে। ফলে প্রতি সেটে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে ১০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এই দামে প্রায় ১৫ লাখ কিট স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সরবরাহও করেছে বলে জানা গেছে। এক হাজার ১০০ টাকা অতিরিক্ত ধরলেও এর জন্য সরকারকে ব্যয় করতে হয়েছে অতিরিক্ত ১৬৫ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, বিষয়টি গোচরীভূত হওয়ার পর প্রতি সেট কিটের দাম ৫০০ টাকা কমিয়ে দুই হাজার ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থা নেয়ার পর অনেক সরবরাহকারী কিট সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এর সাময়িক সঙ্কটও দেখা দিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ পরীক্ষার অনুমতি দেয়া নিয়েও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। জানা গেছে, এমন অনেক হাসপাতাল বা ক্লিনিককে এ জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে, যাদের করোনাভাইরাসের আরটি-পিসিআর পরীক্ষার যন্ত্রপাতি ও সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য দক্ষ জনবল নেই। ফলে অনুমতিপ্রাপ্ত অনেক প্রতিষ্ঠান ‘করোনামুক্ত’ থাকার ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আর এই অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়ার ঘটনা এখন পুরনো খবর। এর আগেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল।
সঙ্গত কারণেই দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নামতে হয়েছে। কমিশন এ খাতে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪টি প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করেছে। জাতির এই চরম দুর্দিনে যারা জনস্বাস্থ্য নিয়ে দুর্নীতিতে মেতে উঠেছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেয়ার দাবি উঠেছে সর্বমহল থেকেই।
দেশ ও জাতি যখন প্রাণঘাতী করোনার সাথে সর্বাত্মক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখনই স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর একের পর এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এই দুর্নীতি বহির্বিশ্বে আমাদের ভাবমর্যাদা নষ্ট করে দিয়েছে। ভুয়া করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট, লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার অনুমতি এবং সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, যাদের কোনো অনুমতিই নেই, তাদের দিয়ে করোনা টেস্টের নামে ‘বুথ’ তৈরি করে নমুনা সংগ্রহ, এ সবকিছু স্বাস্থ্য খাতের মারাত্মক অনিয়ম, অদক্ষতা আর দুর্নীতির চিত্রকে সামনে নিয়ে এসেছে। রিজেন্ট হাসপাতাল আর জেকেজি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সনদ-কাণ্ড নিয়ে মিডিয়া যখন সোচ্চার, তখন সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে অতি উদ্বেগজনক একটি সংবাদ।
এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য খাতে পাঁচ বছরে সরকারের গচ্চা দুই হাজার কোটি টাকা। চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। ‘গডফাদাররা’ এতই শক্তিশালী যে, এদের অনেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। গুরুতর অভিযোগে সাহেদ, সাবরিনা আর আরিফ গ্রেফতার হলেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে দুদক তৎপরতা দেখালেও যাদের তৎপর হওয়া বেশি দরকার, তাদের উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে; যা স্বাস্থ্য খাতে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য খাতের এই দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনা একেবারে অভিনব নয়। নিকট অতীতে ৩৭ হাজার টাকায় পর্দা, পাঁচ হাজার টাকায় একটি করে বালিশ কেনার কাহিনীও আমাদেরকে শুনতে হয়েছে। কোটি কোটি টাকায় কেনা চিকিৎসা-সরঞ্জাম বছরের পর বছর বাক্সবন্দী থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ধরনের একাধিক ঘটনার সংবাদও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এসব অপকর্মের সাথে যারা জড়িত, তাদের কোনো শাস্তি হয়েছে বলে জানা যায়নি। ফলে এসব অপরাধী এখন প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রতিরোধ্য।
সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ধারাবাহিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদাকে নষ্ট করেছে। ফলে বাংলাদেশীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইতালি, জাপান ও কোরিয়া। তাই এসব দেশে বাংলাদেশীরা যাওয়ার পথ আপাতত রুদ্ধ। কারণ, ওইসব দেশে যেসব বাংলাদেশী অবস্থান করছিলেন, তারা যখন ফিরে যান, তখন তাদের শরীরে করোনা ‘পজিটিভ’ ধরা পড়েছিল। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত, ইতালির নাগরিকরা ‘নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট নিয়ে রোম বিমানবন্দরে অবতরণ করলে তাদের শরীরে করোনা ‘পজিটিভ’ ধরা পড়ে।
ফলে তাদের আর ইতালি প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। ইতালি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আসা সব ফ্লাইটে বন্ধ করে দিয়েছে। তুরস্কও ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এমনকি সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশও বাংলাদেশীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। চীনের চায়না সাউদার্নও ঢাকায় ফ্লাইট চালাচ্ছে না। বাংলাদেশী যাত্রীদের ভুয়া করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ এর একমাত্র কারণ। তাদের অনেকেই করোনা ‘পজিটিভ’ ছিলেন কিন্তু তারা ভুয়া করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ সংগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
র্যাব সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানে প্রমাণ পাওয়া গেছে, হাসপাতালটি কোনো পরীক্ষা না করেই টাকার বিনিময়ে করোনা ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট দিয়েছে। এভাবেই অনুমোদন ও নবায়নহীন হাসপাতালটি প্রায় কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ইতালিতে ঢুকতে না দেয়া বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ইতালিয়ান নাগরিকদের অনেকেই ওই হাসপাতাল থেকে ভুয়া রিপোর্ট সংগ্রহ করেছিলেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি শুধু বহির্বিশ্বে আমাদের ইমেজ সঙ্কটে ফেলেনি, বৈদেশিক শ্রমবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাবও ফেলেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমাদের শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার ওপর করোনার ভুয়া সনদ নতুন সঙ্কটের জন্ম দিয়েছে। কারণ, আমাদের দেশ থেকে লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ বিদেশে যান, কাজ করেন এবং বিদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে অনেকে বিদেশে বসবাস করছেন। ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক লাখ বাংলাদেশী রয়েছেন। এমতাবস্থায় প্রবাসীরা নানা জটিলতায় জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশনের কড়া নজরদারিতে এখন বাংলাদেশীরা। তারা বাংলাদেশের কোনো রিপোর্টকেই গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছেন না।
করোনার ভুয়া রিপোর্টের খবর যখন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, তখন আরেকটি সংবাদ বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। খবরে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ‘নোট ভারবাল’-এ বহুলালোচিত ও সমালোচিত রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য বিদেশী কূটনীতিকদের জন্য ‘ডেজিগনেটেড’ বা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল (মানবজমিন, ১৪ জুলাই)। অথচ সেই হাসপাতালে আইসিইউ ও অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা মানসম্মত ছিল না। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই হাসপাতালে বিদেশী কূটনীতিকদের চিকিৎসার কথা বলে আমাদের পুরো চিকিৎসাব্যবস্থার দৈন্যকেই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বহীনতা, কর্মকর্তাদের অদক্ষতা ও দুর্নীতি, মন্ত্রীর অসচেতনতা বহির্বিশ্বে এ জন্য সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি ও অনিয়ম নতুন নয়। কিন্তু করোনা-সঙ্কট আমাদের নতুন বার্তা দিয়েছে। জাতির এই ক্রান্তিকালে যারা জনগণের স্বাস্থ্যসেবার নামে বিত্ত-বৈভব বৃদ্ধির জন্য জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীনতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর রাষ্ট্র এ দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
smmjoy@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা