ভাবিয়া করিও কাজ...
- মীযানুল করীম
- ২৯ আগস্ট ২০২০, ১৮:১৭
সরকার ৩১ আগস্টের পর থেকে গণপরিবহনের ভাড়া স্বাভাবিক পর্যায়ে, অর্থাৎ আগের পরিমাণে ফিরিয়ে আনার জন্য বলেছে পরিবহন মালিকদের। সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সাথে বিআরটিএর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ কথা বলা হয়েছে। পরিবহন মালিকরা অনেকটা শর্ত দেয়ার ভঙ্গিতে বলেছেন, যদি গাড়ির সব আসনে আগের মতো যাত্রীদের বসানোর অনুমতি কর্তৃপক্ষ দেয়, তা হলে ভাড়া সে পর্যায়ে নামিয়ে আনার ব্যাপারে কোনো আপত্তি থাকবে না। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএ বলেছে, সরকার এ-সংক্রান্ত আদেশ দিলে তা সাথে সাথে কার্যকর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সচিব জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রথমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপিত হবে। সেখানে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ দিকে প্রশাসন বলেছে, গণপরিবহনের ভাড়া কমিয়ে স্বাভাবিক মাত্রায় নেয়ার সময়ে যেন যানবাহনে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী তোলা না হয়। কিন্তু এরই মধ্যে খোদ রাজধানীতেই এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের যে দায়িত্বহীনতা ও গাফলতি পরিলক্ষিত হয়েছে, তাতে এই করোনাকালে সারা দেশের যাত্রীসাধারণ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যানবানে ঠাসাঠাসি করে যাত্রী তোলা হলে এবং স্বাস্থ্যবিধিকে উপেক্ষা করলে করোনা মহামারীর ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ জন্য আগে পর্যাপ্তসংখ্যক যান রাস্তায় থাকতে হবে। বিশেষত মহামারী প্রতিরোধে সবাই যথেষ্ট সচেতন এবং আইন ও বিধিবিধানের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। দেশে গত পাঁচ মাসেও করোনা জীবাণুর তাণ্ডব কমেনি। এ ব্যাপারে মানুষের অসচেতনতা বেড়ে গেছে। অন্য দিকে মহামারী কেড়ে নিয়েছে অনেক বিশিষ্টজনকেও। এখনো আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিন অনেকেই
অসহায়ভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন করোনা সংক্রমণে।
‘মিষ্টি কথায় চিঁড়া ভেজে না/সোজা আঙুলে ঘি ওঠে না’। এসব কিন্তু নিছক কথার কথা নয়। বহু বছরের অভিজ্ঞতাপ্রসূত এ ধরনের প্রবাদগুলোর সত্যতা অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে এবং বর্তমানেও হচ্ছে। ‘নোভেল কোভিড-১৯’ নামের ভয়াবহ করোনাভাইরাস সৃষ্ট মহামারীর প্রেক্ষাপটে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও প্রবাদ দু’টি শতভাগ সঠিক বলে প্রমাণ মিলছে। প্রশাসনের তত্ত্বতালাশ কিংবা কর্তৃপক্ষের মনিটরিং না থাকায় গণপরিবহনে চলছে যথেচ্ছাচার। ফলে সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক পরা কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার দিকে কারো খেয়াল নেই। পরিবহন
শ্রমিকরা অনেকে এখন নিয়ম মানছেনই না, এমনকি যাত্রীদের অনেকের মাঝেও অসচেতনতা ব্যাপক। এভাবে জুন-জুলাই-আগস্ট পার হতে থাকলেও এখনো সরকার বেখবর। এমনকি রাজধানী ঢাকায়ও কোথাও এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি নজরে পড়েনি; খবরদারি দূরের কথা। এ অবস্থায় শেরপুরে মাস্ক না পরায় কয়েকজনকে শাস্তি দেয়ার সংবাদ প্রশংসনীয় হলেও অর্থহীন। এ দিকে বিভিন্ন রুটে অবাধে চলছে ‘ডাবল যাত্রী ও ডাবল ভাড়া’র নৈরাজ্য। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি ভাড়া দিলেও গন্তব্যে পৌঁছাতে লেগে যায় বেশি সময়। শুরুতে ছিল ভিন্ন চিত্র, মাস্ক তো বটেই; গ্লাভস না পরে অনেক পরিবহনে ওঠা যায়নি। গাড়িতে ওঠার আগেই প্রত্যেক যাত্রীর হাত ধুয়ে দেয়া হতো জীবাণুনাশক বা স্যানিটাইজার দিয়ে। যাত্রীর দেহের তাপমাত্রাও পরিমাপক করা হতো। দিন যতই গেছে, ততই ঢিলেমি বেড়েছে।
গণপরিবহনে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কড়াকড়ি সময়ের সাথে কমলেও বাড়তি ৬০ শতাংশ ভাড়া কমেনি। সুযোগ পেলেই বেশি যাত্রী তোলা আর বেশি ভাড়া নেয়ায় নিরীহ জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়েছে। অথচ অতিসংক্রামক করোনাবিপর্যয়ের এই বিষয়ে দুঃসময়ে স্বাস্থ্যবিধির সব শর্ত বাস্তবায়ন করা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কর্তব্য। আর এটি সব যাত্রীর অবিচ্ছেদ্য অধিকারও বটে। আয়-রোজগার হারিয়েও ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে বা দোকানে যেতে হচ্ছে মানুষকে। কারণ পেশাগত কাজ না করলে বাঁচবেন কী করে? এমনিতেই ঢাকায় নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য গণপরিবহন সুকৌশলে বন্ধ করা হয়েছে (ডাইরেক্ট-এর নামে একেবারে ডাইরেক্টলি এটা করা হয়েছে);তদুপরি এখন আকাশছোঁয়া ভাড়া মধ্যবিত্তের জন্যও পরিবহনকে নাগালের বাইরে ঠেলে দিচ্ছে। এর সমাধান ঠাসাঠাসি করে যাত্রী ওঠানো কিংবা বিনা তত্ত্বাবধানের পরিবহন সার্ভিস নয়। সরকার বলছে, সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে গণপরিবহনে সব সিটে যাত্রী নেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
কিন্তু কথা হলো, কর্তৃপক্ষের নিয়মিত মনিটরিং আর আইনি কড়াকড়ি ছাড়া এসব বিধি মেনে চলার নিশ্চয়তা কে দেবেন? যেখানে গণপরিবহনে সাধারণত কোনো নিয়ম মানা হয় না, না মানলে তার প্রতিবাদ করা বিপজ্জনক, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ছাড়াও বেশি ভাড়া, অতিরিক্ত যাত্রী ও অধিক সময় নেয়া হয়, যেখানে টিকিটের টিকিটাও দেখা যায় না দীর্ঘ দিন, যেখানে প্রশাসন এসব অবশ্য পালনীয় নিয়ম-বিধি কার্যকর করতে কোনো পদক্ষেপ নেয় না এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা একই ক্ষমতাসীন মহলেরই লোক, সেখানে সরকার সৎ, সাহসী ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন না হলে কোনো ঘোষণা/নির্দেশে কোনো কাজ হবে না। ‘গরু’ শুধু কেতাবে নয়। গোয়ালেও থাকা চাই ‘দুধ’ পাওয়ার জন্য। ভেবেছিলাম অন্তত রাজধানীতে প্রকাশ্যে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হবে না; সবাই সামাজিক দূরত্ব বহাল রেখে চলবেন। কিন্তু বাস্তবতা উল্টো।
আমরা যে কথার রাজা এবং কাজের বেলায় ঠনঠন- তা আবার প্রমাণিত হচ্ছে করোনাকালে। চীনের ডাক্তার ও গবেষক দল এসেছিল বাংলাদেশে মহামারী মোকাবেলার হালচাল দেখে যেতে। তারা অবাক হয়ে দেখেছেন, এ দেশে লকডাউনেও কড়াকড়ি তেমন নেই। সরকার এ ব্যাপারে ঢিলা; কারণ জনগণ আরো ঢিলা। দেখা গেছে, এ দেশের মানুষ লকআপের সাথে যতটা পরিচিত, লকডাউনে অতটা অভ্যস্ত নয়।
উঠেছিলাম একটা ডাইরেক্ট মিনিবাসে। কার্যত তা কেবল ইনডাইরেক্ট নয়; মনে হচ্ছিল মতিঝিলের মাটি কামড়ে ঘুম দেবে। যা হোক, বসে বসে প্রতীক্ষা করছি কখন ড্রাইভার সাহেবের মর্জি হবে স্টার্ট দেয়ার। এমন সময়ে এক যুবক উঠলেন গাড়িতে। উঠেই মুখের মুখোশ বা মাস্কটা খুলে ফেললেন; আর পারলেন না। আরেক দিন উঠলেন দুই মহিলা। দেখলাম, তারা গা লাগিয়ে পাশাপাশি দুই আসনে বসলেন আগের মতো। আসন খালি থাকলেও এবং বলা সত্ত্বেও একজন উঠে গিয়ে সেখানে
বসলেন না। অথচ ভাড়া দিলেন অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি।
এমন অসচেতনতা নারী, পুরুষ, ছেলেবুড়ো, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবার বেলায় অহরহ দেখা যাচ্ছে। এ সুযোগে গাড়ির লোকেরা বাড়তি টু পাইস অন্যায়ভাবে কামিয়ে নেয়ার মওকা পেয়ে যায়। অতিরিক্ত যাত্রী তোলার বদভ্যাস অনেক আগেই ফিরে এসেছে। জনগণ নিজেদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা, মর্যাদা আর অধিকার সম্পর্কে সচেতন না হলে কেউ জোর করে অন্য কাউকে সজাগ করতে পারবে না। জুন মাসের পয়লা তারিখে গণপরিবহন আবার চালু হওয়ার কয়েক দিন পরের কথা। মতিঝিলে একটা পরিবহনের বাইরের দিকের লেখা- ‘গ্লাভস ছাড়া যাত্রীদের ওঠা নিষেধ’। ভাবলাম, যাক, এত দিনে আমরা বুঝতে পারছি, স্বাস্থ্যবিধি কী। কিন্তু দুই দিন পরে দেখা গেল, আমরা মৃত্যুঝুঁকি নিতেও রাজি, তবু স্বাস্থ্যবিধি মানতে গররাজি। প্রথম থেকে সব গণপরিবহনে ছিল জীবাণুনাশক স্যানিটাইজারের বোতল। যাত্রীদের হাতে-গায়ে এটা স্প্রে করা হতো; চাইলে গাড়ির সিটেও স্প্রে করে দেয়া হতো। কিন্তু পরে এটি চাইলে কন্ডাক্টর বলত, ‘হেলপারের কাছে আছে।’ হেলপারের উক্তি, ‘আগে ছিল। শেষ হয়ে গেছে।’ অতএব, মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতে হয়। বোবার শত্রু নেই।
বর্তমানে ঢাকা শহরেই নেই তদারকি। সুতরাং সুযোগ পেয়ে যারা যথেচ্ছাচার করার, করছেন। এ জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাসে যাত্রীদের ভিড়। দেখে মনে হয় না, দেশে মহামারী আছে। কোনো কোনো রুটে ভাড়া ৬০ শতাংশ নয়, শতভাগ বেশি নেয়া হয়। এর কোনো হেতু নেই, যাত্রীশোষণ ছাড়া। যেখানে রাজধানীতেই বিআরটিএ বেখবর, সেখানে নিজেদের সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ কার্যকর করার ব্যাপারে তারা যে রাজ্যব্যাপী বেহুঁশ, তা কি বলে দিতে হয়? পত্রিকার ছবি ও খবরই এর সাক্ষ্য। আদেশ দিয়ে তার বাস্তবায়ন নিশ্চিত না করে ঘুমালে, গলাকাটা ভাড়া তো নেয়া হবেই অবাধে। হয়তো এ জন্য একটা কথা আছে, ‘হোটেল আর ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাতে লস নেই’। পরিবহন মালিকরা বর্ধিত ভাড়ায় আগ্রহী; অথচ স্বাস্থ্যবিধি মানতে তাদের আগ্রহ দেখা যায় না কেন?শুধু ঢাকায়ই নয়, দেশের দ্বিতীয় প্রধান নগরী, চট্টগ্রাম ও অন্যান্য শহরেও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নেই কোনো বালাই। যাত্রীদের অনেকে নিজ নিজ উদ্যোগে মাস্ক পরলেও গণপরিবহনে
যেতে বাধ্য হচ্ছেন ঠাসাঠাসি করে। সেখানে স্যানিটাইজার পর্যন্ত পাওয়া যায় না; অথচ ভাড়া দিতে হয় বেশি।
গত ১২ আগস্ট দু’টি জাতীয় দৈনিকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আরেক দিন পত্রিকার এক ছবিতে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম ইপিজেডে শিল্পাঞ্চলের কর্মীরা গাদাগাদি করে বাসে যাচ্ছেন বাধ্য হয়ে। প্রচণ্ড ভিড়ের মাঝে সামাজিক দূরত্বের ছিটেফোঁটাও চোখে পড়েনি। ১২ তারিখের প্রথম আলোতে ‘ভাড়া দ্বিগুণ, যাত্রীও দ্বিগুণ’ শীর্ষক খবরে বন্দরনগরীর হাল অবস্থার বেহালদশা প্রসঙ্গে বলা হয় যে, গণপরিবহনে ‘স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না একেবারেই। রাশ টানতে অভিযান
জোরদারের দাবি যাত্রীদের।’ বলা হয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হলেও ভাড়া কমেনি। উল্টো নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। এ নিয়ে প্রতিদিন বাস চালক ও সহকারীদের সাথে যাত্রীদের বচসা লেগে থাকছে। মালিকদের সংগঠনের প্রধান বলেছেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়ার এক টাকাও মালিকরা পাচ্ছেন না। পুরোটাই যাচ্ছে চালক ও সহকারীর পকেটে।’ এ দিকে একজন সাংবাদিক একটি বাসের কর্মচারীকে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে জবাব আসে, ‘পোষালে চড়েন, না পোষালে নামেন।’
কুমিল্লার খবরে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ জানায়, ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া বহাল রয়েছে। তবে পরিবহনে দু’জনের সিটে একজন বসার বিধান মানা হচ্ছে না। জীবাণুনাশক ব্যবহার করছেন না পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। শ্রমিকদের বক্তব্য, ‘মালিকদের নির্দেশে শতভাগ যাত্রী নিতে হচ্ছে।’ এ অবস্থা ঢাকা-কুমিল্লা রুটসহ সব বাস-মিনিবাসেই। লাকসামের এক যাত্রী বলেন, সেখান থেকে দুই সিটের ভাড়া দিয়ে তিনি একাই উঠেছেন বাসে। তবে পথে আরেক যাত্রীকে বসানো হয় পাশেই। অন্য দিকে কুমিল্লার বাস মালিক সমিতি স্বীকার করেছে, কোনো পরিবহনই সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
পাদটীকা : (ক) সম্প্রতি চীনা ডাক্তারদের টিম ঘুরে গেল বাংলাদেশ। উদ্দেশ্য, করোনা পরিস্থিতি এবং এর মোকাবেলার অবস্থা দেখা। তারা অবাক এটা দেখে যে, এ দেশে মানুষ লাকডাউনেও নিজেদের লক করে রাখায় অভ্যস্ত নয়। অবশ্য এটা জাতি হিসেবে আমাদের ‘ঐতিহ্য’। হয়তো এ কারণে সাতশ’ বছর আগেই পর্যটক ইবনে বতুতা এ দেশ ঘুরে বলে গেছেন, বাংলাদেশ হলো ‘নিয়ামতে ভরা জাহান্নাম!’
পাঁড় নাস্তিক এক শ্বেতাঙ্গ বাংলাদেশে এলেন বিমানে। নেমে এক সঙ্গীকে ঠোঁট উল্টিয়ে বললেন, ‘আমি আল্লাহ-খোদায় বিশ্বাস-টিশ্বাস করি না। যত্তসব ননসেন্স।’ শুনে এক বাঙালি বললেন, ‘একটু ঘুরে আসুন দেশটা। তার পর না হয় কথাটা বলবেন।’ সে বিদেশী কয়েক দিন এ দেশ সফর করে ফিরে যাওয়ার সময় সেই সঙ্গীকে বলেছিলেন, ‘এখন আমি পুরো আস্তিক। কারণ যে দেশে কেউ কোনো নিয়মকানুন মানে না, সে দেশ নিশ্চয়ই আল্লাহ নিজেই চালাচ্ছেন। অতএব, তাঁর অস্তিত্ব
সত্য।’
(খ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার একটা বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এতে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক মানুষের ভেতরে একজন বীর বাস করে।’ এটা বলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে যেন সবাই কোভিড মহামারী থেকে বাঁচতে পারে।
এসব বিধি মেনে চলা যতই জরুরি হোক, এগুলোকে নিয়ত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমরা বলছি, আমাদের ভেতরে কোনো বীর পুরুষ নেই। আমরা সবাই একেকটা আস্ত কাপুরুষ।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা