২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের হাতিয়ার ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট

সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণের হাতিয়ার ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট - ছবি : নয়া দিগন্ত

দানের টাকায় দান করার এক অদ্ভুত সংস্কৃতি বাংলাদেশে গড়ে উঠেছে। আমরা এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের সাক্ষাৎ পাই যেগুলো জনগণের কাছে আর্থিক সাহায্যের দরখাস্ত করে। এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে অনেক খ্যাতিমান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিকেও জড়িত থাকতে দেখা যায়। তারা অন্যকে সাহায্য করবে বলে নিজেরাই সাহায্য চান। স্বাভাবিক বিবেচনায় বলে, এ সাহায্যপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর তৎপরতাও বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে তারা কেন এমন কোনো স্থায়ী উৎস অনুসন্ধান করছে না, যেখান থেকে নিরবচ্ছিন্ন আর্থিক সংস্থান হবে ও কারো কাছে হাত পাততেও হবে না। ইতোপূর্বে লেখায় আমি বলেছি যে, করোনা মহামারী আমাদের দেশে অভ্যন্তরীণ প্রতি-অভিবাসন সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ একসময় যে দরিদ্র জনগোষ্ঠী শহরমুখী হয়েছিল; তারা এখন গ্রামমুখী। মহামারীর কারণে শহরে কর্মসংস্থান কমে গেছে। অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক তৈরীপোশাক কারখানা বিদেশী অর্ডার হারিয়েছে। মানুষের আয় কমেছে, ক্রয় ক্ষমতাও কমেছে। কিন্তু এই প্রতি-অভিবাসনের শিকার জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের তো গ্রাম এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করার জন্যই আমি ক্যাশ ওয়াক্ফকে একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছি। ক্যাশ ওয়াক্ফ দরিদ্রদের সুদমুক্ত ঋণ দানের কাজে ব্যবহার করা যায়। ইসলামী স্বেচ্ছাসেবক খাতের এ অংশটি শুধু গরিবদের জন্য নয় ধনীদের জন্যও বিনিয়োগ অর্থায়ন লাভের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যাংকে যদি হাজার হাজার কোটি টাকা ওয়াক্ফ হিসেবে জমা হয় তাহলে কে এই অর্থ কাজে লাগাবে? সেটি তো ধনীরাই। তবে সেই ধনীদের অর্থ তসরুপ না করার ব্যাপারে কমিটমেন্ট থাকা বাঞ্ছনীয়। তাদের সৎ হতে হবে। এই খাত থেকে তাদের বিনিয়োগ ঋণ নেয়া সহজ হবে। কারণ ক্যাশ ওয়াক্ফের কোনো ‘কস্ট অব ফান্ড’ নেই। ফলে ব্যাংক ৪% বা ৬% লাভে ঋণ দিতে পারে। এর সুফল হলো সে দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে।

আমাদের সমাজে অনেক দানশীল আছেন। তারা প্রচুর দান-সাদাকাহ করেন। সে জন্য তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। তাদের সেই দান অনেকটা এলোমেলোভাবে করা হয়। সওয়াব হাসিল ছাড়া আর কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এতে থাকে না। অর্থাৎ দানগ্রহীতাকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্য নিয়ে দান করা হয় না। ফলে ধনীদের এমন এলোমেলো দান সমাজকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারে না। এটা তাদের দোষ নয়। যুগ যুগ ধরে এভাবেই চলে আসছে। ইসলামের এ স্বেচ্ছাসেবক খাতটিকে কাজে লাগিয়ে গরিবের আর্থিক সামর্থ্য বৃদ্ধি তথা সমাজ বদলের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধারণা তাদের কাছে তুলে ধরা হয়নি। ক্যাশ ওয়াক্ফ তাদের দানকে একটি লক্ষ্যে চালিত করতে পারে। কল্যাণের উদ্দেশ্যে তার ওয়াক্ফকৃত অর্থ অনন্তকাল তাকে সওয়াবের ভাগিদার করবে। আবার তিনি তার উত্তরসূরিদের কল্যাণ করার মানসিকতা থেকেও এটা করতে পারেন। এতে পরকালীন মুক্তি ও ইহকালীন শান্তি দুটোই হাসিল হতে পারে। ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট স্কিমের মূল চেতনাও এটাই। এটা উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত। এটা সৃষ্টির পেছনে যেসব উদ্দেশ্য কাজ করছে : ১. সমাজের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে সচ্ছল ও বিত্তশালীদের সচেতন করা; ২. ধনীদের সম্পত্তির মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ সাধন; ৩. সচ্ছল ও বিত্তশালী ব্যক্তিদের জীবিত ও পরলোকগত পিতা-মাতা ও সন্তানাদির স্মৃতি সংরক্ষণ ও পারিবারিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে সামাজিক সঞ্চয় আহরণ; ৪. সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে উৎসাহ বৃদ্ধি করে সামাজিক বিনিয়োগ বাড়ানো ও সামাজিক সঞ্চয়কে মূলধনে রূপান্তর; ৫. সামাজিক পুঁজিবাজার গঠনে সাহায্য করা; এবং ৫. দেশের সার্বিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সহযোগিতা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও শান্তি বৃদ্ধি করা।

ক্যাশ ওয়াক্ফ ধারণাটিকে (এ ব্যাপারে ইতোপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে) প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই মূলত ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট প্রবর্তন। ক্যাশ ওয়াক্ফ স্কিম চালু হয়েছে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। এটা হলো ওয়াক্ফ করা অর্থের জন্য ওয়াক্ফকারী বা ওয়াকিফকে দেয়া স্বীকৃতিপত্র। বিত্তশালীরা তাদের সঞ্চয়ের একটি অংশ দিয়ে এই সার্টিফিকেট কিনে তা থেকে অর্জিত আয় বিভিন্ন ধর্মীয়, শিক্ষা, সামাজিক সেবায় নিয়োগ করতে পারেন। এ অর্জিত আয় ওয়াক্ফ সম্পত্তির আয়ের মতোই ব্যয় হবে। এ সার্টিফিকেট কিনে কোনো বিত্তশালী তার পারিবারিক উত্তরসূরিদের ক্ষমতায়নেও ভূমিকা রাখতে পারেন। প্রধানত চারটি কল্যাণময় বিনিয়োগ উদ্দেশ্য সামনে রেখে কেউ এ সার্টিফিকেট কিনতে পারেন: তার নিজের (ইহকালীন ও পরকালীন), পরিবারের (ইহকালীন ও পরকালীন), সামাজিক, এবং দরদি সমাজ গঠন।

মানুষ মরণশীল। তিনি যতই বিত্তবৈভবের মালিক হোন না কেন, তাকে একদিন অবশ্যই মৃত্যুবরণ করতে হবে। ইসলাম বলে, মানুষের মৃত্যুর পর তার সব কাজের অবসান হবে শুধু সাদাকায়ে জারিয়াহ ছাড়া। ক্যাশ ওয়াক্ফ এ সাদাকায়ে জারিয়া হিসেবে তার পরকালীন কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দ্বিতীয়ত, আপনি নিশ্চই পিতামাকে ভালোবাসেন। তাদের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব পালন করতে চান। তারা জীবিত থাকাকালে তাদের আনন্দ দেয়া ও সুখী করাও আপনার দায়িত্ব। ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট কিনে আপনি তাদের প্রতি এই দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেতে পারেন। অন্য দিকে, আপনি নিশ্চই আপনার সন্তানাদি বা অন্য কারো ভরণপোষণ বা ভবিষ্যৎ যেমন লেখাপড়া, বিয়ে, ইত্যাদি নিয়ে ভাবেন। এই ভাবনা থেকেও আপনি ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট কিনতে পারেন। এ থেকে যে লভ্যাংশ আসবে তা দিয়ে আপনার উদ্দেশ্যগুলো সহজেই পূরণ হতে পারে। এতে করে উত্তরাধিকারের হাতে সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ফলে আপনার বংশধরের ক্ষমতায়ন হবে।

অনেক বিত্তশালী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি সমাজের কল্যাণ করতে চান। ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট তাদের জন্যও বিরাট সুযোগ। তার ওয়াক্ফ করা অর্থের লভ্যাংশ দিয়ে ধর্মীয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন/পরিচালনা করা যেতে পারে। নিজের বা পরিবারের নামে স্থাপিত এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য তিনি ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট কিনতে পারেন। এই লভ্যাংশ থেকেই প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করা যেতে পারে। পিতা-মাতা বা কোনো পূর্বসূরির স্মৃতি রক্ষার্থে ও সমাজসেবামূলক যেকোনো কাজে এ লভ্যাংশ থেকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। গরিব জনসাধারণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে দাতব্য চিকিৎসালয় পরিচালনা করা যেতে পারে। আপনি হয়তো আপনার কোনো স্বজনের নামে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল করেছেন। সেই হাসপাতাল পরিচালিত হতে পারে ক্যাশ ওয়াক্ফের লভ্যাংশ দিয়ে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চেয়ার প্রতিষ্ঠার রেওয়াজ বহু পুরনো। ক্যাশ ওয়াক্ফ দিয়ে এমন চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। আপনি মেধা বৃত্তি চালু করতে চান। কিন্তু প্রতি বছর থোক অর্থ দিয়ে এ ধরনের উদ্যোগ বেশি দিন অব্যাহত রাখা সম্ভব নাও হতে পারে। আপনি যদি পর্যাপ্ত অর্থ ওয়াক্ফ করে যান তাহলে তার লভ্যাংশ থেকে যুগ যুগ ধরে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। এতে আপনার ও সমাজের উপকার বেশি হবে। যৌতুকবিহীন বিয়ে উৎসাহিত করতেও একে কাজে লাগাতে পারেন। আসলে প্রক্রিয়াটি একবার চালু হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকবে।

আগেই বলেছি, চলমান মহামারীর কারণে আমাদের শহরমুখী অভ্যন্তরীণ অভিবাসন গ্রামমুখী হয়েছে। আমাদের দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী দীর্ঘ দিন ধরে সুদভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণের জাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। এমনো দেখা গেছে, নানা প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র ঋণদাতারা দরিদ্রদের কাছ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ আদায় করছে। সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই করোনাকালেও সুদি ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর হয়রানি থেকে গরিবরা মুক্তি পাচ্ছে না। অথচ ক্যাশ ওয়াক্ফ অনায়াসে গরিবদের এ হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে পারে। এর লভ্যাংশ বিনা সুদে ঋণ বিতরণের কাজে লাগানো যেতে পারে। ওয়াক্ফের অর্থ তো মুনাফা করার জন্য নয়, উপকারের জন্য। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রচলিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব নয়। কারণ তাদের প্রতিটি বিনিয়োগের পেছনে ‘কস্ট অব ফান্ড’ তাকে। যেটা ওয়াক্ফ করা অর্থের থাকে না।

ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট শুধু গরিবদেরই কল্যাণ করবে না পরোক্ষভাবে ধনীদেরও কল্যাণ করবে। গরিবের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে, তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হলে বিত্তশালীরা এক ধরনের সামাজিক শান্তি অনুভব করবেন। এতে গরিব ও ধনীকদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধনও তৈরি হয়ে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য কমে আসবে।

আমাদের দেশে অনেক ধনী ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের অনেকে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধনী হয়েছেন। এদের আরো বিনিয়োগের সুযোগ করে দিতে পারে ক্যাশ ওয়াক্ফ। আগেই বলা হয়েছে, ক্যাশ ওয়াক্ফ তাদের জন্য সহজে বিনিয়োগ ঋণপ্রাপ্তির সুবিধা সৃষ্টি করতে পারে। এর কোনো ‘কস্ট অব ফান্ড’ না থাকায় মাত্র ৪% বা ৬% লাভে এই খাত থেকে ব্যাংক ঋণ দিতে পারে। এতে অর্থনীতি যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনি দেশ হবে বেকারত্বমুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত। এক দিকে দরিদ্রকে সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে তার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য, অন্য দিকে ধনীকে স্বল্পসুদে বিনিয়োগ ঋণ দেয়া হচ্ছে। এভাবে দরিদ্রতার ওপর সর্বমুখী আঘাত হেনে দেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেয়া যায়।

আসলে ক্যাশ ওয়াক্ফ সার্টিফিকেট কিনে আপনি স্থায়ীভাবে সামাজিক বিনিয়োগ করছেন। যেকোনো মুসলিম এ সার্টিফিকেট কিনতে পারবেন। কেউ চাইলে একাধিক সার্টিফিকেটও কিনতে পারেন। কোনো ব্যাংকের নির্ধারিত খাতেই যে ওয়াকিফকে বিনিয়োগ করতে হবে তেমন কোনো কথা নেই। তিনি শরিয়াহসম্মত যেকোনো এক বা একাধিক খাত নির্ধারণ করে সেখানে অর্থ বিনিয়োগের নির্দেশ দিতে পারেন। তার নির্দেশ মতো ব্যাংক ক্যাশ ওয়াক্ফ পরিচালনা করবে। এতে ওয়াকিফের অর্থ সঠিক লক্ষ্যে ব্যয় হওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে। এ অর্থ যেহেতু স্থায়ীভাবে ব্যাংকে জমা থাকবে ফলে ব্যাংকও বিনিয়োগে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে। বাংলাদেশে ক্যাশ ওয়াক্ফ ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিপূরক হিসেবে কাজ করত পারে। এটা একসময় ওয়াক্ফ ব্যাংকেরও জন্ম দিতে পারে। এ দেশে ওয়াক্ফ সম্পত্তির উন্নয়নে তহবিল সংগ্রহের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এ ক্যাশ ওয়াক্ফ।

তবে ক্যাশ ওয়াক্ফকে ক্ষুদ্রঋণ তথা দারিদ্র্য বিমোচনের আন্দোলনে পরিণত করতে রাষ্ট্রীয় সমর্থন একটি বড় বিষয়। ইতোপূর্বে আমি বিষয়টি উল্লেখ করেছি। ওআইসির সাবেক মহাসচিব হামিদ আলগাবিদের উপস্থিতিতে কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ক্যাশ ওয়াক্ফ নিয়ে কথা বলার সুযোগ আমার হয়েছিল। তখন প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অত্যন্ত উৎসাহী দেখেছিলাম। পরে আলগাবিদ চিঠি পাঠিয়ে তাকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রয়েছে। এর জবাব দেয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। হয়তো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ব্যস্ততায় বিষয়টির প্রতি তিনি নজর দিতে পারেননি। আবার কখনো কখনো আমলাতান্ত্রিকতাও এ রকম বিকল্প চিন্তাধারার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সে যাই হোক, করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে আমি চাইব জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী যেন এ বিষয়ে সুদৃষ্টি দেন।

লেখক : ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ; অর্থনীতির সাবেক অধ্যাপক, কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়, জেদ্দা।


আরো সংবাদ



premium cement