দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ও জনস্বাস্থ্য
- সৈয়দ মাসুদ মোস্তফা
- ১৮ জুলাই ২০২০, ০৬:২৬
দেশটা এখন দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের এমন কোনো সেক্টর নেই যেখানে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, লুটপাট ও দুর্নীতি থাবা বিস্তার করেনি। এই অশুভ প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকেনি দেশের স্বাস্থ্য খাতও। সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ভোজন বিলাসের রেশ না কাটতেই করোনা পরীক্ষায় বড় ধরনের জালিয়াতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে পরীক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রিজেন্ট নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর ফলে বহির্বিশ্বেও আমাদের স্বাস্থ্য খাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে অজানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
ঘটনার ধারাবাহিকতায় প্রমাণ হয় যে, আমাদের সব কিছুই এখন নষ্টের দখলে চলে গেছে বা যাচ্ছে। যে যেভাবে পারছে সেভাবে হাতিয়ে নেয়ার একটা অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পে কেনাকাটায় রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাট নিয়ে ভয়াবহ সব খবর জানা যাচ্ছে। প্রকল্পের জন্য ক্রয় করা পণ্যের মূল্যের সাথে প্রকৃত মূল্যের কোনো সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবেই লুটপাটের রাজত্ব চলছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবনায় প্রতিটি লিফটের দাম প্রায় ২ কোটি টাকা, এসির দাম ৫২ লাখ টাকা, সিকিউরিটি ও গেট লাইট প্রতিটি সাড়ে ১২ লাখ টাকা ও সভাকক্ষের টেবিল ১২ লাখ টাকা দাম প্রস্তাব করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ ধরনের অবাস্তব ‘মূল্য প্রস্তাব’ অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। এর আগে রূপপুর প্রকল্পে এমন আজগুবি দামে পণ্য কেনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের মহড়াও জাতিকে হজম করতে হয়েছে। এসব অপরাধীকে কখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি বলেই এসব অপতৎপরতা লাগামহীনভাবে বাড়তে বাড়তে এখন প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
সরকারি সূত্র মতে, দেশের সাতটি জেলায় প্রতিটিতে ১টি করে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে আগামী তিন বছরের মধ্যে। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। জানা গেছে, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের আওতায় দেশের ৫৩টি জেলায় প্রতিটিতে আবাসিক যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টির বহুতল একাডেমি কাম অফিস ভবন, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। কিন্তু নতুন এই প্রকল্প এলাকার সাতটি কেন্দ্রে আধা পাকা অবকাঠামো রয়েছে, যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষে দাবি করা হয়েছে। ফলে অবকাঠামোগুলোতে বড় ধরনের সংস্কারের প্রস্তাবনা এসেছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।
এসব কেন্দ্রের জন্য ২১টি প্যাসেঞ্জার লিফট কেনার জন্য প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিডি স্টারের ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, যেখানে তুরস্কের সাড়ে আট শ’ কেজির ১০ জন প্যাসেঞ্জারের এলিভেটর লিফটের দাম সাড়ে ২৪ লাখ টাকা, সাড়ে চার শ’ কেজির দাম সাড়ে ২২ লাখ টাকা, এক হাজার কেজির কেবিন ডোর লিফটের দাম সাড়ে ২৫ লাখ টাকা, ফুজিএক্সডি এফসিজেও মডেলের এক হাজার কেজির দাম ১৪ লাখ টাকা। চীনের তৈরি জয়লাইভ এক হাজার কেজির আবাসিক ভবনের লিফটের দাম সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ডলার বা ১২ লাখ টাকা। চীনের সিক্সার এলিভেটর জিআরপিএস-২০ মডেলের সর্বোচ্চ দাম ৩০ হাজার ডলার বা সাড়ে ২৫ লাখ টাকা।
এখানে সাতটি কেন্দ্রের জন্য ২১টি প্যাসেঞ্জার লিফট কেনার জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অন্য দিকে এই প্রকল্পে বিভিন্ন কেন্দ্রের জন্য প্রতিটি ৫২ লাখ টাকা দরে ৫০ টন এসি কেনা হবে। সিকিউরিটি ও গেট লাইট প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে ১২ লাখ টাকা। পিএবিএক্স সিস্টেমের প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা, লাইটনিং এরেস্টার বা আর্থিং প্রতিটি সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, প্রতিটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক খরচ ১০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে; যা কোনোভাবেই বাস্তবসম্মত মনে করছেন না কেউই। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরা ৩০ হাজার টাকা, আইপিএস ৬০ হাজার টাকা, ইনকিউবেটর ৮০ হাজার টাকা, খাঁচা ৪০ হাজার টাকা, ফুল সাচিবিক টেবিল প্রতিটি ৮০ হাজার টাকা, হাফ সাচিবিক টেবিল প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা, রিভলভিং চেয়ার প্রতিটি ২০ হাজার টাকা, হাতলসহ কুশন চেয়ার ১২ হাজার টাকা, ঘাসকাটার মেশিন ৩০ হাজার টাকা মূল্য ধরা হয়ছে। এ ছাড়া একটি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণেই খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ টাকা। আর নির্মিত ভবন উদ্বোধনে ব্যয় হবে ২১ লাখ টাকা।
সম্প্রতি একটি প্রকল্পের আওতায় ১১টি জেলায় যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস খালি পড়ে আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে ২-৩ ঘণ্টার ট্রেনিংয়ের জন্য প্রশিক্ষণার্থীরা ছাত্রাবাসে থাকতে আগ্রহী না। তাই প্রকল্প থেকে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাস বাদ দেয়ার প্রস্তাব আসার পরও বিশেষ শ্রেণীকে আনুকূল্য দেয়ার জন্য এসব প্রকল্প পুরোপুরি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে; যা রাষ্ট্রীয় তহবিল তসরুপের কৌশল বৈ কিছু নয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পে পণ্যের প্রস্তাবিত মূল্য বাজারমূল্যের সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রকল্পের প্রতিবেদনে কোনো সুপারিশমালাও রাখা হয়নি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি কেন্দ্রে একাডেমি কাম অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে প্রকল্পের সাতটি কেন্দ্রেই একাডেমি কাম অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের সব ক্রয়পদ্ধতি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে হওয়ার বাধ্যবাধ্যকতা থাকলেও এখানে তা অনুসরণ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগও উঠেছে। এসব ব্যয় প্রস্তাব অসৎপ্রবণ লোকদের দ্বারা করা হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। আর এভাবেই চলে আসছে সরকারি প্রকল্পগুলোর কেনাকাটা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা লিফটের দাম কোনোভাবেই প্রায় ২ কোটি টাকা হওয়ার সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা হতে পারে। আর এসির দাম ৫২ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু প্রস্তাবিত এসব প্রকল্পে সাগরচুরি আয়োজন শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। জাতি হিসেবে আমাদের যতটুকু অর্জন তার সবই ম্লান করে দিচ্ছে এই সর্বনাশা দুর্নীতি ও লাগামহীন স্বেচ্ছাচারিতা। আমাদের দেশ ২০০৫ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় বিশে^র সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল; যা বহির্বিশে^ আমাদের সম্মানহানি ঘটিয়েছে। কিন্তু যাদের কারণে আমরা এই গর্হিত খেতাব পেয়েছিলাম, তারা কিন্তু সব সময়ই অধরাই থেকে গেছে। মূলত ভোগবাদী মানসিকতা, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চাভিলাষ এবং ক্ষেত্রবিশেষে অভাব দুর্নীতির পেছনে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ভোগবাদী মানসিকতা ও আত্মপূজায় এ জন্য প্রধানত দায়ী।
দেশে যখনই ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে তখনই আমরা রাজনীতিকদের মুখে নতুন নতুন আশার বাণীই শুনেছি। এমনকি মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও আমাদেরকে অনেক স্বপ্ন দেখানো হলেও আমরা শুধু ভৌগোলিক স্বাধীনতায় পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার স্বপ্নগুলো অনেক ক্ষেত্রেই এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। অবাধ গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ, সমাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন আজো আমাদের কাছে অধরা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ‘৭৫ এর পটপরিবর্তন, ‘৮২-তে এরশাদের ক্ষমতা দখল, ‘৯০ এর গণ-অভ্যুত্থান ও ২০০৬ সালের এক-এগারোর মাধ্যমে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলা হলেও আমাদের ভাগ্যে তেমন কিছুই জোটেনি। যখন যারাই ক্ষমতার দৃশ্যপটে এসেছে, তখন তারাই মানুষকে স্বপ্নচারী বানিয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে বারবার আশাহতই হতে হয়েছে। মাঝে মধ্যে সুড়ঙ্গের প্রান্তদেশে একটুখানি আলোর ঝলকানি দেখা গেলেও তা কখনোই বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি।
দুর্নীতি, অনিয়ম, প্রতারণা ও চৌর্যবৃত্তি যে রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে, তা সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের কেলেঙ্কারি থেকে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, কথিত এই হাসপাতাল এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে এবং ২০১৪ সালে লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর আর নবায়ন না করেই তারা হাসপাতালের কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছে। আমাদের দেশে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে নমুনা পরীক্ষা, চিকিৎসা ও সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও বিতরণ নিয়ে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
টিআইবি অভিযোগ করেছে, হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে অনিয়ম থেকে শুরু করে এন-৯৫ মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। র্যাব সূত্র জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ দিনের পর দিন অনিয়ম চালিয়ে গেছেন। এমনকি মার্চের ২১ তারিখে যখন এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতর কোভিড-১৯ রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার জন্য চুক্তি করলেও তখন হাসপাতালটির বৈধ লাইসেন্স, জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়ার সক্ষমতা কিংবা পূর্ববর্তী রেকর্ড কোনো কিছুই পর্যালোচনা করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মহামারী শুরুর পর থেকে স্বাস্থ্য খাত ব্যবস্থাপনায় সরকারের দুর্বল নজরদারির কারণে এ ধরনের অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর আগে পরীক্ষা না করেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেয়ার অভিযোগ ওঠে জেকেজি নামক আরেকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে সরকারি মনিটরিংয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতি করা হয়েছে। এমন অভিযোগও উঠেছে, সরকার সংশ্লিষ্টদের আনুকূল্য নিয়েই নির্বিঘেœ এসব অপরাধ তৎপরতা চালিয়ে এসছে দীর্ঘ দিন ধরেই। ফলে তারা কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করার প্রয়োজন বোধ করেনি। সঙ্গতকারণেই আমাদের জনস্বাস্থ্য এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
মূলত সুশাসন ও আইনের যথাযথ প্রয়োগের আমাদের দেশে ও স্বেচ্ছাচারিতা সব সীমা অতিক্রম করেছে। পরিস্থিতির অবনতি হতে হতে এখন দেশের স্বাস্থ্য খাতকে অক্টোপাসের মতো চেপে ধরেছে। এ অবস্থায় এসব অর্বাচীনের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে মহামারী মোকাবেলায় সরকারের সক্ষমতা জনমনে নতুন করে প্রশ্নের সৃষ্টি হবে।
এ অবস্থায় অবিলম্বে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবার আগে জনস্বাস্থ্যকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করার স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে; অন্যথায় জাতি হিসেবে আমাদের গন্তব্যই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
smmjoy@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা