২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রতিবেশী বন্ধুর সততা চাই

প্রতিবেশী বন্ধুর সততা চাই - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরভানে সামরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার লাদাখ যাবেন বলে খবরে জানা যাচ্ছিল। দেখা গেল, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখে গিয়ে হাজির। এ ব্যাপারে আগে থেকে কোনো ঘোষণা ছিল না। এমন কোনো ইঙ্গিতও ছিল না প্রধানমন্ত্রী উত্তেজনাপূর্ণ লাদাখে যাবেন। মোদি বরাবর চমক দেখিয়ে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে উসকে গরম করে রাখতে চান। এতে তার রাজনৈতিক ফায়দা রয়েছে, আগে তা অনেকবার দেখা গেছে। 

গলওয়ানে উভয় দেশই সেনা ও সামরিক রসদ মজুদ করছে। চীনের প্রস্তুতি আগে থেকে সম্পন্ন। ভারত নতুন করে সেখানে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত গোর্খা সেনাদের মোতায়েন করছে। তারা শারীরিক শক্তিকে বিশেষ পারদর্শী, বৈরী আবহাওয়ায় চীনা সেনাদের উপযুক্ত জবাব দিতে সক্ষম। ফ্রান্স থেকে যুদ্ধবিমান আনার পাশাপাশি রাশিয়া থেকে আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আরো যুদ্ধবিমান সংগ্রহের আলাপ আলোচনা জোরদার গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে ভারত। রাশিয়া থেকে সব মিলিয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম আসছে। সামরিক উত্তেজনার ফল হয়েছে রাশিয়া ও ফ্রান্সের অস্ত্রের বাজার এখন চাঙা। 

তিনি গোলোযোগপূর্ণ সীমান্তের নিকটবর্তী সামরিক ঘাঁটিতে উপস্থিত হয়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে গা-গরম করার মতো বক্তব্য দিয়েছেন। ‘ভারত মাতা’ রক্ষার জন্য সেনাদের অবদানের কথা পুনরায় জোরালো ভাষায় স্মরণ করেছেন। মোদি নিজেই সামরিক প্যারেডে অংশ নিয়েছেন এমন ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেনা সদস্যরা তার সামনেই হাত উঁচু করে শপথ নিচ্ছিলেন। ওই ছবি মিডিয়ায় জোরালোভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ২০ সেনা হারিয়ে ভারতের জনগণের মধ্যে যে খেদ জন্ম নিয়েছে তা পুষিয়ে দেয়ার কিছুটা চেষ্টা। এ ক্ষেত্রে ভারতের সংবাদমাধ্যম মোদির সমানতালে প্রচারণায় রয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশের মিডিয়ায়ও পড়তে দেখা গেছে। 

প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আচরণ নিয়ে ভারতের সত্যিকার কোনো অনুধাবন নেই। ভারত সরকার ও তার বিশেষজ্ঞ শুভাকাক্সক্ষীরা প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কী আচরণ হওয়া উচিত তা নিয়ে মোটেও ভাবতে চান না। চীন বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, ভারত যেন কোনো ভুল হিসাব-নিকাশ করে না বসে। অর্থাৎ চীনের সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তিকে ভারতীয়রা বিবেচনা না করে ভুল কোনো সিদ্ধান্ত যেন না নিয়ে বসে। মোদির লাদাখ সফরের পর চীনের বক্তব্য ছিলÑ ভারতীয় সেনাবাহিনী যেন পিপলস লিবারেশন আর্মির কাছেও না ঘেঁষে। অন্য দিকে, ভারতের প্রতিবেশী বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর মূল্যায়ন হচ্ছেÑ তারা যেন তাচ্ছিল্যের নীতি পরিহার করে, কথায় ও কাজে সততার পরিচয় দেয়। বাংলাদেশের সাথে প্রতিশ্রুতি রক্ষার ব্যাপারে ভারত কোনো দায়বোধ করে না। সীমান্ত হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় আর তা লঙ্ঘন করতে কোনো ধরনের ইতস্তত বোধ করে না। সীমান্ত হত্যার অব্যাহত পরিসংখ্যান বলছেÑ তারা দায়-দায়িত্বহীনভাবে বাংলাদেশীদের হত্যা করে চলেছে।

ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন হচ্ছেÑ চীন ভারতকে ঘিরে ফেলতে চাচ্ছে। সমুদ্রে মুক্তার মালার মতো করে ভারতকে চারদিক থেকে বেঁধে ফেলবে দেশটি। পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে হর্ন অব আফ্রিকা পর্যন্ত আরব সাগর, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা হয়ে ভারত মহাসাগর, এরপর বঙ্গোপসাগরের কিনারে বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত নৌপথের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মধ্য দিয়ে চীন তা করবে। স্থলপথে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করে ভারতকে হাত-পা বেঁধে খোঁড়া করে ফেলতে চায়। ইতোমধ্যে নেপাল ও ভুটানের আচরণকেও এ জন্য দায়ী করছেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, প্রতিবেশী ছোট দেশগুলো ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে উঠতে চাচ্ছে একই কারণে। 

রঘু রমণ নামে এক সামরিক বিশেষজ্ঞ হিন্দুস্তান টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভারতের কী কৌশল নেয়া দরকার তা আলোকপাত করেন। চীনের সাথে ভূ-রাজনৈতিক খেলায় মাঠটাকে বড় করে নেয়ার বুদ্ধি দিচ্ছেন তিনি। ভারতকে যখন আশপাশের জল-স্থলে চীন আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধছে তা ছিন্ন করার চেষ্টার চেয়ে মাঠটাকে বড় করে নিলে খেলার সুবিধা হবে। তার মতে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনামের সাথে চীনের সম্পর্ক তিক্ত। এই দেশগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে চীনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে ভারত। জাপান অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সামরিক-অর্থনৈতিক জোট গঠন করে এশিয়ায় চীনকে টেক্কা দেয়ার আমেরিকার কৌশল আরো আগে দৃশ্যমান হয়েছে। 

ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক নিয়ে যুক্তিপূর্ণ কোনো মূল্যায়ন ভারত সরকারের নেই। তাদের বিশেষজ্ঞরাও যে এ ব্যাপারে মনোযোগী তা দেখা যায় না। ঘরের ভেতরে অসন্তোষ রেখে বাইরে বন্ধুত্বের বলয় তৈরি করার পরিকল্পনা তারা করছে। যেখানে প্রতিবেশীদের প্রতি ভারতের আচরণ সমতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের জনগণ যা হাড়ে হাড়ে টের পায়। এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের কাছে টানছে চীন। অন্য দিকে, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান ভারতের বন্ধু হয়ে বিশেষ সুবিধা এনে দেবে তার কোনো লক্ষণ এ পর্যন্ত এশিয়ায় দেখা যায়নি। 

বাংলাদেশকে চীনে রফতানি করা ৯৭ শতাংশ পণ্য শূন্য শুল্কে প্রবেশাধিকার দিয়েছে। করোনাকালে অর্থনীতি যখন খাদের কিনারে তখন চীন এ বড় সুযোগ দিলো। এই সময় ভারত-চীন দুই রাষ্ট্রের মধ্যে কী হলো সেটা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশের জন্য এ অর্থনৈতিক সুযোগ প্রাপ্তি তার চেয়ে আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একই সময় বাংলাদেশের সাথে ভারতের সবগুলো স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে ছিল। বাংলাদেশের কোনো পণ্যকে ভারতে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর অজুহাতে ভারত এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল। অন্য দিকে, ভারতের পণ্য বাংলাদেশে অবাধে প্রবেশ করছে। সবসময় দেখা গেছে, পণ্য রফতানিতে নানাভাবে ভারত বাধা সৃষ্টি করে। যতটুকু চুক্তি হয় তাও তারা রক্ষা করে না। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল ফারাক দিন দিন আরো বাড়ছে। ভারতের জন্য সবসময় বাংলাদেশের বাজার উন্মুক্ত। এর বিপরীতে ভারতের বাজার বাংলদেশের জন্য সবসময় প্রতিকূল।

ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশ নিজেদের মধ্যে উষ্ণ বন্ধুত্ব থাকার জানান দেয়। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে এ ধরনের বন্ধুত্বকে বিরল বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এমন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা বন্ধ করতে পারেনি। গলওয়ানের ঘটনার পর বাংলাদেশ সীমান্তে যেন ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর নতুন আক্রোশ আমরা লক্ষ করছি। এই কয়েক দিনে তাদের গুলিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী প্রাণ হারিয়েছেন। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকূপি সীমান্তে গত শনিবার সকালে। খবরে জানা যায়, তেলকূপি গ্রামের মো: আইনালের ছেলে মো: জাহাঙ্গীর একজন দিনমজুর। সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। সীমান্তের কাছে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করতে যায়। একপর্যায়ে সীমান্তের ওপার থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে কাছে ডাকে। কাছে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে বেদম পেটায়। তার উরু ও কনুইয়ে রাইফেল ঠেকিয়ে গুলি করে। সীমান্তের ৫০ গজ ভেতরে তাকে হত্যা করে তার লাশ ফেলে চলে যায়। কয়েক দিন আগে একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে বিএসএফ হত্যা করে। তার লাশ দিতে তিন দিন বিলম্ব করা হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। আহ্বানে তারা সাড়া দেয় না। 

এমন নিষ্ঠুর ও অসম্মানজনক কোনো ঘটনা পৃথিবীর অন্য কোনো সীমান্তে ঘটলে হইচই পড়ে যেত। ভারতের সাথে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের সব জায়গায় বিএসএফের এমন শত্রুতামূলক নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডের সাথে মানুষ পরিচিত। এগুলো নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ নেই, উচ্চবাচ্য নেই। সাধারণ মানুষও এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারে না। কারণ এমন প্রতিবাদ সম্ভবত ভারতের পছন্দ নয়। তাই বাংলাদেশ সরকার এমন প্রতিবাদের সুযোগ দিতে চায় না। সীমান্তজুড়ে মানুষের মধ্যে কষ্ট-দুঃখের দগদগে ক্ষত। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অসম্মানজনক তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও নিষ্ঠুর আচরণ করার পরও ভারত আমাদের বন্ধু। এ এক অসাধারণ বন্ধুত্বের ব্যাপার।

সীমান্তে হত্যার বেশির ভাগ ঘটনা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে কম গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়। ভারত বিরোধিতার জোয়ার ঠেকাতে চায় এ দেশের মিডিয়া। তাই সাধারণত এসব হত্যার খবর ভেতরের পাতায় ছোট করে প্রকাশ করে। টিভি চ্যানেলগুলো চেপে যেতে চায়। তেলকূপি সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার খবর যেদিন পত্রিকার ভেতরে এক কলামে প্রকাশ করা হলো, একই দিন বাংলাদেশী একটি পত্রিকায় ভারতের নরেন্দ্র মোদির লাদাখে সফরের খবর ছাপা হয়েছে বাইরের পাতায়। আরেকটি পত্রিকায় ভেতরের পাতায় ‘মোদির লাদাখ সফর যথাস্থানেই আঘাত’ শিরোনামে তিন কলামে খবরটি বক্স করে ছাপানো হয়েছে। খবরটি শুরু হয়েছে এভাবেÑ ‘লাদাখ সীমান্ত সীমা লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের জোরালো ও যথাযথ পদক্ষেপে যারপরনাই কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে চীন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই এই ড্রাগনকে (চীন) পিছু হটতে ভারতের সর্বাত্মক পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন’। বাংলাদেশী দুটি পত্রিকায় প্রকাশিত এ খবরটি ধারা-বর্ণনা প্রায় একই। পত্রিকা দুটিতে এই খবরটির কোনো তথ্যসূত্র দেখা গেল না। একটি পত্রিকা লাল জমিন দিয়ে খবরের মাঝখানে সেঁটে দিয়েছে ‘বিশ্লেষণ’ শব্দটি। 

হেলিকপ্টার থেকে নেমে এক সৈন্যের সাথে মোদি দৃঢ়পদক্ষেপে হেঁটে সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশের একটি ছবি দিয়েছে পত্রিকাটি। ওই ছবিতে মোদিকে মারদাঙ্গা ছবির নায়কের মতো দেখা যাচ্ছে। ওই বিশ্লেষণে বাংলাদেশী পত্রিকাটি আরো মন্তব্য করেছেÑ ‘মোদির আচমকা সফরের পর চীনা কর্মকর্তারা প্রতিক্রিয়া দেখানোর শক্তি হারিয়ে তারা এই সফরকে এখন হজম করার চেষ্টা করছে।’ উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী শক্তিকে জাগিয়ে রাখার জন্য বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপির জুড়ি নেই। এসব করে মোদি ভারতের ভোটের রাজনীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। আমাদের মিডিয়ার একটি অংশ দেশের সীমান্তে বাংলদেশী হত্যার খবর দিতে কৃপণতা করে, কিন্তু বিজেপির এই প্রচরণায় তাদের অংশীদার হয়ে থাকতে পছন্দ করছে। স্বদেশী এসব মিডিয়ার হেতু বোঝা মুশকিল। 

ভারত সরকার ও তাদের শুভাকাক্সক্ষী বিশেষজ্ঞদের বোঝা উচিত, প্রতিবেশীদের মধ্যে এই কৃত্রিম প্রহসনমূলক বন্ধুত্ব আজীবন চলা সম্ভব নয়। একটি দেশের সরকার, কিছু মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশকে গুডবুকে রেখে পুরো একটি দেশকে বন্ধু বানানো যায় না। নেপাল একটি উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। দেশটি শেষ পর্যন্ত ধীরে ধীরে ভারতের বলয় থেকে শুধু সরে আসছে না, বরং বিপক্ষ শক্তির সাথে হাত মেলাচ্ছে। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা, বাণিজ্য বাধা অপসারণ, সীমান্তে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তাচ্ছিল্য পরিহার করতে হবে ভারতকে। ‘ভারত মাতা’ কেবল তখনই হতে পারে নিজ দেশের সব মানুষের প্রতি যখন সমান আচরণের নীতি গ্রহণ করা হবে। বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব স্পষ্টত সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর অন্যায় অসম্মানজনক নিপীড়নের নীতি গ্রহণ করেছে। প্রতিবেশী মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কখনো এটি মেনে নিতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধুত্ব পেতে হলে এমন বর্ণবাদী নীতি থেকে ভারতকে সরে আসতে হবে। চীন-ভারত শত্রুতা যদি বড় ধরনের সামরিক সঙ্ঘাত বা দীর্ঘমেয়াদি বড় বৈরিতায় রূপ নেয়, বাংলাদেশের মানুষ ভারতের এমন শত্রুতামূলক নীতির প্রতিক্রিয়ার জবাবে চীনের সাথেই থাকবে। এটি চীনক স্রেফ ভালোবাসার কারণে নয় বরং ভারতের শত্রুতার কারণে। দাবার বোর্ডটাকে বড় করার আগে নিকট প্রতিবেশীদের সাথে সততার নীতি গ্রহণ করা ভারতের জন্য অধিক প্রয়োজনীয়। যে কথাটি দেশটির বিশেষজ্ঞরা ভাবতে চাচ্ছেন না।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ গুমের ঘটনা তদন্তে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি : কমিশন প্রধান দায়মুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিশেষ তদারকি শুরু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাহস ও অভিজ্ঞতা আমার আছে ইমরানের দলের বিক্ষোভ ঠেকাতে ইসলামাবাদ লকডাউন ডেঙ্গুতে ১ দিনে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল