২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সীমান্তে কি সবই শত্রু

সীমান্তে কি সবই শত্রু - ছবি : নয়া দিগন্ত

ভারতের গণতন্ত্রের একটা সুন্দর দিক ছিল সর্বদলীয় সভা। জাতীয় বিপদাপদে ক্ষমতাসীনরা সবার সাথে একসাথে বসে আলাপ আলোচনা করে থাকেন। দীর্ঘ দিনের গণতন্ত্র চর্চায় ভারতে এ রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। বাংলাদেশে সবদল একসাথে বসবে বলে কল্পনাও করা যায় না। এ দিকে, ভারতে বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপির একদলীয় মনোভাব আরো জোরদার হয়ে ওঠে। দুর্বল হওয়া হয়ে পড়া বিরোধী দলকে খুব একটা কদর করছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সর্বদলীয় বৈঠকের রেওয়াজও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লাদাখে গলওয়ান বিপর্যয়ের পর আবার সর্বদলীয় সভা ডাকা শুরু হয়েছে।

ওই সভায় মোদি বলেছেন, ‘আমরা আহত, আমরা ক্রুদ্ধ’। তবে সেনাবাহিনীর এতগুলো সদস্য হত্যার প্রতিকার কী, সে ব্যাপারে কোনো কথা নেই। দলের দ্বিতীয় প্রধান অমিত শাহ এর আগে চীনের কাছে থাকা কাশ্মিরের অংশ উদ্ধারের হুমকি দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তার মুখ থেকেও কোনো কথা নেই। অমিত শাহ নিজ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে বাগি¦তণ্ডা করছেন। সেটি চীনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কিছু নয়। ভারত জানাচ্ছেÑ তাদের ২০ সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে, আরো ৭০-এর বেশি আহত হয়েছে। চীন আটক করে নিয়ে গিয়েছিল আরো ১০ জন ভারতীয় সৈন্যকে। গুঞ্জরণ উঠেছে, চীনারা ভারতের ভূখণ্ডও দখল করে নিয়েছে। ‘এক ইঞ্চি জমিও কোনো দেশ দখল করে নিতে পারেনি’ বলে মানুষের আস্থা কুড়াতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের চীনা বিশেষজ্ঞ জ্যাক কুপার বলেছেন, ‘চীন ও ভারত উভয়ে সীমান্তে তাদের অবকাঠামো তৈরি করছে, তবে চীন অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তারা ইতোমধ্যে সরবরাহ ও যাতায়াতব্যবস্থায় বিনিয়োগ করেছে, ফলে তারা অনেক দ্রুত সেনাবাহিনীর বড় ইউনিটকে জড়ো করতে পারে।’ উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চীন সীমান্তে তাদের শক্তিকে অনেক বাড়িয়ে নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শত শত সামরিক যান উপস্থিত করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে বড় ধরনের সৈন্য সমাবেশ তারা করতে পারবে। সামরিক রসদ কম সময়ের মধ্যে সরবরাহ দিতে পারবে। এই প্রস্তুতির ক্ষেত্রে ভারত অনেক পিছিয়ে আছে। চীনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার পর ভারতের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চীনের সাথে পেশিশক্তি দিয়ে ভারত মোকাবেলা করবে, তা সম্ভব নয়। সামরিক শক্তিতে চীন বহু দূর এগিয়ে গেছে। শারীরিক ও মানসিক শক্তিতেও যে চীনারা অগ্রসর সেটা গলওয়ানকাণ্ডে বোঝা যাচ্ছে। সমুদ্র সমতল থেকে ১৪ হাজার ফুট উপরে এবং হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় ভারতীয় সৈন্যদের মৃত্যু, নিখোঁজ ও আটকের খবর চীনাদের মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্যরে প্রমাণ দেয়। অর্থনীতি বিবেচনায় ভারতের পিছিয়ে থাকার হার আরো অনেক বেশি। চীনের জাতীয় উৎপাদন ভারতের তুলনায় প্রায় পাঁচগুণ। ভারত যদি এক টাকা খরচ করার সামর্থ্য রাখে চীন সেখানে প্রায় পাঁচ টাকা খরচের সামর্থ্য রাখে।

ভারতের রাষ্ট্রীয় দু’টি প্রতিষ্ঠান চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স চীনা পণ্য বর্জনের জন্য দেশজোড়া প্রচারাভিযান শুরু করেছে। পণ্য বর্জন করে চীনের অর্থনীতি ধসিয়ে দেয়া যাবে এটা আশা করা যায় না। এ ধরনের মাথাগরম সিদ্ধান্ত ভারতের নিজের অর্থনীতির জন্য উল্টো বিপদ ডেকে আনতে পারে। চীন সস্তায় ভারতে বিপুল পণ্যসামগ্রী রফতানি করে আসছে। ওইসব পণ্য অন্য দেশ থেকে আমদানি করতে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। সৈন্য হারানোর ঘটনায় ভারতের নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ছবিতে তারা আগুন দিচ্ছে। শি’র ছবি পোড়াতে গিয়ে তারা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের ছবি ভুলক্রমে পুড়িয়ে ফেলছে। এতটাই বিক্ষুব্ধ যে, তারা জ্ঞানশূন্য হয়ে গেছে।

প্রতিবেশী দেশের শক্তিমত্তার কাছে এমন অসহায়ত্ব ভারতের জন্য নতুন ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে। এ থেকে তাদের নিজেদের জন্য পরিত্রাণেরও একটা উপায় বের হতে পারে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের কোনো সীমান্তবিরোধ নেই। বাংলাদেশীরা ভারতীয় সীমান্তবাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে। অত্যাচার-নির্যাতন, অপমান-লাঞ্ছনার ঘটনা সবসময় ঘটছে। অপহরণ ও আটকও সবসময় হচ্ছে। এগুলো করছে ভারতের রাষ্ট্র নিযুক্ত সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হচ্ছেÑ ‘তারা দুষ্কৃৃতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে এই দাবি করা হয়নি যে, অপরাধীদের বিচারের পরিবর্তে হত্যা করা কিংবা অপমান নির্যাতন কোন আইনে করা হচ্ছে? তবে বাংলাদেশী ফেলানী হত্যার হৃদয়বিদারক দৃশ্য এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে রয়েছে।

১৫ বছরের এই কিশোরীর ঝুলে থাকা লাশ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে বীভৎস দিক বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। বাবার সাথে অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকছিল সে। কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে যাওয়া মেয়েটিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি করে। গুলিবিদ্ধ মেয়েটি গোঙ্গাতে থাকে, পানি চায়। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর সদস্যরা মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েটির সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। অবশ্য বিএসএফ ফেলানীকে পানি খাওয়াবে, উদ্ধার করবে, এমন আশা কেউ করে না। তাদের আক্রমণের ভয়ে কেউ ফেলানীকে উদ্ধারে তার কাছেও যায়নি। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা ফেলানীর লাশ উল্টো হয়ে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে রয়েছিল।

এই অপরাধের বিচারের দাবি ওঠে। সারা বিশ্বের পাশাপাশি, ভারতের মানবাধিকার সংগঠনগুলো ওই ঘটনার বিচার চায়। বাংলাদেশে নাগরিক পর্যায়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ অন্যান্য অনেক ঘটনার মতো ওই ঘটনায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগ পায়নি। দুই দেশের সম্পর্ক এমন স্পর্শকাতরতার জালে মোড়ানো যে, এ দেশের মানুষের সুযোগ নেই যে, তারা এর উপযুক্ত প্রতিবাদ জানাবে। এ দেশের স্বীকৃত মানবাধিকার গ্রুপগুলোও খুব সোচ্চার হয়নি। এটা পরিষ্কার, এ দেশের বুদ্ধিজীবী ও সিভিল সমাজের সদস্যদের সাথে ভারতপ্রশ্নে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মতামতের বিশাল ফারাক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে মসৃণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এটা বাধা হয়ে আছে। চাওয়া-পাওয়ার ইস্যুগুলো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পাওয়া যায়নি কখনো। তাই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দাবির ক্ষেত্রে সবসময় উপরের কৃত্রিম প্রলেপে ভেতরে বইছে রক্তের নদী। সীমান্ত হত্যা কমেনি, বাণিজ্য বাড়েনি।

ভারত যখন কোনো বিপদে পড়ে, ফেলানীদের ওপর নিষ্ঠুরতাসহ সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়, জনগণের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। প্রধান ধারার সংবাদমাধ্যম সাধারণ মানুষকে এ সুযোগ না দিলেও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুযোগে এই মনোভাব প্রদর্শিত হয়ে যায়। এবার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় বাহিনীর বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাংলাদেশের মানুষকে তেমন সহানুভূতি প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে, মানুষ নিজেদের ওপর অঘোষিতভাবে চেপে থাকা কষ্টকর সম্পর্কের একটা জবাব হিসেবে দেখে এ জাতীয় ঘটনাকে। ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর ওপর চীনাদের হামলাকে তারা ফেলানী হত্যার মতো পৈশাচিক ঘটনার পটভূমিতে দেখছে। চীনের শক্তিমত্তাকে নিজেদের অক্ষম প্রতিশোধ গ্রহণের অক্ষমতার ঘাটতিপূরণ মনে করে উল্লসিত হয় অনেকে।

ফেলানী হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত বিএসএফের অমিয় ঘোষ তাদের নিজেদের আদালতে নির্দোষ হিসেবে ঘোষিত হন। মামলা আবারো একই কোর্টে উঠে, আবারো তিনি নির্দোষ প্রমাণিত। অমিয় ঘোষ যে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে চলেছেন, তারও ফেলানী হত্যার দায়ে কোনো অপরাধ স্বীকৃত হয়নি। ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ভারতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনাকেও সামরিক আদালত সম্মান জানায়নি। এ বিচার নিয়ে ফেলানীর দরিদ্র পরিবার ভারতে আসা-যাওয়া করে হয়রান, এ থেকে এতটুকুই ‘প্রাপ্তি’। এমন অন্যায় অবিচার সাধারণ মানুষের মনে স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে বৈকি।

সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যাকে বিএসএফ ‘হত্যা’ বলে না। তারা এটিকে ‘অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু’ বলে থাকে। ২০১৯ সালের জুনের মাঝামাঝি ঢাকায় বিজিবি এবং বিএসএফের শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠকের পর বিএসএফের প্রধান বলেছিলেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা বিএসএফের ওপর আক্রমণ করলেই কেবল তারা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে।’ অথচ ২০১৮ সালে এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা এক্ষেত্রে নিষিদ্ধ। একই ধরনের চুক্তির কার্যকারিতা চীনের সাথে ভারত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। লাদাখে ২০ সৈন্য হত্যা ও ১০ জন অপহৃত হওয়ার পরও চীন সীমান্তে ভারত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি। 
গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিএসএফ প্রধান, বাহিনীর পক্ষ থেকে এই ধরনের ‘অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যু’ এড়িয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ঠিক এ ধরনের প্রতিশ্রুতি ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীর প্রধানরা এক দশকের বেশি সময় ধরে দিয়ে আসছেন। এই প্রতিশ্রুতি দেয়ার পর বিএসএফ আবারো আগের ধারায় বাংলাদেশীদের হত্যা করেই যাচ্ছে। পৃথিবীর বৃহৎ একটি দেশের সীমান্তবাহিনীর প্রধানের প্রতিশ্রুতির কি কোনো মূল্য নেই? ভারতের সাথে পাকিস্তান ও চীনের সীমান্ত রয়েছে। ওই দু’টি দেশ তাদের ওই মাত্রার বন্ধুও নয়। উপরন্তু, পাকিস্তানের সাথে তাদের চির বৈরিতা। ওই সব দেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনীকে একটি হত্যাকাণ্ডও ঘটাতে দেখা যায় না। এ আচরণ বড় অদ্ভুত। শত্রুদের সাথে চুক্তির শর্ত শতভাগ পূর্ণ করা হয়, আর বন্ধুদের সাথে করা চুক্তির কোনো মর্যাদা নেই!

দু’দেশের সম্পর্ককে প্রকৃত বন্ধুত্বের মর্যাদায় উন্নীত করার দিক দিয়ে ঘাটতিটা কোন দেশের, সেখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই। ভারতীয় নাগরিক সমাজের কিছু সদস্য ও মিডিয়াও বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম ও মর্যাদাবান জাতি হিসেবে দেখে না। এবার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় বাহিনীর বিপর্যয়ের পরদিন চীন বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে। করোনার এই দুর্যোগে মন্দায় পতিত বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এটি সুখবর। ভারতের মিডিয়ার একটা অংশ এ খবরকে অসম্মানজনক ও অশোভন কায়দায় পরিবেশন করেছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা ‘খয়রাতি’ শব্দটি চয়ন করে। দরিদ্র দেশ হিসেবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ‘সাহায্য’ পায় ভারত। এ কাতারে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। চীন বাণিজ্যসুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশকে, তবে কোনো খয়রাত এটি নয়।

ভারতের সাথে বাংলাদেশ সরকারের ঘনিষ্ঠতার কারণে সাধারণ মানুষ এ ব্যাপারে অত্যন্ত হিসাব-নিকাশ করে প্রতিক্রিয়া দেখায়। সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানিত মানুষরা ভারত প্রসঙ্গটি সাধারণত এড়িয়ে যান। কেউ বাংলাদেশ সরকারকে বিব্রত করতে চান না। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ার এমন অরুচিকর খবর প্রকাশে সবার মধ্যে কঠিন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একটি অংশকেও এ ব্যাপারে খবর প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ করা হচ্ছে। তিনি এমন প্রতিবাদের প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা ‘আপসেট’। গলওয়ানে বিপর্যয়, বাংলাদেশকে বাণিজ্যসুবিধা দেয়া, এগুলোতে ভারত সরকার ও সে দেশের জনগণ আপসেট হয়ে গেলে চলবে না। দেশটিকে তার নিজের কর্তব্যের ব্যাপারে সততা অবলম্বন এবং সচেতনতাই সবার সাথে সঠিকভাবে চলার পথ দেখাতে পারে। 

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement