২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

করোনাও কি শাসকদের মতো বৈষম্য করে

করোনাও কি শাসকদের মতো বৈষম্য করে - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজধানীতে নেমে এলো স্তব্ধতা। গণপরিবহন নেই, ব্যক্তিগত পরিবহন নেই। অটোরিকশা, সিএনজি এমনকি রিকশাও নেই। মানুষও নেই। ঢাকার এমন শূন্যতা কেউ কখনো দেখেছে বলে জানাতে পারলেন না। আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকা বড় বড় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে। রাস্তা এভাবে কখনো জনমানবহীন হয়ে যায়নি। সরকার যেদিন প্রথম সাধারণ ছুটি ঘোষণা করল, এটি ছিল সেদিনের রাস্তার চিত্র। পাড়া-মহল্লøার রাস্তায়ও মানুষ নামেনি। ভাইরাস সংক্রমণের ভয় সত্যিকার অর্থেই মানুষের ওপর চড়াও হয়েছিল। তখন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা শতের কোটায়। মাত্র কয়েকজন মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছিল। এরপর দিন গেল, সপ্তাহ গেল, মাস গেল। মানুষ দেখল সুস্থই রয়েছে। ভয় কেটে গেল। আবার মানুষ দলে দলে রাস্তায় নেমে এসেছে।

এখন খবরে প্রকাশ, আমরা সংক্রমণে চীনকে ছাড়িয়ে গেছি। আরো কিছু তুলনা হাজির করা হচ্ছে। এমন তুলনার তাৎপর্য কী? এখন চীনে প্রতিদিন মাত্র কয়েকজন করে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্য দিকে বাংলাদেশে গড়ে তিন হাজার করে আক্রান্ত হচ্ছে। মৃতের সংখ্যাও প্রতিদিন গড়ে অর্ধশত ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ এখনো সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে কি না কেউ বলতে পারে না। এখনো যদি সংক্রমণের চূড়ায় না পৌঁছে সেটা কখন পৌঁছাবে, তাও কেউ বলতে পারছে না। তত দিনে কত মানুষ গড়ে আক্রান্ত হতে থাকবে, শেষ পর্যন্ত কতটা ভয়াবহ হবে করোনার আক্রমণ তা আমাদের সবার অজানা। আমরা করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের সাথে তুলনা করছি এমন একসময়ে যখন চীনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রায় নেই বললেই চলে। সে দেশে সংক্রমণ শুরু হয়ে চূড়ায় পৌঁছে, তা আবার ধীরে ধীরে নেমে শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যদি আবার চীনাদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, তাহলে করোনা তাদের দেশে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে বলা যায়।

তাই এই তুলনা অনেকটাই অসম। চীনে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। আমাদের অবস্থাটা কিছু আন্দাজ করা যাবে জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশে এর সংক্রমণ বিবেচনায় নিলে। চীনে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ জন। সংক্রমণ চূড়ায় উঠার আগেই এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে ৫১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এই হিসাবে বাংলাদেশ চীনের তুলনায় এখনই প্রায় ৯ গুণ বেশি আক্রান্ত হয়ে গেছে। তবে মৃত্যু হার বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে বলতে হবে। গত সোমবার পর্যন্ত ৯০ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে বাংলাদেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছে এক হাজার ২০০ মানুষ। অন্য দিকে ৮৩ হাজার আক্রান্তের বিপরীতে চীনে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজার ছয় শ’র বেশি। বাংলাদেশের তুলনায় চীনে করোনায় মৃত্যুহার চারগুণের বেশি। বাংলাদেশে আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে। চীনে মৃত্যুহার নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। আমেরিকায় ২২ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে এক লাখ ১৮ হাজারের বেশি। আক্রান্ত প্রতি ১৮ জনের একজন মারা গেছে। যুক্তরাজ্যে দুই লাখ ৯৭ হাজার আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে সাড়ে ৪১ হাজারের বেশি। আক্রান্ত প্রতি সাতজনে একজন মারা গেছে। ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যুহার অনেকগুণ বেশি। মহামারী আক্রান্ত ইউরোপের অন্যান্য দেশেও উচ্চ মৃত্যুহার দেখা যাচ্ছে। অন্য দিকে সোমবার পর্যন্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশে আক্রান্তের প্রতি ৭৫ জনে একজন মারা গেছে। এই হিসাবে কিছুটা হেরফের হতে পারে। উপমহাদেশের পাকিস্তান ও ভারতে মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার সামর্থ্য ইউরোপ ও আমেরিকার তুলনায় আমাদের অনেক বেশি। আমরা যতটুকু জানি, উন্নত দেশগুলোর মানুষের স্বাস্থ্য ভালো। তারা কোনো ভেজাল জিনিস খায় না। রোগজীবাণুুর বিরুদ্ধে লড়ার সক্ষমতা তাদের অনেক বেশি। অন্য দিকে আমরা ভেজাল খাই। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাহলে কেন আমাদের মধ্যে মৃত্যুহার তাদের তুলনায় এত কম? এ ব্যাপারটি নিয়ে এখনো কোনো গবেষণা হতে দেখা যায়নি।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে কোন দেশ কতটা পারদর্শিতা দেখিয়েছে, সে হিসাব চারদিকে শুরু হয়ে গেছে। ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে জাতিগুলোর অবস্থান ও মর্যাদা নির্ধারণের ক্ষেত্রে নভেল করোনা মোকাবেলা একটা মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ওপর পরমাণু বোমা মেরে আমেরিকা পৃথিবীতে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। আমেরিকাকে কেউ আর চ্যালেঞ্জ করার মুরোদ রাখল না। বিগত সাত দশক দেশটি খুব মজায় বিশ্ব শাসন করেছে। যারা আমেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে পরমাণু অস্ত্র নির্মাণ ও মজুদ করেছে তারাও মর্যাদাবান হয়েছে। মূলত সামরিক শক্তির কারণে বিশ্ব পাঁচটি দেশকে পরাশক্তি হিসেবে গণ্য করছে। দেশগুলো হলোÑ আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। প্রত্যেকটি দেশের পরমাণু অস্ত্রের বিশাল মজুদ রয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও ইসরাইলও অস্ত্রের জোরে ‘কিছু মর্যাদা’ বিশ্ব অঙ্গনে কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।

করোনা দেখিয়ে দিলো, পরমাণু অস্ত্র মূলত বেকার। মানুষকে কুপোকাত করার জন্য, ক্ষুদ্র হলেও তারা আরো বেশি শক্তিশালী। আমেরিকার হাতে পরমাণু অস্ত্র সবচেয়ে বেশি মজুদ থাকার পরও শত্রুর বিরুদ্ধে কিছুই তারা করতে পারেনি। করোনা মোকাবেলায় দক্ষতার পরিচয় দিয়ে দেশগুলো আগামী দিনের বিশ্বে তাদের অবস্থান নির্ণয় করতে পারে। আমরা যেহেতু এর মোকাবেলায় সবচেয়ে পেছনের কাতারে, আমাদের মর্যাদাও হবে পেছনের দিকে। একই সাথে, আমাদের এই দুর্বলতার কারণে বন্ধুরা আমাদের সাথে আরো তুচ্ছতাচ্ছিল্যের নীতি গ্রহণ করবে। বিদেশী বিনিয়োগ ও বাণিজ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হবে। তবে বাংলাদেশের জনগণের দিক থেকে এ ভাইরাস মোকাবেলায় দুর্বলতা কমই পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ইউরোপ, আমেরিকা ও চীন থেকে অনেক বেশি টেকসই। কিন্তু আমাদের যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা তা অত্যন্ত দুর্বল, সে কারণে আমরা পেছনের কাতারে চলে যাচ্ছি। সোজা কথায় বলতে গেলে, এ দেশের শাসকরা যোগ্য বলে প্রমাণ দিতে পারেননি।

ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে তাদের উঁচুমানের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। দেশটিতে করোনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। পোশাক শিল্পে আমাদের প্রতিযোগী দেশ হিসেবে তারা বিদেশীদের সহজে আকৃষ্ট করতে পারবে। একটি সক্ষম পারদর্শী জাতি হিসেবে আমরা প্রতিযোগিতায় তাদের অনেক পেছনে পড়ে গেলাম। বিপদ মোকাবেলার ক্ষেত্রে আমরা পেছনে পড়া জাতিগুলোর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ‘সারভাইভ’ করার ক্ষমতা ভিয়েতনামের চেয়েও আমাদের অনেক কম।
আমাদের দেশের করোনানীতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা রয়েছে। এদেশে খুব অল্প মানুষ করোনার চিকিৎসা পাচ্ছে। মানুষের করোনা চিকিৎসায় সরকারের দ্বিমুখী নীতি প্রকাশ হয়ে পড়েছে। কিছু মানুষের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এমন কি সরকার এই বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যে তাদের উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকারের একেবারে উচ্চপর্যায় থেকে তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এই শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে সরকারের আপনজনরা। সাধারণ মানুষের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার আর রক্ষা নেই। আগে টাকা থাকলে চিকিৎসা করানো যেত। পছন্দ না হলে সহজে পার্শ্ববর্তী দেশ কিংবা থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে গেয়ে চিকিৎসা পাওয়া যেত। এখন বিত্তবৈভবের মালিকরাও অনেকটা রাস্তার মানুষের মিছিলে শামিল। অর্থ দিয়েও আর চিকিৎসা মিলছে না। করোনার লক্ষণ আছে জানলে হাসপাতাল তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতেও নারাজ। অনেক ধনী মানুষ ইতোমধ্যে চিকিৎসার যথাযথ সুযোগ না পেয়ে মারা গেছেন। আর অন্যান্য ধনী এখন পার করছেন এক ভয়াবহ দুঃসময়।

একটি জরিপে দেখা গেছে, গরিব খেটে খাওয়া মানুষরা জোর বিশ্বাস করছে, তাদের করোনা হবে না। করোনা রোগীদের বয়স নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখা যায়। বয়সের ব্যাপার নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বাড়তি উৎসাহ। কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক স্ট্যাটাস নিয়ে কোনো রিপোর্ট করা হয় না। তবে প্রতিদিন এ দেশের নামীদামি মানুষ মারা যাওয়ার অনেক বেশি খবর এখন পাওয়া যাচ্ছে। আক্রান্তের ক্ষেত্রেও একই ধরনের খবর চারদিকে চাউর হচ্ছে। এসব খবর দেখে বলার সুযোগ নেই, বাংলাদেশে ধনী মানুষরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কারণ করোনার লক্ষণ নিয়ে সারা দেশে প্রতিদিন অনেকেই মারা যাচ্ছে। করোনার সত্যিকার চিত্র এ দেশে নির্ধারণ করা অসম্ভব। এ ব্যাপারে কেউ কিছু নিশ্চিত করে জানে না। তবে এটা ঠিক, অনেকে এখন বুঝতে পারছে আমাদের দেশে অর্থকড়ি থাকলেও একজন মানুষও নিরাপদ নয়। এর সাথে জোরালো রাজনৈতিক ‘সংযোগ’ও থাকতে হবে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এ দেশের অন্যতম প্রধান আলোচনার বিষয় কালো টাকা ও অর্থপাচার। উন্নত দেশে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের ‘বেগমপাড়া’। দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এ দেশ থেকে আগে বেগমদের বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা বান্ধবীদের নিয়ে মজার আড্ডা জমিয়েছে। তাই নামকরণ করা হয়েছে ‘বেগমপাড়া’। সাহেবরা পরে গিয়ে তাদের সাথে যোগ দিয়েছে। তত দিনে তাদের যথেষ্ট অর্থ কামানো হয়ে গেছে। বিদেশে করোনায় বাংলাদেশী মারা যাওয়ার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতেও দেখা যাচ্ছে, এর সংখ্যা দেশে থাকা মানুষের চেয়ে কম নয়। তবে তারা কেউ গরিবÑ এমন বলার সুযোগ নেই।

দেশের শাসক শ্রেণীর আচরণ যেমন বৈষম্যমূলক, করোনার ক্ষেত্রেও বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনাকে বুঝতে হলে কোন বয়সী মানুষের মধ্যে এটি কতটা সংক্রামক ও প্রাণঘাতী তা জানার পাশাপাশি তাদের সামাজিক রাজনৈতিক স্ট্যাটাসও জানা বেশি জরুরি। করোনার সাথে সামাজিক মর্যাদার সম্পর্ক কী, এর সাথে রাজনীতি ও ক্ষমতার সম্পর্কটা কেমন, তা জানার কৌতূহল অনেকের মধ্যে রয়েছে। ব্যাপারটা যদি এমন হয় করোনা মূলত ধনী আর রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি সংক্রমিত হয়, অর্থাৎ কথিত প্রভাবশালী মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হতে করোনা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, তাহলে এটা একটা বিশেষ বার্তা। করোনা কি ক্ষমতাসীনদের কিছু বলতে চায়?

বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা বদলে যাওয়ার কথা করোনার শুরুতে আলোচনায় রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর পরবর্তী বিশ্ব একটি নতুন বিশ্ব হবে। এর সাথে আগের বিশ্ব ব্যবস্থাপনার মিল থাকবে না। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্য বড় দাগে বদলে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বহু আগে থেকে পূর্বাভাস দিচ্ছেন। এই বদলে যাওয়া শেষ পর্যন্ত কতটুকু গভীর হবে আমরা জানি না। দেশে দেশে শাসক শ্রেণীর পরিবর্তন কি এর মাধ্যমে ঘটবে?

পৃথিবীর বড় বিপর্যয়ের পর দেখা গেছে- ধনী ও প্রভাবশালীরা ক্ষমতা হারিয়েছে। অন্য দিকে দমিয়ে রাখা এবং অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া বঞ্চিতমানুষরা ক্ষমতায়িত হয়েছে। পৃথিবীতে বলতে গেলে এখন ধনী লোকের শাসন চলছে। ধনী ১ শতাংশ মানুষ ৯৯ শতাংশ মানুষের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। আমেরিকার ২০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত। দেশটি সবচেয়ে ধনী ও সবচেয়ে ক্ষমতাশালী। ইউরোপের ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও স্পেনÑ এসব দেশ মূলত আমেরিকার বন্ধু এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র। এ দেশগুলো ভয়াবহভাবে করোনা আক্রমণের শিকার। আমেরিকা ভেতর থেকে বর্ণবাদেও আক্রান্ত। আমেরিকার মানুষের মধ্যে যতটুকু ফাটল সৃষ্টি হয়েছে তা আরো বাড়বে। দেশটি আর বৈশ্বিক একক নেতৃত্বের অবস্থানে নেই, তা বোঝা যাচ্ছে। অন্য ধনী দেশগুলোরও কি একই পরিণতি হতে যাচ্ছে? বিশ্ব ব্যবস্থাপনায় যদি নতুন নেতৃত্বের আবির্ভাব হয় তাহলে তারা কারা? সেই কৌতূহল এখন মানুষের মনে। 

jjshim146@yahoo.com

 


আরো সংবাদ



premium cement