বাধ্যতামূলক ঘরবন্দী, কী করবেন!
- মুজতাহিদ ফারুকী
- ০১ এপ্রিল ২০২০, ০৬:৫০
রোববার রাতে গিন্নি হঠাৎ বললেন, অ্যাই শোনো!
আমি মনোযোগ দিলাম। ‘বিশ লিটার পানিতে...
‘এক চা চামচ ব্লিচিং?’ গিন্নির কথা কেড়ে নিয়ে আমিই বাক্যটা পুরো করে দিই।
‘হ্যাঁ, ভালো না?’
এটি ছিল ফেসবুকে শেয়ার করা একটি পোস্টের বিষয় নিয়ে আমাদের কথোপকথন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ওই পোস্টটি কোনো বন্ধু আমাকে সেন্ড করেছিলেন। গিন্নিও তার মেসেঞ্জারে সেটি পেয়েছেন। তাতে ঘরে বসে খুব সহজে জীবাণুনাশক বানানোর কায়দা বাতলে দেয়া হয়েছে। করোনার এই সময়ে সহজে একটি জীবাণুনাশক বানানো সম্ভব জেনে গিন্নি খুশি হয়েছিলেন। সেটাই আমার সঙ্গে শেয়ার করতে চেয়েছেন। জীবাণুনাশকের এখন খুবই দরকার। নিজে বাঁচতে এবং পরিবার পরিজনকে বাঁচাতে। ফেসবুকে পাওয়া ফর্মুলামতো বানিয়ে নিলেই তো হলো না! ওটা সত্যিই জীবাণু নাশ করবে কি না তার নিশ্চয়তা কী? তাই গিন্নিকে বললাম, পানি শোধনে ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়। তবে খোঁজখবর না নিয়ে কিছু বলা বা করা যাবে না।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ফেসবুক এক অঘোষিত মেডিক্যাল পরিষেবাকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। নানা জন নানা বিষয়ে পোস্ট দিয়ে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেটা একদিকে ভালো, অনেক সচেতনতামূলক বিষয় জানা যাচ্ছে। সতর্কতা অবলম্বন করা যাচ্ছে। কিছু করণীয় বিষয়ে পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এর খুব বাজে প্রতিক্রিয়াও আছে। কোনটা ভালো পরামর্শ আর কোনটা মন্দ তা বোঝার উপায় থাকছে না। অনেক আজেবাজে ধারণা বা ভুল তথ্যও ছড়িয়ে পড়ছে যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। নানা মুনির নানা পরামর্শে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের দিশেহারা হওয়ার দশা। সেই দিশা হারিয়েই করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে থানকুনি পাতা খেতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে গো-মূত্র পান করে বেকায়দায় পড়েছেন ভারতের এক ধর্মগুরুসহ অনেকে। করোনাভাইরাস আকৃতিতে বড় এবং তা মাটিতে পড়ে যায়, বাতাসে ভেসে সংক্রমিত হয় না এমন ভুয়া তথ্যে বিভ্রান্ত হয়েছেন অনেকে। বিভ্রান্ত হয়েছেন এমন খবরে যে, গরম পানি খেলে মুখের ভেতরে থাকা করোনাভাইরাস মরে যায়। প্রতি ১৫মিনিট পর পর পানি খেলে জীবাণুটি মুখ থেকে পেটে চলে যায় এবং মরে যায়। আর গরম আবহাওয়ায় এই ভাইরাস টিকে থাকতে পারে না এমন তথ্যও খুব গিলেছে মানুষ। কোনটি সত্য আর কোনটি নয় তা খতিয়ে দেখতে যায়নি কেউ।
এমনকি আপনি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা ঘরেই পরীক্ষা করার পদ্ধতিও বাতলে দিয়েছেন অনেকে। এমনই হাজারও অসত্য, ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে প্রতিনিয়ত সয়লাব হয়ে যাচ্ছে ফেসবুক। যে কারণে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) যেমন বলেছে প্যানডেমিক (বৈশ্বিক মহামারী), তেমনি ভুয়া তথ্যের মহামারীকে বলেছে ইনফোডেমিক। এই ইনফোডেমিকের ব্যাপারটা জানা ছিল বলেই ফেসবুকের কোনো পোস্ট আমাকে তেমন বিভ্রান্ত করতে পারেনি। আমি মাঝেমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের প্রতিদিনের ঘোষণা ও নির্দেশনাগুলো দেখে নিই। আর খবরের জন্য সর্বজনস্বীকৃত গণমাধ্যমের সাইটগুলো অনুসরণ করি।
তো শুরুতে যেকথা বলছিলাম সেই প্রসঙ্গে আসি। ২০ লিটার পানিতে এক চা চামচ পরিমাণ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে নিলেই জীবাণুনাশক তৈরি হয়ে যাবে কি না সে নিয়ে মনের মধ্যে একটা খুঁতখুতে অনুভূতি ছিল গিন্নির সঙ্গে কথা হওয়ার পর থেকেই। আমি জানি, ব্লিচিং পাউডার পানি শোধনে ব্যবহার করা হয়। ব্লিচিং পাউডার থেকেই তৈরি হয় ক্লোরিন আর ক্লোরিন যে উৎকৃষ্ট জীবাণুনাশক সেটা বোধহয় এখন সবাই কমবেশি জানেন। তবে যাচাই বাছাই না করে ফেসবুকে পাওয়া ফর্মুলা অনুসরণ করাটা কেবল বোকামি নয়, বিপজ্জনকও হতে পারে। তাই সোমবার অফিসে বসে খুঁজে বের করলাম ফেসবুকের সেই পোস্টটি। থার্ড পারসন ডট কম নামের একটি ফেসবুক পেজে জনৈক ওমর ফারুক পোস্টটি দিয়েছেন জনস্বার্থে। লিখেছেন, ‘২০ লিটার পানিতে ১ চামচ ব্লিচিং পাউডার ভালো করে মিশিয়ে ¯েপ্র করুন, সমস্ত বাসায়, বিছানা, জামা কাপড়সহ সব জায়গায়, পুরো ঘর, বাইরে থেকে কেউ এলে তাকে ¯েপ্র করুন জুতাসহ সমস্ত শরীরে, পানির বোতলে ¯েপ্র মুখ লাগিয়ে নিন, ¯েপ্র মেশিন বাজারের যেকোনো দোকান থেকে কিনে নিন, দাম ৩০-৪০ টাকা নেবে। আর ড্রেনে ১০ লিটার পানিতে ৫ চামচ পাউডার মিশিয়ে ¯েপ্র করুন, দয়া করে সবাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করুন, এতে করে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারবে না, নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন। ধন্যবাদ।’
নেট ঘেঁটে জানা গেল, ওমর ফারুক একটি প্রাইভেট কোম্পানির ডিএমডি। তার ফোন নম্বরসহ ঠিকানা ও ইমেইল অ্যাড্রেসও পেলাম। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করলেন, তারাই এই ফর্মুলাটি উদ্ভাবন করেছেন এবং এটি খুবই কার্যকর। যে জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এটির অনুমোদন দিয়েছে এবং তারা এটি নিয়ে লিফলেটও বিলি করছে। কিন্তু তিনি বলতে পারলেন না, সরকারি কোনো স্বীকৃত গবেষণাগারে, যেমন সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষাগারে এমনকি বিএসটিআইতেও এটির পরীক্ষা করা হয়েছে কি না। ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে এই ফর্মুলার কোনো সনদ আছে কি না। ওমর ফারুক বললেন, তিনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরেকটি পোস্ট দেবেন যাতে আমার প্রশ্নগুলোর জবাব থাকবে। কিন্তু ঘণ্টা পাঁচেক পর সেই থার্ড পারসন ডট কম আমার জিজ্ঞাসার জবাব দিলো খুবই সংক্ষেপে। তারা লিখলো, এটি বাংলাদেশ আর্মির ফর্মুলা। ১০০% নিশ্চয়তা আছে। ওমর ফারুকের আর কোনো পোস্ট চোখে পড়ল না। তাকে একটি মেইল দিয়েছিলাম তথ্যগুলো পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে। জবাব পাইনি। এখন এই ফর্মুলাটি কি আমার জন্য গ্রহণযোগ্য? আমি তা মনে করছি না। আমার কাণ্ডজ্ঞান বলছে, কোনো স্বীকৃত গবেষণাগারের সনদ না থাকলে এটি গ্রহণযোগ্য মনে করতে পারি না। সিটি করপোরেশনের অনুমোদন দেয়ার কারণেই এটি গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না। তারা নানা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এ ধরনের অনুমোদন দিতে পারে। আর ওমর ফারুকের কোম্পানিটি তো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই। সুতরাং পাঠক, ফেসবুকে ছড়ানো সব তথ্য বিশ্বাস করবেন না এবং সেগুলো তৈরি ও ব্যবহার করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না। আর কিছু না পারুন, দেশের প্রধান দৈনিক পত্রিকাগুলোতে যথাযথ সূত্র উল্লেখ করে পরিবেশিত তথ্যের ওপর নির্ভর করুন। আর নিজের বিচার-বিবেচনা বোধ কাজে লাগান।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে দেশে দেশে নানা কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যেমন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলে দিয়েছেন, হয় নাগরিকরা ১৫ দিন ঘরে স্বেচ্ছায় বন্দী থাকবেন না হলে তাদেরকে পাঁচ বছরের জন্য কারাগারে বন্দী জীবন কাটাতে হবে। ইতালিতে ঘর থেকে বেরুতে হলে অনলাইনে একটি ফরম পূরণ করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হচ্ছে যে, আমি খাবার কিনতে বা ওষুধ কিনতে যাচ্ছি। সেই ফরমের প্রিন্ট কপি সঙ্গে রাখতে হচ্ছে। কপি না দেখাতে পারলে পুলিশ বা সৈন্যরা সেই নাগরিককে কারাগারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমাদের এখানেও পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। সে ক্ষেত্রে এখানেও লকডাউন করতে হবে। লোকজনকে ঘরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এখনও অনেকে এই রোগটিকে তেমন পাত্তা দিতে চাচ্ছে না। কিন্তু মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে গেলে তারা ভয়েই বাইরে বেরুতে চাইবেন না। তেমন দুঃসময় না আসুক সেটিই কাম্য, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে পুরোপুরি। এখন অফিস আদালতও বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ হয়েছে গণপরিবহন। সুতরাং কষ্ট হলেও ঘরে থাকুন। বিনা প্রয়োজনে এক মুহূর্তের জন্যও বাইরে বেরুবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বাজারসদাই, ওষুধ ইত্যাদি জরুরি কেনাকাটার জন্য দিনে একবার বের হন। সব কিছুর তালিকা করে নিয়ে সব কিছু একবারে কিনে ঘরে ঢুকে যান। বারবার বেরুলে মানুষের সংস্পর্শে আসতেই হবে এবং তাদের মধ্যে সংক্রমিত কেউ থাকবে না এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।
এরই মধ্যে অনেকে ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের বলি, ধৈর্য হারাবেন না। বরং অফিস-আদালত বন্ধ থাকায় পরিবারের সব সদস্যই যখন ঘরে আছেন তখন সবাই মিলে ঘরে আড্ডা দিন, আলাপ-আলোচনা করুন। যে সুযোগটা এতদিন ছিল না সেটা এবার পেয়েছেন। সুযোগটা কাজে লাগান। পারিবারিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নিন। ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করে পুরো সময় হয়তো কাটবে না। নিজেরা গানের আসর করুন ঘরে। বই পড়–ন। যেসব কাজ পেন্ডিং থেকে গেছে সেগুলা সেরে ফেলুন। সময় কেটে যাবে ভালোভাবেই। মনে রাখবেন, আপনি যতই উদ্বিগ্ন হোন না কেন, তাতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কোনো লাভ হবে না অথবা মহামারী পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতি হবে না। তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার কি? তার চেয়ে বরং ঘরে বসে দোয়া করুন বিশ্ববাসীর জন্য, তাদের আশু রোগমুক্তির জন্য। তাতে নিজের মন শান্ত থাকবে, মুনাজাত কবুল হলে মানুষেরও কিছু উপকার হতে পারে।
ঘরে অন্তরীণ থাকার এই সময়গুলোতে কিভাবে ধৈর্য ধরে মানসিক দিক থেকে ভালো থাকবেন তার উপায় বাতলে দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলছেন, ‘আমরা যে বিশ্বজুড়ে চলা বড় একটি সঙ্কটের মধ্যে আছি, সেটা প্রথমেই মেনে নিতে হবে। সেই সঙ্গে ভাবতে হবে, শুধু আমি একা নই, প্রতিটা মানুষ এই সমস্যার ভেতরে রয়েছে। ভাবতে হবে, এই খারাপ সময়টা কোনো অবস্থাতেই স্থায়ী নয়। সবাইকে শুধু অপেক্ষা করতে হবে কখন এই সমস্যাটি কেটে যাবে। নিশ্চিতভাবেই একসময় সমস্যাটি কেটে যাবে। ভীত বা বিহ্বল না হয়ে বরং নিজের ওপর আস্থা রাখুন। শারীরিক দূরত্ব গড়ে তুলুন, তবে মানসিকভাবে কাছে থাকুন।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সে জন্যই সরকার সব অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করেছে। ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন এবং অন্যদের নিরাপদ রাখুন।
সবশেষে একটি সুখবর দিই। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে। কল-কারখানাও বন্ধ। আকাশে বিমান উড়ছে না, রেলগাড়ি চলছে না, সাগরে প্রমোদতরী ও অন্য নৌযান ঘুরে বেড়াচ্ছে না, সড়কে গাড়ি চলাচল একেবারে কমে গেছে। পরিবেশ দূষণের সবচেয়ে বড় কারণ, কোটি কোটি মানুষের ভ্রমণ ও পর্যটন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফল হয়েছে খুবই বিস্ময়কর। যতই অবাক হন না কেন, এটা সত্য যে, গত তিন মাসে মানুষের উদ্যমশীলতায় ভাটার সুযোগে কার্বনজনিত ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে পৃথিবী নামের আমাদের একমাত্র বাসস্থান এই প্রিয় গ্রহটি । দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে হু হু করে কমছে দূষণের মাত্রা! চীন, ইতালি বা ব্রিটেনের আকাশে অবিশ্বাস্য গতিতে কমছে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড আর কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা! পরিবেশবিদদের হতবাক করে নিউইয়র্কের আকাশে দূষণের মাত্রা কমেছে ৫০% এরও বেশি! স্রেফ উপগ্রহের ছবিতে নয়, ঘরবন্দী ইউরোপের মানুষ খালি চোখেও দেখতে পাচ্ছে ঝকঝকে নির্মল আকাশ! স্মরণকালের মধ্যে যা তারা কখনো দেখেনি!
তাহলে কি মানুষের অত্যাচার-অনাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পৃথিবী তথা প্রকৃতি নিজেই নিজেকে বঁাঁনোর শেষ উপায় হিসেবে মানুষকে ঘরবন্দী করার উপায় খুঁজে নিয়েছে? কে জানে? তবে একজন বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে আমি এখানে পৃথিবী অথবা ‘প্রকৃতি’র জায়গায় স্রষ্টাকে বসিয়ে নেবো। মানুষ তো নিজের সঙ্গেও কম অবিচার করেনি! হ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা