সমতাভিত্তিক বণ্টননীতি উপেক্ষিত
- সালাহউদ্দিন বাবর
- ১৫ মার্চ ২০২০, ২১:১৯
ক্ষমতার সাথে যুক্ত রাজনীতিকরা বলছেন, দেশের উন্নতি হচ্ছে। অর্থনীতির অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, জাতীয় আয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এসব কিছু সঠিক ধরে নিয়েও প্রশ্ন হতে পারে, এই উন্নতির ভাগ যোগ কিভাবে হচ্ছে? এই জনপদের খেটে খাওয়া সাধারণ নিম্নবিত্তের মানুষ, কলের শ্রমিক, স্বল্প আয়ের চাকরিজীবী, মাঠের চাষি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উন্নয়নের এই ছোঁয়া কতটুকু পেল? নাকি প্রবৃদ্ধির বেশির ভাগই দু’চারজন অসাধারণ বিত্তবানের ভাগে পড়েছে? সেই হিসাব কোথায় কিভাবে হবে? তা ছাড়া, এমন হিসাব করা এবং দেয়া-নেয়া নিয়ে স্বচ্ছতারও অভাব রয়েছে। অথচ এসব নিয়ে সুস্পষ্ট জাতীয় নীতি হচ্ছে, সম্পদের বৈষম্যহীন বণ্টন নিশ্চিত করা। দেশের ঘোষিত ‘মালিক’ হিসেবে সাধারণ মানুষের যে গুরুত্ব তা আর নেই; তাতে বঞ্চিত হচ্ছে সৎ নিষ্ঠাবান স্বাভাবিক উদ্যোক্তা শ্রেণী। হরদম অভিযোগ শোনা যায়, সমৃদ্ধির সেই ক্ষির মাখনে ভাগ বসাচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী সব দুর্বৃত্ত। এমন অনিয়ম বিরাজ করায় অর্থনীতির সমতাভিত্তিক সম্পদ বণ্টনের সাধারণ নীতি বিদ্যমান থাকছে না বিধায় সম্পদ সঞ্চারিত না হয়ে শ্রেণী বিশেষের হাতে সেটা পুঞ্জীভূত হচ্ছে। এভাবে অনিয়ম ও অসামঞ্জস্য সৃষ্টি হওয়ার কারণেই ধনিক শ্রেণীর সংখ্যা এবং তাদের কব্জায় থাকা ধনভাণ্ডার ক্রমান্বয়ে স্ফীত ও প্রসারিত হচ্ছে। অপর দিকে, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর আয় রোজগার হ্রাস পেয়ে চলেছে।
দেশের সাধারণ মানুষের আর্থিক সামর্থ্য যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনি অতীতে দেশের রাজনীতির নেতৃত্বে-কর্তৃত্বে যে প্রাধান্য শিক্ষিত মধ্যবিত্তের হাতে ছিল, দিনে দিনে সেটাও হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশেষ, একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে যারা স্থান করে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশের ঊর্ধ্বে রয়েছেন বিত্তবান ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধিত্ব। বিত্তবান এসব সদস্যের পক্ষে নিজেদের শ্রেণিস্বার্থের বাইরে এসে কিভাবে জনসাধারণের জন্য চিন্তাভাবনা করা সম্ভব? এর বিপরীত কোনো নজির এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। একাদশ সংসদের বয়স এক বছরের বেশি সময় অতিক্রম করলেও এই সময়সীমায় এই সংসদের কার্যক্রম যতটুকু লক্ষ করা গেছে, তাতে সেখানে এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়নি; যাতে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আর এটা আসলে কোনো অস্বাভাবিক বিষয়ও নয়। কেননা, সংসদের যে গঠনবিন্যাস তাতে এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের কাছে সংসদের এসব সদস্য দায়বদ্ধ নন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সংসদে হাজির হয়েছেন, সে ভোটে তাদের কোনো মানুষের কাছেই সমর্থনের জন্য যেতে হয়নি। ক্ষমতা বাহুবল পরিবেশ পরিস্থিতি আর প্রশাসনের কাছ থেকে আনুকূল্য পেয়েই তারা ‘ভাগ্যের বরপুত্র’ হয়ে গেছেন। কাউকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা কারো কোনো দায় নিয়ে এসব ‘ভাগ্যবান’ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা-কর্তৃত্ব সম্মান আর নেতৃত্ব পেতে হয়নি। তাই এমন প্রক্রিয়ায় সংসদে আসন নেয়া এমপিদের কোথাও কারো কাছে নিজেদের পেশ করতে হচ্ছে না। কিন্তু একটি পার্লামেন্ট সংসদের কাছে এটিই স্বাভাবিক চাওয়া যে, তারা দেশ ও জাতির জন্য কাজ করবেন। সংসদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে দেশে গতিশীল সক্রিয় কর্মপটু একটি প্রশাসন কার্যকর হতে পারে। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নির্বাহীদের জবাবদিহি করার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সংসদ। জনস্বার্থে রাজনীতির চর্চা করা যাদের ধ্যানজ্ঞান, কেবল তাদের পক্ষেই এই নির্বাহীদের জবাবদিহির জন্য পাকড়াও করা সম্ভব। অথচ আজকের এই সংসদের বেশির ভাগ সদস্যের পেশা হচ্ছে বাণিজ্য। তাই সরল হিসাবে বাণিজ্যই হচ্ছে তাদের ধ্যান-জ্ঞান। তাদের সর্বদা চিন্তা হবে নিজেদের বাণিজ্যের স্বার্থ আর সমৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ রাখা নিয়ে। এই পথে চলতে কোনোভাবেই কোনো বাধা-বিপত্তি আর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি তারা নিতে চাইবেন না। এই লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো রাজনৈতিক নির্বাহী তথা মন্ত্রীদের কোনোভাবেই ঘাঁটাতে চাইবেন না। এসব কারণে গত এক বছর সময়ে লক্ষ করা গেছে যে, সংসদের এমন কিছু নিয়ে কোনো কথাই হয়নি যাতে কোনো মন্ত্রী বিব্রতবোধ করেন। বরং মন্ত্রীদের সুখ্যাতি আর তাদের তোষণই করা হয়েছে।
এ দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র দৃশ্যত বহাল রয়েছে। সে হিসেবে সংসদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা। জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যে সঙ্কট রয়েছে তার স্বরূপ নিয়ে আলোচনা এবং সেগুলো নিরসনের পথ-পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ এই সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ফোরাম থেকেই আসার কথা। সে কারণে সংসদের স্বরূপ হবে প্রাণবন্ত এবং জনগণের আসা-ভরসার স্থল। রাষ্ট্রের তিন অঙ্গের একটি হচ্ছে আইন সভা। সেটা যদি নিখুঁতভাবে সক্রিয় না হয় তবে রাষ্ট্রযন্ত্রে খুঁত দেখা দেবেই এবং ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হবে। অথচ প্রতিদিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে দেশের শত অভাব অভিযোগ আর বঞ্চনার অসংখ্য কাহিনী তুলে ধরা হচ্ছে। এসব অব্যবস্থা অনিয়ম আর দুরাচারীদের দৌরাত্ম্য সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সংসদে এর কোনো প্রতিফলন-প্রতিকার নেই। দেশে আইন আছে। সে আইন বলবৎ করে সমাজবিরোধীদের শায়েস্তা করার জন্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এত সব উদ্যোগ আয়োজন সত্ত্বেও তার প্রতিকারের পথে কোথায় যেন শত বাধা। জনগণের পাশে থাকা এবং তাদের সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে এখন প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও উদ্যোগহীনতা শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, রাষ্ট্রের অপর অঙ্গ বিচার বিভাগের সম্মানিত বিচারকদের নজরেও পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইদানীং বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে এসবের প্রতিকার করার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্বাহী বিভাগের প্রতি নির্দেশ জারি করা হচ্ছে। সম্মানিত বিচারকদের সরাসরি দায়িত্বের মধ্যে এসব না পড়লেও মানুষের ভোগান্তি-সচেতন বিবেকবান মানুষ হিসেবে তারা জাতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। বিচার বিভাগের সম্মানিত সদস্যদের ভূমিকা যেমন দৃষ্টিগ্রাহ্য হচ্ছে, তেমনি এটাকে প্রশংসনীয় বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। পক্ষান্তরে এসব অব্যবস্থার বিষয়গুলো দেখভালের ব্যাপারে যারা প্রকৃত দায়িত্বশীল সেই নির্বাহী বিভাগের দিবানিদ্রায় নিমগ্ন থাকার দায়ে তাদের নিন্দার ভাগীদার হতে হবে। এসব দায়িত্বশীল তাদের কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে এমন নিষ্পৃহ থাকা আরো প্রমাণ করে যে, তারা দায়িত্ব পাওয়ার জন্য তদবির, দেন-দরবার করেন বটে। অথচ দায়িত্ব পাওয়ার পর তাদের আর কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না এটি পালনের ব্যাপারে। আচরণের এমন বৈপরীত্ব বস্তুত নীতিভ্রষ্টতার পরিচায়ক। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনের প্রচারণাকালে প্রার্থীরা নগরবাসীর কাছে এত সব ওয়াদা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার অনেক বিষয়ই তাদের দায়িত্বের আওতার মধ্যে পড়ে না। তাহলে কি তারা তাদের দায়িত্বের সীমা ও পরিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন? আসলে এই অনুমান সঠিক নয়। কেননা এসব প্রার্থীর অনেকেই ছিলেন এই করপোরেশনের সিটিং কাউন্সিলর। তাই তাদের জানা আছে কী বা কতটুকু তাদের দায়িত্বের আওতায় রয়েছে। তার পরও ঢাকা মহানগরীর অধিবাসীদের অলীক অসার সব প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এমন ওয়াদা করা হলো নিছক এ জন্যই যে, তাতে মানুষের মন ভুলিয়ে বিজয়ী হওয়া যাবে। এমন ছলনা প্রকৃতপক্ষে সেসব প্রার্থীর নৈতিক দেউলিয়াত্বেরই প্রমাণ। এমন ধোঁকাবাজির আচরণ এখন শুধু এই পর্যায়েই নেই, নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত সর্বত্রই এমন ভাঁওতাবাজি লক্ষ করা যায়। অথচ বাংলাদেশের চিত্র বরাবর এমনটি ছিল না। একসময় সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিরা সমাজের নেতৃত্বের আসনে সমাসীন হতেন। তাদের বোধ-বিবেচনা আর কর্ম ছিল মানুষের কল্যাণ করা। মানুষের প্রতি মমতা স্নেহ আর ভালোবাসায় ভরপুর ছিল তাদের প্রাণ। অথচ এখন এমন চেতনায় উজ্জীবিত, সৎ ও সরলপ্রাণ মানুষের পক্ষে সমাজ-রাষ্ট্রের দায়িত্ব পাওয়া কল্পনাও করা যায় না। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার সুনির্দিষ্ট যে নীতি ও লক্ষ্য নির্ধারণ করে গেছেন দেশের স্থপতিরা; সে পথ ও লক্ষ্য ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত হয়েছে। এই পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই জনগণ নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছে। নাগরিক অধিকার বিশেষ করে গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। যেখানে এসব অধিকার ক্ষুণ্ন হয় সেখানে নাগরিকদের মর্যাদা-ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে থাকে এবং সমাজে মানুষের গুরুত্ব কমে যায়। আর সেজন্য দৌরাত্ম্য বাড়ে সমাজের অপশক্তির। তাতে সেখানে মানুষের আর বাসযোগ্য পরিবেশ থাকে না। কিন্তু এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করার কোনো প্রতিশ্রুতি কারো নেই।
আজকে দেশের যে পরিস্থিতি, তাকে একটি ক্রান্তিকাল হিসেবেই বর্ণনা করতে হবে। এর প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে উল্লিখিত পরিণতির জন্য দেশের জনগণকে দায়ী করা যাবে না। বিচ্যুতি ঘটেছে আসলে সমাজের এক ক্ষুদ্রাংশের মধ্যে যারা এর নেতা। তারাই ক্ষমতার চর্চা করেন, নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব তাদের হাতেই। রাষ্ট্রতরীর হাল তারাই ধরে আছেন। যেদিকে তারা সমাজকে পরিচালিত করতে চান, সেদিকে হয়ে থাকে তার গন্তব্য। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ দিন যারা দেশের ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগ অর্জনের পরিণতিই হচ্ছে সমাজে আজকের এই সঙ্কট। এই পথ থেকে ফিরতে হলে তাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে। তার প্রথম সোপান হচ্ছে নিজেদের বোধ-বিবেচনা পরিশুদ্ধ করা। আর সে আলোকে কর্মপরিকল্পনা পুনর্নির্ধারণ করা। ব্যক্তি আর গোষ্ঠীর উন্নতির জন্য যত সব উদ্যোগ আয়োজন ছিল, তা শুধরে নিয়ে দশ ও দেশের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। ‘আমি ও আমরাই’ কেবল দেশের দায়িত্ব-কর্তৃত্ব পালন করার জন্য যোগ্য ও উপযুক্ত। সেজন্য নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব আমাদেরই প্রাপ্য। আর জন-আকাক্সক্ষা, অভিপ্রায়ের মূল্য নেই- এমন একপেশে ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্বজনীন শুদ্ধাচারের যে নীতি ও আদর্শ সেখান থেকে পাঠ গ্রহণ ও অনুশীলন করতে হবে। সাধারণ জনগণ হচ্ছে দেশের মালিক- এই চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা ও স্বীকৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই জনগণের পছন্দ ও বিবেচনাকে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত হিসেবে মান্য করা আবশ্যক। এ জন্য সাধারণ মানুষের অভিমত প্রকাশের যে পথ প্রক্রিয়া রয়েছে, তাতে যত অনিয়ম অব্যবস্থা পুঞ্জীভূত হয়ে আছে, সেটা দূর করার মধ্য দিয়েই শুদ্ধাচারে দীক্ষার একটি সোপান অতিক্রম করা যায়। তবে এই পথে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হিসেবে আবির্ভূত হবে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর প্রতিভূরা। তারা দীর্ঘকাল দেশে বিরাজিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। জনস্বার্থ আর কায়েমি স্বার্থের মাঝে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হবে, সেখানে সবারই এমন ভূমিকা রাখা অপরিহার্য যাতে বর্তমান ক্রান্তিকালের অবসান ঘটে আর নতুন প্রভাতের সূর্যোদয় হয়। সেই নতুন প্রভাতের আগমন অপরিহার্য করে তুলতে হবে। কেননা, দেশের নাগরিকরা শুধু শান্তি ও স্বস্তিই হারায়নি, দুর্নীতি আর অনিয়মের জন্য বিশ্ব সমাজে তারা মর্যাদা ও সম্মান হারিয়েছে। এ দেশের প্রতিটি নাগরিক সেজন্য গ্লানিতে ভুগছে।
ndigantababor@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা