আইনের শাসনের গতি যে দিকে
- জসিম উদ্দিন
- ১১ মার্চ ২০২০, ১৮:১০
গত সপ্তাহে আমরা ক্ষমতাসীন দলের দু’জন নেতার ক্ষমতাচর্চার চিত্র দেখলাম। গণতন্ত্রের অনুশীলনে আমরা কতটা অগ্রসর, সেটা পানির মতো পরিষ্কার। দু’জনেই জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একজন রাজধানী ঢাকা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আসলামুল হক। তিনি বুড়িগঙ্গা ভরাট করে নিজের ব্যবসায়িক স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বুড়িগঙ্গার ওপর তার স্থাপিত কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। সিটিং এমপি আসলামুল হক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করে প্রথমবারের মতো তার স্থাপনা রক্ষা করতে ব্যর্থ হলেন। অর্থাৎ আইনের স্বাভাবিক গতির কাছে তিনি এবারই প্রথম পরাস্ত হলেন। রাজধানী ঢাকায় সরকারি দলের সদস্যদের এমন ‘পরাজয়’ সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন। সাধারণ মানুষের ধারণা, এ দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের অন্যায় অপকর্ম রুখতে পারে, দেশে এমন কেউ নেই। আসলামুল হকের ‘সাময়িক পরাজয়’ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। তবে প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনের শাসনের এমন জয় প্রত্যাশা করা একেবারেই দুরাশা। আরো অনেক ঘটনা দেশে ঘটছে তা থেকে সেটা আমরা বুঝতে পারব।
গত সপ্তাহে অন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা নি¤œ আদালতে ঘটেছে। ওই ঘটনায় পিরোজপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে দেয়া রায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে স¤পূর্ণ উল্টে গেছে। শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বিচারক নিজের অবস্থানে টিকতে পারেননি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জামিন আবেদন নাকচকারী বিচারক স্ট্যান্ডরিলিজ হয়ে গেলেন। আইনের স্বাভাবিক গতি রীতিমতো এখানে উল্টোপথে যাত্রা করল।
ঢাকা শহরে ভূমিখেকোরা পুকুর ডোবা নালা সব ‘খেয়ে ফেলেছে’। লাইফলাইন ঢাকার নদীও খেয়ে ফেলেছে তারা। ঢাকা শহরে রয়েছে অসংখ্য ‘খেকো’। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন প্রধান উপদেষ্টা তাদের ‘বাজিকর’ আখ্যা দিয়েছিলেন। সরকার চালায় মানুষ। প্রকৃতি ও পরিবেশ যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে সরকার চালানো মানুষরা আর টিকে থাকতে পারবে না। নদীখেকোদের বিরুদ্ধে তাই প্রশাসনের কার্যকারিতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। বুড়িগঙ্গা রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ। সংসদ সদস্য আসলামুল হক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দেন গলা উঁচিয়ে। তিনি কর্মকর্তাদের স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জোরগলায় শাসাচ্ছিলেন। সরকারি কর্মকর্তারা তাকে বুঝিয়ে দেন যে, তিনি নদীর জায়গা দখল করে রেখেছেন। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দৃঢ়তা দেখালে তিনি চুপসে যান। পরে তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীদের পুলিশ ও আনসাররা তাড়িয়ে দিয়েছেন।
আইনের রক্ষক হয়ে সরকারের কর্মকর্তারা ক্ষমতাসীন দলের দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেন, এমনটা ধারণার অতীত। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল নদী রক্ষায় সরকারের এখন শক্ত অবস্থান নেয়ার কারণে। নদী রক্ষা করা না গেলে একসময় এর পারের প্রতিবেশীরাও আক্রান্ত হবেন। এর ক্ষতিকর প্রভাবের বাইরে কেউ থাকতে পারবেন না। সরকারের কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের সার্ভেন্ট বা সেবক। দেশের প্রয়োজনে তারা সঠিক কাজ করতে বাধ্য। তাদের ওপর নেতৃত্বে রয়েছে সরকার। আসলামুল হকের বিরুদ্ধে আইনের স্বাভাবিক গতি কাজ করেছে। প্রজাতন্ত্রের সেবকরা অন্যায়কারী একজন ক্ষমতাবানকে রুখে দিতে পেরেছেন, কারণ সরকারের ওপরের মহল থেকে কেউ ওই ক্ষমতাবানকে আর সমর্থন করেননি। তাই সেবকদের কোনো চাপে পড়তে হয়নি। অথচ একটি ফোনেই ঘটনা উল্টে যেতে পারত; তখন ভূমিখেকোর জয়োল্লাস হতো। সরকারের পুলিশ ও আনসারদের পরাস্ত হয়ে পিছু হটে আসতে হতো। ফোনটা এমন কর্তৃপক্ষ থেকে আসে, যাদের হাতে রয়েছে নিয়োগ বদলি ও পদোন্নতি। যেমন, এবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজকে ওএসডি করা হলো। নদী রক্ষা করতে হবে এ ব্যাপারে সরকার মোটামুটি কনভিন্সড হয়েছে। সরকারি দলের নেতার খায়েশের চেয়ে নদী বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে এখানেও ‘গণেশ’ উল্টে যেতে পারে। নদীখেকো নেতা যদি সরকারের ভেতর আরো অনেক বেশি প্রভাব রাখেন। অর্থাৎ সরকার যদি মনে করে যে, নদীরক্ষার চেয়ে আপাতত ওই নেতাকে খুশি করা দরকার। তিনি তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আইনের গতিকে বন্ধ বা শ্লথ করে দিতে পারেন। আমরা আশা করব, নদী বাঁচানোর ক্ষেত্রে সরকার, আর কারো কাছে নতিস্বীকার করবে না। যেমনটি নদীরক্ষার ক্ষেত্রে আগে অহরহ ঘটে আসছে। ঢাকার নদীগুলো রক্ষার অভিযান অনেকবার শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষ করা যায়নি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক উচ্ছেদ করা স্থাপনা আবারো একই স্থানে গড়ে উঠেছে কিংবা অনেক স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযানই চালানো যায়নি। ‘নদীরক্ষা কমিশন’ সারা দেশে নদীরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। তার পরও এখন পর্যন্ত নদীরক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়নি। নদী বাঁচানো না গেলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এক সময় বসবাসের উপযোগিতা হারাবে। আমরা আশা করব, এ ব্যাপারে সরকার আইনের গতিকে আরো বেগবান করবে।
আসলামুল হক বুড়িগঙ্গা ভরাট করে সেটা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করছেন। তার পাওয়ার প্লান্টের জন্য তৈরি করা কয়েকটি স্থাপনা অভিযানে উচ্ছেদ করা হচ্ছিল। এ ছাড়াও নদীর তীর বরাবর বিপুল অংশ ভরাট করে তিনি স্থাপনা তৈরি করেছেন। অভিযানের দিন পাশেই একটি বাংলোতে সারা দিন তিনি অবস্থান করেছেন। ওই বিলাসবহুল বাংলোটিও বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে তৈরি করা হয়েছে। আসলামুল হক একজন আইন প্রণেতা। তিনি দেশের মানুষের জন্য আইন তৈরি করেন। সেজন্য তিনি সংবিধানে হাত রেখে শপথও নিয়েছেন। তিনি কোনোভাবে আইন ভঙ্গকারী হতে পারেন না। সাধারণ আইন ভঙ্গ করা নয়, তিনি বুড়িগঙ্গা হত্যা করে সরাসরি জনস্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাদের দেশের আইন প্রণেতাদের অনেকের মানই এখন এই পর্যায়ে রয়েছে।
সরকারি দলের একজন সাবেক সংসদ সদস্যের ক্ষমতার ‘হাত কতটা লম্বা’ পিরোজপুরের ঘটনাটি তার একটি উদাহরণ মাত্র। সরকার আশীর্বাদ করলে কী ঘটতে পরে, সেটাও এই ঘটনায় স্পষ্ট। আইনের শাসনের গতি কতটা টালমাটাল ও দিশাহারা হয়ে যেতে পারে, ঘটনাটি তারও নজির তৈরি করেছে। বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে বিভিন্ন মহল অভিযোগ করে আসছেন। পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়ালের জামিন নাকচ করার পর এই ভয়াবহ ঘটনাটির সূত্রপাত। আদালতের রায় কার্যকর হবে, এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। এ ঘটনায় দেখা গেছে, রায় উল্টে গেল। এর সাথে হাকিমের অবস্থানও নড়ে গেল।
ওই নেতার জামিন নাকচ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সে বিচারককে বদলি করার ঘটনা ঘটেছে। তার স্থলে নবনিযুক্ত বিচারক ক্ষমতাসীন দলের ওই নেতাকে তাৎক্ষণিক জামিন দেন। এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রী একটা ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বাস্তবে সরকারি দলের নেতার জামিন নাকচ ও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার জামিন দান এবং বিচারকের তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ডরিলিজ বিচারব্যবস্থায় নতুন একটা বড় ধরনের ক্ষত তৈরি করেছে। এ ঘটনা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাকে নিঃসন্দেহে আরো নড়বড়ে করে দিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা টিআইবির পক্ষ থেকে এ ঘটনাকে ‘বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের বিচারিক ইতিহাসে বিরল ও ভয়াবহ দৃষ্টান্ত’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে খাসজমিতে ভবন নির্মাণ, অর্পিত সম্পত্তি ও পুকুর দখলের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি মামলায় আউয়ালের সাথে তার স্ত্রী ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভিনও আসামি। ওইসব মামলায় উচ্চ আদালতের দেয়া অন্তর্বর্তী জামিনের শেষে ৩ মার্চ দুপুরে পিরোজপুর জেলা আদালতে আসামিরা জামিনের জন্য আবেদন করেন। বিচারক মো: আবদুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় এই বিচারককে ঢাকায় বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে সংযুক্তির আদেশ পাঠায়। বিকেলে তার স্থলাভিষিক্ত হন ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিন। এবার তিনি আগের বিচারকের বিপরীতে, আউয়াল ও তার স্ত্রীকে জামিন দেন। ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতাকে জামিন না দেয়ার সাথে বিচারকের ওএসডি হওয়ার পরিষ্কার সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। তবে আইনমন্ত্রী বলেছেন, এ ঘটনায় আইনের শাসনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। এ ঘটনার জন্য তিনি বিচারকের ‘দোষ’ দেখছেন। তিনি বলেন, বিচারক আবদুল মান্নান আসামিদের সাথে অশালীন ও রূঢ় ব্যবহার করেছেন।
সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে বিচারক রূঢ় আচরণ করবেন- আমাদের আদালতের আঙিনায় এখন এমন কল্পনাও করা যায় না। বর্তমান সরকার অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এ সরকারের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে কেউ কিছু করবে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিচারকের সাথে তার এই বিচারপ্রার্থীর শত্রুতা বা বিরোধিতাও ছিল না। এ অবস্থায় আইনমন্ত্রীর সাফাই গাওয়া বাস্তবসম্মত নয়। বিচারক যদি আসামির বিরুদ্ধে রূঢ় আচরণ করেন, তাহলেও কি তার বিরুদ্ধে স্ট্যান্ডরিলিজ অর্ডার ইস্যু করার সুযোগ আছে? বিচারকের কোড অব কন্ডাক্ট রয়েছে। সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পূর্ণ অধিকার সরকারের হাতে রয়েছে। আচরণবিধি মেনে না চলার জন্য ব্যবস্থা নেয়া আর স্ট্যান্ডরিলিজ করা এক কথা নয়।
এম এ আউয়াল সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, তাকে ও তার স্ত্রীকে জামিন দিতে বিচারককে নিষেধ করেছেন মৎস্য ও প্রাণি সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রীর কথিত রূঢ় আচরণের প্রসঙ্গ সেখানে ছিল না। স্ট্যান্ডরিলিজ করার পর বিচারকের বিরুদ্ধে এমন হাস্যকর অভিযোগ আনা হচ্ছে। সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে পরে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিমকে নমিনেশন দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আউয়ালের তীব্র সমালোচনা থেকে উভয়ের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের ব্যাপারটি স্পষ্ট বোঝা যায়। দ্বন্দ্বের জেরে বিচারকের ওপর প্রভাব খাটানোর ঘটনাটি ঘটলে সেখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আদৌ কতটা রয়েছে, অনুমান করা যায়। বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ভোগ করলে স্বাভাবিকভাবে সবাই আদালতের পক্ষ থেকে সমান আচরণ পেতেন। বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, বিচার অনেকটাই ক্ষমতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু মানুষের বিচার পাওয়া অত্যন্ত দুরূহ হয়ে গেছে। অনেকের জন্য আদালতে কোনো প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থাই আর অবশিষ্ট নেই। সমাজের বিরাট একটা শ্রেণীর জন্য এটা বড় একটি হতাশার কারণ। অবশ্য সরকার দাবি করে আসছে, তারা বিচারব্যবস্থার ওপর প্রভাব খাটান না। ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে ভেতরের খবর এখন আপনা হতে প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে।
জামিন নামঞ্জুরের পর বিচারক স্ট্যান্ডরিলিজ হয়ে গেলেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই নতুন বিচারক দায়িত্ব পেলেন। নতুন বিচারক আলোচ্য নেতাকে জামিন দিয়ে দিলেন।
এ অবস্থায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী লোকদের বিচার করা বিচারকের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলতে হবে। তার সাথে রূঢ় ব্যবহার করার বিষয় তো অলীক ও অবাস্তব। যা হোক, ব্যাপারটি কয়েকজন আইনজীবী উচ্চ আদালতের নজরে এনেছেন। উচ্চ আদালত এক আদেশে বিচারক আবদুল মান্নানকে তার পদ থেকে সরিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। সত্যিকার অর্থে এ দেশে বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সরকারের আন্তরিকতা প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত সরকার নিজের নগদ লাভটিই মুখ্য হিসেবে দেখছে। তাই আইনের শাসনের স্বাভাবিক গতি বাংলাদেশে আপাতত একটি অলীক কল্পনা।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা