২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তবে কি ‘সকলই গরল ভেল’

-

নীতি-নৈতিকতা, মানবিকতা, মূল্যবোধ, সততা, সংযম, সহিষ্ণুতা- এমন সব পরিশুদ্ধ শব্দ একদা মানুষের জীবনাচরণের বিষয় হিসেবে স্মৃতি হয়ে আছে। এই শব্দাবলি এখন বিপুল বপুর অভিধানে শুধু স্থান করে আছে। এমন শব্দের অর্থও আজকের সমাজ থেকে বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে। এই নীতিসংশ্লিষ্ট শব্দগুলোর বিপরীত শব্দাবলি বাক্যবিন্যাসে সংযোজিত হচ্ছে সমাজের বাস্তবচিত্র ফুটিয়ে তোলার জন্যই। অস্থির বিপন্ন এক সমাজে মানুষ বসবাস করছে। জনপদে একদা নিরবচ্ছিন্ন শান্তি স্বস্তি আর শৃঙ্খলা বিরাজ করত; তা এখন নির্বাসিত। এখানে সজ্জনদের পদচারণায় পথঘাট আমোদিত হতো। হালে সেই সজ্জনের স্থান হয়েছে গৃহকোণে। আর রাজপথে দুর্বৃত্ত দুরাচারীদের দৌরাত্ম্য সীমাহীন। মূল্যবোধের এমন অবক্ষয় মানুষকে ক্ষয় রোগীর মতো নিষ্প্রাণ নির্জীব করে ফেলছে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এই অধঃপতন ঘটে চললেও যাদের দায়িত্ব ছিল ভাঙন রুখতে বাঁধ তোলার, সেই সমাজপতিরা নিজেদের নিয়ে এত বেশি ব্যতিব্যস্ত যে, এমন পারিপার্শ্বিক অবস্থায়ও তারা অচেতন। অথচ সমাজের নেতৃত্ব তাদেরই সাজে, যাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে নিষ্ঠা ও একাগ্রতা থাকে ষোলোআনা। এভাবে দায়িত্ব পালনের কোনো নজির দেখা না গেলেও নিজেদের ক্ষমতা-কর্তৃত্ব ধরে রাখতে তাদের প্রাণান্তকর চেষ্টা-তদবিরের কোনো শেষ নেই। এসব সমাজপতির প্রতি জনগণের কোনো আস্থা থাকে না বলে তাদের প্রতি সমর্থনও তারা দেয় না। এর পরও এসব ব্যক্তি ঘুরেফিরেই ক্ষমতা কব্জা করে নেন। আর এ ক্ষেত্রে কোনো বিধিবিধান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয় না বলে বিত্ত এবং প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে তারা অপ্রতিরোধ্য হয় উঠেছেন। জনমত এভাবে পরাজিত হয়ে আসছে। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের যে ভঙ্গুর অবস্থা, সেটা এ কারণেই। মানুষের মতামত নির্ণয়ের যে পথ-প্রক্রিয়া সেটাও অনিয়মের জোয়ারে ভেসে গেছে। মানুষের পছন্দের এবং যোগ্য-দক্ষ ব্যক্তিদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করার সর্বজনীন নীতি আর অনুসৃত হচ্ছে না।

এই নিবন্ধের সূচনায় নৈতিকতার যে অবক্ষয়ের দিকগুলো নিয়ে বলা হয়েছে, তার বহু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা উপসর্গ ইতোমধ্যে দেশ ও জাতিকে কলুষিত করে তুলেছে। নীতিভ্রষ্টতা এবং নৈতিকতার দেউলিয়াত্বের স্বাভাবিক পরিণতি হচ্ছে, এ মহা বিপদের মুখোমুখি হওয়া। এখন বিশ্বজুড়ে আমরা এই নাম কিনেছি যে, এ দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। দুর্নীতি এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে, তা এখন সমাজ-রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে মহামারীর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। সবচেয়ে যে বিষয়টি শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হলো- দুর্নীতির সাথে জড়িত দুর্বৃত্ত দুরাচারীরা অর্থ, বল, আর ক্ষমতার অধিকারী হওয়া। সঙ্গত কারণেই এখন এরা অপ্রতিরোধ্য। দেশের আইনকানুন, প্রশাসনিক ব্যবস্থা সবই তারা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই ‘রসুনে ভূত’ থাকলে তা দিয়ে অমঙ্গল ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না। গোটা দেশে দুর্নীতির অপছায়া সব কিছু গ্রাস করে ফেলেছে। এ অবস্থায় কী করে আশা করা যাবে যে, এ দেশে নীতির পতাকাকে উড্ডীন করা হবে।

নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের চেতনা শাশ্বত চিরন্তর। স্থান-কাল-পাত্রভেদে তার কোনো পরিবর্তন হতে পারে না। এই বোধ জাগ্রত রেখেই মানব সমাজকে এগিয়ে যেতে হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রের যারা কর্ণধার তাদের এই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করে তুলতে হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় লক্ষ্য ও আদর্শ হচ্ছে এসবের মিশ্রণে শুদ্ধ সুখী নিরাপদ এক জনপদ গড়ে তোলা। কিন্তু কথা হচ্ছে- এই লক্ষ্যে পৌঁছার পথ মোটেও মসৃণ নয়। এই পথে যারা জাতির কাণ্ডারি তারা কি এসব মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল? তাদের জীবনাচরণে এসব আদর্শের স্ফুলিঙ্গ কি লক্ষ করা যায়? ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাত ধরে দেশ প্রায় ১০ বছর চলছে। একটি সরকারের জন্য এটা কম সময় নয়। এই সময় দীর্ঘ হলেও দেশের প্রাপ্তির তালিকা কিন্তু খুবই সংক্ষিপ্ত; আর অনিয়ম-অনাচারের ফিরিস্তি করা হলে, তা হবে অনেক দীর্ঘ।

অতি সম্প্রতি জাতীয় পত্রপত্রিকায় দুটি খবর অত্যন্ত মশহুর হয়েছে। তার একটি, যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ভয়াবহ অপকর্মের কাহিনী। পাঠক তার কুৎসিৎ জীবনের নানা কাহিনী জেনে গেছে। তিনি দীর্ঘদিন দেহ ব্যবসা, অর্থ, মাদক ব্যবসাসহ শত জঘন্য অপকর্ম করে অর্থ-বল-ক্ষমতা অর্জন করেছেন। শুধু একাই নন, তার এমন তরক্কির পেছনে মদদ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কিছু শীর্ষ নেতার। আরেকটি খবর হচ্ছে- সম্প্রতি বহিষ্কৃত, রাজধানীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতার টাকার গুদামের অনুসন্ধান লাভ। নগদ কোটি কোটি টাকা, স্বর্ণ ও বিপুল অঙ্কের এফডিআর সে গুদাম থেকে পাওয়া গেছে। যদি এসব নিয়ে আরো অনুসন্ধান করা হয়, তবে ক্ষমতাসীনদের এমন বহু কেউকেটার সন্ধান পাওয়া যাবে যারা এমন পাপাচারে নিমজ্জিত। এসব অপকর্ম আড়ালে আবডালে ঘটেছে। কিন্তু কিছু দিন আগে রাজধানী ঢাকায় ক্ষমতাসীনদেরই প্রভাবশালী সহযোগীরা প্রকাশ্যে জুয়া তথা ক্যাসিনোর মেলা বসিয়েছিল দীর্ঘসময়। অথচ জুয়া সাংবিধানিকভাবে একটি বেআইনি কাজ। কিন্তু ক্ষমতা আর কর্তৃত্বের জোরে এসব আয়োজন করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সম্পূর্ণ গোচরেই। শুধু কি ওদের দুর্বলতার কারণেই এমন গর্হিত আইন ও সমাজবিরোধী কাজগুলো পল্লবিত হয়েছে? এমন সরল বিবেচনা সঠিক নয়। আসলে উচ্চতর রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষকে এসবের দায় থেকে মুক্ত বলে মনে করা যায় না।

এসব নেতা যখন রাষ্ট্রের পদ-পদবি লাভ করেন, তখন তারা এই মর্মে শপথ গ্রহণ করেন যে, তারা বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করবেন এবং সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। এ ছাড়া ভীতি বা অনুগ্রহ-অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হয়ে, সবার প্রতি আইন অনুযায়ী যথাবিহিত আচরণ করবেন। এই পবিত্র শপথের কোনো ব্যত্যয় যদি কারো দ্বারা সংঘটিত হয়, তবে তা নিঃসন্দেহে গর্হিত অপরাধ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, সমাজে নীতি-নৈতিকতার যে অবনতি ঘটছে; তাতে এ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের মূক ও বধির হয়ে থাকা কতটা সমীচীন? আজকে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে যেসব প্রধান সমস্যা রয়েছে, তার অন্যতম হচ্ছে সংযম-সহিষ্ণুতার বিষম ঘাটতি। বিশেষ করে, রাজনৈতিক অঙ্গনে এসব নীতি আদর্শের চর্চা না হওয়ায় রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত আর সংঘর্ষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ গণতন্ত্রকে অর্থবোধক করতে মত-পথের ভিন্নতাকে স্বীকার করে সহাবস্থানের চেতনাই উচ্চকিত করতে হবে। ক্ষমতাসীনরা জনসমর্থনপুষ্ট। সেই সাথে এ কথাও ভুললে চলবে না, সরকারের প্রতিপক্ষ যারা, তারাও এ দেশের মানুষের একটি বড় অংশের মত-পথের প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকেন। এটা মনে রাখা হলে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বিকশিত করা যাবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি কেবল দল-বিশেষের ভূমিকাই মুখ্য হয়ে ওঠে, তবে চিন্তার ও কর্মের পরিধি সীমিত হয়ে পড়ে। তাতে শুধু অন্যায় অহমিকাই বিস্তৃত হবে না, একক চিন্তার এমন প্রাধান্য ঘটলে ভুলভ্রান্তির আশঙ্কাই বৃদ্ধি পাবে। আজকে প্রশাসন পরিচালনায় যে ভুলভ্রান্তি আর অনিয়ম-অনাচার, সেটা মূলত চিন্তার একমুখিতার কারণে। অথচ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে পরিশুদ্ধ, পরিশীলিত হওয়ার পথ। আলোচনা-সমালোচনা অপরিহার্য, কিন্তু সেজন্য উভয়পক্ষকে পারস্পরিক শ্রদ্ধা-সৌজন্য বজায় রাখাটাও শিষ্টাচারের পরিচায়ক। সেই সাথে সব কিছুর সীমাকে স্মরণে-আচরণে প্রাধান্য দিতে হবে। রাজনীতিতে ভিন্নমত ও পথের সংমিশ্রিত ধারাটা বহমান রাখতে হবে। এ দেশ কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর নয়, সব মানুষ মিলেই বাংলাদেশ। আমাদের সংবিধান দেশের মালিক হিসেবে ঘোষণা করেছে জনপদের প্রতিটি নাগরিককে। বৃহত্তর এই জনগোষ্ঠীর একক কোনো মুখপাত্র থাকতে পারেন না। তাই সবাইকে ভিন্ন ভিন্ন পথপরিক্রমায় একক লক্ষ্যে পৌঁছতে হবে, সেটা হলো- বাংলাদেশ এবং এ জনপদের মানুষের কল্যাণ। বাংলাদেশের যারা স্থপতি তারা এমনটি চাননি। বরং আজকে দেশের হাল-অবস্থা তাদের রেখে যাওয়া নীতি ও আদর্শ থেকে বৃন্তচ্যুত হওয়ার শামিল। তারা যেভাবে রাষ্ট্র গঠনের নীতি-পদ্ধতির প্রবর্তন করেছিলেন, সেটা আজ আর স্মরণ করা হচ্ছে না। তাদের উত্তরসূরিরা এমন বিপথে চলার ব্যাপারে কী জবাব দেবেন!

সমাজ ও রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড নীতি-নৈতিকতা আর শুদ্ধাচার। এ আদর্শগুলো আত্মস্থ করে তার চর্চা ও অনুশীলন হলেই জাতির শিরদাঁড়া মজবুত হবে। এই মজবুতি দেশের দণ্ডায়মান হওয়া এবং সম্মুখে এগিয়ে যাওয়ার বল আর উদ্যম লাভ করতে অপরিহার্য। তাই যে আদর্শগুলো শক্তি জোগায়, তার সামনে যত বাধা-বিপত্তি রয়েছে তা হটাতে হবে। এখন সমাজের যে অবস্থা সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানোর প্রাণশক্তি নিঃশেষ হয়ে গেছে। নীতিভ্রষ্টতা এবং নৈতিকতার চরম দেউলিয়াত্বই এই পরিণতি ডেকে এনেছে। এ জন্য আত্মবিশ্লেষণ করে আত্মোন্নয়নের পথ অনুসন্ধান করতে হবে। যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন, তাদের সেই দায়িত্ব দেয়ার আগে সেসব ব্যক্তির কোষ্ঠীনামার বিচার-বিশ্লেষণ করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। অথচ এখন ক্ষমতা দেয়া নয়, কব্জা করাই নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পথ থেকে সরে আসা না গেলে যোগ্যতা, দক্ষতা আর সততার মাপকাঠিতে নেতৃত্ব বাচাইয়ের শুদ্ধ ও সঠিক পদ্ধতি কার্যকর হবে না। অর্থাৎ, দেশে বর্তমানে নির্বাচন যেভাবে হচ্ছে সেই ফ্রি স্টাইল ব্যবস্থা বহাল থাকলে নীতি-আদর্শের অনুসারী এবং দেশের কল্যাণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তিদের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করা কোনো দিনই সম্ভব হবে না। অথচ বিগত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অসন্তেুাষ, প্রশ্ন, অভিযোগ আর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এসব নির্বাচনে যারা ‘বিজয়ী’ হয়েছেন, তাদের জনগণের সমর্থনের দরকার হয়নি। অর্থ-বিত্ত আর বাহুবল এবং রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট কর্মকর্তাদের শুভেচ্ছা তাদের কথিত জয়কে নিশ্চিত করেছে। এখানে প্রার্থীদের যোগ্যতা, সততার কোনো বিচার-বিবেচনা হয়নি। গোটা ভোটব্যবস্থাই ছিল একটি মর্মান্তিক প্রহসন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে আইনকানুন ও নীতিনিষ্ঠতার কোনো পরিচয় দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। বরং এমন অভিযোগ রয়েছে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি, বরং ক্ষমতাসীনদের প্রতি অন্যায্য অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটানো হয়েছে। এমনিভাবে প্রশাসনিক পর্যায়েও নীতিভঙ্গ করা হয়েছে। সবচেয়ে উৎকণ্ঠিত হতে হয় এ কথা ভেবে যে, সর্বত্র নৈতিকতার যে ধস নেমেছে তা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বাদ পড়েনি। শিক্ষকরা এবং তাদের ছাত্ররা দলীয় রাজনীতির অন্ধ অনুকরণ করে চলছেন। তাদের বিবেচনায় এবং আচার-আচরণে সত্যনিষ্ঠার পরিবর্তে রাজনীতিই প্রাধান্য পাচ্ছে। সেখানে কারো প্রতি কারো কোনো সম্প্রীতি, সহমর্মিতা নেই। তাই এসব শিক্ষাঙ্গন থেকে যারা এখন বেরিয়ে আসছে, তারা সমাজে সুনীতির বিকাশে তেমন অবদান রাখতে পারছে না। অথচ এটা জনসাধারণের আকাক্সক্ষাই যে, শিক্ষালয় থেকে সুনীতি ও সৎকর্মের দীক্ষা নিয়েই যুবসমাজ জাতির নেতৃত্বে আসুক। কিন্তু সে আশার তো ‘সকলই গরল ভেল।’ কেননা, ছাত্ররা এবং যুবসমাজ এখন দলীয় রাজনীতির অনুসারী হয়ে এতটা সঙ্কীর্ণমনা হয়ে পড়েছে যে, ক্ষমতার রাজনীতির কূটচাল আর চলন-বলনকেই তারা অনুকরণীয় বলে ধরে নিয়েছে। তাদের অগ্রজ রাজনৈতিক নেতারা তো তাদের কাছে সেটাই কামনা করে চলেছেন।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ গুমের ঘটনা তদন্তে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি : কমিশন প্রধান প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিপনের লাশ সাড়ে ৩ মাস পর উত্তোলন নির্বাচনের জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করাই ইসির প্রধান কাজ : রিজভী পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয় কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে মৃত ১, নিখোঁজ ২ জাপান নতুন বাংলাদেশেরও বন্ধুই রয়েছে : রাষ্ট্রদূত পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় জিম্বাবুয়ের আদানির বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

সকল