আগুন জ্বলে নিত্যপণ্যের বাজারে
- জসিম উদ্দিন
- ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৫১
পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর উত্থান ঘটছে। বিআইডিএসের হিসাবে ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের আকার দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯২ সালে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ছিল দেশের লোকসংখ্যার ৯ শতাংশ, ২০১০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। একই সময় প্রতিবেশী ভারতে মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী ২৪ দশমিক ১ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় এ হার আরো বেশি, ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ। তবে বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে অর্থনীতির আকার অনেক বেড়েছে। সে হিসাবে দেশের মধ্যবিত্তের আকার নিশ্চয়ই অনেক বড় হয়েছে। ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি বাড়ার গতি ছিল বেশি।
সরকারের মতে, দেশ ‘উন্নয়নের দ্রুতগামী ট্রেনে’ রয়েছে। এ ট্রেন থেকে কেউ দেশকে বঞ্চিত করতে পারবে না। এতে গরিবি কাটিয়ে সব মানুষ প্রথমে মধ্যবিত্ত, পরে বিত্তশালী জনগোষ্ঠী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। আমাদের জাতীয় প্রবৃদ্ধি বিগত ২০ বছরে গড়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। এই সময়ে সাধারণভাবে দেশের মোট সম্পদ দুই গুণের বেশি বেড়েছে। গত কয়েক বছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ বা তারও বেশি বলে সরকার দাবি করছে। মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কতটা হয়েছে, সেটি হিসাব করা প্রয়োজন। আমরা যদি অর্থনৈতিক সূচকের প্রতিটিতে বর্ধিষ্ণুতা দেখি, তবুও বাস্তবে যদি মানুষের জীবনাচরণে তার প্রভাব না পড়ে তাহলে সেই পরিসংখ্যান আসলে কোনো কাজে আসবে না।
বিশ্বব্যাংকের হিসাবে যারা এক ডলার ৯০ সেন্ট বা তার কমে এক দিন চলে, তারা ‘দরিদ্র’। যাদের খরচের সামর্থ্য ১৬০ টাকার নিচে, তারা ‘দরিদ্র’। সেই হিসাবে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তিন কোটি ৬০ লাখ মানুষ দরিদ্র। এদের মধ্যে চরম দরিদ্র এক কোটি ৯০ লাখ। সব মিলিয়ে দেশে দরিদ্র জনসংখ্যা ২১ দশমিক ৮ শতাংশ। ১৯৯২ সালে এর হার ছিল ৫৯ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, বিপুল মানুষ দারিদ্র্যের চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছে।
একজন মানুষ যদি দুই ডলারের মতো নিয়মিত খরচ করার সামর্থ্য রাখে, তাদের মধ্যবিত্ত বলা যেতে পারে। ‘মধ্যবিত্ত’ বলতে সুনির্দিষ্ট করে তাকে বোঝানো হয়, যার দৈনিক আয় দুই থেকে তিন ডলারের মধ্যে রয়েছে। ধরে নিলাম, আড়াই ডলার আয় করার সামর্থ্যবান একজন মানুষ মধ্যবিত্ত। তাহলে তার মাসিক আয় হবে ৭৫ ডলার, যা ছয় হাজার টাকার সমান। বাস্তবে একজন মানুষ একা থাকেন না। সাধারণত পরিবার নিয়ে তার বসবাস। আর পরিবারের সব সদস্য আয় করেন না। সাধারণত পরিবারপ্রধান আয় করেন, বাকি সবাই তার আয়ে চলেন। একটি পরিবারে যদি পাঁচ সদস্য থাকেন, তাহলে সে পরিবারকে মধ্যবিত্তের মধ্যে পড়তে হলে পারিবারিক আয় হতে হবে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দিয়ে হিসাব করে দেখা যেতে পারে, এই মধ্যবিত্ত প্রতিদিন বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছেন কি না। কারণ মধ্যবিত্ত বলতে আমরা ধরে নিতে পারি, যারা মৌলিক চাহিদার সংস্থান করতে পারেন।
পণ্যমূল্যের হিসাব করার পর চিকিৎসা খরচের ব্যাপারটি দেখে নেয়া যেতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত সম্প্রতি পত্রিকায় একটি কলামে বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটানো কতটা দুঃসাধ্য, তা তুলে ধরেছেন। দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসা ব্যয়ের সাথে মধ্যবিত্তের আয়ের কোনো সঙ্গতি নেই। ডা: দত্তের হিসাব মতে, একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ফি এক হাজার টাকা।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ন্যূনতম খরচ তিন হাজার টাকা। রিপোর্ট দেখাতে গেলে আবার অর্ধেক ফি দিতে হয়। তিনি রিপোর্ট দেখাতে ফি নেন না। তাই একে যুক্ত করেননি। এক মাসের ন্যূনতম ওষুধ খরচ ধরেছেন তিন হাজার টাকা। মাসখানেক পরে ‘ফলোআপ’ পরীক্ষা এবং ওষুধ পরিবর্তন করতে আরো দুই হাজার টাকা এর সাথে যুক্ত হবে। তাহলে এক মাসে একজনের জন্য খরচ হচ্ছে ৯ হাজার টাকা। একজন মধ্যবিত্তের জন্য এ খরচ মানে তাকে মধ্যবিত্ত ছেড়ে নিম্নবিত্ত কিংবা অনেক সময় দরিদ্র মানুষের কাতারে নেমে যেতে হয়। দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সার ও হৃদরোগসহ জটিল রোগের চিকিৎসা ব্যয় আরো অনেক বেশি। অনেক সময় সেটি ১০ লাখ থেকে কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় মধ্যবিত্ত দূরে থাক, এমনকি ধনীরাও সর্বস্বান্ত হয়ে যেতে পারেন।
বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস পাওয়ার রেকর্ড হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতি বছর দারিদ্র্যের কাতার থেকে উঠে আসছেন। কিন্তু একই সাথে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দরিদ্রতার মধ্যে পতিত হচ্ছেন। এর মধ্যে মধ্যবিত্তের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। নিম্ন কিংবা দরিদ্ররা বিনা চিকিৎসায় থাকছেন বাধ্য হয়ে। মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী সেটিও পারেন না।
নিত্যপণ্যের মূল্যের কথা আমরা জানি। এ দেশে প্রতিটি পণ্যের দাম অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী। কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর হিসাবে, ২০১৯ সালে ঢাকায় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। আগের অর্থবছরে সেটি বেড়েছিল ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির যে চিত্র, সেটিও প্রায় একই রকম। ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষ হয়েছিল সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে। চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে এসে তা ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। দৈনিক প্রথম আলোর এক রিপোর্টে আয় বাড়ার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে তারা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা জরিপ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। মজুরি বাড়ার হার থেকে মূল্যস্ফীতির হার বাদ দিলে প্রকৃত মজুরি বেড়েছে কি না, সেটি জানা যায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, পণ্যমূল্য বাড়ার সাথে এর সমন্বয় নেই। সরকারের হালনাগাদ খানা জরিপ নেই। তাদের জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের মাসিক গড় আয় ছিল চার হাজার ৬১০ টাকা। ২০১০ সালের তুলনায় তা ৫৩৯ টাকা কম। সবচেয়ে উচ্চ আয়ের পরিবারে মাসিক গড় আয় ৯ হাজার ৪৭৭ টাকা থেকে ৪৫ হাজার ১৭২ টাকা দাঁড়িয়েছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, অবশ্য এ জরিপে সবচেয়ে ধনীদের প্রকৃত হিসাব আসে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তবে ধনীদের হিসাব পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স, বিশ্বব্যাংকের জরিপে।
পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির অভিঘাত মধ্যবিত্তের ওপরেই বড় আঘাত হানে। গরিব মানুষ তরকারিতে পেঁয়াজ পড়েছে কি না তা দেখার প্রয়োজন বোধ করে না। ভাতের সাথে একটা তরকারি, সেটা যাই হোক, হলেই হলো। মধ্যবিত্তকে পেঁয়াজ খেতে হয়। এর দাম ৩০০ টাকা ছুঁয়ে গেলে তার এক দিনের পুরো আয়ই লেগে যেতে পারে এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে। মধ্যবিত্ত বলতে সাধারণ ধারণা হচ্ছে, আয়রোজগার করে যারা প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে পারেন নিজের আয় থেকে। কিছু সঞ্চয়ও করতে পারেন। তার রয়েছে স্বস্তি ও শান্তি। তাই আয়-ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত নন তারা। কিন্তু বর্তমান সময়ে মধ্যবিত্তের চরিত্র আগের মতো নয়। তাদের নিয়মিত খাওয়া পরা শিক্ষা বস্ত্র বাসস্থান ঠিক রাখার জন্য রাতদিন খাটতে হয়। একটা চাকরির জায়গায় এখন তাদের দুটো চাকরি করতে হচ্ছে। গল্প করা, আড্ডা দেয়া, বই পড়া ও সিনেমা দেখার যে বিলাসিতা ছিল; সেটি সহজে হয়ে উঠছে না নব্য মধ্যবিত্তের। ফলে সমাজে ভারসাম্যপূর্ণ মননও গড়ে উঠছে না। এই মধ্যবিত্ত উদ্বিগ্ন ভীত-শঙ্কিত একটি শ্রেণী। এটি আগের সেই শ্রেণী নয়, যারা বৃহত্তর সমাজে ভারসাম্য ধরে রাখতেন। বিশেষ করে সরকার এবং রাজনীতিতে ইতিবাচক গুণগত পরিবর্তন আনতেন তারাই।
বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিপুল অংশ বেসরকারি চাকরি করেন। ২০১৫ সালের বিআইডিএসের পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৪৮ শতাংশের বেশি মধ্যবিত্ত বেসরকারি চাকরি করেন। সাধারণত তারা পোশাক কারখানা, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পে নানা পর্যায়ে নিয়োজিত। পোশাক শিল্পের মজুরি কাঠামো সবার জানা। খুব অল্প চাকরিজীবী প্রয়োজনীয় মজুরি পাচ্ছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্পকারখানা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সেবা খাত বিপুলভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের যতটা ন্যূনতম ব্যয়ে খাটানো যায়, সেটাই মালিকরা করে থাকেন। দেশে অসংখ্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। খুব কমসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ন্যায়সঙ্গত বেতনভাতা দেয়া হয়। মালিকরা তাদের মুনাফাকে যতটা পারা যায় বাড়িয়ে নিতে চান। এতে প্রকৃত অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না।
আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতনভাতা বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় সব সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতনভাতা কয়েকগুণ বেড়েছে। এর সাথে নানা ধরনের বৈধ সুযোগ সুবিধাও তাদের রয়েছে। মূল্যস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে তাদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্য দিকে, পোশাক শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ঠিক করার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। অনেকের রক্ত ঝরেছে, অনেক সম্পদের হানি হয়েছে। তবু এখন পর্যন্ত তাদের মজুরি কাক্সিক্ষত পর্যায়ে আসেনি। অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা এর চেয়ে ভালো নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগের ন্যূনতম মজুরি কাঠামোও নেই। খুব কমসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোয় মানসম্পন্ন মজুরি কাঠামো রয়েছে।
সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স ও বিশ্বব্যাংকের জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের এত সব উন্নয়নের ‘ফুটো’টা কোন জায়গায়। অতি ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সাধারণ ধনী বাড়ার তালিকায়ও বাংলাদেশ তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে। অতি ধনী বাড়ার প্রতিযোগিতায় এক দশকেই আমরা পেছনে ফেলেছি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানকে। ৭৫টি বড় অর্থনীতির দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ‘এক নম্বর’ হওয়ার খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্স। বিশ্বে সবচেয়ে গরিব মানুষ রয়েছে, এমন দশটি দেশের তালিকা প্রণয়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচ নম্বরে।
‘অতি ধনী’ বলতে প্রতিষ্ঠানটি তিন কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তির মালিককে বুঝিয়েছে। টাকার অঙ্কে তা ২৫০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত, এর আগের পাঁচ বছরে বাংলাদেশে অতি ধনীর সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ হারে। ওয়েলথ-এক্স সাম্প্রতিক আরেক প্রতিবেদনে জানায়, ধনী বাড়ার হারে বাংলাদেশ তৃতীয়। আমাদের থেকে এগিয়ে আছে আফ্রিকার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নাইজেরিয়া ও মিসর। আমরা পেছনে ফেলে দিয়েছি চীনকেও।
‘অতি ধনী’ বাড়ার গতিতে বাংলাদেশ এক নম্বরে চলে আসার পাশাপাশি ধনী বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তিন নম্বর অবস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা অর্থনীতিবিদরা তাদের নানা সূচকে বিচার-বিশ্লেষণ করে বলতে পারবেন।
সরকার দাবি করছে, সামগ্রিক অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ প্রবৃদ্ধি যদি বৈষম্যহীনভাবে বাড়ত, তাহলে সবার না হোক অনেকের ভাগ্যের চাকা এত দিনে অনেকটাই খুলে যাওয়ার কথা। মধ্যবিত্ত ও নি¤œ মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কথা। আর গরিবের সংখ্যা দ্রুত কমে যাওয়ার কথা। সেগুলো কাক্সিক্ষত হারে হচ্ছে না; বরং প্রকৃত মজুরি কমে মানুষের দৈনন্দিন নিত্যপণ্যের তালিকা ছাঁটাই করতে হচ্ছে।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা