২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

একুশ শতকে এশিয়ার নেতৃত্ব

-

ম্যাককিনসে একটি আমেরিকান বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। দ্য ফিউচার অব এশিয়া নামে প্রতিষ্ঠানটি একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে দেখিয়েছে, এশিয়া কেন ব্যবসায়ের জন্য আকর্ষণীয় এবং বাকি বিশ্বের সমীহ আদায় করে নেয়ার কারণ। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সমন্বয়ে উত্তর-পূর্ব এশিয়া; আঞ্চলিক জোট আশিয়ানের প্রধান সদস্যদের নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া; ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্য এশিয়া- ম্যাককিনসে এশিয়াকে চার ভাগ করেছে।

প্রথমত. উন্নত এশিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরকে। দেশগুলোর প্রতিটিতে গড় মাথাপিছু আয় ৩০ হাজার ডলারের বেশি। এদেশগুলো উচ্চ ধনী ও শহুরে সমাজে বিন্যস্ত। বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ হিস্যা তাদের। এদেশগুলো এশিয়ার বাকি দেশগুলোর জন্য সরবরাহ করছে উন্নত প্রযুক্তি ও পুঁজি। একই সাথে এশিয়ার বাকি দেশগুলোর জন্য এরা উপযুক্ত বাজারও। একটি ব্যাপার এদেশেগুলোর জন্য আশাপ্রদ নয়, সেটি হচ্ছে- তরুণ প্রজন্মের চেয়ে বৃদ্ধদের সংখ্যা এসব দেশে বেশি বাড়ছে। তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তরুণ জনশক্তিকে এরা আহ্বান জানালে, সে অভাব সহজে পূরণ হতে পারে। এ লক্ষ্যে জাপান বাংলাদেশসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে তরুণ জনশক্তি আমদানি করছে।

দ্বিতীয়ত. চীন বিশ্বের বৃহৎ ব্যবসায় অর্থনীতির দেশ; জাতীয় উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের পরই তাদের অবস্থান। ক্রমবর্ধমান সর্ববৃহৎ ভোক্তাবাজার এ দেশটির। পণ্যের বাজার হিসেবে এখন এটি বিশ্বের সেরা বলা যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে এর আকার যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের সমন্বিত বাজারের সমান হবে। দেশটি এখনই বাকি বিশ্বের জন্য পুঁজির জোগানদাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এশিয়া ও আফ্রিকার গরিব অনুন্নত দেশগুলোতে পুঁজি সরবরাহ করে দেশটি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। এসব দেশের অর্থনীতিতে চীন ইউরোপ ও আমেরিকার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।

তৃতীয়ত. সিঙ্গাপুর ছাড়া আশিয়ান জোটের ৯ সদস্য দেশ এবং ভুটান ও নেপালে বর্ধমান তরুণ জনগোষ্ঠী- এসব দেশের দ্রুত অগ্রসরমান অর্থনীতি এবং এদের রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ সাংস্কৃতিক অঙ্গন। দেশগুলো বিকাশের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। অর্থনীতিতে তাদের অনেক পথ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশগুলো পূর্ণ বিকশিত হলে তারা সহজেই ইউরোপের সমকক্ষ হতে পারবে।

চতুর্থ. দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আফগানিস্তানও। এদেশগুলোর সম্মিলিত জনসংখ্যা ১৮০ কোটি। এদের বেশির ভাগ এখন গ্রামীণ সমাজ। কিন্তু তাদের রয়েছে বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী। ম্যাককিনসের সমীক্ষায় এ পুরো অঞ্চলকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব দেশ নিজেদের মধ্যে লেনদেনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হওয়ার বিপুল সুযোগ রয়েছে। ইউরোপ যেমন দেয়ানেয়ার মাধ্যমে নিজেদের পুরো সুযোগটি নিয়েছে; তেমনি এক ইউরোপ গঠন করে একসাথে সবাই উপকৃত হয়েছে। যদিও যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ ইউরোপকে ভিন্ন এক পথে যাত্রার সূচনা করছে।

পুরো এশিয়া বিশ্বে উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশের ভাগীদার। মধ্যবিত্ত জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলে। লক্ষণীয় দিক হচ্ছে, নিজেদের বাণিজ্য বাড়ছে; আবার এই বেড়ে চলার ধারায় আন্তঃবাণিজ্য বেড়ে যাওয়ার হার আরো দ্রুত হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে পণ্য দেয়ানেয়া দ্রুতগতিতে বাড়ছে। সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগও নিজেদের মধ্যে বাড়ছে। মোট বিনিয়োগের ৬৬ শতাংশ হচ্ছে নিজেদের মধ্য থেকে। নিজেদের মধ্যে নানা ধরনের লেনদেন বাড়ানোর সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে বিমান যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে। বিমান চলাচলের ৭৪ শতাংশ সংঘটিত হয় এশিয়ার এদেশগুলোর মধ্যে। একসময় এশিয়ার দেশগুলোর লক্ষ্য ছিল ইউরোপ। তারা প্রয়োজনে ইউরোপে পাড়ি জমাত। ইউরোপের উন্নত দেশ থেকে তাদের পণ্য ক্রয় করত। সেই অভিমুখটি এখন পরিবর্তন হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এশিয়ায় এখন দ্রুত শহরায়ন হচ্ছে। আঞ্চলিক সংযোগের গতিও ত্বরান্বিত হয়েছে। এশিয়ার শীর্ষ ২০টি শহর সবচেয়ে দ্রুতহারে জনসমাগম হতে চলেছে। এগুলো বিশ্বের প্রথম সারির বড় শহর হতে চলেছে। আয়ও বাড়ছে দ্রুতগতিতে।

ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞান ও সংস্কৃতির কেন্দ্র ছিল ইউরোপ-আমেরিকা। এ দুটো অঞ্চলে এখন স্বদেশিকতার উত্থান ঘটছে। আমেরিকার ট্রাম্পের অনুসারী ইউরোপে বরিসের এখন জোয়ার। ট্রাম্পের নতুন সেøাগান ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ মূলত সংরক্ষণ বা প্রটেকশনের ডাক। নিজেদের উদ্বৃত্ত অর্থনীতিতে তারা এখন আর কাউকে ভাগ বসাতে দিতে রাজি নয়। এই মনোভাব সাম্প্রতিক দশকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। অন্য দিকে এ মনোভাবই নতুন আঞ্চলিকতাবাদের প্রেরণা জোগাচ্ছে। যার ফলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে এশিয়া। আগে এশিয়ার উদ্বৃত্ত অর্থনীতির গন্তব্য ছিল লন্ডন ও নিউ ইয়র্ক। সেখান থেকে তার ছিটেফোঁটা রিসাইকেল হয়ে বিদেশী বিনিয়োগ হয়ে আবার হয়তো দেশে ফিরে আসত। কিন্তু এ সুযোগটি সম্ভবত বন্ধ হতে চলেছে। এখন গড়ে উঠছে এশিয়া অর্থনৈতিক হাব। উদ্বৃত্ত অর্থের গতি এখন সেদিকে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। আসন্ন উন্নত এশিয়া এখন তার উদ্বৃত্ত অর্থনীতিকে নিজেদের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বাড়াতে ব্যবহৃত হচ্ছে। বেড়ে চলেছে নিজেদের মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য। যার অভিমুখ ছিল আমেরিকা ও ইউরোপ।

উনিশ শতক ছিল ইউরোপের। সেটা হয়েছিল ইউরোপের বৈশ্বিকীকরণ। বিশ শতক ছিল আমেরিকার। বিশ্ব তখন আমেরিকানাইজেশন হয়েছে। একুশ শতকের শুরুতে সব যেন থমকে গেল। ইউরোপ তার আগের অবস্থানে নেই। আমেরিকার শক্তি ও ক্ষমতা বড় আকারে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি সত্য; কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার নীতি নিয়েছে। অথবা ব্যাপারটি এমন দাঁড়িয়েছে, আমেরিকা নিজেই এমন এক অন্তর্কলহে লিপ্ত হতে চলেছে; যার পক্ষে আর বৈশ্বিক নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বৈশ্বিক ইউরোপীয়করণের সূচনা হয়েছে ঔপনিবেশিকতার মাধ্যমে। ডাচ, ব্রিটিশ, ফ্রান্স, স্পেন পর্তুগিজসহ ইউরোপের বিভিন্ন জাতি বিশ্ব দখলের খেলায় মেতে উঠেছিল। ষড়যন্ত্র, কূটকৌশল ও উন্নত অস্ত্রের জোরে পুরো বিশ্বকে তারা দখল করে নেয়। ইউরোপীয় শক্তিগুলো নিজেরা পরে কলহে লিপ্ত হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জয়ী হয় ব্রিটিশরা। এক সময় বলা হতো, ব্রিটিশ রাজ্যে সূর্য অস্ত যায় না। বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদের চরম উত্থানের পর ঔপনিবেশিকতাবাদ পিছু হটে। কিন্তু নতুন ঔপনিবেশিকতাবাদের সূচনা করে আমেরিকা।

বিশ শতকে সারা বিশ্ব অনেকটাই আমেরিকার প্রভাবে চলে যায়। বিশ শতকের প্রথম ভাগে সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া আমেরিকার প্রভাব কিছুটা রুখে দিতে সমর্থ হলেও পরে দারুণভাবে পিছু হটেছে। ব্যাপারটিকে অনেকে পুঁজিবাদের কাছে সাম্যবাদের পরাজয় হিসেবে দেখেছে। তবে এতে লক্ষণীয় বিষয় ছিল, আমেরিকান প্রভাবাধীন দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন। এশিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও জাপান এমন উদাহরণ। পুঁজিবাদী আমেরিকাকে রুখে দেয়ার জন্য সারা বিশ্বে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। সেগুলো খুব একটা সফল না হলেও আমেরিকা আপনা থেকে গুটিয়ে যাওয়ার লক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে। বড় বড় সামরিক সঙ্ঘাতে আমেরিকার আগের মতো উপস্থিতি নেই। মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সমান্তরাল শক্তি হিসেবে অনেকে এখন সক্রিয়। একইভাবে পৃথিবীর সামনে সবচেয়ে বড় জলবায়ু বিপর্যয় রোধে নেতৃত্বের অবস্থান থেকেও আমেরিকা সরে গেছে। ফাঁকা অবস্থানে চীনের প্রবেশ ঘটলেও সেটি উল্লেখযোগ্য বলা যায় না। তবে বিশ্বে এখন বহুমুখী মেরুকরণ ঘটছে। বহুপক্ষীয় এ বিশ্বে এশিয়ার আশু সম্ভাবনা জেগে উঠছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ পরাগ খান্না এ ধরনের পরিপ্রেক্ষিতে লিখেছেন- ‘দ্য ফিউচার ইজ এশিয়ান : কমার্স কনফ্লিক্ট অ্যান্ড কালচার ইন দ্য টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি’। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন বিশ্বক্ষমতার ভারসাম্য পশ্চিম থেকে এশিয়া মহাদেশে স্থানান্তরিত হওয়ার যৌক্তিক পরিপ্রেক্ষিত। ঔপনিবেশিকতা ও শীতল যুদ্ধের পর উন্নত উজ্জ্বল এশিয়ার ব্যাপারে তিনি আলোকপাত করেছেন। একা চীনা বিশ্বব্যবস্থার উত্থান নয়; বরং এটিকে ভূরাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি চর্চায় সম্মিলিতভাবে এশিয়ার জাতিগুলোর জাগরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।

পরাগ খান্নার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনার ব্যাপারটি এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হতে পারে। পরাগ খান্না ১৯৭৭ সালে ভারতের কানপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কানপুর ও মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে। পরে তার পরিবার আমেরিকার নিউ ইয়র্কে পাড়ি জমায়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফরেন সার্ভিস থেকে স্নাতক হন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস ইন সিকিউরিটি স্টাডিজে মাস্টার্স করেন। ২০১০ সালে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে পিএইচডি করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের হয়ে কাজ করেন দুই বছর। তার আগে নিউ ইয়র্ক কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন্সের হয়ে গবেষণা সহকারীর কাজ করেন। এরপর কাজ করেছেন ব্রুকিং ইনস্টিটিউট, নিউ আমেরিকান ফাউন্ডেশনের হয়ে। ২০১২ থেকে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। কাজ করেছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন্সের হয়েও। ইউএস স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সেসের সিনিয়র জিওপলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার ছিলেন ২০০৭ সালে।

খান্নার বেশ কয়েকটি প্রকাশনা রয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার ভূরাজনীতি নিয়ে কাজ করার সুবাদে আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভারসাম্য তিনি লক্ষ রাখতে পেরেছেন। ‘দ্য ফিউচার ইজ এশিয়ান’ বইটি লেখার পর তিনি নিজে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। বইয়ের উল্লেখযোগ্য দিক হলো চীনা নেতৃত্ব। বিশেষ করে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) যখন পুরনো সিল্ক রোডের নতুন সংস্করণ হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে চীনা পুঁজি নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহৎ একটি অঞ্চলের ওপর। এর প্রভাব পড়েছে ইউরোপীয়দের ওপরও। তিনি বলেছেন, চীনা নেতৃত্ব বেশির ভাগ এশিয়ানের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সেজন্য এটা ঠিক আমেরিকান নেতৃত্বের মতো হবে না। যেমনটি আমেরিকান নেতৃত্বের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হয় ইউরোপ। তাই আমেরিকান নেতৃত্বের শূন্যস্থান চীন দখল করতে পারবে না।

তার মতে, নতুন এশিয়া হবে বহুমাত্রিক সভ্যতার বিকশিত সমন্বয়। এর বিস্তৃতি হবে সৌদি আরব থেকে জাপান, রাশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া এবং তুরস্ক থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত। অর্থ, বাণিজ্য, ভৌতকাঠামো ও কূটনৈতিক জালের মাধ্যমে যুক্ত হবে এশিয়ার ৫০০ কোটি মানুষ। নতুন সিল্ক রোড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চীন আংশিক নেতৃত্ব নিয়েছে, কিন্তু সে একক নেতা নয়। নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতও হবে। তবে এশিয়া এবার নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়ে নেবে। উনিশ ও বিশ শতক যদি ইউরোপ ও আমেরিকার হয়, তাহলে একুশ শতক হতে চলেছে এশিয়ার। অনিবার্যভাবে অর্থনীতি ও রাজনীতির বড় প্লেয়ার হয়ে উঠছে এশিয়া। অর্থনীতির ৪০ শতাংশ নিয়ে এশিয়া বিশ্ব অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ধরন বদলে দেবে। ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো এশিয়ার বাজারে অংশগ্রহণ ছাড়া নিজেদের বিশ্বের সফল কোম্পানি দাবি করার সুযোগ থাকবে না।

খান্নাকে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল- আমেরিকার প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত থাকলে এশিয়ার সাথে কৌশলগত সম্পর্কের নির্ণয়ে কী পরামর্শ দিতেন আপনি? তিনি উত্তরে জানান, এশিয়ায় উপস্থিত থাকার প্রয়োজন রয়েছে আমেরিকার। অন্ততপক্ষে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে যদি তারা প্রভাব ধরে রাখতে চায়, আমি আহ্বান রাখব- তারা যাতে নতুন করে ট্রান্সপ্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) বাণিজ্য সমঝোতায় যুক্ত হয়। ইউরোপীয়রা যেভাবে চীনের বিআরআই প্রকল্পের সাথে যুক্ত হয়েছে, আমেরিকাও যাতে একইভাবে তাতে যোগ দেয়। ইউরোপীয়রা ঠিকই বোঝাপড়ার জায়গা প্রশস্ত করছে। আমেরিকা যেখানে বলছে, আমি কিন্তু বল নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। মূলকথা হচ্ছে, আমেরিকার অনুপস্থিতি অন্যদের জন্য বেশি সুযোগ করে দেবে।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল