২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অভিশংসনে ট্রাম্পের বিদায়ের সম্ভাবনা কম

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসনের জন্য শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কংগ্রেস কমিটির সামনে এখন সাক্ষীদের শুনানি ও জেরা চলছে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিলেন যেন তিনি সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করেন। বাইডেন আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী। অর্থাৎ সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীর ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। আর সেটা করেছেন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তিনি ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তা স্থগিত করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু করেছে ডেমোক্র্যাটরা। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ, প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী জো বাইডেনকে কালিমালিপ্ত করতে ট্রাম্প বিদেশী সাহায্য চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দেয়া সামরিক সহায়তাকে তিনি দরকষাকষির হাতিয়ার করেছেন। শুনানিতে ডেমোক্র্যাটদের প্রমাণ করতে হবে যে, প্রেসিডেন্ট সত্যিই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
এটি একটি প্রকাশ্য প্রক্রিয়া এবং মার্কিন জনগণ টিভির পর্দায় প্রতিদিনের শুনানি দেখছে। এই প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পকে অভিশংসন করা যাবে কি না, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ বা অভিশংসন করার বিধান তাদের সংবিধানে আছে। অতীতে একাধিক প্রেসিডেন্ট ইমপিচমেন্টের শিকার হয়েছেন এবং একজন ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হয়ে পদত্যাগ করেছেন। ১৮৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন এবং ১৯৯৮ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসিত হন। তবে তাদের পদ ছাড়তে হয়নি। সিনেটের বিচারপ্রক্রিয়ায় দু’জনই খালাস পেয়ে যান। আর প্রেসিডেন্ট নিক্সন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কারণে ইমপিচড হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন ১৯৭৪ সালে।

ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া নিয়ে সারা বিশ্বেই চলছে আলোচনা। সবার নজর এখন ওই শুনানির দিকে। তবে প্রক্রিয়াটি বেশ কঠিন। ‘কঠিন’ এই অর্থে যে, অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে প্রতিনিধি পরিষদে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধ বা অসদাচরণের অভিযোগ আনতে হবে, তারপর কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে যথাযথ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। কেবল তারপরই হতে পারে অভিশংসন। এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের সংখাগরিষ্ঠতা থাকায় তারা শুনানি শুরু করতে পেরেছেন। বিষয়টি অভিযোগ আকারে উত্থাপন করা হলে তারা হয়তো সেটি পাসও করাতে পারবেন, কারণ এখানে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট, প্রস্তাবের পক্ষে পড়তে হবে মোট ২১৮টি ভোট। ৪৩৫ আসনের মধ্যে তাদের আছে ২৩৩ জন সদস্য। কিন্তু ১০০ সদস্যের সিনেটের উচ্চকক্ষে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং তাকে রাষ্ট্রপ্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হলে লাগবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। অর্থাৎ এতে অন্তত ৬৭ জন সিনেটরের সমর্থন লাগবে। অথচ ডেমোক্র্যাটদের আছে মাত্র ৪৭ জন সদস্য। যদি রিপাবলিকান দলের ২০ জন সিনেটর প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে ভোট দেন, তবেই সম্ভব অভিশংসন। বেশির ভাগ বিশ্লেষক একমত যে, এমনটি ঘটার সম্ভাবনা কম। তবুও ডেমোক্র্যাটরা কেন এ প্রক্রিয়াটি নিয়ে এগোচ্ছেন?

এর কারণ বিশ্লেষণ করেছেন অনেক পর্যবেক্ষক। বিবিসির বিশ্লেষক অ্যান্টনি জার্কার বলছেন, এ প্রশ্নের উত্তর আছে মার্কিন নির্বাচন-পূর্ব রাজনীতির হিসাব-নিকাশে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা হবে কি না, এ নিয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ভেতরে আলোচনা-বিতর্ক হয়েছে। যারা এই প্রক্রিয়া নিয়ে এগোতে চান, তারা মনে করেন অভিশংসনের একটা আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রক্রিয়ার লক্ষ্য হবে, আমেরিকার জনমতে পরিবর্তন আনা। তাদের মতে, মার্কিন জনমত এখন এর পক্ষে না থাকলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগৃহীত হলে এবং তা জোরালোভাবে উপস্থাপিত হলে জনগণ এর পক্ষে আসবে। অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন, অভিশংসন একটা নৈতিক দায়িত্ব। তাদের মতে, প্রেসিডেন্ট নিজেই আইন ভেঙেছেন। ফলে তার শপথবাক্য লঙ্ঘন করেছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এর অর্থ হবে এতে পরোক্ষ সম্মতি দেয়া এবং আরো আইন ভাঙতে তাকে উৎসাহিত করা।

শুনানির প্রথম দিনে সাক্ষী হিসেবে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কূটনীতিক ইউক্রেনের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অনৈতিক’ চাপের কড়া সমালোচনা করেছেন। ইউক্রেনে অস্থায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম টেলর বলেন, ট্রাম্প সত্যি ইউক্রেনে বাইডেনের কার্যকলাপের তদন্তে প্রবল আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। সে দেশের সরকারকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য চাপ দিতে তার প্রশাসন ৩৯ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সাহায্য আটকে রেখেছিল। টেলরের মতে, ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে রুডি জুলিয়ানি সরাসরি ইউক্রেনকে এমন কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। এই ঘটনার ফলে রাশিয়ার আগ্রাসী আচরণের মুখে ইউক্রেন অসহায় হয়ে পড়েছে এবং মার্কিন কৌশলগত স্বার্থের ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

শুনানিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলেক্সান্ডার ভিন্ডম্যান। গত সপ্তাহের শুনানিতে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ভিন্ডম্যান বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাথে টেলিফোনে কথাবার্তায় রাজনৈতিক সুবিধা চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তারে এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে হোয়াইট হাউজ।

ডেমোক্র্যাটদের আশা, ধীরে ধীরে হলেও ক্ষমতাসীন দলের ঐক্যে ফাটল ধরবে। গত বুধবার তদন্তের শুনানির চতুর্থ দিনে সেই আশা আরো জোরদার হয়েছে। এ দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড সাক্ষী হিসেবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের জেরার মুখে বিস্ফোরক তথ্য জানালেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে বাইডেন ও তার ছেলের কার্যকলাপ সম্পর্কে দু-দু’টি তদন্তের জন্য ইউক্রেনের ওপর ট্রাম্প যে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, সে বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কার্যত সব কর্তাব্যক্তিই অবগত ছিলেন। এমনকি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানতেন, ট্রাম্প কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সাহায্য বন্ধ রেখে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। দাবি মানলে ট্রাম্প সামরিক সাহায্যের ছাড়পত্র ছাড়াও হোয়াইট হাউজে তাকে আমন্ত্রণের টোপও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
সন্ডল্যান্ড আরো বলেন, এ ক্ষেত্রে তিনি নিজে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ পালনে বাধ্য হয়েছিলেন। ফলে তাকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী জুলিয়ানিকে সহযোগিতা করতে হয়েছিল। তার মতে, গোটা বিষয়টি মোটেই আর গোপন ছিল না। তিনি এই মর্মে একটি ই-মেইল পাঠিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সহযোগিতার বিষয়ে জানিয়েছিলেন। পম্পেও ছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তি সে ই-মেইল পেয়েছিলেন। সন্ডল্যান্ড অবশ্য স্বীকার করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনো তাকে সরাসরি বলেননি যে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত চালালে তবেই ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ করা সামরিক সাহায্যের ছাড়পত্র দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বিত্তবান হোটেলমালিক হিসেবে গর্ডন সন্ডল্যান্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক কার্যকলাপে দু’হাতে দান করে এসেছেন এবং সেভাবেই ট্রাম্পের কাছ থেকে ইইউতে রাষ্ট্রদূতের পদ বাগিয়ে নেন। শুনানির পর ট্রাম্প সব অভিযোগ কেবল যে অস্বীকার করেছেন তা-ই নয়; তিনি সন্ডল্যান্ডকে চেনেন না বলেও দাবি করেন।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বলছে, ব্যক্তি হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার বশে নয়, সার্বিকভাবে দেশের সংবিধান এবং প্রেসিডেন্টের দফতরের মর্যাদা রক্ষা করতেই এ তদন্ত চালানো হচ্ছে। এভাবে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমারেখা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে তারা মনে করেন। অন্য দিকে, তদন্ত কমিটির রিপাবলিকান দলের সদস্যরা গোটা উদ্যোগ নস্যাৎ করার লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ জো বাইডেন ও তার পুত্রের কার্যকলাপ সম্পর্কে তদন্ত চালায়নি এবং ট্রাম্প প্রশাসনও সে দেশের জন্য সামরিক সাহায্য আটকে রাখেনি। প্রবল চাপের মুখে ট্রাম্প যে বাধ্য হয়ে সে কাজ করেছেন, সে বিষয়টি তারা অবশ্য সযত্নে এড়িয়ে যাচ্ছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে এই শুনানিকে ‘পুরোপুরি ছাইপাশ’ বলে অভিহিত করেছেন। একটি টিভি চ্যানেলকে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন না, ‘ইমপিচড’ হবেন। ট্রাম্পের এই আপাত স্বস্তির একটা কারণ, অবশ্যই সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

ট্রাম্প আগাগোড়াই একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা যেমন ছিল বিতর্কিত, তেমনি তার কার্যকলাপও। উঠতে-বসতে তিনি কবে কখন কোথায় কতগুলো মিথ্যা কথা বলেছেন, তারও পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব প্রতিদিন প্রকাশ করেছে একটি বিখ্যাত মার্কিন দৈনিক। তার অভিবাসনবিরোধী অবস্থান, নারীলোলুপ চরিত্র, জলবায়ু ইস্যুতে নেতিবাচক মনোভাব ইত্যাদি বিশ্ববাসীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা। তার সরকারের বিশ্বব্যাপী মুসলিমবিদ্বেষ, ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার এবং খ্রিষ্টীয় জঙ্গিবাদ উসকে দেয়া, ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্রের পক্ষে নগ্ন সমর্থন, ইরানের সাথে ছয় জাতির অত্যন্ত ইতিবাচক পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ইত্যাদি বিশ্বের মুসলমানদের মর্মবেদনার কারণ। মূলত গোটা বিশ্বব্যবস্থাকেই একটি ইতিবাচক ধারা থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত মুখে ঠেলে দিয়েছেন লোকটি। মার্কিনিরা এমন একটি মানুষকেই তাদের নেতা হিসেবে আগামী নির্বাচনেও বেছে নেবেন, এমন মনে হয় না। তবে খলচরিত্রের লোকদের নির্বাচনে জেতার নানা কৌশল আছে। ভোট ছাড়াই নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার দৃষ্টান্ত বিশ্বে কম নেই। কিন্তু চলমান বিশ্বব্যবস্থাকে স্বাভাবিক ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement
হামাসের ২ কি.মি. দীর্ঘ টানেল ধ্বংসের দাবি ইসরাইলের আওয়ামী লীগ স্বাধীনতাবিরোধী ও জনদুশমন : রফিকুল ইসলাম খান ফরিদপুরে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় বিচার দাবি নোয়াখালীতে আমেরিকা প্রবাসী ডাক্তারের মৃত্যু ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরো ২৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা তিতুমীরের গেটে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাদের বিক্ষোভ সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত প্রেস ক্লাবের সামনে এক ব্যক্তির আত্মহত্যার চেষ্টা গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায় ‘মৃত্যু ও ধ্বংস’র অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন পশ্চিমতীরে ইসরাইলি সামরিক অভিযানে ৮ ফিলিস্তিনি নিহত ’ভারত সরকার একতরফাভাবে আ’লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে’

সকল