২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন

-

সুপ্ত প্রতিভার বিকাশই হচ্ছে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। সর্বোপরি সমাজের একজন উৎপাদনশীল সভ্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব যোগ্যতা ও দক্ষতা আবশ্যক সেসব অর্জনে শিক্ষার ভূমিকাও অপরিহার্য। সাধারণভাবে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই হচ্ছে শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলা হয়। দার্শনিক সক্রেটিসের ভাষায়, ‘শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।’ এরিস্টটলের মতে, ‘সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হলো শিক্ষা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় ‘শিক্ষা কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।’ মহাকবি আল্লামা ইকবালের মতে, ‘মানুষের ‘খুদি’ বা রূহকে উন্নত করার প্রচেষ্টার নামই শিক্ষা। কারণ, ভেতরের মানুষটি যদি উন্নত ও সংস্কৃতিবান হয়, তাহলে এই ধরনের লোক দিয়েই একটি উন্নত সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব’।

যে জাতি যত উন্নত সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থাও ততই উন্নত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন খুব একটা সুখকর নয়। রাজনৈতিক দৈন্য, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় চেতনার অনুপস্থিতির কারণেই আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্যচ্যুত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে পশ্চাৎপদতার কারণেই আমরা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় খুব একটা সফল হইনি। জাতীয় ক্ষেত্রেও আমাদের অর্জন খুব সুখকর নয়। ফলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা জাতির আশা-আকাঙ্খা পূরণে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে। অথচ শিক্ষাকে ভিত্তি ধরেই বিশ্বের অপরাপর জাতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এসেছে সর্বাধুনিকতা ও বৈচিত্র্য। যুক্ত হয়েছে সংবেদনশীল ও অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গও। সাম্প্রতিক বিশ্বে শিক্ষা এতটাই সম্প্রসারিত হয়েছে যে, শিক্ষা বিষয়ক ধ্যান-ধারণায়ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বেড়েছে জ্ঞানের শাখা-প্রশাখার পরিসর। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতেও এসেছে অভাবনীয় উন্নয়ন।

ইউরোপে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি সমকালীন বিশ্বের বাস্তব সমস্যাবিষয়ক অধ্যয়ন-অধ্যাপনা শুধু জনপ্রিয়তাই পায়নি বরং এ ক্ষেত্রে এক নতুন বিপ্লবও সৃষ্টি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা ও সুপেয় পানির সঙ্কট নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়েছে দেশে দেশে। বিষয়টির যৌক্তিকতায় বলা হচ্ছে, শুধু জ্ঞানের জন্য জ্ঞান আহরণ না করে যেসব সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলছে, সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জন করাও জরুরি। অবশ্য আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত এসব বিষয় উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আর বিষয়টি প্রশ্নাতীতও নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, ‘এসব বিষয়ে যারা পড়াশোনা করবেন তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে কী করে ? যেখানে অন্নচিন্তা নেই সেখানে এসব সম্ভব; এখানে নয়’। বিষয়টি একেবারে উপেক্ষা করার মতও নয়।

শিক্ষা ব্যবস্থা একরৈখিক না হয়ে বহুমাত্রিক হওয়ায় কাঙ্খিত ও কল্যাণকর। ক্ষেত্রবিশেষে অপরিহার্যও। কারণ, জ্ঞানের অসংখ্য শাখা-প্রশাখা রয়েছে। আর এর কোনো শাখাই অপ্রয়োজনীয় নয়। তাই মানবজীবনকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে হলে নাগরিকদের জ্ঞানের সব শাখায় সমানভাবে বিচরণ করা দরকার। বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক ও বিজ্ঞানী পাসকেলের মতে, ‘যে বহুত্ব ঐক্যে উপনীত হয় না, তা বিশৃঙ্খলা। যে ঐক্য বহুত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়, তা জুলুম’। মূলত শিক্ষার মোটামুটি দু’টি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। একটি হচ্ছে, ব্যক্তির দেহমনের উন্নয়ন, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের বিকাশ, কোনো একটি পেশায় নিয়োজিত হতে ব্যক্তিকে প্রস্তুত এবং একই সাথে তার আত্মপরিচয়ের একটি ভিত্তি তৈরি করা। অপরটি হচ্ছে, ভালো নাগরিক হিসেবে তাকে গড়ে তোলা, যাতে সে সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজে আসে-তা নিশ্চিত করা। একই সাথে ব্যক্তি যেন উৎপাদনশীল মানুষ হিসেবে সমাজের উন্নয়নে অংশ নিতে পারে সে জন্য পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের সুযোগ করে দেওয়া।

শিক্ষাবিষয়ক নানাবিধ দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে কোন বিরোধ নেই বরং পরম্পর পরিপূরকই বলতে হবে। সবকিছুর সুসমন্বয়ই শিক্ষার কাঙ্খিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এখানে মূল্যবোধের বিকাশের বিষয়টি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ব্যক্তি যদি ভালোমন্দ বিচার করতে না পারে এবং ভালোর পক্ষে দাঁড়িয়ে মন্দ প্রতিরোধ করার প্রেরণা না পায় এবং সুন্দর ও সুকুমার বৃত্তির চর্চায় উদ্বুদ্ধ না হয়, তাহলে সে শিক্ষা একেবারেই মূল্যহীন; অন্তঃসারশূণ্য।

মূলত কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত নয়। পদ্ধতিগত দুর্বলতা ও আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম সে কথাই প্রমাণ করে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক দিক থাকলেও নেতিবাচক দিকটাই বেশি। আমাদের দেশে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পায় না। বিত্তবানদের সন্তান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায় না। রয়েছে দু’ধরনের মাদরাসা শিক্ষাও। যেখানে বিত্তবান শিক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রায় নেই বললেই চলে।

তাই দেশ ও জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা ও অসামঞ্জস্যতা চিহ্নিত করে সেসব সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। মানুষের জ্ঞানের পরিধি ও শাখা-প্রশাখা আগের তুলনায় বেড়েছে। আর এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই এই ক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে থাকা হবে রীতিমতো আত্মঘাতী। আসলে মানুষের পূর্বলব্ধ জ্ঞান অনেক ক্ষেত্রেই উপযোগিতা হারাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নতুন কিছু সেখানে স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে। অবশ্য জ্ঞানের উৎস সৃষ্টিতে আমাদের কোন আহামরি অর্জন নেই। তবে যে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে তা আয়ত্ত করা, সেসবের সাথে ধাতস্থ হওয়া এবং প্রয়োগের উপযোগিতা নির্ধারণ এখন সময়ের বড় দাবি। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়াস যথাযথ ও সময়োপযোগী না হলে আমাদের শিক্ষার্থীরা সত্যি সত্যিই পিছিয়ে পড়বে।

ঔপনিবেশবাদী শাসনের অবসানের পর আমাদের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন এসেছে। লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়াও। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা সেই অশুভ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি। ফলে প্রচলিত শিক্ষা সুনাগরিক তৈরিতে খুব একটা সহায়ক হচ্ছে না। লর্ড ম্যাকলেকে দিয়ে ব্রিটিশ সরকার যে শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল, তার ভূমিকায় তিনি যেসব কথা বলেছিলেন তা রীতিমতো উদ্বেগের। তার বক্তব্য হচ্ছে, ‘প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমরা এমন একদল লোক সৃষ্টি করতে চাই, যারা রক্তে মাংসে এবং বর্ণে ভারতীয় হলেও চিন্তা-চেতনা, অভিরুচি ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে হবে ব্রিটিশ সভ্যতার অনুসারী।’ ম্যাকলের বক্তব্যে কোন অস্পষ্টতা ছিল না। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশ ছেড়ে চলে গেলেও তাদের প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থার বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করা আজো সম্ভব হয়নি। পরাশ্রয়ী, পশ্চাৎপদ ও গোলাম তৈরির শিক্ষাব্যবস্থায় আমরা কিছু জোড়াতালি দিয়ে কেন এবং কোন উদ্দেশ্যে প্রায় অর্ধশতাব্দীরও অধিক সময় ধরে চালিয়ে আসছি তা মোটেই বোধগম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় এসেছে।

মূলত বস্তুবাদী দর্শনের পুঁজিবাদী শিক্ষা মূল্যবোধ, আদর্শ ও লক্ষ্যহীন যেসব নাগরিক তৈরি করেছে তার ভয়াবহ রূপ দেখে পাশ্চাত্যের শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানীগণও রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অধ্যাপক ব্রেচ্যারা, অধ্যাপক এস সোনার্স, স্ট্যানলি হলসহ সবাই এ বিষয়ে একমত যে, নৈতিকতা ও ধর্মবিবর্জিত শিক্ষা আদর্শ নাগরিক তৈরি করতে পারে না। মূলত আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মূল্যবোধ ও ধর্মীয় শিক্ষার অনুপস্থিতির কারণেই এ ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা উল্লেখ করার মত নয়। এ ক্ষেত্রে Stanly Hull-এর বক্তব্য খুবই বাস্তবসম্মত। তার ভাষায়, ‘If you teach your children the three Rs, (Reading, Writing, Arithmetic) and leave the fourth R (Religion) you will get a fifth R (Rascality)’ অর্থাৎ ‘তোমরা যদি তোমাদের সন্তানদের পড়ালেখা এবং মাত্র হিসাব-নিকাশ শিক্ষা দাও। কিন্তু ধর্মকে বাদ দাও, তাহলে তাদের কাছ থেকে বর্বরতাই পাবে’।

শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা নানাবিধ। এক দিকে রাষ্ট্র সব শ্রেণীর নাগরিকের জন্য সমান শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। অন্য দিকে শিক্ষা কারিকুলামেও রয়েছে বহুধাবিভক্তি। সর্বোপরি প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় নৈতিকশিক্ষা ও ধর্ম- ধর্মীয় মূল্যবোধকে উৎসাহিত করা হয়নি। এমনকি মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে কারিকুলাম এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য ধর্মবিষয়ক জ্ঞানের পূর্ণতা অর্জনে পর্যাপ্ত নয়।

মূলত সমন্বিত একটি শিক্ষাব্যবস্থাই একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি তৈরি করতে সক্ষম। যেখানে নৈতিক, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় শিক্ষার সুসমন্বয় থাকবে। আমাদের দেশের প্রচলিত আধুনিক শিক্ষা নানা ধারায় বিভক্ত। আবার মাদরাসা শিক্ষাও এক কেন্দ্রে কেন্দ্রীভূত নয়। ফলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোড়াতেই একটা অনাকাক্সিক্ষত বিভক্তি সুষ্পষ্ট। যা ঔপনিবেশিক শাসনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। মাদরাসা শিক্ষিতরা অনেক ক্ষেত্রে যেমন সাধারণ শিক্ষিতদের প্রতি সুধারণা পোষণ করেন না, ঠিক তেমনিভাবে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতরা মাদরাসা শিক্ষিত লোকদেরকে একধরনের অনুৎপাদনশীল বা সমাজের জন্য বোঝা মনে করেন। অবশ্য এই ধারণায় সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসছে। কিন্তু তা এখনও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। ফলে সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অনুপস্থিতির কারণেই আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য অর্জনে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে। আর এ জন্য আমাদের নেতিবাচক রাজনীতিও কম দায়ী নয়। আদর্শহীন শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের কারণেই আমাদের দেশের শিক্ষাঙ্গনগুলো স্বকীয়তা, অতীত ঐতিহ্য ও গৌরব হারিয়ে বসেছে। ক্ষয়িষ্ণু ও গন্তব্যহীন শিক্ষানীতির কারণেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি নিয়েই ব্যস্ত থাকছে। অবক্ষয় ও মূল্যবোধহীনতার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শিক্ষক সমাজেরও ওপরও। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দলবাজ ও সুযোগসন্ধানী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনেও নামতে হয়েছে। একই সাথে একশ্রেণীর শিক্ষার্থীর টেন্ডারবাজি, কমিশনবাণিজ্য, প্রশাসনে আধিপত্য বিস্তার, আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনসহ নানা ধরনের কলঙ্কিত ঘটনার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

শিক্ষার্থীদের একটি বৃহৎ অংশ এখন মেধা ও মননের চর্চার পরিবর্তে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি, চাঁদাবাজী, সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্যসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে। এমনকি ভিন্নমতাবলম্বীদের খুন করতেও কসুর করছে না। সম্প্রতি এমনই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভিন্নমতের কারণে তাকে তার সহপাঠীরাই পিটিয়ে হত্যা করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যায়গুলো হওয়ার কথা ছিল মুক্তচিন্তার প্রাণকেন্দ্র। মূলত আবরার হত্যার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে কিভাবে একশ্রেণীর শিক্ষার্থীর হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলগুলোর প্রশাসন। বের হয়ে পড়েছে শিক্ষাব্যবস্থার দৈন্যতা, শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতির ঘৃণ্য চিত্রও, যা আমাদের নেতিবাচক রাজনীতি ও মূল্যবোধহীন শিক্ষাব্যবস্থার দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে।

মহাকবি মিল্টনের ভাষায়, ‘Education is the harmonious development of body, mind and soul..’ ‘দেহ, মন ও আত্মার সমন্বিত উন্নতির নামই শিক্ষা।’ আমাদের শিক্ষা কি সেই মহতী উদ্দেশ্য সাধনে সমর্থ হচ্ছে ?

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল