২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাষ্ট্র, সরকার ও নাগরিক

-

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুশাসনবিষয়ক বৈশ্বিক সূচকের অবনমন ঘটায় নানা বিপত্তি দেখা দিয়েছে। নাগরিকরা রাষ্ট্রের আনুগত্য করবে, না সরকারের আনুগত্য করবে, না তাদের আনুগত্য হবে উভয়বিধ- বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। মূলত রাষ্ট্র ও সরকার পৃথক সত্তা হলেও ক্ষমতান্ধরা নিজেদের ক্ষমতাকে নির্বিঘ্ন করতেই প্রায় ক্ষেত্রেই তা একাকার করে ফেলেছেন। ফলে সরকারের অন্যায় কাজের বিরোধিতা বা গঠনমূলক সমালোচনাকেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আনুগত্যহীনতা মনে করা হচ্ছে। মনীষী মার্ক টোয়েইন বিষয়টির একটি চমকপ্রদ সমাধান দিয়ে বলেছেন, ‘Loyalty to the Nation all the time, loyalty to the Government when it deserves it’. অর্থাৎ ‘দেশের প্রতি সব সময় অনুগত থাকো। কিন্তু সরকারের প্রতি তখনই অনুগত থাকবে, যখন তা সেটার যোগ্য হবে’।

রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যে সম্পর্কটা খুবই নিবিড়। রাষ্ট্রহীন ব্যক্তি যেমন আত্মপরিচয়হীন, তেমনিভাবে নাগরিক ছাড়া রাষ্ট্রও অকার্যকর। রাষ্ট্র যেমন নাগরিক জীবন অর্থবহ, সুন্দর ও গতিশীল করে তোলে, ঠিক তেমনিভাবে সুনাগরিকও রাষ্ট্রকে সফল করে তোলার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। রাষ্ট্রকে হতে হবে কল্যাণমুখী ও তেমনিভাবে নাগরিকরা হবেন রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যশীল। রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে তুলসী গ্যাবার্ড বলেছেন, ‘Taxation is theft when the taxes are used for things that do not serve our interests.’ এ বক্তব্যে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতার বিষয়টি খুবই স্পষ্ট।

সাধারণভাবে ‘রাষ্ট্র’ বলতে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে বসবাসকারী জনসমষ্টিকে বোঝায়। যেখানে একটি সংগঠিত সরকার আছে, জনগণ সে সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে। রাষ্ট্রও জনগণের জানমালের নিরাপত্তাসহ সব ধরনের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উড্রো উইলসন রাষ্ট্রের সংজ্ঞা দিয়ে বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মধ্যে আইনের মাধ্যমে সংগঠিত জনসমূহকে রাষ্ট্র বলে’। রাষ্ট্রের যেমন স্বেচ্ছাচারী হওয়ার সুযোগ নেই; তেমনি নাগরিক জীবন আইন ও সংবিধান দিয়ে সুনিয়ন্ত্রিত।

সাধারণভাবে যারা নগরে বসবাস করেন তাদের ‘নাগরিক’ বলা হয়। অবশ্য বর্তমানে নাগরিক শুধু নগরের বাসিন্দারাই নন। যারা একটি রাষ্ট্রে বাস করেন তারা সবাই সে দেশের ‘নাগরিক’। নাগরিক হলেন নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনকারী যিনি তার ওপর আরোপিত কর্তব্য পালন করে ন্যায্য অধিকার ভোগ করে থাকেন।

বস্তুত, রাষ্ট্র এবং মানবতার কল্যাণের জন্য প্রয়োজনীয় গুণসম্পন্ন ব্যক্তিই সুনাগরিক। আর রাষ্ট্র পরিচালনায় বৈধভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিই সরকারের সভ্য; সামষ্টিকভাবে বলা হয় সরকার। অনেকগুলো গুণের সমন্বয় ঘটে সুনাগরিকের মধ্যে। বুদ্ধি, বিবেক, আত্মসংযম, জ্ঞান, আত্মসচেতনতা, দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততা ও ন্যায়বোধ ইত্যাদি। অধিকার হলো নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করার স্বাধীনতা। তবে অধিকার স্বেচ্ছাচারিতা নয় বরং ‘অধিকার’ হচ্ছে অন্যের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন না করে নিজের ইচ্ছেমতো কাজ করার সুযোগ। অপর দিকে, কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বা স্বেচ্ছায় পালিত কিছু দায়িত্ব যা রাষ্ট্র ও জনগণের জন্য অবশ্যই কল্যাণকর। নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে তার অধিকারের দাবির বিপরীতে রাষ্ট্র নাগরিকের কাছে কর্তব্য পালনের দাবি করতে পারে।

যারা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থেকে রাষ্ট্রের কল্যাণ নিশ্চিত করে বস্তুত তারাই নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। এর বিনিময়ে নাগরিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসহ জানমালের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকারী হয়। এছাড়া ভোট প্রদান, নির্বাচিত হওয়া, রাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে বসবাস, বিদেশে অবস্থানকালে নিজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা লাভ, সরকারি চাকরি পাওয়া, ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষা, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সংবিধান স্বীকৃত।

আধুনিককালে, বিশেষ করে আমেরিকায় গৃহযুদ্ধের ফলে দাসদের মুক্ত হওয়ার অধিকার প্রদানের সময় থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার আন্দোলন নতুন ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছে। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সিভিল রাইটস অ্যাক্ট’ দেশবাসীর নাগরিক অধিকারের প্রয়োগের পথ উন্মুক্ত করে। বাংলাদেশে নাগরিক অধিকারগুলো ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিধিবদ্ধ রয়েছে এবং এসবের প্রয়োগের জন্য উচ্চ আদালতের মাধ্যমে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ অধিকারগুলোর কয়েকটি হচ্ছে- আইনের চোখে সবাই সমান; ধর্ম, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ অথবা জন্মস্থান নিয়ে কোনো বৈষম্য সৃষ্টি না করা; রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে নরনারীর সমানাধিকার; চাকরিতে সমান সুযোগ; জীবনের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা; বেআইনি গ্রেফতার ও আটক রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা; বাধ্যতামূলক শ্রমের বিরুদ্ধে সুরক্ষা; চলাফেরার স্বাধীনতা; সমবেত হওয়ার স্বাধীনতা; সঙ্ঘ-সমিতি করার স্বাধীনতা; চিন্তা, বিচারবুদ্ধি ও বাকস্বাধীনতা; পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতা; ধর্মীয় স্বাধীনতা; সম্পত্তির অধিকার এবং বাসস্থানের নিরাপত্তা ও যোগাযোগের গোপনীয়তা।

নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য প্রত্যেক নাগরিককে সর্বদা সজাগ এবং চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন ও সংবিধান মেনে চলা এবং আইনের প্রতি সম্মান দেখানো নাগরিকদের দায়িত্ব। তাই সুষ্ঠু জীবনযাপন, শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রত্যেক নাগরিকই আইন মেনে চলা কর্তব্য। সততা ও সুবিবেচনার সাথে ভোট দেয়া নাগরিকের একান্ত কর্তব্য। রাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। তাই কর প্রদান করে রাষ্ট্রীয় কাজে সহযোগিতা করাও প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য। রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।

একজন নাগরিক রাষ্ট্রের কাছে যেসব সুযোগ-সুবিধা দাবি করতে পারে সে সবই হলো নাগরিক অধিকার। সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক লাস্কির ভাষায়, অধিকার হলো সমাজজীবনের সেসব অবস্থা, যা ছাড়া মানুষ তার ব্যক্তিত্বকে উপলব্ধি করতে পারে না। অধিকারের প্রাপ্যতার মাধ্যমে নাগরিক জীবনের বিকাশ সহজ হয়। নাগরিক অধিকারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ১. নৈতিক অধিকার ও ২. আইনগত অধিকার। আইনগত অধিকারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- ক) সামাজিক অধিকার, খ) রাজনৈতিক অধিকার, গ) অর্থনৈতিক অধিকার।

সমাজে সুষ্ঠুভাবে জীবন-যাপন করার জন্য নাগরিকের যেসব সুযোগ সুবিধা প্রয়োজন, তাই হচ্ছে সামাজিক অধিকার। সামাজিক অধিকারগুলো হলো- ক. জীবন ধারণের অধিকার খ. চলাফেরার অধিকার গ. সম্পত্তি ভোগের অধিকার ঘ. চুক্তি করার অধিকার ঙ. ধর্মীয় অধিকার চ. পরিবার গঠনের অধিকার ছ. খ্যাতিলাভের অধিকার প্রভৃতি।

রাজনৈতিক অধিকারের বিস্তৃতির ওপর রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের বিস্তৃতি নির্ভর করে। রাজনৈতিক অধিকার হচ্ছে- ক. নির্বাচনের অধিকার খ. আবেদন করার অধিকার গ. সরকারের সমালোচনা অধিকার ঘ. বিদেশে অবস্থানকালে নিরাপত্তা লাভের অধিকার ঙ. স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার ইত্যাদি। এ অধিকারগুলোর মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে। নাগরিক জীবনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং উন্নত জীবনযাপনের জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত অধিকারগুলোই অর্থনৈতিক অধিকার। যেমন ক. কর্মের অধিকার খ. ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার গ. অবকাশ লাভের অধিকার ঘ. শ্রমিক সংগঠনের অধিকার প্রভৃতি। অর্থনৈতিক অধিকার নাগরিকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করে।

নাগরিক রাষ্ট্রপ্রদত্ত অধিকার ভোগ করতে গিয়ে কিছু কাজে দায়বদ্ধ হয়ে যায়। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের এসব দায়িত্বকে কর্তব্য বলা হয়। এর মাধ্যমে নাগরিক সমাজ ও রাষ্ট্রের মঙ্গলের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করে থাকে। নাগরিকের কর্তব্যগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- ১. নৈতিক কর্তব্য ২. আইনগত কর্তব্য। নাগরিক তার নীতিবোধে তাড়িত হয়ে যেসব কর্তব্য পালন করে তাকে নৈতিক কর্তব্য বলে। রাষ্ট্রের আইনকানুন দিয়ে নির্ধারিত যেসব কর্তব্য পালন করা অপরিহার্য তাকে আইনগত কর্তব্য বলে। রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্যগুলো হলো- আইন মান্য করা, রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থী বাছাই করা, কর প্রদান, সন্তানদের সুশিক্ষার ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের সেবা ইত্যাদি।

আমাদের দেশের সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পূর্ণ নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের কর্তব্যের দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। সংবিধানে বলা হয়েছে যে, ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবাই সমান অধিকারের অধিকারী হবেন। এ ক্ষেত্রে ধর্ম-বর্ণ বা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা নাগরিকের অধিকার আদায়ে বৈষম্যের সৃষ্টি করবে না।

এ ক্ষেত্রে, উল্লেখযোগ্য অধিকারগুলো হলো- আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সরকারি নিয়োগলাভে সুযোগের সমতা, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা, সংগঠনের স্বাধীনতা, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি। সংবিধানের ২০ ও ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নাগরিক কর্তব্যগুলো হলো- সংবিধান ও আইন মান্য করা, শৃঙ্খলা রক্ষা করা, নাগরিক দায়িত্ব পালন, জাতীয় সম্পত্তি রক্ষা এবং সব সময়ে জনগণের সেবা করার চেষ্টা করা। অধিকার আদায় এবং দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নাগরিক এবং রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। যোগ্য ও দায়িত্বশীল নাগরিক রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। এ জন্য নাগরিক সুশিক্ষিত, দায়িত্বশীল এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। নাগরিককে নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সঙ্কীর্ণতা পরিহার করে মুক্তমনা হতে হবে।

রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকের সব অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা। বিনিময়ে নাগরিক রাষ্ট্রের প্রতি অকুণ্ঠ আনুগত্য প্রকাশ এবং রাষ্ট্রীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য রাষ্ট্র নির্ধারিত কর প্রদান করতে হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই কারণ, সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায়- রাষ্ট্র শুধু নাগরিকদের কাছে আনুগত্যই দাবি করছে। কিন্তু রাষ্ট্র সংবিধান প্রদত্ত নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না; বরং ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় বা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার ঘটনাও ঘটছে। তারা আইনি আশ্রয় লাভেও বঞ্চিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিচ্ছে না। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে জনমতের প্রতিফলন না ঘটার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এসব বিষয়ে সরকারসংশ্লিষ্টদের আত্মস্বীকৃতিও রয়েছে। ফলে নাগরিকরা ক্রমেই বিক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন। আর ক্ষমতাসীনরা এই ক্ষোভকে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা মনে করছেন। মূলত ক্ষমতান্ধ রাজনীতিই আমাদের দেশ ও জাতিসত্তার মহাসর্বনাশ করেছে। তাই দার্শনিক প্লেটো খেদোক্তি করে বলেছিলেন, ‘অনিচ্ছুক শাসক হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ শাসক আর যে শাসক শাসনকার্য পেতে মরিয়া, তিনি নিকৃষ্টতম শাসক’। আমরা বোধহয় এই অশুভ বৃত্তেই আটকা পড়েছি।

smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
বছরে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের দাবি বাংলাদেশ অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস ঢাবি সিন্ডিকেটে এখনো বহাল আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা হাসিনা বাকস্বাধীনতা রুদ্ধ করতে দিগন্ত টেলিভিশনসহ অসংখ্য গণমাধ্যম বন্ধ করেছে : ফখরুল শীত শুরু হচ্ছে তবু কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ ব্যয়বহুল তদন্তেও শনাক্ত হয়নি লাশটি কার ‘রহস্যজনক’ কারণে নেয়া হয়নি ডিএনএ নমুনা নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন যুদ্ধবিরতির মার্কিন চেষ্টার মধ্যে লেবাননে ইসরাইলি হামলায় চিকিৎসাকর্মী নিহত অস্বস্তিতে ক্রেতারা : কমিয়ে দিতে হচ্ছে কেনাকাটা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৪৪ হাজার ছাড়াল আমরা মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাকে সম্মান করি

সকল