২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেশে আইনের শাসনের গতি

-

৬১ দিনের শুনানির পর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। সব আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির দণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে রায়ে। বাংলাদেশের আইনের শাসনের দুরবস্থা ও প্রায় গতিহীন বিচারব্যবস্থার মধ্যে এমন দ্রুতগতির রায় সবার নজর কেড়েছে। বিশ্বের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমও আলোচিত মামলার রায় নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে।

আদালতের মতে, নুসরাত এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। বিচারকের ভাষায় নারীত্বের মর্যাদা রক্ষায় নুসরাতের আত্মত্যাগ তাকে এরই মধ্যেই অমরত্ব দিয়েছে। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক আরো বলেছেন, ‘এ অমরত্ব চিরকালের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ অপরাধী সিন্ডিকেটের দোর্দণ্ড প্রতাপের বিরুদ্ধে নুসরাতের অনমনীয় অবস্থান ও মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অবিচল দৃঢ়তা প্রদর্শন অন্যদের কাছে পাথেয় হয়ে থাকল। একই সাথে দ্রুততার সাথে এ রায় দেয়ার জন্য ফেনীর ওই আদালত নজির হয়ে থাকবে।

মামলাটি কেন দ্রুতগতি পেয়েছে, এর ব্যাখ্যা মানুষ জানতে চাইবে। যেখানে ঘটনার মূল কারিগররা প্রভাবশালী, তারা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় শীর্ষস্থানীয় নেতা। তাদের একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরেকজন একই দল থেকে নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। মাদরাসার অধ্যক্ষের সাথে এসব নেতার সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে। তাদের সাথে যুক্ত হয় সুবিধাভোগীরা। তারা মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারী, নিরাপত্তা প্রহরী ও ছাত্রদের একটা অংশ। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তাও ছিলেন তাদের সাথে। বর্তমান সময়ে স্থানে স্থানে গড়ে ওঠা ক্ষমতাসীনদের এ সিন্ডিকেট অপ্রতিরোধ্য। তাদের জন্য যেকোনো ধরনের অপরাধ করা এখন মামুলি বিষয়। বাংলাদেশে আইনের শাসনের যে অবস্থা, তাতে অন্য সব সাধারণ অপরাধের মতো নুসরাত হত্যাও বিচারের অপেক্ষায় থেকে এক সময় সবার দৃষ্টির আড়ালে চলে যাওয়া স্বাভাবিক ছিল। এমনটি না হয়ে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বিচার হওয়ায় অনেকে অগ্রহ নিয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন, তাহলে সত্যিই কি বাংলাদেশে আইনের শাসনের উন্নতি হতে চলেছে। এ অছিলায় অন্য বড় বড় অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিচারপ্রত্যাশীরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাদের আগ্রহ বেড়েছে এ কারণে যে, তারাও ভাবছেন নিজেদের স্বজন হত্যার বিচার হবে। একই সময় ঘটা অন্যান্য হত্যা ও অপরাধের বিচারের গতি দেখলে তাদের নিরাশ হওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। নুসরাত হত্যার বিচার যেভাবে দ্রুতগতিতে হলো, সে জন্য সরকার নিজেদের সুনাম বাড়াতে একে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করবে, তাতে সন্দেহ নেই।

এখনো বিচারের আরো প্রক্রিয়া বাকি, অপরাধীর ফাঁসি কার্যকর হওয়া বহু দূর। সাত কার্যদিবসের মধ্যে আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। বিচারের যে গতি নিম্ন আদালতে নুসরাত হত্যা মামলা পেয়েছে; বিচারপ্রার্থীরা প্রত্যাশা করবেন একই গতি যেন উচ্চ আদালতেও পাওয়া যায়। অপরাধীদের সবার একই দণ্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত। যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, যারা ষড়যন্ত্র করেছে আর যারা সহযোগিতা করেছে, সবার মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। নিরাপত্তা প্রহরী, শিক্ষক, ছাত্র- যারাই এর সাথে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত হয়েছে, তারাই এ দণ্ড পেয়েছে। উচ্চ আদালত প্রত্যেক অপরাধীর অপরাধ আইনের আলোকে পুনর্মূল্যায়ন করে দেখবেন। প্রভাবশালী অপরাধী যারা হত্যাকাণ্ডে মূল ভূমিকা রেখেছে; তাদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ বেশি সাধারণ মানুষের। এই প্রভাবশালীরা উসকানি না দিলে কোনোভাবেই অন্যরা এই হত্যা সংঘটনে সাহস পেত না। বর্তমান সময়ে চলা বড় অপরাধগুলোর ধরন একই। তাই তাদের উপযুক্ত শাস্তি হলে সাধারণ মানুষ এবং বিচারপ্রার্থীরা খুশি হবেন।

নুসরাত হত্যার প্রায় একই সময়ে নির্মমভাবে খুন হন বরগুনার রিফাত। এ খুনের লক্ষণীয় দিক ছিল অপরাধীদের ধৃষ্টতা ও বেপরোয়া ভাব। খুন করতে তারা গোপনীয়তার আশ্রয় নেয়নি। তাদের ঔদ্ধত্য এমন ছিল, মানুষ হত্যা কোনো ব্যাপার নয়। তাদের ভাবসাব ছিল- ‘একজন মানুষকে হত্যা করার অধিকার তাদের রয়েছে।’ এমন মনে করার তাদের কাছে কারণও হয়তো ছিল। ‘ক্ষমতা’ কি সেই কারণ? উপস্থিত মানুষজন তাদের প্রতিরোধ করার সামর্থ্য রাখে না, ওই বিষয়ে খুনিরা নিশ্চিত ছিল। তারা কি এটিও নিশ্চিত ছিল বিচারপ্রক্রিয়ায় গেলেও তাদের কিছু হবে না? ক্ষমতাসীন দলের সদস্য হওয়ায় খুনের বিচার হবে না- এমন বিশ্বাস থেকেই কি তারা প্রকাশ্যে এ হত্যার ঘটনা ঘটায়? এ ধরনের আরো কয়েকটি প্রকাশ্য খুন প্রচেষ্টার ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে। প্রতিটির ক্ষেত্রে ঔদ্ধত্য অপরাধী ক্ষমতাসীন দলের সদস্য। রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ক্রসফায়ার বা এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। কেন প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আগেই প্রাণ হারাল, সেই রহস্য ওই সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে অনুমান করা যায়। অপরাধী নয়ন বন্ডের সাথে ছিল স্থানীয় ক্ষমতাসীন চক্রের গভীর সম্পর্ক। বরগুনায় যত মাদক চোরা কারবারি, অবৈধ ব্যবসা ও অন্যায় কর্মকাণ্ড ছিল তা নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা এই তরুণ অপরাধী ও তার চক্রকে ব্যবহার করত। তাকে বিচারের আওতায় আনলে প্রভাবশালীদের আরো অনেকের নাম প্রকাশ হয়ে যেত। তাকে ক্রসফায়ারে দিয়ে কি প্রকৃতপক্ষে অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করে নিলো? এ প্রশ্নই উঠেছে তার হত্যার পর।

রিফাত হত্যা মামলার বিচার এখনো শুরু হয়নি। বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর আগে পুলিশ-কেন্দ্রিক জটিলতায় এ মামলা খাবি খেয়েছে। মূল আসামিদের থেকে দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়া হয়েছে। রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। তাকে দীর্ঘদিন আটক রাখার পর সে ছাড়া পেয়েছে। অন্য দিকে মূল আসামিদের দুইজন পলাতক। অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে দুই মাস আগে। তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে সময় নেয়া হচ্ছে। আদালতে মামলা রুল হওয়ার আগের কার্যক্রম মূলত প্রশাসনের হাতে। সরকার চাইলে মামলা দ্রুত আদালতে উঠতে পারে। নুসরাত হত্যার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইএন)। সংস্থাটি স্বাধীনভাবে মামলা তদন্তে কাজ করেছে। এ বাহিনী স্থানীয় সরকারি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে থেকে যে কাজ করেছে তা বোঝা যায়। তাই আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও মামলা থেকে বাদ পড়েননি। তবে পুলিশের একজন সদস্য মামলার অভিযোগ থেকে বাদ পড়ায় বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যেখানে ছাত্র-শিক্ষক এবং সামান্য পাহারাদারের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে; সেখানে নুসরাতের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে সহযোগিতা ও পরে সাফাই গাওয়ার পরও তিনি শুধু ভর্ৎসনা পেয়েছেন। পুলিশের প্রতি পক্ষপাতের বিতর্ক ওঠার পরও পিবিআইএন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে বলে আলোচনায় এসেছে। রিফাত হত্যার বিচারপ্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নিতে এ পর্যন্ত আইনের গতি নুসরাত হত্যার বিচারের গতির সমতুল্য মনে হচ্ছে না। সমান তো দূরের কথা; ধারেকাছেও নেই। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রকাশ্যে আসা দাম্ভিক অপরাধীদের বিচারের গুরুত্ব আরো বেশি বৈকি। অর্থাৎ নুসরাত হত্যাকারীদের মতো রিফাতের খুনিদের বিচারের দাবিও সমান গুরুত্ব রাখে। কিন্তু আইনানুযায়ী চলার ক্ষেত্রে এর গতি কোনোভাবে একরকম মনে হচ্ছে না।

আইনের শাসনের গতি মসৃণ হওয়ার পথে আমরা যে আসলে একেবারেই অগ্রসর হচ্ছি না; তার প্রমাণ মিলে অন্য সব চাঞ্চল্যকর হত্যার বিচারের অগ্রগতি বিবেচনায় নিলে। ২০১৬ সালের মার্চে কুমিল্লা সেনানিবাসে পাওয়া সোহাগী জাহান তনুর লাশের কথা এখন অনেকেই ভুলে গেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়েছে বেশ কয়েকবার। পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের ওপর এর ভার দেয়া হলেও তদন্তকাজ বিন্দুমাত্র অগ্রসর হয়েছে বলে মনে হয় না। তনুর পোশাক পরীক্ষা করে অন্তত তিনজন ধর্ষকের প্রোফাইল পাওয়া গেছে। সেই থেকে সন্দেহভাজনদের ডিএনএ পরীক্ষার পালা এখনো শেষ হয়নি। তনু হত্যার বিচারে দেশে আন্দোলন বেগবান হয়েছিল। কিন্তু বিচারপ্রক্রিয়া বেগবান করা যায়নি, বরং এ হত্যা নিয়ে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে এ কারণে যে, বিচারপ্রার্থীরা বিভিন্ন সময় উল্টো চাপের মুখে পড়েছেন। এখন তনুর মা-বাবা বলছেন, আমরা নিজেরা অসহায় ও কমজোরি। তারাও এখন পিবিআইএনের মাধ্যমে তদন্ত করার আরজি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।

তনু হত্যার কয়েক মাস পরে আরেকটি হত্যার ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তিনি খোদ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্ত্রী। তাকেও প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে। প্রথমে মনে হচ্ছিল খুনিরা দ্রুত শনাক্ত হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও ত্বরান্বিত হবে। পরে দেখা গেল খুনের পুরো ঘটনা ধোঁয়াশাপূর্ণ হয়ে যায়। এ হত্যা নিয়ে উল্টো বাংলাদেশের পুলিশই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে সন্দেহভাজনদের মধ্যে দু’জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাহমুদা খানমের স্বামী পুলিশের কর্মকর্তা নিজেই পরে আর পুলিশের চাকরিতে থাকতে পারেননি। অভিযোগের তীর যখন পুলিশ বাহিনীর নিজেদের বিরুদ্ধে যায়; তখন তা স্পষ্ট করা এ বাহিনীর জন্য বড় বেশি প্রয়োজনীয়। মাহমুদার বাবাও একজন সাবেক পুলিশ পরিদর্শক। তিন বছরের বেশি অতিবাহিত হলেও এ হত্যার বিচার খুব সামান্য অগ্রসর হয়েছে। এমনিভাবে আরো বহু অপরাধের বিচার পাচ্ছে না গতি।

নুসরাত হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির রায় দেখে আশাবাদী হওয়ার ভরসা পাওয়া কঠিন। রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের ক্ষমতা রয়েছে। বাংলাদেশে এ ক্ষমতার প্রয়োগ ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের হত্যাকারী বিপ্লব রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পায়। বিপ্লব লক্ষ্মীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের ছেলে। সেই লোমহর্ষক হত্যার কথা এখনো অনেকের মনে থাকার কথা। বিপ্লব ও তার পিতার সমন্বয়ে লক্ষ্মীপুরের সেই রামরাজত্বের কথাও সারা দেশে তখন আলোচিত হয়েছে।

শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফও রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছে। তার আগে উচ্চ আদালত মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি কমিয়ে জোসেফকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। নব্বইয়ের দশকের ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে জোসেফ সারা দেশে কুখ্যাত একটি নাম। তাকে গোপনে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয় রাষ্ট্রপতির দণ্ড মওকুফের পর। এ ছাড়া প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ হত্যার আসামি অনেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়েছেন। বড় দণ্ড পাওয়া কয়েক ডজন অপরাধী রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বদৌলতে জীবন পাওয়ার নজির সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এমনকি সামরিক সরকারের রাষ্ট্রপতিরা দণ্ড মওকুফে দলীয় বিবেচনা করেছেন।

আদালতের রায়ের পরও তাই কথা থেকে যায়। দলীয় কারণে রাষ্ট্রের শীর্ষ আসনে বসে অপরাধীদের সাজা মওকুফের সুযোগকে কাজে লাগানোর আশঙ্কা থেকেই যায়। অপরাধীদের এমন দণ্ড মওকুফ মানবতার উচ্চ মরতবা হাসিল করার জন্য যে হচ্ছে, এমনটি প্রমাণিত হচ্ছে না। সোনাগাজী আওয়ামী লীগের পদচ্যুত সভাপতি ও একই জায়গার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর রাষ্ট্রপতির সৌজন্যে দণ্ড মওকুফ পাওয়া বিপ্লব ও জোসেফের চেয়ে দলের মধ্যে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুতরাং তারা মার্সি পাওয়ার ব্যাপারে দলের কাছে আরো বেশি গুরুত্ব পেতে পারে। নুসরাত হত্যার বিচারের রায় কার্যকর হওয়া-না হওয়ার এখনো অনেক পথ বাকি। এ রায় আপাতত আলোড়ন তুলেছে। অনেকের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। তবে বিচারের নিজস্ব গতি কিংবা বিচারের কাঙ্ক্ষিত গতি বাংলাদেশে এখন অর্জিত হয়নি। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা যদি দল-মতের প্রভাবের বাইরে থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পান, তাহলে অন্তত এ মামলার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সাথে বিচার-ফয়সালা হয়েছে, এমন বলা যাবে।

jjshim146@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল