২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জেলা প্রশাসকের নৈতিকতা ও শিক্ষা ডিগ্রি বাতিলের ব্যবস্থা

-

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে আমাদের দেশের একজন জেলা প্রশাসকের সাথে তার অফিসের এক নারী সহকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ওই জেলা প্রশাসককে ওএসডি করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে চাকরিচ্যুতিসহ যেকোনো গুরুদণ্ড দেয়া হতে পারে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গেছে (নয়া দিগন্ত, ২৭ আগস্ট ২০১৯)। প্রশ্ন হলো, ওই একজনকে ওএসডি করা হলে বা আরো শাস্তি দিলেই আমাদের সমাজব্যবস্থা এ ধরনের অপকর্ম থেকে মুক্ত হবে কি? এর সহজ উত্তর হবে নেতিবাচক। কারণ হাজার বছরের পরিবার ও সমাজ আমাদের রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক কাঠামোর মূল ভিত্তি হলেও আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষা পরিচালনার ভিত্তি হচ্ছে ব্যক্তি। ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাবে আমাদের দেশের অর্থনীতি ও শিক্ষানীতি ব্যক্তিস্বার্থ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ব্যক্তির উত্থানে পরিবার, সমাজ, কৃষ্টি ও নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সমন্বিত উন্নয়ন ও শিক্ষানীতি উপেক্ষিত হয়েছে। তাই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে যেমন কুশিক্ষার অনুপ্রবেশ ঘটেছে, তেমনি তা দুর্নীতির উৎস হয়ে উঠেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার অবক্ষয় আজ চরম পর্যায়ে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা কি এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখতে পারি না, যেখানে শিক্ষার্থীর কর্মজীবনে সামাজিক দায়বদ্ধতার অঙ্গীকারস্বরূপ মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে? আবার, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর ডিগ্রি বাতিলেরও ব্যবস্থা থাকবে? চূড়ান্ত ডিগ্রি দেয়া হবে তার অবসর বা মৃত্যুর পর। ইসলাম বলে মৃত্যুর পর মানুষের সব হিসাব বন্ধ হয়ে যায় তিনটি কাজ ছাড়া : ক. জ্ঞানের ক্ষেত্রে অবদান; খ. সাদকায়ে জারিয়াহ এবং ৩. নেককারসন্তান (আল-হাদিস)।

প্রকৃত অর্থেই, একজন মানুষের মৃত্যুর পরেই তার মূল্যায়ন যথার্থ হয়। তাই কাক্সিক্ষত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থীর সারা জীবনের কর্মকাণ্ড ও অর্জন বিবেচনা করে ডিগ্রি দেয়া হবে। কারণ বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দিয়েও আমরা শিক্ষাব্যবস্থায় সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ প্রবিষ্ট করাতে পারিনি। শিক্ষিতরাই বেশি দুর্নীতি করছেন। জনগণ দুর্নীতিপ্রবণ হয়ে উঠছে। কারণ আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমন হয়ে পড়েছে যে, সেখানে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে না। স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় একটি সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিয়ে দাবি করে, আমরা এই জনশক্তিকে তৈরি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় যেন পণ্য উৎপাদনের কারখানা। উৎপাদনের পর পণ্যের গায়ে যেমন ল্যাবেল লাগিয়ে দেয়া হয়, তেমনি শিক্ষার্থীর ডিগ্রিটাও যেন একটি ল্যাবেল। কিন্তু কোনো পণ্য উৎপাদনের পর সে জিনিসটি ঠিকমতো চালু রাখতে কিংবা সেটি ঠিকমতো কাজ করছে কি না সে জন্য একটি সার্ভিসিং সুবিধা দেয়া হয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলো তাদের আঙ্গিনা থেকে চলে যাওয়া শিক্ষার্থী কী করছে তার কোনো খবর রাখে না। কোনো শিক্ষার্থী যদি কর্মজীবনে অপকর্ম-দুর্নীতি করে, তাহলে তার ডিগ্রি বাতিলের কোনো বিধান নেই। যন্ত্র নষ্ট হলে আমরা মেরামত করি। খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া না গেলে বা সার্ভিসিং সুবিধা না থাকলে আমরা ওই যন্ত্রটি কিনি না। অথচ আমরা মানুষকে ‘জনশক্তি’ বললেও তার যে ‘সার্ভিসিং’ বা ‘আপগ্রেড’ করা দরকার, এ কথা আমরা কেউ বলছি না। অথচ এটা হওয়া উচিত ছিল। উচিত ছিল, যে বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীকে নিয়মিত আপগ্রেড না করবে, তাকে চাকরিতে নিয়োগ না দেয়া।

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই ফলোআপ ব্যবস্থা খুব কঠিন নয়। ১৫৬৫ সালে ইংল্যান্ডের হাইগেট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো- ওই স্কুলের প্রথম থেকে যত ছাত্র ও শিক্ষক ছিলেন তাদের সবার রেকর্ড সংরক্ষণ করা আছে। তারা ফলোআপ করে থাকেন- ওই স্কুলের কোন্ ছেলে কোথায় কী করছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির ক্ষেত্রে কিংবা মানব সমাজের কল্যাণে কী অবদান রাখছে। এ থেকে বোঝা যায়, পাশ্চাত্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় খুব নিবিড়ভাবে না হোক, কিছুটা হলেও ফলোআপ সিস্টেম রয়েছে। তাই এমন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবছি, যেখান থেকে আজকের মতো গতানুগতিক বা প্রচলিত কোনো ডিগ্রি না দিয়ে সমতল ডিগ্রি বা ডিগ্রি ইকুইভ্যালান্ট দেয়া হবে। শিক্ষার্থীটিকে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে হবে। এখানকার ডিগ্রি হবে বিএসসি ইকুইভ্যালান্ট, এমএ বা এমএসসি ইকুইভ্যালান্ট, পিএইচডি ইকুইভ্যালান্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং বা এমবিবিএস ইকুইভ্যালান্ট ইত্যাদি। যারা এখান থেকে ডিগ্রি ইকুইভ্যালান্ট নিয়ে বের হবে, তারা কর্মক্ষেত্রে একই মানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত কারো চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন হবে না। উপরন্তু, এখান থেকে বের হওয়া ছাত্রদের ফলোআপের ব্যবস্থা থাকবে বা তাদের জ্ঞান আপগ্রেড করার কর্মসূচি থাকবে। ফলে তারা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একই মানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত যে কারো চেয়ে থাকবে অগ্রগামী। আবার কর্মক্ষেত্রে গিয়ে ওদের যদি নৈতিক অধঃপতন ঘটে, কেউ যদি দুর্নীতিপরায়ন হয়ে পড়ে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় তার ডিগ্রি বাতিল করে দিতে পারবে। অন্য দিকে, সে যদি ভালো কোনো কাজ করে, সমাজ ও মানবতার কল্যাণে অবদান রাখে, তাহলে তাকে ডেকে এনে পুরস্কৃত ও সম্মানিত করা হবে।

আমরা মনে করি, কর্মক্ষেত্রে এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদা হবে ব্যাপক। সবাই জানবে, এখানকার ছেলেমেয়েগুলোকে ফলোআপ করা হচ্ছে, এদের দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা কম; এরা জ্ঞানেও জানার দিক দিয়ে অগ্রগামী। সরকারের একক প্রচেষ্টায় সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করা অসম্ভব; কিন্তু এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ সহজেই অনেক পরিশুদ্ধি অর্জন করতে পারবে।

আবার বিশ্ববিদ্যালয় যখন ডিগ্রি ইকুইভ্যালেন্ট প্রদানের চিন্তা করবে তখন এখানকার কারিকুলাম তৈরি হবে বাস্তব জীবন ও সমাজের সাথে মিল রেখে। জীবনের সাথে যুক্ত করা হবে কারিকুলামকে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তব জীবনে প্রয়োজনীয়- এমন জ্ঞানের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে বেশি। ফলে কারিকুলামও হবে সময়োপযোগী। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি, অর্থনীতিতে পিএইচডি করতে গিয়ে এমন অনেক বিষয় পড়তে হয়েছে, যার বাস্তব প্রয়োগ কখনো দেখা যায়নি। ‘মরণোত্তর পুরস্কার’ দেয়া গেলে ‘মরণোত্তর ডিগ্রি’ কেন দেয়া যাবে না?

পাশ্চাত্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু এই ধ্যান-ধারণার প্রতিফলন ঘটতে শুরু করেছে। যেমন- অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের এমন অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে যারা জীবনসংগ্রামে অনবদ্য লড়াই করে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন এবং যারা একসময় ছিলেন এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। এ ধরনের ব্যক্তিত্বকে ডেকে নিয়ে ডিগ্রি দেয়া হয়; কিন্তু গত শতকে এরকম দু’জন ব্যক্তিত্বকে ডিগ্রি প্রদানে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। তাদের একজন হলেন পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং অন্যজন যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার। ‘ব্রিলিয়ান্ট প্রাইম মিনিস্টার অব ইংল্যান্ড’কে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ‘শি ইজ নট ওয়ার্দি ডটার অব অক্সফোর্ড’ (She is not worthy daughter of Oxford)। কারণ, থ্যাচার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শিক্ষা অনুদান কেটে দিয়েছিলেন। আর ভুট্টোকে দেয়া হয়নি তিনি পাকিস্তানে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন বলে।

ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ও একই নীতি অনুসরণ করছে। তাদের কোনো ছাত্র বিশ্বপর্যায়ে কোনো কিছু অর্জন করলে তাকে ডেকে নিয়ে পিএইচডি দেয়া হয়। এই বিষয়গুলো আজও আমাদের লক্ষ্যের বাইরে রয়ে গেছে।
আমেরিকায় একজন এমডি বা ডাক্তার হতে গেলে খুব কঠিন শিক্ষা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়; কিন্তু এরপরও যে ডিগ্রি তাকে দেয়া হয়, তা তার সারা জীবনের জন্য নয়। মাত্র ১০ বছরের জন্য। এই ১০ বছর পর আবার তাকে বোর্ডের সামনে হাজির হয়ে সমসাময়িক চিকিৎসাবিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এ বিষয়টা পুরোপুরি অনুপস্থিত। এমনকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনো ছাত্রছাত্রী যদি বিশ্ব পর্যায়ে কোনো কৃতিত্ব অর্জন করে, তবুও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তার কোনো খবর রাখে না। তাই বাংলাদেশের জন্য চাচ্ছি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা, যেখানে কেউ ভালো কিছু করলে তার স্বীকৃতি দেয়া হবে; তেমনি খারাপ কিছু করলে তার শাস্তি তথা ডিগ্রি বাতিলের ব্যবস্থাও থাকবে। শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আমরা এত দিনেও জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা তৈরি করতে পারিনি।

স্বপ্নের এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ আমি নিজে নিয়েছি যমুনা নদীর কোল ঘেঁষে সিরাজগঞ্জ শহরে।

সম্পূর্ণ ৯টি ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ‘দ্য গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ শীর্ষক প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারের অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায়। এখানকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার খরচের একটা বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বহনের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে স্বল্প খরচে অথবা ক্ষেত্রবিশেষে বিনাখরচে দেশের মেধাবী ছাত্ররা সেখানে পড়াশোনা করতে পারে। স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ বাতিলের ক্ষমতা সিনেট সংরক্ষণ করবে। আর সেরকম শর্তসাপেক্ষেই শিক্ষার্থীরা সেখানে ভর্তি হতে পারবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে মধ্যপ্রাচ্যের নব্য ‘ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং ওয়েল’থের প্রায় অলস পড়ে থাকা, বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ আকৃষ্ট করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের পেশাগত দক্ষ জনশক্তি সরবরাহ করতে পারবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর বাইরেও ওয়াকফ সম্পত্তি ও ক্যাশ ওয়াকফ ব্যবস্থাপনার জন্য দক্ষ জনশক্তি যোগান দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম হবে বাস্তব জীবনধারার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। জীবনঘনিষ্ঠ গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে বিশেষ তহবিল। এখানকার শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত করা হবে, যাতে তারা প্রথম থেকেই জীবনের চেয়ে বৃহত্তর লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হতে পারে।

আসলে, আমাদের সমাজে বিপ্লব ঘটাতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এই ঢেলে সাজানোর অর্থ শুধু শিক্ষাকারিকুলাম পরিবর্তন নয়; সমাজ ও সংস্কৃতির আলোকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বিন্যস্তকরণও। উল্লেখিত চিন্তাধারা এ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক হতে পারে। মাটি-মানুষ ও সংস্কৃতির সাথে শিক্ষাকে সমন্বিত করতে হবে।

মানুষ ও সমাজের ধারা পরিবর্তনের উপযোগী ধ্যান-ধারণার রূপায়ণ প্রথমে অসম্ভব মনে হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠান ছাড়া এরূপ ধ্যান-ধারণার অপমৃত্যু স্বাভাবিক। আবার লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ লোকবল না থাকলে প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই আমাদের স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয় সৃজনশীল চিন্তাধারার বাস্তবায়নের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে সঙ্কল্পবদ্ধ। এ জন্য এমন কিছু মানুষ প্রয়োজন, যারা হবেন জীবনের চেয়ে বৃহত্তর লক্ষ্যে নিবেদিত। দুর্নীতিগ্রস্ত, ঘুণে ধরা বর্তমান আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে এ ধরনের মানুষের চরম অভাব অনুভব করছি, তবুও আমি আশাবাদী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার কয়েকটি চরণ দিয়ে এ লেখা শেষ করছি :

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে।/ যদি ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে দুয়ার দেয় ঘরে/ তবে বজ্রানলে আপন বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে একলা জ্বলো রে’।

লেখক : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড; সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ, ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক, জেদ্দা
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement