দুধ পরীক্ষা নিয়ে গাফিলতি
- জসিম উদ্দিন
- ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৯:১১
খাদ্যপণ্য ভেজাল কিংবা মানসম্পন্ন কি না, এ ব্যাপারে দ্বিধা-সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিএসটিআই চলতি বছর বাজারে প্রচলিত ৪০৬টি খাদ্যপণ্যের মান যাচাই করেছে। এগুলোর মধ্যে তাদের হিসাবে ৫২টি নি¤œমানের কিংবা ভেজাল। এ পণ্যগুলোকে যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে সরকার কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়। এ জন্য উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে তাদের ভর্ৎসনা করা হয়। তবে বাজারে থাকা দুধের পরীক্ষা নিয়ে লেগেছে গণ্ডগোল। বিএসটিআই পরীক্ষা করে ছাড় দিয়েছে, এমন দুধের পরীক্ষা করে পাওয়া যাচ্ছে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান।
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন সংক্ষেপে বিএসটিআই একটি সরকারি সংস্থা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থার কাজ হচ্ছে সেবার মান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যের গুণাগুণ ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা। খাদ্য নিয়ে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘ দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আজ বাজারের খাদ্য নিয়ে কারো মধ্যে স্বস্তি নেই। প্রতিষ্ঠানটি মুক্তিযুদ্ধের পরপরই জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সঙ্গত কারণে অনেকগুলো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে এটিকে কাজ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি দেশের খাদ্য ও সেবার মান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এর ভাবমর্যাদা কোথাও রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিক বিএসটিআইর করুণ অবস্থা নিয়ে বিস্তৃত প্রতিবেদন দিয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, দেশের একমাত্র খাদ্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানটির খাদ্যে অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশক শনাক্ত করার মতো ব্যবস্থা নেই। দুধের খাদ্যমান পরীক্ষা করার প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ১৭ বছরের পুরনো। বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে পত্রিকাটি জানিয়েছে, মাত্র ৯টি মানদণ্ডে এটি দুধ পরীক্ষা করে।
যেখানে উন্নত দেশে ২৩ থেকে ৩০টি মানদণ্ডে দুধ পরীক্ষা করা হয়। উন্নত দেশে ভারী ধাতু, অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয় দুধে। পাশের দেশ ভারতের উদাহরণ তুলে ধরা হয়। দেশটিতে ২৩টি গুণাগুণ এবং রাসায়নিক প্যারামিটার ব্যবহার করা হয়। ১৮টি রাসায়নিক দূষণ রয়েছে কি না পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাদের পরীক্ষায় খাদ্যের মধ্যে ৩০০টি কীটনাশক শনাক্ত করে দেখতে পারে। সিঙ্গাপুরে ৫০০টি কীটনাশক শনাক্ত করার ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও এসব দেশে খাদ্য উৎপাদনে আমাদের চেয়ে কম অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদনে এলোপাতাড়ি সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ রয়েছে। কোন সার ব্যবহার করবে, কী কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে, এসবের পরিমাণ কী হবে, সে ব্যাপারে আমাদের কৃষকেরা যথেষ্ট অবহিত নন। তাই দুধসহ আমাদের দেশে উৎপাদিত খাদ্যে ভেজাল ও বিষাক্ত উপাদান বেশি হওয়ার কথা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাস্তুরিত দুধ বাজারজাতকারী প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিটিতে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট পাওয়া গেছে। একই দিন উচ্চ আদালতে দেয়া এক প্রতিবেদনে বিএসটিআই জানাচ্ছে, বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধগুলোর মধ্যে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কিছু নেই। যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশক শনাক্ত করার সামর্থ্যই নেই সংস্থাটির। বিএসটিআই সাধারণ কয়েকটি উপাদান পরীক্ষা করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করে বলে জানানো হয় ইংরেজি দৈনিকের ওই প্রতিবেদনে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ফারুক জানান, তারা ১৯ বিভাগে দুধ পরীক্ষা করেছেন। যেখানে বিএসটিআই মাত্র ৯ বিভাগে এই পরীক্ষা করেছে। তিনি আরো জানান, দুধের খাদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতি সব সময় হালনাগাদ রাখতে হবে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা নেয়ার জন্য অন্যায় পথ খোঁজেন। এ কারণে দুধের মতো খাদ্যে ভেজাল ঢুকছে। খাদ্যে ভেজালের পরিণাম ভয়াবহ হবে বলেও তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ফারুকের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফায় ১০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০টিতেই ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন। গত সপ্তাহে একই জায়গা থেকে পাঁচটি কোম্পানির সাতটি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধ ও তিনটি খোলা দুধের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১০টি নমুনাতেই শরীরের জন্য চারটি ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। দুধের তিনটি নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি, ছয়টি নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং একটি নমুনায় অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দু’টি। তাদের সংগ্রহ করা নমুনার প্রতিটিকে একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে। উন্নত দেশে যতটা মানদণ্ডে দুধ পরীক্ষা করা হয় অধ্যাপক ফারুকের পরীক্ষায় সব ক’টি মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়নি। তাতেই এতগুলো ক্ষতিকর উপাদান আবিষ্কৃত হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মানদণ্ডে যাচাই করলেও দুধে আরো বেশি ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নামীদামি ব্র্যান্ডের সাথে আরো অসংখ্য দুধ সরবরাহকারী রয়েছে আমাদের বাজারে, সেসব দুধ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর আমরা জানি না। দুধের নামে আমরা আসলে কী খেয়ে চলেছি, তা কারো কাছে স্বচ্ছ নয়।
সর্বশেষ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে আরেকটি প্রতিবেদন পেশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে দুধে ভেজালের মাত্রা আরো বেশি পরিমাণে শনাক্ত হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে। বিএসটিআইর সনদ পাওয়া ১০ ব্র্যান্ডের দুধের নমুনায় গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সাথে তরল দুধের আরো ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করে। এগুলোর কোনো কোনোটিতে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া গেছে। তিনটি সরকারি ও তিনটি বেসরকারি সংস্থার পরীক্ষাগারে এ পরীক্ষা চালায় তারা। আদালত নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও বিএসটিআইর কাছে এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে জানতে চেয়েছে।
১৮ কোটি মানুষের দৈনিক চাহিদা মেটাতে বিপুল পরিমাণ দুধ দরকার। গত বছরের এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, দুধের উৎপাদনও ব্যাপক বেড়েছে। দৈনিক এখন ১০ লাখ লিটার দুধ প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। অন্য দিকে প্রতি বছর এক লাখ টন গুঁড়ো দুধ ও দুধজাত পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। এ জন্য ব্যয় হয় দুই হাজার কোটি টাকা। দুধ উৎপাদন অনেক বাড়ার পরও এখনো এর বিপুল চাহিদা রয়েছে। তাই এর উৎপাদন আরো অনেক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দুধ ও প্রক্রিয়াজাত দুধের বাজার বিরাট আকার ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি কোম্পানি খামারি ও ব্যক্তি উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহ করে। এ দুধ বিশুদ্ধ কি না সে ব্যাপারে কোনো শক্তিশালী মনিটরিং নেই।
ইতোমধ্যে খামারিদের সংখ্যা বেড়েছে। ব্যক্তিগতভাবে বিশাল জনগোষ্ঠী গাভী পালনের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাদের জীবন-জীবিকা সম্পূর্ণরূপে এর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। একই সাথে দুধ প্রক্রিয়াজাত কোম্পানিগুলোর বিশাল বাজার ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। একে কেন্দ্র করে এক বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান হয়েছে। সবার স্বার্থে বিশুদ্ধ দুধের উৎপাদন ও তার বাজার ব্যবস্থার আনুকূল্য দিতে হবে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে প্রস্তুতির দরকার ছিল সেটা হয়নি। অর্থাৎ খাদ্যপণ্যটি নিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো কারসাজি করতে না পারে তা প্রতিরোধ করার চিন্তা করা হয়নি। যখন পণ্যটি বিশুদ্ধ কি না সেটা পরীক্ষা করার দরকার তা করা হয়নি। এখন এর উৎপাদন বিপণন এমন পর্যায়ে গেছে, সেটাকে ঠিক পথে পরিচালনা করা কঠিন।
মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই দুধ পরীক্ষা করে সনদ দিয়ে দিচ্ছে। অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও তার গবেষক দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুধে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্ত করে। তারও আগে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবি দুধসহ বাংলাদেশী অন্যান্য খাদ্যে ভেজালের কথা জানায়। এবার যখন অধ্যাপক ফারুক জনস্বার্থে দুধে ভেজালের খবর জানালেন, তার বিরুদ্ধে অনেকে দৃষ্টিকটু আক্রমণ করেছেন। তার গবেষণায় কারো ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়ে থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
তিনি যদি একটা কোম্পানি বা কিছু কোম্পানিকে লক্ষ্য করে এ কাজ করে থাকেন, সেটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। মূল ব্যাপার হলো খাদ্যকে নিরাপদ করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় থাকা চলবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই এ ব্যাপারে দায়িত্ব দেখাতে পারেনি। একইভাবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষও ভোক্তাদের পক্ষে দাঁড়াতে পেরেছে, এমন দেখা যায়নি। অন্য দিকে ভোক্তা অধিকারের পক্ষে যারা কথা বলেন, তারাও জোরালো কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। বাংলাদেশে দুধসহ ভেজাল খাদ্যে বাজার যখন সয়লাব সেখানে এ সংগঠনগুলো এসবের বিরুদ্ধে কী করেছে আমাদের জানা নেই। সংবাদমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এরা অনেক সময় নিষ্ক্রান্ত হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে এখনো কোনো শক্তিশালী আন্দোলন দানা বাঁধেনি। যদিও সবার আগে জাতীয় স্বাস্থ্য রক্ষায় এ আন্দোলন জরুরি।
অধ্যাপক ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ওষুধ ও খাদ্য নিয়ে তিনি কাজ করেন। এই বিতর্কের মধ্যে দুধ পরীক্ষা করে জনস্বার্থে তার এগিয়ে আসা স্বাভাবিক একটি ঘটনা। তাকে ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে রীতিমতো হুমকি-ধমকি দেয়া হয়েছে। এক সরকারি আমলা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দুধ পরীক্ষা করেছেন তিনি। সুনির্দিষ্ট কোনো ব্র্যান্ডের নাম উল্লেখ না করলে তিনি নিশ্চয়ই অন্যায় কোনো কাজ করেননি। তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষক সংগঠনের দাঁড়ানোর কথা। বাস্তবে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে জানান দিলো, অধ্যাপক ফারুকের দুধ পরীক্ষার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি থাকল চুপ করে। শিক্ষকদের একটি ছোট গ্রুপ অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে। একটি ভালো কাজকে যদি এভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয়, সে জাতির ভবিস্যৎ কতটা উজ্জ্বল বুঝতে অসুবিধা হয় না। উচ্চ আদালত তার গবেষণা প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেছেন।
উচ্চ আদালত বিএসটিআইর অনুমোদন পাওয়া সব কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ পৃথক চারটি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআরবির ফুড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)। বিএসটিআই প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এ চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাজার থেকে দুধের নমুনা সংগ্রহ করতে বলেছেন আদালত। বিএসটিআইর প্রতিবেদনকে সঠিক বলে ধরে নিতে পারলে আদালত নতুন করে আরো চারটি সংস্থাকে যুক্ত করে পরীক্ষার নির্দেশ দিতে হতো না। সোজা কথায় বিএসটিআই যাদের দুধকে সহি বলে সনদ দিয়েছে, কেউ সেটির ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। তাহলে এ প্রতিষ্ঠানটি আসলে জাতির জন্য কী উপকারে আসছে, সেটা কি ভেবে দেখার প্রয়োজন নেই?
সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের কাজের মান জবাবদিহিতা নিয়ে প্রশ্নটি আবারো সামনে এসে যায়। খাদ্য নিরাপত্তা দেশে দেশে সবচেয়ে অগ্রাধিকার ইস্যু। খাদ্যে ভেজাল নিরূপণের প্রযুক্তি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে হালনাগাদ করা হচ্ছে অন্যান্য দেশে। নাগরিকদের স্বাস্থ্যই যদি ঠিক না থাকে, সেখানে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। একটি সুস্থ সবল জাতি সবার আগে কাম্য। তাই খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সব দেশে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশে বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পেয়েছে, সেটা বিএসটিআইর দুধের নমুনা পরীক্ষা থেকে আমরা অনুমান করতে পারি।
jjshim146@yahoo.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা